শিরোনাম | সংবাদপত্র | তারিখ |
পাকিস্তান পরিস্থিতি | বাংলাদেশ
ভলিউম-১, নং-৬ |
৮ অক্টোবর, ১৯৭১ |
বিশ্বব্যাংকের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের অযাচিত উপদেশ
পশ্চিম পাকিস্তান ১১৪ জাতীয় বিশ্বব্যাংককে একতরফা ঋণ প্রদানকে বৈধতা না দেয়ায় অভিযুক্ত করেছে। মনে করিয়ে দেয়া হয়, পাকিস্তান এর আগে পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে সকল ঋণ ছয় মাসের জন্য একতরফাভাবে স্থগিত রেখেছিল। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ব্যাংকের বার্ষিক ব্যাংক তহবিল সম্মেলনে উপস্থিত পশ্চিম পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের প্রধান এস ইউ দুররানি ২৯ সেপ্টেম্বর বলেন, “একটা অবস্থায় পৌছেছি যেখানে বেশ কিছু বড় উন্নয়নশীল দেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে না। এটা অবশ্যই একটি অসমর্থনীয় অবস্থা এবং নির্দিষ্ট শর্তাধীন ঋণের ঘাত-শোষণ পরিকল্পনার ক্ষেত্রে ব্যাংক কতটুকু নমনীয়তা দেখাতে পারে সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠছেই। ”
গত জুনে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত পাকিস্তানের অবস্থা সম্পর্কিত ব্যাংক প্রতিবেদনের দিকে জনাব দুররানি কর্কশভাবেই তীর্যক ইঙ্গিত করেন। এর মানে হতে পারে যে ইহার কঠোর অর্থনৈতিক ভিত্তি ও রাজনৈতিক প্রভাব ও ক্রিয়াকলাপের মধ্যে দন্দ্ব রয়েছে। তিনি আঁচ করেন যে সম্ভবত প্রয়োজনটা এমন একজন কর্মচারীর বৃহত্তর ও সংবেদনশীল রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ ফলাফলের জন্য যিনি শুধু তার নির্দিষ্ট কর্মক্ষেত্রেই দক্ষ, কিন্তু তার বস্তুনিষ্ঠতার জন্য প্রযোজকদের মধ্যেই দরকার একজন যিনি হবেন শক্তখুটির মত এবং প্রতিষ্ঠানের নিজের মধ্যেই ব্যাবস্থা থাকতে হবে। গত জুনের মিশন রিপোর্টে বাংলাদেশে চলমান সন্ত্রাস ও ধ্বংসের বিষয়ে মন্তব্য করে যা উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে সুদূর ভবিষ্যৎ পর্যন্ত অসম্ভব করে ফেলেছে।
ব্যাংকের বার্ষিক ব্যাংক তহবিল সম্মেলন শেষ হবার পরেই পশ্চিম পাকিস্তান ১৯৭১-৭২ অর্থ বছরের জন্য ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করতে থাকে। অবাক করা বিষয় হল এই সময়ে প্রতিনিধিদলের প্রধান ছিলেন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত হিলালি।
পশ্চিম পাকিস্তানের এবছর ৩১০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দায় রয়েছে এর মধ্যে গতবছরের বিলম্বিত আদায় ৮৮ মিলিয়ন ডলারও অন্তর্ভুক্ত। পূর্ব ইউরোপিয়ান দেশগুলো পাবে ৪০ মিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাংক পাবে ৫১ মিলিয়ন ডলার।