শিরোনামঃ জাতীয় পরিষদের উপনির্বাচনের তথ্যাবলী
সূত্রঃ দৈনিক পাকিস্তান
তারিখঃ ২৩ অক্টোবর, ১৯৭১
.
মনোনয়নপত্র বাছাই সমাপ্ত
১৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
এম এন এ নির্বাচিত
পনেরো জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর নির্বাচন কমিশনসূত্রে একথা জানানো হয়েছে বলে এপিপির খবরে প্রকাশ।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে ৫ জন পিডিপির, ৫ জন জামাতে ইসলামীর, ২ জন কনভেনশন মুসলিম লীগের, ২ জন নেজামে ইসলামের ও ১ জন কাইয়ুম লীগের।
নির্বাচিত সদস্যরা হইতেছেনঃ-
পিডিপি
সৈয়দ আজিজুল হক ( এন ই ৫৮, বাখরাগঞ্জ ১)
সৈয়দ মুসলেহ উদ্দীন ( এন ই ৬২, ময়মনসিংহ ১৭)
জনাব দলিলুর রহমান ( এন ই ১৪৩, কুমিল্লা ২)
জনাব মোহাম্মদ নুরুল্লাহ ( এন এ ১৫৩, চট্টগ্রাম ১)
জনাব ফজলুল হক ( এন ই ১২২, সিলেট ৩)
জামাতে ইসলামী
জনাব সাদ আহমদ ( এন ই ৪০, কুষ্টিয়া ২)
জনাব আবদুল মতিন ( এন ই ৪১, কুষ্টিয়া ৩)
অধ্যাপক ইউসুফ আলী ( এন ই ১০৮, ঢাকা ৫)
জনাব মতিউর রহমান শাহ ( এন ই ৬৩, বাখরাগঞ্জ ৬)
জনাব জবান উদ্দীন আহমদ ( এন ই ১১, রংপুর)
কনভেনশন মুসলীম লীগ
জনাব মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ ( এন ই ১১৩, ঢাকা ১০)
জনাব এম, এ, মতিন ( এন ই ২৬, পাবনা ৩)
নেজামে ইসলাম
জনাব আশরাফ আলী ( এন ই ১৩১, কুমিল্লা ১)
জনাব আবদুল হক ( এন এ ১৪৪, কুমিল্লা ১৪)
কাইয়ুম মুসলীম লীগ
জনাব মুজিবর রহমান ( এন ই ৯১, ময়মনসিংহ ১৬)
একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ইনি হচ্ছেন জনাব মাসুদুর রহমান ( এই ই ৪৭, যশোর ৫)। ফলে জাতীয় পরিষদের ৭৭ টি আসনের উপনির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা এখন ২০১ জনে দাঁড়িয়েছে। একটি নির্বাচনী এলাকার খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ হচ্ছে ২৮শে অক্টোবর।
উপনির্বাচন প্রার্থীদের তালিকা
জাতীয় পরিষদ
এন ই ৮৮, ময়মনসিংহ ১৩ মাওলানা মোঃ মনজুরুল হক ও এ কে ফজলুল হক।
এন ই ৪৩, যশোর ১ এম এ রশিদ, পিডিপি ও শেখ শরফ উদ্দীন আহমদ, কনভেনশন।
এন ই ৪৪, যশোর ২ সৈয়দ শামসুর রহমান, কাউন্সিল ও আহমদ রফিউদ্দিন, স্বতন্ত্র।
এন ই ৪৯, যশোর ৭ মৌলভী সোলেমান মোল্লা, জামাত ও আমীর হোসেন, স্বতন্ত্র।
এন ই ৫৮, বাখরগঞ্জ ১ সৈয়দ আজিজুল হক, পিডিপি।
এন ই ৬২, বাখরগঞ্জ ৫ মৌলভী আবদুর রব, মোঃ ইসমাইল খান, আবদুস সোবহান মৃধা, কাইয়ুম ও মোঃ আবদুল আজিজ।
