শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
৫১। জাতিসঙ্ঘ দিবসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তৃতা | নয়া দিল্লীতে জাতিসঙ্ঘ দিবসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিংয়ের | ২৪ অক্টোবর ১৯৭১ |
নয়া দিল্লীতে জাতিসঙ্ঘ দিবসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিংয়ের বক্তৃতা-
২৪ অক্টোবর, ১৯৭১
নিম্নে ভাষণের উপর একটি রিপোর্ট দেয়া হল:
জনাব শরণ সিং বলেন এটা অপরিহার্য যে পূর্ব বাংলার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাথে একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। শুধুমাত্র তখনই উদ্বাস্তুরা দেশে ফিরে যেতে শুরু করবে।
“আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সমস্যার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে। এবং একটি সম্মিলিত পদ্ধতিতে কাজ করে এটি সমাধান করা তাদের দায়িত্ব।
জনাব শরণ সিং বলেন পাকিস্তান অযথা আক্রমনাত্মক ভাবে ভারতীয় সীমান্তে বাহিনী জড়ো করছে এবং মূল ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।
“তবে পূর্ববাংলায় মূল সমস্যা রাজনৈতিক। মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
ভারত, বাংলাদেশের শরণার্থীদের উপর আস্থা রাখে। পূর্ব বাংলায় নিরাপত্তা এবং শান্তি পুনরুদ্ধার হলে তারা তাদের নিজের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যখন সামগ্রিকভাবে মানবজাতির উপর পূর্ববাংলায় পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা গণহত্যা ও নিপীড়ন চালাচ্ছিল তখন সরকার ধীরে চলছিল।
জনাব শরণ সিং বলেন শুধুমাত্র একটি সমাধান যা হল পূর্ব বাংলার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে গ্রহণযোগ্য পরিস্থিতি তৈরি করা – এটি করা গেলেই শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর জন্য পরিবেশ তৈরি হবে।
তিনি বলেন ভারতীয় সীমান্ত জুড়ে পাকিস্তান তাদের সৈন্য জড়ো করে পূর্ববাংলায় তাদের কলঙ্কজনক রেকর্ড ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।
জনাব শরণ সিং, যারা বিদেশী নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে ইউ.এন. এর সদস্যপদ আছেন তাদের এই পরিস্থিতিতে অবদান রাখা উচিৎ।
জনাব শরণ সিং বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইউ.এন. এর অর্জন অসাধারণ। কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমি তেমনটি বলতে পারছিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন এখনো অনেক বড় বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য প্রতীক্ষিত। উদাহরণ হিসেবে তিনি অনেক আফ্রিকান দেশে চলমান সংখ্যালঘু সরকার কে ক্রমাগত অস্বীকার করার কথা তুলে আনেন।