You dont have javascript enabled! Please enable it!

বিশেষজ্ঞ কমিটি দ্বারা প্রণীতব্য শাসনতন্ত্রের সংশোধনী পদ্ধতি সম্পর্কে ইয়াহিয়ার বিবৃতি
সূত্রঃ ‘ পাকিস্তান’ ওয়াশিংটন দূতাবাসের বিশেষ সংবাদ বুলেটিন
তারিখঃ ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
.
প্রেস রিলিজ
রাওয়ালপিন্ডি
সেপ্টেম্বর ১৯, ১৯৭১
.
সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখে ইয়াহিয়া খান নিম্নোক্ত বিবৃতি দেন,
আপনারা অবগত আছেন যে আমি সবসময় চেয়েছি এমন একটা সংবিধান গড়তে যা জনগণ দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা বাস্তবায়িত হবে। ১৯৬৯ সালের ২৮শে নভেম্বর ক্ষমতার সুষম বন্টনের জন্যে আমার পরিকল্পনা ব্যক্ত করি, সেখানে সংবিধানের গঠনতন্ত্রের জন্যে বিভিন্ন রকম বিকল্প আলোচনা করার সুযোগ ছিলো। গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা সংবিধান প্রনয়নের কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম।
দুর্ভাগ্যক্রমে আমার মূল পরিকল্পনা পূর্ব পাকিস্তান কর্তৃক তীব্র বিরোধীতার সম্মুখীন হয়। পূর্ব পাকিস্তানের অস্থিতিশীল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে যেকোন রকম বিবাদ, এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটানোর যে কোনরকম পরিস্থিতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে আমি সর্বদাই সচেষ্ট ছিলাম।
এমতাবস্থায় এই বছরের জুনের ২৮ তারিখে আমি ঘোষণা দেই যে পূর্ব পাকিস্তান সংকটের কারণে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক নেতা এবং এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে একটি সংবিধান প্রনয়ন ছাড়া আর কোন বিকল্প অবশিষ্ট নেই। সংবিধানটিতে অবশ্যই সাধারণ সংশোধনীর প্রক্রিয়া থাকবে।
অনেক চিন্তা ভাবনা এবং রাজনৈতিক নেতাদের সাথে দীর্ঘ শলা পরামর্শের পর আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই, সরকারী কর্মকর্তাদের দ্বারা গঠিত একটি কমিটি জাতীয় অধিবেশনে সংবিধান উপস্থাপন করবে। অধিবেশনটি যখন পূর্ণ পথ পরিক্রমা শুরু করবে, তখন সংবিধান থেকে প্রনীত সিদ্ধান্তে কখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সে ব্যাপারে দিক নির্দেশনা নেয়া হবে। অধিবেশনের কোন সদস্য কর্তৃক সংবিধান সংক্রান্ত কোন গঠন মূলক সংশোধনীর কথা উত্থাপনের জন্যে অনুকূল পরিবেশ থাকবে। প্রথম তিন মাসে সংশোধনী আনয়নের জন্যে সদস্যদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আমি খুব সহজ একটি প্রক্রিয়া নির্ধারণ করেছি। অধিবেশনে কোন সংশোধনী তখনই গৃহীত হবে, যদি তা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, এবং প্রতিটি ফেডারেশনের মাঝে এ ব্যাপারে ঐকমত্য থাকে।
যদি উল্লেখিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন সংশোধনী আমার কাছে উত্থাপিত হয়, এবং জাতীয় স্বার্থ গভীর ভাবে নিরীক্ষার পর আমি ইতিবাচক মত দেই, তবে তা সংবিধানে সংযুক্ত হয়ে যাবে।
.
.

শিরোনাম সূত্র তারিখ
৬৫। প্রবাসে বাংলাদেশ আন্দোলনে তৎপর বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে পাকিস্তানের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে হাজির হবার নির্দেশ। আবু সাঈদ চৌধুরী ২১শে সেপ্টেম্বর,১৯৭১

পাকিস্তান সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিজ্ঞপ্তি,
বিশেষ রেফারেন্স নাম্বার ১৯৭১ এর ৫
মাননীয় রাষ্ট্রপতি……………… ……… ………………… কতৃপক্ষ
বনাম
বিচারপতি জনাব আবু সাঈদ চৌধুরী …………… উত্তরদাতা

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!