৭ আশ্বিন ১৩৭৮ শুক্রবার ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
-গেরিলারা প্রকাশ্য দিবালোকে মতিঝিল এলাকার হাটখোলা শাখা হাবিব ব্যাংক লুট করে। গেরিলারা প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এলাকা থেকে একটি প্রাইভেট কার হাইজ্যাক করে এই অভিযান চালায়। পরে টিকাটুলী এলাকা থেকে এক অয়েল ট্যাংকার হাইজ্যাক করে লুন্ঠিত থাকা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উধাও হয় যায়।
-বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম এ জি ওসমানী এম এন এ বলেছেন, [বাংলাদেশের যুদ্ধ সত্য ও ন্যায়ের যুদ্ধ]।
Col, Osmani, Commander in Chief of the Mukti Bahini said that war in Bangladesh was crusade in defence of justice and truth. (সংবাদপত্র)
-জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২৬ তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিঃ আদম মালিক বাংলাদেশ পরিস্থিতিকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারের অজুহাতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আলোচনার অযোগ্য বলে ঘোষণা করে। (হিন্দুস্তান ষ্ট্যাণ্ডার্ড)
-ঢাকা থেকে পাকসেনারা লঞ্চযোগে নড়িয়া (মাদারীপুর) পৌঁছায় তারপর নৌপথে পালাং বাজারে এসে বাজার জ্বালিয়ে দেয়। রাতে রাজগঞ্জ কুৎঘরে বিশ্রাম গ্রহণ কালে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনারা ওপর হামলা চালায়। সারারাত গুলি বিনিময়ের পর মুক্তিযোদ্ধারা সড়ে পড়ে। উল্লেখ্য, এই ঘটনার পর পাকসেনারা আর এ অঞ্চলে হানা দিতে আসেনি। এটা মুক্তাঞ্চলে হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বেসামরিক প্রশাসন চালু করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা প্রচেষ্ঠা চালায়।
-মুক্তিবাহিনীর নৌ কম্যাণ্ডোদের মাইন হামলায় চালনা বন্দরে মার্কিন জাহাজ ঘায়েল হয়।
-ময়মনসিংহ কাউন্সিল মুসলিম লীগের স্থানীয় নেতা ও প্রাক্তন এমপিএ এডভোকেট নূরুল হুদা গেরিলা হামলা খতম হয়।
-পিডিপির সভাপতি নূরুল আমীন ঢাকায় বলেন, ‘বেআইনী আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেয়া হলে পূর্ব পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমনের যৌক্তিকতাকেই নস্যাৎ করা হবে।’
-৩নং সেক্টরের মুক্তিবাহিনীর সিন্দুরখান-কালেঙ্গা রাস্তায় এ্যাম্বুশ করে পাকাবাহিনীর ৬১ জন সৈনিককে খতম করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েক আব্দুল মান্নান এই অপারেশনে শহীদ হন। এ এ্যাম্বুশের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আজিজ। (১০ খঃ প্রঃ ২৯৩)
-১১ নং সেক্টর কম্যাণ্ডার মেজর আবু তাহেরের বাহিনীর দুই ব্যাটলিয়ন মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতী মাউন্টেন ব্রিগেডের একটি সেকশন অতর্কিতে চিলমারী আক্রমণ করে। চিলমারী পাকসেনারা দুটি কোম্পানী ছিল একটি বেলুচ রেজিমেন্ট অপরটি মিলিশিয়া বাহিনী। ব্যাপক সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয় মুক্তিবাহিনীর ৪জন নিহত এবং বেশ কিছু আহত হয়। পাকিস্তানীদের ১০০ জন নিহত হয়। (১০ খঃ পৃঃ ৬৪২)
Reference:
একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী