জীবনচিত্র নামঃ ডা. মনোরঞ্জন জোয়ার্দার
Dr. Monoranjan Joarder
পিতার নামঃ ব্রজলাল জোয়ার্দার
পিতার পেশাঃ জমাজমি (জোতদারি)
ভাইবোনের সংখ্যাঃ একজন
ধর্মঃ সনাতন
স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম/ইউনিয়ন/ডাকঘর/উপজেলা-শৈলকুপা,
জেলা-ঝিনাইদহ
শহীদ ডা. মনোরঞ্জন জোয়ার্দার
নিখোঁজ হওয়ার সময় ঠিকানাঃ ঐ
জন্মঃ ২৯ অগ্রহায়ণ ১৩২০ বঙ্গাব্দ
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
ম্যাট্রিকঃ জোড়াদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। থানা-হরিণাকুণ্ডু, জেলা-ঝিনাইদহ
এলএমএফঃ
শখঃ সাহিত্যচর্চা, খেলাধুলা, কুটির শিল্প যেমন-বাঁশ ও কাঠের সামগ্ৰী তৈরি
স্বরচিত গ্ৰন্থঃ স্বরচিত কবিতাগুচ্ছ (অপ্রকাশিত)
রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাঃ
সংগঠনের নামঃ স্বদেশী আন্দোলন, ১৯৪৭ পূর্ব, সাধারন সদস্য। স্বদেশী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল এবং স্বদেশী কবিতা লেখার জন্য ২ মাস জেলে ছিলেন
হত্যাকারীর পরিচয়ঃ
নামঃ মো. নওশের আলী গং
সংগঠনের নামঃ রাজাকার
নিহত/নিখোঁজ হওয়ার তারিখ: ২৮ অক্টোবর ১৯৭১
স্মৃতিফলক/স্মৃতিসৌধঃ শৈলকূপা বাজারের পাশে প্রবাহিত কুমার নদের ব্রিজের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি অবহেলিত স্মৃতিফলক বিদ্যমান
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হিসেবে সাহায্য/দান/পুরুষ্কারঃ পাননি
স্ত্রীর নামঃ পুষ্প রানী জোয়ার্দার
সন্তান-সন্ততিঃ ছয়জন(কন্যা)
উষা রায় চৌধুরীঃ অষ্টম শ্রেণী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
উমা বানী চাকীঃ অষ্টম শ্রেণী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
দিপালী চাকীঃ অষ্টম শ্রেণী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
জোস্না রানী দত্তঃ অষ্টম শ্রেণী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
সেফালী দত্তঃ অষ্টম শ্রেণী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
কল্পনা রানী জোয়ার্দারঃ এইচএসসি; সিএনএড, হরিনারায়ণপুর, কুষ্টিয়া
তথ্য প্রদানকারী
কল্পনা রানী জয়ার্দার
শহীদ চিকিৎসকের কন্যা
শিক্ষিকা, সরকারি প্রাথমিক বালিকা
বিদ্যালয়, ৭৩নং হরিনারায়ণপুরঃ ডাকঘর-
হরিনারায়ণপুর, উপজেলা/জেলা- কুষ্টিয়া
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ ২২৫
আমার বাবা
শহীদ ডা. মনোরঞ্জন জোয়ার্দার
কল্পনা রানী জোয়ার্দার
শহীদ ডা. মনোরঞ্জন জোয়ার্দার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু লেখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কারন লিখতে গেলে হৃদয়ের যন্ত্রণা বাড়ে, চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ে, ভাষা হারিয়ে যায়, কলম থেমে যায়। হাজার হোক আমি তো তাঁর আদরের ছোট মেয়ে, তিনি আমার জন্মদাতা পিতা, লিখে পিতার স্মৃতিচারণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ লিখতে গেলে মনের গহিনে হাজার কথা উদয় হয়ে অক্টোপাসের মতো আমাকে আটকে ধরে। আর তখনই আমার সব চিন্তাভাবনার বাঁধন কেটে মনের লেখনী থেমে যায়।
