You dont have javascript enabled! Please enable it!

শিরোনামঃ পশ্চিম পাকিস্তানে যুদ্ধের ডাক
সংবাদপত্রঃ বাংলাদেশ, টরেন্টোঃ নং ২
তারিখঃ ৩১ জুলাই, ১৯৭১

পশ্চিম পাকিস্তানে যুদ্ধের ডাক
“আমাদের সাথে ইন্ডিয়ার যুদ্ধ খুবই সন্নিকটে”, গতকাল প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার চরম সাবধানবানীর পর পরই প্রথম বারের মতো পাকিস্তান সেনাবাহিনী নতুন সৈন্য যোগদান কর্মসূচী শুরু করে, লিখেছেন অ্যান্থনি মাস্কারেনহাস। এবং এই পূর্ব প্রদেশের যুদ্ধ ইতিমধ্যে পশ্চিমের অর্থনীতিতে থাবা দেয়া শুরু করে দিয়েছে। করাচী সংবাদপত্রের সূত্রে জানা যায় শুধু মাত্র করাচীতেই ২,৩০০ টেক্সটাইল শ্রমিক ও ১,০০০ সরকারি কর্মীকে চাকরীচ্যুত করা হয়। ৭৫টি টেক্সটাইল কারখানা ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। লায়ালপুরে শ্রমিকরা পথে নামে এই গণ চাকরিচ্যুতির বিরুদ্ধে।

সম্পূর্ণ পশ্চিম পাকিস্তানের শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয় সংরক্ষিত পূর্ব পাকিস্তানের এই বাজার ধ্বসে। পূর্বের সহজ কাঁচামালের সরবরাহ হারিয়ে ফেলায় নগদে কিনতে বাধ্য হয় বিভিন্ন রাসায়নিক কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি। কিছু জাপানি কোম্পানি সরাসরি ঋণ দিতে অস্বীকার করে বৃটিশ ব্যাংকের নিশ্চয়তা ছাড়া। অন্যদিকে বৃটিশ রপ্তানি বোর্ড পাকিস্তানের সাথে নতুন চুক্তি করতে নারাজ হওয়ায় বৃটিশ রপ্তানিকারকরা পিছিয়ে যায়।

নিউজউইক এর লরেন জেনকিন্স এর রিপোর্টে জানা যায়- একজন করাচী সম্পাদক বলেন “পাকিস্তানের মৃত্যু হয় মার্চেই। শুধুমাত্র একভাবেই এই দুই প্রদেশকে একসাথে ধরে রাখা যাবে, বেয়নেট আর মশাল দিয়ে। কিন্তু এটা একতা নয়, দাসত্ব। আর কখনোই একটি জাতি আমরা পাবোনা, পাবো দুটি শত্রু।”

শ্রমিক অসন্তোষ বেড়েই চলে আর তার সাথে পিপিপি (পাকিস্তান পিপলস পার্টি) চিফ জেড এ ভুট্ট খুব দ্রুত সমর্থন হারাতে শুরু করে। সম্প্রতি তিনি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন, কিন্তু ইয়াহিয়া খান কোনভাবেই শাসন ব্যবস্থা অসামরিক সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে রাজি ছিলেননা।

[বাংলাদেশঃ বাংলাদেশ সমিতি কানাডা শাখা কর্তৃক প্রকাশিত।]

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!