You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.10.10 | রাজনৈতিক তৎপরতা সম্পর্কিত ৯৪ নং সামরিক বিধি জারী | পাকিস্তান টাইমস - সংগ্রামের নোটবুক

রাজনৈতিক তৎপরতা সম্পর্কিত ৯৪ নং সামরিক বিধি জারী
সূত্রঃ পাকিস্তান টাইমস
তারিখঃ ১০ অক্টোবর, ১৯৭১

রাজনৈতিক তৎপরতা সম্পর্কিত ৯৪ নং সামরিক বিধি জারী

১) এই বিধি ১০ ই অক্টোবর, ১৯৭১ থেকে কার্যকর হবে এবং সে সময়ে জারীকৃত সকল আইনের পাশাপাশি কোন রকম খর্বতা ছাড়াই এটা বলবৎ থাকবে।

২) এই আইনে, যদি না এই বিষয় ও প্রসঙ্গের কোন ব্যাতিক্রম থাকে, ‘রাজনৈতিক দল’ বলতে বুঝানো হচ্ছে কোন দল অথবা ব্যাক্তি সমষ্টিকে যারা কোন ধরণের রাজনৈতিক কর্মকান্ডকে বৈধতা দেয়ার জন্যে রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচারের কাজে লিপ্ত থাকে।

৩) কোন রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যাক্তি পাকিস্তানের মতাদর্শ কিংবা অখন্ডতা কিংবা নিরাপত্তার জন্যে ক্ষতিকর কিংবা Legal Framework Order, 1970 (PO, No. 2 of 1970) এর ২০ নং অনুচ্ছেদে ঘোষিত নীতিমালার পরিপন্থী কোন মত প্রচার কিংবা কাজ করতে পারবে না।

৪) রাজনৈতিক কর্মকান্ডের প্রক্রিয়ায় কোন রাজনৈতিক দল বা ব্যাক্তি নিম্নোক্ত কাজ করতে পারবেন না – (ক) কোন মতের সমর্থন আদায় কিংবা প্রচারের জন্য বলপ্রয়োগ, সহিংসতা, ভীতিপ্রদর্শন কিংবা আঘাতের হুমকি কিংবা আর্থিক লাভের প্রস্তাব দেয়া, (খ) যে কোন উপায়ে কোন ব্যাক্তি বা সম্পদের আঘাত বা ক্ষতি সাধন করা, (গ) সরকারী সেবা, কর্পোরেশন অথবা আইনের অধীন ও নিয়ন্ত্রিত কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডে কিংবা কর্তব্যপালনে বাধাপ্রদান, (ঘ) আইনের অধীন কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা কর্পোরেশনে কর্মরত ব্যাক্তি অথবা কোন সরকারী চাকুরেকে তার আনুগত্য কিংবা দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত কিংবা বিচ্যুত করার চেষ্টা করা, (ঙ) শিক্ষা প্রতিষ্টানের কর্মকান্ডে কোনভাবে হস্তক্ষেপ কিংবা ব্যাহত করা, (চ) পত্রিকার অফিস সহ সংবাদমাধ্যমের যে কোন শাখাকে সরাসরি চাপ প্রয়োগ কিংবা মত তুলে ধরতে বাধাপ্রদানে বাধ্য করা, (ছ) অন্যান্য রাজনৈতিক দল কিংবা এর সদস্যদের সুষ্ঠু ও শালীন সমালোচনার সীমা লঙ্গন করা কিংবা যে কোন উপায়ে ইহাতে বাধা প্রদান করা, (জ) জাতীয় পরিষদের কিংবা প্রাদেশিক পরিষদের উপনির্বাচনে যে কোন ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, কিংবা বিঘ্ন করা কিংবা এর বিরুদ্ধে প্রচার করা।

