শিরোনাম | সংবাদপত্র | তারিখ |
পাকিস্তান পরিস্থিতি | বাংলাদেশ
ভলিউমঃ ১, নং- ৫ |
১ অক্টোবর ১৯৭১ |
পাকিস্তান দেউলিয়া
বাংলাদেশে চলমান সংকটের প্রথম তিন মাসের (এপ্রিল-জুন) অর্থনৈতিক প্রভাব স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ১৯৭০-৭১ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের জন্য বিশাল খরচের ইঙ্গিত পাওা যায়। স্টেট ব্যাংকের গভর্নর তার মন্তব্যে বলেন “আমরা একটা অকার্যকর, মূলধন প্রবণ, আমদানি নির্ভর, অভ্যন্তরীণ চাহিদাসমূহ পূরণের ব্যাপারে অপ্রয়োজনীয় খাত প্রাধান্য দেওয়ার মাঝে আটকে আছি।” বার্ষিক প্রতিবেদনের লক্ষ্যণীয় দিকগুলো নিম্নরূপঃ
বার্ষিক জাতীয় উৎপাদন
১৯৬৯ সালের ৬৬% থেকে হ্রাস পেয়ে ১৯৭০-৭১ সালে ১৪% হয়েছে। কৃষি উৎপাদন ১৯৬৯-৭০ সালের ৮২% বৃদ্ধির বিপরীতে ৩২% হ্রাস পেয়েছে।
প্রধান ফসলাদির উৎপাদন হ্রাস
গম ৯৩%, ধান ৯১%, পাট ১২৭% হ্রাস পেয়েছে
শিল্পজাত উৎপাদন
আগের বছরের ১১২% এর তুলনায় ২৪% বেড়েছে। সরকারী অর্থ লেনদেনে ঘাটতি গত বছরের ১৩০ মিলিয়ন (১৩ কোটি) মার্কিন ডলারের বিপরীতে হয়েছে ২২৯ মিলিয়ন (২২ কোটি ৯০ লাখ) মার্কিন ডলার।
পারিশ্রমিক ভারসাম্যতা
গত বছরের ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপরীতে সর্বপরি ১১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘাটতি। এই সময়ের ভিতরে জুলাই-সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা সবথেকে খারাপ ছিল।
আপনি কি এরপরেও ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসনকে আর্থিক সাহায্য করবেন?
পশ্চিম পাকিস্তানি কূটনীতিকদের গণ-বদলি
রাস্ট্রদুত, মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স অফিসার এবং তাদের নেপথ্য সাহায্যকারী সহ সকল পশ্চিম পাকিস্তানি কূটনীতিকদের ওয়াশিংটন থেকে রাওয়ালপিন্ডি বদলি করা হয়েছে।
এই গন-বদলির কারণ হল ১৮ বাংলাদেশি কূটনীতিক ও কর্মকর্তার বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য স্বীকারের বিষয়ে আগেই ইসলামাবাদে রিপোর্ট করতে না পারা।
পশ্চিম পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত যার ৩১ অক্টোবর অবসর গ্রহন করার কথা তাকে ডেকে পাঠান হয়েছে। ওয়াশিংটনে পশ্চিম পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল যিনি আগে পিকিংএ পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন নিয়োগ দেয়া হয়েছে।