You dont have javascript enabled! Please enable it!

ইয়াহিয়া-পদগর্নি আলোচনা
সূত্র: দৈনিক পাকিস্তান
তারিখ: ১৭ই অক্টোবর ১৯৭১
.
ইয়াহিয়া-পদগর্নি আলোচনা
পাকিস্তানের অখন্ডতা ও সংহতি অক্ষুন্ন
রাখার উপর বিশেষ গুরুত্বআরোপ।

১৬ই অক্টোবর, ( এ পি পি, তাস)। – পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান গতরাতে সোভিয়েটইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগর্নির সাথে এক সাক্ষাৎকারে মিলিত হন।তারাঁ পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সমস্যাবলী সম্পর্কে মতবিনিময় করেন।অপরপক্ষে ভারতের প্রেসিডেন্ট ভি,ভি গিরীও গতকাল সোভিয়েট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগর্নির সাথে সাক্ষাৎকরেন।
হ্রদ্যতা ও আন্তরিকতায়য় পরিপূর্ণ এ আলোচনায় সোভিয়েট সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিকোলাই বিরুবীন এবং ভারতের প্রেসিডেন্টের সেক্রেটারীও অংশগ্রহন করেন।প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের সাথে আলোচনা কালে প্রেসিডেন্ট পদগর্নি পাকিস্তানের ঐক্য সংহতি তথা পাকিস্তান ও ভারতের মাঝে শান্তি রক্ষায় তার দেশের গভীর আগ্রহ ব্যাক্ত করেছেন বলে মনে হয়।তিনি পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক উন্নয়নে সোভিয়েট ইউনিয়নের কথা উল্লেখ করেন।
ইরানী রাজতন্ত্রের আড়াইহাজারতম বার্ষিকীতে যোগদানার্থে এখানে স্বল্পকালীন অবস্থানকালে প্রেসিডেন্ট অগা জেনারেল মোহাম্মাদ ইয়াহিয়া খান পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিস্ট বিষয়ে ইরানের শাহানশাহ ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনা করেন।রুমানিয়া যুগোশ্লোভিয়া ও সোভিয়েট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টসহ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সাথেও মিলিত হন।
প্রেসিডেন্ট ইউনিয়ন,যুগোশ্লোভিয়া ও রোমানিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানগন পাক-ভারত উপমহাদেশের পরিস্থিতি তথা পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘর্ষের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে মনে হয়।পাকিস্তান তার একার উদ্যোগে উপমহাদেশের শান্তি অক্ষুন্ন রাখার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন রুমানিয়া ও যুগোশ্লোভিয়ার প্রেসিডেন্ট গভীরভাবে তা অনুধাবন করেন।প্রেসিডেন্ট পদগর্নির মনোভাবের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেন যে, উপমহাদেশের শান্তি অক্ষুন্ন রাখার ব্যাপারটা ভারতের মনোভাবের উপরই নির্ভর করছে।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন ব্যাপার একান্তভাবেই তার নিজস্ব ব্যাপার,আন্তর্জাতিক আইন ও নৈতিকতার দিক থেকে দিক থেকে সীমান্তের অপর প্রান্ত হতে সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপের কোন যৌক্তিকতা নেই।প্রেসিডেন্ট এই মর্মেও অভিমত প্রকাশ করেন যে, ভারত যে শান্তির কথা বলে তার যথার্থতা প্রমান করতে হলে,তাকে পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে তার সেনাবাহিনী প্রত্যাহার, অনুপ্রবেশ তথা অন্যান্য আক্রমনাত্বক তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।তা হলে পাকিস্তানের সীমান্ত বরাবর বর্তমানের আত্মরক্ষামূলক অবস্থানগুলো থেকে তার সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহার করবে।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!