এন ই ৬০, বাখরগঞ্জ ৩ ব্যারিস্টার আখতার উদ্দীন, কনভেনশন, এম শমশের আলী, শামসুদ্দীন আহমদ, আবদুর রব ও আবুল হোসেন।
এন ই ৬৩, বাখরগঞ্জ ৬ মহিউর রহমান শাহ, জামাত।
এন ই ২, রংপুর ২ আবুল বাশার, কাউন্সিল, সৈয়দ আলী, কাইয়ুম আলহাজ গরির উদ্দীন আহমদ, কনভেনশন, সৈয়দ কামাল হোসেন রিজভী, পিপিপি।
এন ই ১৭, দিনাজপুর ৫ কামরুজ্জামান, মোঃ আবুল কাশেম, আবদুল ওয়াদুদ, স্বতন্ত্র, মোঃ সোহেল, পিপিপি।
এন ই ২৮, পাবনা ৫ মুন্সী আবদুল মজিদ, স্বতন্ত্র; রিয়াজ উদ্দীন মিয়া, স্বতন্ত্র; সৈয়দ আসগর হোসেন জায়েদী, কাইয়ুম।
এন ই ২৯, পাবনা ৬ আবদুস সোবাহান, জামাত, মোঃ মোতালেব আলী, স্বতন্ত্র
এন ই ১৪, নোয়াখালী ২ আবদুল জব্বার খন্দকার, পিডিপি, খাজা আহমদ, মোসলেহ উদ্দীন আহমদ, শামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, কনভেনশন।
এন ই ১৪৭, নোয়াখালী ৩ সাইদুল হক এডভোকেট, কনভেনশন, মাওলানা মকবুল আহমদ, নেজাম, মোঃ গোলাম মোস্তফা।
এই ই ১৫০, নোয়াখালী ৬ মোঃ হারিস মিয়া, কনভেনশন, মোঃ সফিকুল্লাহ, জামাত।
এন ই ১৫১, নোয়াখালী ৭ আবদুর ওয়াহাব উকিল, পিডিপি, আবু সুফিয়ান, স্বতন্ত্র।
এন ই ১২০, সিলেট ১ নাসির উদ্দিন, পিডিপি, আবদুল বারী, কনভেনশন।
এন ই ১২১, সিলেট ২ সৈয়দ কামরুল আহসান, নেজাম, আবদুর রহমান, জামাত।
এন ই ১২২, সিলেট ৩ ফজলুল হক, পিডিপি।
এন ই ১২৩, সিলেট ৪ সৈয়দ আবুল খায়ের, স্বতন্ত্র, মাহিবুর রহমান, কনভেনশন, মোঃ আবদুস সাত্তার, জামাত, মোঃ মইনুল ইসলাম, জামাত, হাজি হাবিবুর রহমান চৌধুরী, কনভেনশন।
এন ই ১২৯, সিলেট ১০ গোলাম জিলানী চৌধুরী, পিডিপি, মেসবাউদ্দোহা আহমদ, কনভেনশন, আবদুস সাত্তার পীর, জামাত।
এন ই ১৩৫, কুমিল্লা ৫ মোঃ সাজেদুল হক, মোঃ বজলুর রহমান চৌধুরী, আবদুল মান্নান, আবদুল মজিদ।
এন ই ১৩৬, কুমিল্লা ৬ মোঃ ইব্রাহীম মজুমদার, হাশমত উল্লাহ, হাজী মজহারুল হক চৌধুরী, আলী আসগর।
এন ই কুমিল্লা ৮ তমিজ উদ্দিন পিডিপি, আব্দুর রব।
এন ই ১১, রংপুর ১১ জবান উদ্দীন আহমদ, জামাত।
এন ই ৭১, টাঙ্গাইল ২ মৌলভী ওয়াজেদ আলী খান পন্নী, স্বতন্ত্র ও গোলাম আজম, জামাত।
এন ই ৭৩, টাঙ্গাইল ৩ এম এ মান্নান, কনভেনশন, মাওলানা আবদুস সামাদ দেওয়ান, জামাত, মাওলানা আবদুল হাই হানাফী (লাহোরী), নেজাম।
এন ই ৭৫, টাঙ্গাইল ৪ অধ্যাপক এ খালেক, জামাত, ডাঃ শওকত আলী ভুঁইয়া, কনভেনশন, হাকিম হাবিবুর রহমান, কনভেনশন।
.
