শিরোনাম | সংবাদপত্র | তারিখ |
বাংলাদেশ আন্দোলন কর্মসূচী | বাংলাদেশ ভলিউম ১ : নং ১৪ | ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ |
বাংলাদেশ নিয়ে অনুষ্ঠান সমূহ
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এমআর সিদ্দিকী রবিবার ৫ ডিসেম্বর রাত ১১:৩০ মিনিটে চ্যানেল ২৯ এ একঘন্টা ব্যাপী একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন, এছাড়া ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিরাও অংশ নিবেন।
ওয়াশিংটনের অনেকেই ২৪শে নভেম্বর চ্যানেল ২৬ এ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে প্রথমবারের মত দেখেন, যখন তিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের প্রোপাগান্ডার সমুচিত জবাব দিচ্ছিলেন যেটি আগের রাতে একই অনুষ্ঠানে প্রচারিত হয়েছিল। বাংলাদেশ মিশনের ডেপুটি চীফ এনায়েত করিমকে অনুরোধ করলে সেও অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে পাকিস্তানি শাসক বা আমেরিকান সরকারের যেকোন চুক্তির কথা অস্বীকার করেন।
শেষ আগস্ট মাস থেকে যখন দেশের রাজধানীতে বাংলাদেশ মিশন স্থাপন করা হয়েছিল রাষ্ট্রদূত সিদ্দিকি তখন থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করার জন্য বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে ভ্রমন করছেন। সে বোস্টন, ডেট্রয়েট, লস এঞ্জেলেস, স্যান ফ্রান্সিস্কো, ডেভিস, ডেনভার, আলবেনি এবং বেথেলেমে টিভি এবং পত্রিকায় সাক্ষাৎকারের আয়োজন করেন। এছাড়াও রাষ্ট্রদূত সিদ্দিকি ইউএস এবং কানাডার বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্র এবং শিক্ষকদের সাথেও কথা বলেছেন।
ইউএস এ খৃষ্টানদের চার্চের ন্যাশনাল কাউন্সিল ১০ নভেম্বর বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের অবস্থা নিয়ে একটি আলোচনা সভা আয়োজন করে। বাংলাদেশ মিশনের ডেপুটি চীফদের উদ্দেশ্য করে, এনায়েত করিম বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি বাস্তবতা এবং পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে সহাবস্থান করা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে অসম্ভব।
পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা আলোচনাসভায় পৌঁছলেও বাংলাদেশ মিশনের সদস্যদের দেখার পর অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। আলোচনা সভার আয়োজকদের সারাংশ প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, পশ্চিম পাকিস্তানী কূটনীতিকদের “ইহা পূর্বের ধারনার বিপরীত ছিল যে এই অধিবেশনের আয়োজন সন্তোষজনক”
বাংলাদেশের উপদেষ্টা এসএ এমএস কিবরিয়া, এএমএ মুহিথ এবং এসএআর মতিনুদ্দিন বিভিন্ন আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্র ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা রাখেন। এছাড়াও বাংলাদেশের সংগ্রামের জন্য সমর্থন চাইতে তারা টিভি এবং রেডিওতে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন।