কুষ্টিয়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে মুখােমুখী সংঘর্ষ
গত ২২শে সেপ্টেম্বর দুই কোম্পানী পাকফৌজ তেতুলবাড়ীয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যানের বাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দিলে মুক্তিবাহিনী তাদের ঘিরে ফেলেন। মুখােমুখী এক সংঘর্ষে হানাদার বাহিনীর ৩ জন সৈন্য খতম হয় এবং ৫ জন গুরুতররূপে আহত হয়। ভীত সন্ত্রস্ত খান সেনারা মুক্তিবাহিনীর হাতে মার খেয়ে পলায়নকালে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও তাদের পােষাকাদি ফেলেই কেটে পড়ে। উক্ত দিন মুক্তিবাহিনীর দুঃসাহসিক যােদ্ধারা দস্যু সৈন্যদের ওপর আরাে একটি আক্রমণ চালান। ফলে ৩ জন সৈন্য নিহত ও ১৩ জন আহত হয়। কুষ্টিয়া জেলার টংটর কাছে বেলগাছিয়া গ্রামে পাকিস্তানী সৈন্যরা হামলা চালায়। ফলে ১০ জন। নিরীহ নাগরিক নির্মমভাবে নিহত হন। মুক্তিবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং ৫ জন খান সেনাকে খতম করেন। যশাের-খুলনা যশাের-খুলনা খণ্ডের পাজিঘাট, কারামার, পশ্চিমবাগ ও শ্যামপুকুর গ্রামের পাকিস্তানী ঘাঁটির ওপর। মুক্তিযােদ্ধারা প্রচণ্ড আক্রমণ চালান। এই আক্রমণে মুক্তিবাহিনীর বীর যােদ্ধারা হাল্কা মেশিনগান ও ভারী। মর্টার ব্যবহার করেন। ফলে একুশ জন খান সেনা নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর মর্টারে ৩টি বাঙ্কার ধ্বংস হয়।
জয়বাংলা (১) । ১; ২৩
১৫ অক্টোবর ১৯৭১
সূত্র: গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ -খন্ড ০৯