You dont have javascript enabled! Please enable it!

সংবাদপত্রঃ জন্মভূমি ১ম বর্ষঃ ১৬শ সংখ্যা
তারিখঃ ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১

ভারতের তুলনায়
জঙ্গীশাহীর সামরিক শক্তি কতটুকু

ভারতের বিরুদ্ধে ইয়াহিয়া খাঁ যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান সরকার যুদ্ধ করে মজা বুঝেছিল। শুধুমাত্র ক্ষেমকারণ ও শিয়ালকোটের অদূরেই অল্পসংখ্যক ট্যাঙ্ক নিয়েই ভারত পাকিস্তান ট্যাঙ্কের গোরস্থান করেছিল।

আবার পাকিস্তান সামরিক জান্তারা নতুন ফন্দি করে বাংলাদেশ সমস্যাকে বিনষ্ট করার জন্য পাক-ভারত যুদ্ধ চালিয়েছে। যতই ফন্দি আটকাও না কেন কুখ্যাত ইয়াহিয়া, জননী বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা আজকে তোমার সমস্ত ফন্দিই চূর্ণবিচূর্ণ করে দিবে। ভারতের সাথে কিসের জোরে আজকে পাকিস্তান সামরিক গোষ্ঠীরা যুদ্ধ ঘোষণা করছে। ভারতের তুলনায় না আছে তার লোকবল, সৈন্যবল বা অস্ত্রবল, এইতো সম্প্রতি বয়ড়ার কাছে আকাশ যুদ্ধে ভারতীয় জেট দ্বারা তিনটি পাকিস্তানী বোমারু বিমান ও স্থলপথে ১৭টি পাকিস্তানী ট্যাঙ্ক ভারতের মাতৃভূমি প্রিয় সৈন্যরা ঘায়েল করেছে।

পাকিস্তান ভারত
মোট সৈন্যবল ৩ লক্ষ ৫০ হাজার মোট সৈন্যবল ৮লক্ষ ২৮ হাজার
সাঁজোয়া ডিভিশন ২টি সাঁজোয়া ডিভিশন ১টি
স্বয়ংসম্পূর্ণ সাঁজোয়া ব্রিগেড ১টি মাউন্টেন ডিভিশন ১০টি
পদাতিক ডিভিশন ১২টি পদাতিক ডিভিশন ১৩ টি
এয়ারফোর্স ব্রিগেড ১টি ছত্রী ব্রিগেড ২টি

স্বয়ংসম্পূর্ণ সাঁজোয়া এবং পদাতিক ব্রিগেড

ট্যাঙ্ক ট্যাঙ্ক
প্যাটন এম-৪৭-৪৮ [৪০০] বৈজয়ন্ত [৩০০]
টি-৫৯(চীনা) [২০০] টি ৫৪, টি ৫৫ [৪৫০]
টি ৫৪-৫৫ (সোভিয়েত) [২৫০] সেঞ্চুরিয়ান, এম এক্স-১৩ পিটি [৭৬]
এম ২৪ শোফে- [২০০] প্রভৃতি
এম ৪১ [৭৫] ১৯৬৫ সালের চেয়ে ভারতীয় ট্যাঙ্কবহর এখন বেশী শক্তিশালী। অনেকের ধারণা বৈজযন্ত্রের মারণ ক্ষমতা প্যাটনকে ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম। এটা ভারতেরই তৈরী।
পিটি-৭৬ [৩০]  
এইচ ১৩ হেলিকপ্টার [২০]  
হালকা হেলিকপ্টার [৪০]  
লোকবল ১৫ হাজার লোকবল ৯০ হাজার

 

বিমান বহর

জঙ্গী বিমান [১৭০] জঙ্গি বিমান মোট [৬২৫]
ক্যানবেরা বি১ বোমারু [১১] ক্যানবেরা বোমারু [৫০]
বি ৫৭ ক্যানবেরা ২ স্কোয়াড্রন ক্যানবেরা পি আর ৫৭ [৮]
আর টি ৩৩ এ, আর বি ৫৭ মিরাজ [১০] মিগ ২১ [১২০]
মিগ ১৯ ৫ স্কোয়াড্রন ন্যাট [১৫০]
এফ ১০৪এ ১ স্কোয়াড্রন মারু ৩ [২৫]
এফ ৮৬ জঙ্গী বোমারু ৭ স্কোয়াড্রন মিসটের [৬০]
মিরাজ ৩ই ১ স্কোয়াড্রন লকহিড এল ১০৪৯ সুপার কন্সতোলেশন [৮]
পরিবহন বিমান [১৬] ভ্যাম্পায়ার [৫০]
হেলিকপ্টার [২০] হেলিকপ্টার [২২১]
টি ৬, টি ৩৩,টি ৩৭ বি এবং মিরাজ ৩ডি [৮০] এস ইউ-বি জঙ্গী বোমারু [১৪০]

 

নৌবহর

নৌসেনা ৯ হাজার ৫শ ৪০ হাজার
ক্রাইজার ১টি বিমানবাহী জাহাজ ১টি
ডেস্ট্রিয়ার ১টি সাবমেরিন ৪টি
ডেস্ট্রয়ার এস্কর্ট ৩টি ক্রাইজার ২টি
ফ্রিগেট ২টি ডেস্ট্রিয়ার এবং ডেস্ট্রয়ার এস্কর্ট ১১টি
মাইন সুইপার ৮টি ফ্রিগেট ৮টি
পেট্রোল বোট ৬টি মাইন সুইপার ১১টি
সাবমেরিন ৪টি ল্যান্ডিং সীপ ৮টি
  ল্যান্ডিং ক্রাফট-৩ ৪টি
  পেট্রোল ক্রাফট-১০ ১টি

 

পরিসংখ্যান গুলো ষোল আনা সত্য বললে ভুল করা হবে। এর বাইরে অনেক কিছু থাকতে পারে। সেগুলো অবশ্যই গোপনীয়। তাছাড়া চীন থেকে পাকিস্তান কি পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র পেয়েছে তা সঠিকভাবে জানাবার উপায় নেই। চোরাগোপ্তাভাবে অন্যান্য দেশ থেকে ইয়াহিয়া খান কি সংগ্রহ করেছেন তাও অজ্ঞাত। ১৯৬৫ সালে পাক- ভারত লড়াই এর আগে পাক অস্ত্রাগারে মজুত ট্যাঙ্কের হিসাব ছিল ভুল। বাইরে প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে তা ছিল অনেক বেশী।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!