শিরোনামঃ ইকনমিক কাউন্সিলর এর পদত্যাগ বি,ডি,এল, সভাপতির সফর
সংবাদপত্রঃ বাংলাদেশ নিউজ লেটার শিকাগোঃ নং ৬
তারিখঃ ৫ আগস্ট, ১৯৭১
পাকিস্তান দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সিলর পদত্যাগ করেছেন
ওয়াশিংটনে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সিলর এবং পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের একজন সিনিয়র অফিসার জনাব এএমএ মুহিত আনুষ্ঠানিকভাবে তার পদ থেকে সরে দাড়িয়েছেন এবং পাকিস্তান সরকারের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। ২১ জুলাই পদত্যাগের কারণ হিসেবে পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট কে দেওয়া এক চিঠিতে জনাব মুহিত ইয়াহিয়ার শাসন ব্যবস্থার সমগ্র অভিযোগ তুলে ধরেন। চিঠিতে জনাব মুহিত ইয়াহিয়া সরকারের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন, তিনি ইয়াহিয়ার উপনিবেশিক শাসন, হিংস্রতা, মানবাধিকারহীনতাকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করেন।
এটা স্মরণীয় যে জনাব মুহিতকে পাকিস্তান সরকারের প্রশংসনীয় কাজের জন্য “তমঘা” পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল। সর্বশেষ স্বরাষ্ট্রে তিনি পাকিস্তান জাতীয় সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব ছিলেন।
জনাব মুহিতের এই সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য আমরা তাকে অভিনন্দন জানাই।
দল প্রেসিডেন্ট সানফ্রানসিসকো এবং হাটসন সফর করেছেন।
ওয়েস্ট কোস্টের বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের সাথে দেখা করার জন্য ১৮ই জুলাই বি ডি এল এর সভাপতি সানফ্রানসিসকো গিয়েছিলেন।সেই সমারোহে সমদ্র অঞ্চলের এবং লস এঞ্জেলসের প্রতিনিধিদের সাথে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।সেই সভায় সমুদ্র অঞ্চলের একজন সদস্যের নাম করা হয় বিডি এলের পরিচালনা পরিষদের কাছে।আগামী সাধারণ সভায় লস এঞ্জেলস দলও পরিচালনা পরিষদে একজন সদস্যকে নির্বাচন করবে।বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা পরিষদের
দক্ষিণ পশ্চিম কোঠার প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করার জন্য বি ডি এল সভাপতি ২১ শে জুলাই টেক্সাসের হোস্টন পরিদর্শন করেন।সকল বিষয়াদির উপর বিবেচনা করে দলটি বিক্ষিপ্ত পরিশ্রমকে একত্রিত করার জন্য উত্তর আমেরিকার ৩ টি সংবাদ পরিক্রমাকে এক করা এবং সেগুলার একটি মাত্র কেন্দ্রীয় সংবাদ পরিক্রমা রাখার পরামর্শ দেন।
(আমরা ধারণাটিকে স্বাগত জানাই।আমরা অন্য দুটো দল যারা এই ব্যাপারে চিন্তিত তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করব।
সম্পাদক:বাংলাদেশ সংবাদ পরিক্রমা)