দৈনিক পাকিস্তান, ২৪ অক্টোবর (১৯৭১)
আরও ৩ জন প্রার্থী বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
আরও ৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীর সংখ্যা ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল শনিবার নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ কথা জানানো হয়েছে বলে এপিপির খবরে প্রকাশ।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থী ৩ জন হচ্ছেনঃ কাউন্সিল মুসলিম লীগের জনাব আসমত আলী ( এন এ ৪২, কুষ্টিয়া ৪), নেজামে ইসলামের সৈয়দ কামরুল আহসান ( এন ই ১২১, সিলেট ২) ও জনাব সাজেদুল হক, (এন ই ১৩৫, কুমিল্লা ৫)।
২০১ জন প্রার্থী এখন জাতীয় পরিষদের ৭৮টি নির্বাচনী এলাকার উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বাছাইয়ের পর কুষ্টিয়া, যশোর, সিলেট ও কুমিল্লা জেলার ৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
কিন্তু এগুলো চুড়ান্ত নয়। কারণ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এগুলোর বিরুদ্ধে আবেদন রয়েছে। নির্বাচন কমিশনসূত্রে জানানো হয় যে, ফরিদপুর জেলার এন ই ৯৯ নির্বাচনী এলাকার উপনির্বাচনে প্রতিদ্ধন্দিতা করার জন্য ৭ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। বাছাইয়ের পর যাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে তারা হচ্ছেনঃ
কাউন্সিল লীগের মিয়া মনসুর আলী (এন ই ৪২), জামাতের মাওলানা হাবিবুর রহমান, কনভেনশন লীগের জনাব আকবর আলী মোল্লা (এন ই ৪৭), স্বতন্ত্র প্রার্থী জনাব মাসুদুর রহমান (এন ই ১২১), জনাব আবদুর রহমান (এন ই ১৩৫), জনাব বজলুর রহমান, জনাব আবদুল মান্নান ও জনাব আবদুল মজিদ।
দৈনিক পাকিস্তান, ২৪ অক্টোবর (১৯৭১)
আর ১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্ধন্দিতায় এম এন এ নির্বাচিত
আর ১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্ধন্দিতায় জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে বিনা প্রতিদ্ধন্দিতায় নির্বাচিত প্রার্থীর সংখ্যা ১৯ জনে উন্নীত হয়েছে। পিপিআই এর খবরে প্রকাশ, গতকাল রবিবার জাতীয় পরিষদের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই সম্পর্কে প্রাপ্ত আরো বিস্তারিত খবরে জানা গেছে যে, এন ই ৪৫, যশোর ৩ নির্বাচনী এলাকা থেকে কনভেনশন মুসলিম লীগের প্রার্থী জনা আবদুল ওয়াহাব বিনা প্রতিদ্ধন্দিতায় এম এন এ নির্বাচিত হয়েছেন।
তারা দুজন প্রতিদ্ধন্ধী কাউন্সিল মুসলিম লীগের সৈয়দ শামসুর রহমান ও কনভেনশন মুসলিম লীগের জনাব রফিউদ্দিন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এর ফলে বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের দলওয়ারী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নিম্নরুপঃ
পিডিপি-৫
জামাত-৫
কনভেনশন-৩
নেজাম-৩
কাইয়ুম মুঃ লীগ-১
কাউন্সিল লীগ-১
এন ই ১৩৫ নির্বাচনী এলাকা থেকে বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত জনাব সাজেদুল হক কোন দলভুক্ত তা জানা যায়নি।
দৈনিক পাকিস্তান, ২৯ অক্টোবর (১৯৭১)
৩১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত
