বিনা উস্কানীতে গোলাবর্ষণের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের তীব্র প্রতিবাদ
সূত্র: দৈনিক পাকিস্তান
তারিখ: ২১অক্টোবর,১৯৭১
.
বিনা উস্কানীতে গোলাবর্ষনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের তীব্র প্রতিবাদ পরিনতির জন্যে ভারতই দায়ী থাকবে
ইসলামাবাদ,২০ শে অক্টোবর,(এ পি পি)। – পাকিস্তানের আজ ভারতকে জানিয়ে দিয়েছে যে,পাকিস্তানী ভূ-খন্ডে বিনা উস্কানীতে ভারতের সেনাবাহিনীর কামান ও মর্টারের গোলা বর্ষণের ফলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে সেজন্যে ভারত সরকারই একক ভাবে দায়ী থাকবে।গতকাল ভারতীয় হাই কমিশেনর কাছে প্রতিবাদলিপিতে পাকিস্তান ভারত সরকারকে অবহিত করেছে করেছে যে,বিনা উস্কানীতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখার বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার কঠিন মনোভাব ধারন করেছে।
এই প্রতিবাদ জানানোর সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান ভারতীয় সামরিক হস্তক্ষেপের ফলে জানমালের ক্ষতিপূরণ দাবী করার অধিকার সংরক্ষিত রাখছে।মঙ্গলবার শেষ রাতের দিকে পাকিস্তান সীমান্ত অতিক্রম করে।সদাসতর্ক পাকিস্তানী সৈন্যরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের দেখতে পায়।তখনই তাদের আক্রমন না করে পাকিস্তানী সৈন্যরা তাদের পাকিস্তান এলাকার বেশ ভেতরে ঢোকার সুযোগ দেয়।যখন তারা হিলির উত্তরে সীমান্তবর্তী গ্রাম আপতইর-এ পৌছেঁ পাকিস্তানী সৈন্যরা তাদের উপর কার্যকরভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করে।স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে সজ্জিত অনুপ্রবেশকারীরও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে।কিন্তু শিগগিরই তারা ভারতীয় এলাকার দিকে পশ্চাদপসরণ শুরু করপ।তখন তাদের ৯জন নিহত হয়।পাকিস্তানী সৈন্যরা সীমান্তের দিকে পলায়নকারী ভারতীয় সৈন্যদের পশ্চাদ্ধাবন করে এবং আরো তিনজনকে হত্যা করে।অনুপ্রবেশকারীরাও একটি হালকা মেশিনগান, ৮টি রাইফেল,২০ টি হাতবোমা এবং প্রচুর কার্তুজ ফেলে পালিয়েছে।
গোলাবর্ষণ
এদিকে ভারতীয় গোলন্দাজ বাহিনী আজও কুমিল্লা,যশোর,রংপুর এবং ময়মনসিংহ জেলারর সীমান্তবর্তী গ্রামসমূহে কোন রকম উস্কানী ছাড়াই গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখে।
উস্কানি ছাড়াই ভারতীয় গোলন্দাজ বাহিনীর এরূপ নৃশংস গোলাবর্ষণের ফলে ৩৭ জন নিরপরাধ গ্রামবাসী নিহত এবং ৪৪ জন আহত হয়েছে।নিহতদের মধ্যে ১২ জন মহিলা ও ১০ টি শিশুও রয়েছে।
আজকের ভারতীয় গোলাবর্ষণে কুমিল্লার ৬টি,যশোরের আটটি, ময়মনসিংহের ২টি এবং রংপুর জেলার ২ টি গৃরাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
মাঝারি কামান, ফিল্ডগান এবং বিভিন্ন ধরনের মর্টর থেকে পনেরো শ’র বেশী গোলা এইসব গ্রামে বর্ষিত হয়.