আমার পিতা যখন মারা যান আমি তখন ঝিনাইদহের শৈলকূপা কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। লেখাপড়ায় আমি বরাবরই ভালো ছিলাম। আমি ক্লাসের ছেলেমেয়েদের মধ্যে প্রথম ছিলাম। তখন সবেমাত্র কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনাব শমসের আলী সাহেব ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ। আমাদের ক্লাস হতো শৈলকূপা বাজারের একটি টিনের ঘরে। আমার বাবা শৈলকূপা কলেজের গভর্নিং বডির একজন সদস্য ছিলেন। বাংলা সাহিত্যে আমার পিতার অসামান্য দক্ষতা ছিল। প্রায় প্রতি সন্ধ্যায় আমাদের বাড়িতে তৎকালীন শৈলকুপার সুধীজনদের আগমন ঘটত এবং সাহিত্য, রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা গভীর রাত পর্যন্ত আলাপ-আলোচনা চলত। আর সেই সাথে চলত চা-পান পর্ব। অনেকে আবার রাতের খাবার খেয়েও বাড়িতে ফিরতেন। কবি গোলাম মোস্তফা এবং কবি কাদের নেওয়াজের সঙ্গে ছিল আমার পিতার গভীর হৃদ্যতা। তাঁরা যখনই এদিকে আসতেন তখনই আমাদের বাড়িতে তাদের চরণধুলি পড়ত। আমি তখন খুব ছোট ছিলাম। কবি গোলাম মোস্তফা সাহেব এসেছেন আমাদের বাড়িতে; উনি আমাকে কাছে ডেকে নিয়ে কোলে তুলে নিয়ে একটি ছোট কবিতা লিখে আমাকে উপহার দিয়েছিলেন। সেদিনের সেই ছোট কবিতাটি আর আমার কাছে নেই। সেটি হারিয়ে গেছে এবং স্মৃতি থেকেও মুছে গেছে। আমার বয়স যখন দুই বছর অর্থাৎ আমার ভালো করে জ্ঞানও হয়নি তখন হঠাৎ করে সামান্য অসুখে আমার
২২৬ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ
শহীদ ডা. মনোরঞ্জন জোয়ার্দার
স্নেহময়ী মা মারা যান। যখন মা মারা যান তখন আমার পিতা বাড়িতে ছিলেন না। তখন তিনি শ্ৰীপুর থানাধীন খামারপাড়া গ্রামে ডাক্তারি করতেন। মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে তিনি বাড়িতে আসেন এবং মারা সৎকার করেন। এরপর থেকে বাবা স্থায়ীভাবে শৈলকূপাতে থেকে যান। মা’র মৃত্যুর পর দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়া আমাদের দেখাশোনা করতেন। তিনিও বিদুষী মহিলা ছিলেন। সাহিত্যচর্চায় এবং সমাজসেবায় তিনি আমার পিতাকে যথেষ্ট উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতেন।
ডাক্তার হিসেবে বাবার যথেষ্ট সুনাম ছিল। আশপাশের ১০-২০টি গ্রামের মধ্যে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই তাঁর অবাধ যাতায়াত ছিল। গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিতার সঙ্গে ছিল তাঁর সখ্য। তাঁকে সবাই ‘রঞ্জন ডাক্তার’ বলে ডাকত। রাতদিন বলে কোনো কিছু ছিল না, যে যখন তাঁকে ডাকতো তখনই তিনি তার বাড়িতে রোগী দেখতে ছুটিতেন। তাঁর কোনো নির্ধারিত ফি ছিল না। তাঁকে যে যা দিতেন তাই তিনি খুশিমনে গ্রহণ করতেন। আবার কোনো রোগীর চিকিৎসা করানোর ক্ষমতা না থাকলে তিনি ওষুধের সঙ্গে ঐ রোগীর পথ্যও পকেটের পয়সা দিয়ে কিনে দিতেন। আবার কখনও তিনি নিজ হাতে রোগীর সেবা করতেন। মাথায় জল দিতেন, মানুষের সেবা করতেই তিনি যেন ভালোবাসতেন।
আমরা ছিলাম ছয় বোন। আমাদের কোনো ভাই ছিল না। আমাদের পিতারও কোনো নিকটাত্মীয় ছিল না। আমার পিতা অত্যন্ত সরল-সাধারণ জীবনযাপন করতেন। ভবিষ্যতের জন্য তাঁর কোনো সঞ্চয় ছিল না। তিনি সারাদিন যা আয় করতেন তা দিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাতেন। তিনি যৌতুক অপছন্দ করতেন। তাই তিনি কোনো মেয়ের বিয়েতে যৌতুক দেননি।
খেলাধুলা এবং মঞ্চনাটকেও তাঁর দক্ষতা ছিল। তিনি ভালো ফুটবল খেলতেন। সাধারণত ব্যাক পজিশনে খেলতেন। তাঁর পায়ে খুব জোর ছিল। কথিত আছে, তিনি মাঠের এক পাশের গোল এরিয়া থেকে বল কিক দিলে বল অপর পক্ষের গোল এরিয়ার মাঝে গিয়ে পড়ত। মঞ্চনাটকে তিনি বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতেন। একবার রাজা ‘হরিশচন্দ্র’ যাত্রাপালায় তিনি রাজা হরিশচন্দ্র চরিত্র এবং বাবু বঙ্কিমচন্দ্র রচিত ‘দেবী চৌধুরানী’ যাত্রাপালায় ভবানী পাঠকের চরিত্রে অভিনয় করে উপস্থিত দর্শকদের অকুণ্ঠ প্রশংসা অর্জন করেন।