পূর্ব পাকিস্তানের জাতীর পরিষদের উপনির্বাচনে ৩১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে যে, নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিবসে গতকাল প্রদেশের ৭৮টি উপ-নির্বাচনী আসনের মধ্যে ৩৩ টির সংবাদ কমিশনের নিকট এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ৩১ আসনের প্রার্থীগণ বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বাকী দুটি আসনের মধ্যে এন ই ৪৯ যশোর ৭ নির্বাচনী আসনে জামাতের প্রার্থী জনাব সোলেমান আলী মোল্লার সাথে পিপলস পার্টির জনাব আমীর হোসেনের প্রতিদ্ধন্ধিতা হচ্ছে এবং এন ই ৪৭ যশোর ৫ নির্বাচনী আসনে পিডিপির জনাব মোশারফ হোসেনের সাথে পিপলস পার্টির জনাব ওয়াহিদ আলী আনসারী প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন।
বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন কাইয়ুম লীগের সাধারণ সম্পাদক খান আবদুস সবুর, পূর্ব পাকিস্তান জামাতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, পূর্ব পাকিস্তান কাউন্সিল মুসলিম লীগের সভাপতি খাজা খয়ের উদ্দিন, পূর্ব পাকিস্তান পিডিপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আজিজুল হক এবং প্রাদেশিক রাজস্বমন্ত্রী ও জামাত প্রার্থী মওলানা এ কে এম ইউসুফ। বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত ৩১ জনের মধ্যে পাকিস্তান পিপলস পার্টির হচ্ছেন ৩ জন, পিডিপির ৭ জন, কাইয়ুম লীগের ৪ জন, জামাতে ইসলামীর ৮ জন, কনভেনশন মুসলিম লীগের ২ জন, কাউন্সিল মুসলিম লীগের ২ জন ও নেজামে ইসলামের ৫ জন।
তালিকা
১। এন ই-১১ রংপুর
জবান উদ্দিন আহমদ (জে আই)
২। এন ই-২৬ পাবনা
এম এ মতিন (কনভেনশন লীগ)
৩। এন ই-৪০ কুষ্টিয়া
সাদ আহমেদ (জে আই)
৪। এন ই-৪১ কুষ্টিয়া
মোঃ এ মতিন (জে আই)
৫। এন ই-৪২ কুষ্টিয়া
আজমত আলী (সি এম এল)
৬। এন ই-৫৮ বাকেরগঞ্জ
সৈয়দ আজিজুল হক (পিডিপি)
৭। এন ই-৬৩ বাকেরগঞ্জ
শাহ মতিউর রহমান (এন আই)
৮। এন ই-৯১ ময়মনসিংহ
মজিবুর রহমান (কিউ এম এল)
৯। এন ই-৯২ ময়মনসিংহ
মওলানা মোসলেহ উদ্দীন (পিডিপি)
১০। এন ই-১০৮ ঢাকা
অধ্যাপক ইউসুফ আলী (জে আই)
১১। এন ই-১১৩ ঢাকা
মোঃ শহিদুল্লা এস কিউ এ (কনভেনশন লীগ)
১২। এন ই-১২২ সিলেট
ফজলুল হক (পিডিপি)
১৩। এন ই-১২১ সিলেট
সৈয়দ কামরুল আহসান (এন আই)
১৪। এন ই-১৩১ কুমিল্লা
এম আশরাফ আলী (এন আই)
১৫। এন ই-১৪৩ কুমিল্লা
দলিলুর রহমান (পিডিপি)
১৬। এন ই-১৪৪ কুমিল্লা
মৌলভী আবদুল হক (এন আই)
১৭। এন ই-১৫৩ চট্টগ্রাম
মোঃ নুরুল্লা (পিডিপি)
১৮। এন ই-৭১ টাঙ্গাইল
গোলাম আজম (জে আই)
১৯। এন ই-৫৩ খুলনা
আবদুস সবুর খান (কিউ এম এল)
২০। এন ই-৫১ খুলনা
মওলানা এ কে এম ইউসুফ (জে আই)
২১। এন ই-৯৯ ফরিদপুর
আলীমুজ্জামান চৌধুরী (পিডিপি)
২২। এন ই-৪৫ যশোর
আবদুল ওয়াহাব (পিপিপি)
২৩। এন ই-৪৬ যশোর
খাজা মোঃ শাহ (এন আই)
২৪। এন ই-১০৭ ঢাকা
আকরাম হোসেন খান (পিপিপি)
২৫। এন ই-২ রংপুর
সৈয়দ কামাল হোসেন রিজভী (পিপিপি)
২৬। এন ই-১০ রংপুর
সাইদুর রহমান (কিউ এম এল)
২৭। এন ই-১৪ দিনাজপুর
মওলানা তমিজউদ্দীন (জে আই)
২৮। এন ই-৩৯ কুষ্টিয়া
আফিল উদ্দীন (কিউ এম এল)
২৯। এন ই-১১৭ ঢাকা
এস কে খয়ের উদ্দিন (সি এম এল)
৩০। এন ই-২০ বগুড়া
মোশহুল ইসলাম ( পিডিপি )
৩১। এন ই-১৯ বগুড়া
জনাব আব্বাস আলী খান ( জে আই )
.
.
