You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.10.23 | প্ররোচনার মুখে ভারতের সংযমকে মনে করলে পাকিস্তান মারাত্মক পরিণতির মুখে পড়বে - রাষ্ট্রপতির সতর্কবানি | দৈনিক যুগান্তর - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
৪৯। প্ররোচনার মুখে ভারতের সংযমকে মনে করলে পাকিস্তান মারাত্মক পরিণতির মুখে পড়বে – রাষ্ট্রপতির সতর্কবানি দৈনিক যুগান্তর ২৩ অক্টোবর ১৯৭১

পাকিস্তানকে রাষ্ট্রপতির হুশিয়ারি
নয়াদিল্লী, ২২ অক্টোবর (পি টি আই) – রাষ্ট্রপতি শ্রী ভিভি গিরি আজ পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গুরুতর ও ক্রমবর্ধমান প্ররোচনা সত্ত্বেও ভারত যে সংযম ও ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে তাঁকে যেন দুর্বলতার চিনহ বলে কেউ ভিল না করেন।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ত ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য সম্পূর্ন্রূপে প্রস্তুত।

আজ সকালে ইরাকের রাষ্ট্রদূত মিঃ আবদুল্লা সালেমুস আলসামারায়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে তার পরিচয়পত্র পেশ করছিলেন তখন রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে বলেন যে, পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যদের অত্যাচারের ফলে পুর্ববঙ্গ থেকে ৯৫ লাখের ও বেশী শরনার্থি ভারতে আশ্রয় নেওয়ায় ভারতের সামনে বিরাট সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এই শরনার্থি আগমন বন্ধ করতে হবে। এবং এরা যাতে নিরাপদে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে পারেন তার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন যে, এ ধরণের গুরুত্ততপূর্ন বিষয়ে বন্ধু দেশগুলো নীরব থাকলে শান্তি আসতে পারে না।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সমস্যাটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নয়, এটা হল পুর্ব বঙ্গবাসী এবং পাক জঙ্গিশাহির পরিচালিত নির্বাচনে, জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পদদলিত হওয়ায় এর উদ্ভব। পূর্ব পাকিস্তান থেকে ব্যাপকভাবে শরনার্থি আগমনের কথা উল্লেখ করে ইরাকি রাষ্ট্রদূত বলেন, ইরাক বাংলাদেশের শরনার্থি সমস্যার মানবিক দিক এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থণৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের অসুবিধা সম্পর্কে সম্পূর্ন ওয়াকিবহাল।

তিনি বলেন, উন্নতিশীল দেশগুলোর ঔপনিবেশিক ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি থাবা বিস্তারে উদ্যত। তাদের এই অপপ্রয়াস ব্যার্থ করে দিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধুর প্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হোক, গণতন্ত্রী ইরাক সরকার তা আশা করেন।