ক্ৰমে ক্রমে দিন, মাস, বছর গড়িয়ে চলে এলো ১৯৬৯ সাল। বাবাকে ঐ সময় খুব চিন্তিত এবং গম্ভীর মনে হতো। অবসর সময়ে সংবাদপত্র বা ম্যাগাজিন পড়তেন এবং দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে সঙ্গী-সাথীদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হতো। ইতোমধ্যে আমার পাঁচ বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। দেশের পরিবেশ-পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে অস্থির হয়ে ওঠায় বাবা আমাকে নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়লেন এবং শিগগির বিয়ে দিতে তৎপর হলেন। ১৯৭০ সালের বাংলা ২৩ বৈশাখ বাবা আমাকে বিয়ে দিয়ে যেন কিছুটা স্বস্তি পেলেন। আমি স্বামীর হাত ধরে শ্বশুরবাড়ি চলে গেলাম। আমার স্বামী ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি তখন কুষ্টিয়া জেলার সদর থানাধীন ‘হরিনারায়ণপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে’ সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন এবং স্কুল কোয়ার্টারে থাকতেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ যখন ক্রমেই জোরালো হতে লাগলো এবং পাকবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার এবং আলবদর বাহিনী যখন ক্রমেই হিংস্র হয়ে উঠল তখন আমার স্বামী এক রাতে আমাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা হলেন। অনেক কষ্টে আমরা শিকারপুর বর্ডার হয়ে ২২ মে কলকাতায় গিয়ে পৌঁছলাম। ওখানে গিয়ে আমার স্বামী প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের শিক্ষা দপ্তরে কল্যাণী ২নং ক্যাম্প স্কুলে শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতে থাকেন (মুজিবনগর সরকারের একজন কর্মচারী হিসেবে তিনিও একজন মুক্তিযোদ্ধা)।
এদিকে ভারতে যাওয়ার পর থেকে আমার পিতার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। মাঝে মধ্যে লোকমুখে খবর পেতাম তিনি ভালো আছেন। আশা করেছিলাম আমাদের পিতা হয়তো অন্য আর দশজনের মতো দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে আসবেন; কিন্তু তিনি তা করেননি। অনেকে তাঁকে ভারতে চলে যেতে বলেছিলেন; কিন্তু তিনি নাকি বলতেন, ‘আমি আমার দেশ ছেড়ে কোথাও যাবো না, আমি ডাক্তার, আমি সমাজসেবক; দেশের লোক সবাই আমাকে ভালোবাসে, আমিও সবাইকে ভালোবাসি। আমার কোনো ভয় নেই।’ তাঁর এই আত্মপ্রত্যয়ই অভিশাপ হয়েছিল। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ওপার বাংলার আনন্দ বাজার পত্রিকার মাধ্যমে আমার স্বামী প্রথমে বাবার মৃত্যুসংবাদ জানতে পারেন। তিনি আমার কাছে খবরটা গোপন
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ ২২৭
শহীদ ডা. মনোরঞ্জন জোয়ার্দার
রাখেন। পরে আমি আমার এক বন্ধুর মারফত বাবার মৃত্যু সংবাদ জানতে পারি।
দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর আমরা দেশে ফিরে এলাম। দেশে ফিরে এসে ছুটে যাই শৈলকূপায় আমাদের নিজ বাড়িতে। বাড়িতে পা দিতেই ছুটে আসে জাতিধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষ। কান্নায় আমি মূৰ্ছা যাই। উপস্থিত সবাই আমাকে সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করেন। উপস্থিত লোকদের মুখে জানতে পারি, পাকসেনারা আমার বাবাকে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে গিয়েছিল সত্য, কিন্তু