দৈনিক পাকিস্তান, ৩০ অক্টোবর ১৯৭১
মোট সংখ্যা ৫০-এ দাঁড়াল
জাতীয় পরিষদে আরো ১৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
(স্টাফ রিপোর্টার)
গতকাল শুক্রবার পূর্ব পাকিস্তানের উপ-নির্বাচনে আরো ১৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বলে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ তাদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করায় এইসব প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
ফলে এ যাবৎ জাতীয় পরিষদের উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সদস্যদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০টিতে। গতকাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ১৯ জন সদস্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন পিডিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব মাহমুদ আলী, কাউন্সিল মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি জনাব সফিকুল ইসলাম ও পিডিপির জনাব আব্দুল জব্বার খন্দকার। ফলে পিডিপি, জামাতে ইসলামী ও কনভেনশন মুসলিম আরো ৪ টি করে আসন লাভ করেছেন এবং পিপলস পার্টি ও কাউন্সিল মুসলিম লীগ প্রত্যেকে আরো ৩টি করে আসন পেয়েছে।
দলওয়ারী নির্বাচিত সদস্যদের সংখ্যা হচ্ছেঃ
জামাতে ইসলামী -১২
পিডিপি -১১
পিপলস পার্টি -৬
কনভেনশন মুসলিম লীগ -৬
নেজামে ইসলাম -৬
কাউন্সিল মুসলিম লীগ -৫
কাইয়ুম মুসলিম লীগ -৪
নির্বাচন কমিশন গতকাল যে ১৯ জন প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন নিম্নে তাদের নাম দেয়া হলোঃ
১। এন ই-১৭ দিনাজপুর ৫
জনাব কামরুজ্জামান
পিডিপি।
২। এন ই-৭৮ ময়মনসিংহ-৩
জনাব মোঃ এস এম ইউসুফ
জামাত।
৩।
এন ই-৮৮ ময়মনসিংহ – ১০
মওলানা মনজুরুল হোক
নেজামে।
৪। এন ই-১৪৬ নোয়াখালী ২
জনাব আবদুল জব্বার খন্দকার
নেজাম।
৫। এন ই-১৪৭ নোয়াখালী ৩
জনাব সাইদুল হক এডভোকেট
কাউন্সিল লীগ।
৬। এন ই-১৫০ নোয়াখালী ৬
জনাব সফিউল্লাহ
জামাত।
৭। এন ই-১৫১ নোয়াখালী ৭
জনাব আবু সুফিয়ান
কনভেনশন লীগ।
৮। এন ই-৭৩ টাঙ্গাইল ৩
জনাব আব্দুল মান্নান
কনভেনশন লীগ।
৯। এন ই-৭৫ টাঙ্গাইল ৫
অধ্যাপক এ খালেক
জামাত
১০। এন ই-৯ রংপুর ৯
জনাব রইসউদ্দীন আহম্মদ
পিপিপি।
১১। এন ই-১২৭, সিলেট ৮
জনাব মাহমুদ আলী
পিডিপি।
১২। এন ই-১৩২, কুমিল্লা ২
জনাব এ কিউ এম শফিকুল ইসলাম
কাউন্সিল লীগ।
১৩। এন ই-১৫, দিনাজপুর ৩
জনাব আব্দুল্লাহ আল কাফি
জামাত।
১৪। এন ই-১২০, সিলেট ১
জনাব নাসির উদ্দিন
পিডিপি।
১৫। এন ই-১২৩, সিলেট ৪
হাজী হাবিবুর রহমান চৌধুরী
কনভেনশন লীগ।
১৬। এন ই-৪৩, যশোর ১
জনাব এম রশীদ
পিডিপি।
১৭। এন ই-৪৪, যশোর ২
সৈয়দ শামসুর রহমান
কাউন্সিল লীগ।
১৮। এন ই-৬০, বাকেরগঞ্জ ৩
জনাব শামস উদ্দীন আহমদ
পিডিপি।
১৯। এন ই-৬২, বাকেরগঞ্জ ৫
মাওলানা আবদুর রব
কনভেনশন লীগ।
দৈনিক পাকিস্তান, ৩১ অক্টোবর (১৯৭১)
এ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫২ জন নির্বাচিত
জাতীয় পরিষদের উপনির্বাচনে আরো দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে গতকাল শনিবার নির্বাচনী কমিশনের এক ঘোষণায় জানানো হয়। এর ফলে মোট জাতীয় পরিষদের ৭৮ টি শূন্য আসনের মধ্যে এ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সদস্যের সংখ্যা ৫২ জনে উন্নীত হলো।