৫) (ক) ডেপুটি কমিশনার কিংবা তার অনুমোদিত অফিসারের কাজের সুবিধার্থে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির সঙ্ঘর্ষ এড়িয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে পরপর জনসভা ও রাজনৈতিক মিছিলের সুযোগ দিতে প্রত্যেক ব্যাক্তি যিনি কোনধরনের সভা কিংবা মিছিল বের করতে আগ্রহী, তারিখ, সময় এবং সভার স্থান ও মিছিলের জন্যে ব্যাবহৃত রুটের উল্লেখ সহ মিছিলের যৌক্তিক কারণ সমূহ লিখিতভাবে ডেপুটি কমিশনার কিংবা তার অনুমোদিত অফিসারের নিকট জমা দিতে হবে। (খ)যদি ডেপুটি কমিশনার অথবা পূর্বে বর্ণনুযায়ী তার অনুমোদিত কোন অফিসার উপ –অধ্যায় (১) এর অধীনে একই স্থানে একই তারিখে একের অধিক সভা ও মিছিলের নোটিশ পেয়ে থাকেন, তাহলে দলগুলোর সাথে আলোচনাসাপেক্ষে প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নিয়ে কর্মসূচি আয়োজন করতে পারেন যেন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির সঙ্ঘর্ষ ও পরপর আয়োজনের অসুবিধা এড়ানো যায়। (গ) কোন ধরনের জনসভা এবং রাজনৈতিক মিছিল উপ –অধ্যায় (১)এর নোটিশ এবং উপ – অধ্যায় (২) এর অধীনে আয়োজন ব্যাথিত করা যাবে না; এছাড়া নিয়মানুযায়ী আয়োজন করা যাবে।
৬. কোন ব্যক্তি কোন জনসমাবেশ বা রাজনৈতিক মিছিলে কোন ধরনের অস্ত্র বা এমন কোন যন্ত্র বহন করতে পারবে না যা দ্বারা অন্যকে আঘাত করা সম্ভব, এর ব্যত্যয় ঘটিলে তার বুরুদ্ধে অস্ত্র বহনকারী হিসেবে আইন জারি হবে।
৭. কোন ব্যক্তি কোন জনসমাবেশে কথা বলার সময়
(ক) কোন ধরণের রাষ্ট্রদ্রোহমূলক আচরণ বা ভঙ্গী
(খ) বক্তব্য যা বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, গোষ্ঠীর মাঝে কোন অসন্তুষ্টি কিংবা ঘৃনাবোধ তৈরি
(গ) কোন বক্তব্য বা বিবৃতি যা মানুষকে উত্তেজিত করে সহিংসতা ছড়ায়
(ঘ) কোন ব্যক্তি কোন মিছিল বা জনসমাবেশ কোন আপত্তিকর স্লোগান বা পোষ্টার বহন করলে তা অনুচ্ছেদ ৮ এর ক এবং খ এর আওতাধীন হবে।
৮. কোন ব্যাক্তি কোন জনসমাবেশে কোন রাজনৈতিক মিছিলে কোন পোষ্টার বা স্লোগান দিলে তা
(ক) বিভিন্ন জাতি, ধর্ম বা গোষ্ঠীর মাঝে বিভেদ সৃষ্টি অথবা
(খ) মানুষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করে জনসাধারণের জান মালের ধ্বংসকারী হিসেবে বিবেচ্য হবে।
৯. কোন ব্যাক্তি কোনভাবেই কোন ব্যাক্তির রাজনৈতিক মিছিল বা সমাবেশে বাধা বিপত্তি তৈরি করতে পারবে না।
১০. কোন ব্যাক্তি তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড বা মতাদর্শ প্রকাশ করতে পারবে না <১> যদি সে কোন কারণে সাজা ভোগ করে থাকে যতদিন না সে তার পাঁচ বছর পূর্ণ না করে থাকে তার ফৌজদারি অপরাধ থেকে মুক্তি পায়। <২> পাকিস্তান পাবলিক কমিশনের আওতাধীন চাকুরীরত কোন ব্যক্তি তার অবসর গ্রহণের ৩ বছর পূর্ণ না হওয়া অবধি সেও কোন ধরণের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত হতে পারবে না।
১১. মার্শাল ‘ল’ আইন ৭৬ বাতিল করা হল যা প্রধান মার্শাল ‘ল’ প্রশাসক দ্বারা প্রণয়ন করা হয়েছিল।
১২. এই সংবিধান লংঘনকারী যেই হোক না কেন তাকে কঠোর কারা দন্ড ভোগ করতে হবে যা তিন বছর মেয়াদ পর্যন্ত অথবা অর্থদন্ড বা উভয়ই।
[ পাকিস্তান টাইমস, লাহোর – অক্টোবর ১০, ১৯৭১ ]