তাঁরা তাঁকে হত্যা করেনি। তিনি ডাক্তার এবং সমাজের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি জেনে তাঁকে তারা ছেড়ে দিয়েছিল; কিন্তু বাবা বাঁচতে পারেননি রাজাকারদের হাত থেকে। তাঁর অপরাধ, রাজাকাররা যাদের হত্যা করত বা আহত করত। তিনি তাদের চিকিৎসা করে বাঁচিয়ে তুলতেন; মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করতেন এবং তাঁদের সহযোগিতা করতেন। রাজাকাররা আমাদের বাড়ির পাশে অবস্থিত এক সাহা পরিবারের দুই সহোদরকে হত্যা করার জন্য তাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত করে। আমার বাবা তাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে একজনকে চিকিৎসা করে বাঁচান। এটাই নাকি ছিল তাঁর বড় অপরাধ। ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুরবেলায় আমার বাবা যখন খেতে বসলেন ঠিক এমন সময় এক দল রাজাকার বাড়িতে প্রবেশ করে। রাজাকাররা তাঁর চোখ-মুখ বেঁধে জোর করে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে গিয়ে শৈলকূপা বাজারের একটি গুদাম ঘরে সারাদিন আটকে রাখে; গভীর রাতে তাঁর হাত-পা বেঁধে এবং কোমরে ইটের বস্তা বেঁধে শৈলকূপা ব্রিজের ওপর থেকে কুমার নদে নিক্ষেপ করে হত্যা করে।
যারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল তাদের মধ্যে প্রধান ছিল পার্শ্ববর্তী চতুরা গ্রামের নওশের আলী। তার ক’জন দোসরও জড়িত ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নওশের আলীসহ তাদের অনেকেই মুক্তিবাহিনীর হাতে নিহত হয়। তাদের মধ্যে দু’একজন হয়তো আজও জীবিত থাকতে পারে। কিন্তু তাদের খোজ আর রাখেনি।
শৈলকুপার কবিরপুর এলাকার লোকজন স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে শৈলকূপা এলাকায় শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে নদীর পাড়ে একটা ছোট স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেছিলেন, যা আজও কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে এবং আজও সেসব শহীদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয়, আমার পিতার মতো অনেক শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আজও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হননি বা কেউ এ ব্যাপারে তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহন করেননি।
প্রাসঙ্গিক উল্লেখযোগ্য তথ্যসূত্রঃ
ক. মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী তালিকা; তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার; প্রকাশকালঃ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২।
খ. শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ; সম্পাদনাঃ রশীদ হায়দার, প্রকাশনাঃ বাংলা একাডেমী, প্রকাশকালঃ আগ্রহায়ণ ১৩৯২, ১৪ ডিসেম্বর ১৯৮৫; পৃ. ৬২ ।
গ. দৈনিক সংবাদ বিশেষ সংগ্রাহক সংখ্যা-৩, যেসব হত্যার বিচার হয়নি; পরিকল্পনায়ঃ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। প্রকাশকালঃ সোমবার ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৮; পৃ. ২৯, ৪৩।
ঘ. সেই রাজাকার; প্রকাশনাঃ মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ, জনকণ্ঠ প্রকাশনী; প্রকাশকালঃ জুলাই ২০০১; পৃ. ১৭০।
২২৮ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ
Reference: মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ – বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