সর্বশেষ যে কয়জন প্রার্থীকে সাময়িকভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেনঃ এন ই-৯৭, ফরিদপুর ৪ নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে কনভেনশন লীগের জনাব আব্দুর রহমান ও এন ই-৩৫, রাজশাহী ৬ নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে জামাতে ইসলামীর জনাব আফাজ উদ্দীন আহমদ।
শুক্রবার নির্বাচনী কমিশন ভুলক্রমে ঘোষণা করেছিলেন যে, এন ই-৩৫ নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। গতকাল পূর্বদিনের ঘোষণা সংশোধন করে আফাজউদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষণা করেন। জাতীয় পরিষদের ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্পর্কে এখনো কোন খবর পাওয়া যায়নি।
যশোর হতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় পরিষদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত সদস্য জনাব এম, এ, ওহাব কাইয়ুম লীগে যোগদানের কথা ঘোষণা করেছেন। কাইয়ুম লীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর পরিবেশন করা হয়। তিনি এন ই-৪৫ নির্বাচনী কেন্দ্র হতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
দৈনিক পাকিস্তান, ১০ নভেম্বর (১৯৭১)
জাতীয় পরিষদঃ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সদস্য
সংখ্যা ৫৮ জনে উন্নীত
(স্টাফ রিপোর্টার)
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় পরিষদের উপনির্বাচনের আরও ৬ জন প্রার্থীকে সাময়িকভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে প্রদেশের জাতীয় পরিষদের ৭৮ টি শূন্য আসনের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সদস্যের সংখ্যা ৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। বাকী ২০টি জাতীয় পরিষদ আসনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে নির্বাচনী কমিশনসূত্রে জানা গেছে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সদস্যদের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী ৫৮ জন জাতীয় পরিষদ সদস্যের মধ্যে জামাতে ইসলামীর ১৫ জন, পিডিপির ১২ জন, কনভেনশন মুসলিম লীগের ৭ জন, কাইয়ুমপন্থী মুসলিম লীগের ৭ জন, নেজামে ইসলামীর ৬ জন, পাকিস্তান কাউন্সিল মুলিম লীগের ৬ জন ও বাকী ৬ জন পিপিপির সদস্য।
পিডিপি নেতা জনাব ইউসুফ আলী চৌধুরীকে (মোহন মিয়া) এন ই-৯৬, ফরিদপুর-২ নির্বাচনী এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জনাব মকিম উদ্দিনের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
চট্টগ্রামে এন ই-১৫৫, নির্বাচনী এলাকায় পাকিস্তান কনভেনশন মুসলিম লীগের সভাপতি জনাব ফজলুল কাদের চৌধুরী ও পিডিপি নেতা জনাব মাহমুদুন নবী চৌধুরীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
এছাড়া জনাব মাহমুদুন নবী চৌধুরী চট্টগ্রামের এন ই-১৫৮ নির্বাচনী এলাকা থেকেও পাকিস্তান শান্তি ও কল্যান পরিষদের সভাপতি মৌলভী ফরিদ আহমদসহ অপর ৩ জন প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গতকাল যে ৬ জন প্রার্থীকে জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে তাঁরা হচ্ছেনঃ এন ই-৩২, রাজশাহী-৩ জনাব জসীম উদ্দিন আহমদ (কাইয়ুম লীগ), এন ই-৩৩, রাজশাহি-৪ জনাব মমতাজ উদ্দিন আহমদ (পিডিপি), এন ই-৩৬, রাজশাহি-৭ জনাব আব্দুস সাত্তার খান চৌধুরী (কাউন্সিল কাইয়ুম লীগ), এন ই-২৮, পাবনা-৫ সৈয়দ আফজাল হোসেন জাহেদী (কাইয়ুম মুসলিম লীগ), এন ই-২৯, পাবনা-৬ মাওলানা আব্দুস সোবহান (জামাতে ইসলামী) ও এন ই-৬৬, বাকেরগঞ্জ-৯ মওলানা আব্দুর রহীম (জামাতে ইসলামী)।