You dont have javascript enabled! Please enable it! ডা. মকবুল আহমদ | মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক - সংগ্রামের নোটবুক

 জীবনচিত্র   নামঃ ডা. মকবুল আহমদ

Dr. Moqbul Ahmed

ডাকনামঃ মকবুল

পিতার নামঃ নজীর আহমদ

পিতার পেশাঃ ব্যবসা

মাতার নামঃ বেগম মেহেরুন্নেসা

ভাইবোনের সংখ্যাঃ তিন ভাই ও এক বোন; নিজক্ৰম-চতুর্থ

ধর্মঃ ইসলাম

স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম/ইউনিয়ন—উত্তর মাদার্শা, ডাকঘর-

বদিউল আলম হাট, উপজেলা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রাম

 

শহীদ ডা. মকবুল আহমদ

 

নিহত/নিখোঁজ হওয়ার সময় ঠিকানাঃ বাড়ি-ই-২০৮, পলিটেকনিক অফিসার্স কোয়ার্টার, ষোলশহর, ডাকঘর-পলিটেকনিক, থানা-পাঁচলাইশ, জেলা-চট্টগ্রাম

জন্মঃ ১৯২৭ সাল, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

এলএফএফঃ ১৯৫১, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও স্কুল (পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ)

শখঃ ফুটবল, ব্যাডমিন্টন খেলা, কাওয়ালী গান গাওয়া

চাকরির বর্ণনাঃ

মেডিকেল অফিসারঃ সরকারি ডিসপেনসারি, নোয়াপাড়া, রাউজান, চট্টগ্রাম

মেডিকেল অফিসারঃ সরকারি ডিসপেনসারি, আবুতরব মিরশরাই, চট্টগ্রাম

মেডিকেল অফিসারঃ সরকারি ডিসপেনসারি, বানিগ্রাম, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম

মেডিকেল অফিসারঃ চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ১৯৬৭, (আমৃত্যু)

হত্যাকারীর পরিচয়ঃ চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পার্শ্ববর্তী বিহারি কলোনির ইউসুফ ডিলারের ইশারায় অন্য বিহারিদের সহযোগিতায় পাঞ্জাবি সেনাবাহিনী কর্তৃক ধৃত হন

নিহত/নিখোঁজ হওয়ার তারিখঃ ১৩ এপ্রিল, ১৯৭১

মরদেহঃ পাওয়া যায়নি

স্মৃতিফলক/স্মৃতিসৌধঃ চট্টগ্রাম নাসিরাবাদ এবং পলিটেকনিক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শিক্ষা বিভাগের সহযোগিতায় স্বাধীনতা-উত্তর চট্টগ্রাম পলিটেকনিক এলাকায় শহীদের নামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরন করা হয় ‘শহীদ ডা. মকবুল আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হিসেবে সাহায্য/দান/পুরস্কারঃ পাননি

স্ত্রীর নামঃ বেগম নূরজাহান আহমেদ

বিয়েঃ ১৯৫২

সন্তান-সন্ততিঃ দুই পুত্র ও চার কন্যা

শিরিন মাহমুদঃ ডিগ্রি, কানাডার টরেন্টোতে কর্মরত

পারভীন ওয়াহীদঃ এইচএসসি, কানাডার টরেন্টোতে কর্মরত

তসলিমউদ্দিন আহমেদঃ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, বাঙ্গারাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিমিটেড, চট্টগ্রাম

রওশন হকঃ মাস্টার্স, ঢাকায় কর্মরত

মুসলেহউদ্দিন আহমেদঃ ডিগ্রি, সৌদি আরবের জেদ্দায় কর্মরত

রুখসানা জাহেদঃ মাস্টার্স, কানাডার টরেন্টোতে কর্মরত

 

 

 

তথ্য প্রদানকারী

তসলিমউদ্দিন আহমেদ বাবলু

শহীদ চিকিৎসকের পুত্র

ই-২০৮, পলিটেকনিক কোয়ার্টার,

নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম

 

 

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ   ২১৯

 

We won’t forget them

The People, March 27, 1972

(By A Correspondent)

 

Bravery-a word that reminds one of battlefields of courage in action, of strength in adversity, a word synonymous with soldiers who fought for our freedom. It brings to mind the great soldiers of the East Pakistan Rifles, the courageous youth who went forward to liberate the sacred soil of their motherland. How then we to measure the bravery of ordinary working people, who never fought on the fields, yet displayed courage for beyond their calling when the time came. Dr. Maqbool Ahmed, Resident physician and Security officer of Chittagong Polytechnic College was also such a man. His bravery and courage may not be remembered, but it certainly is immeasurable.

Dr. Moqbool was the most loved and respected staff of the boys at the college. When Yahya’s army cracked down on the population and the struggle put up by the Bengal Regiment in Chittagong brought a spark of hope to the suffering Bengalis, Dr. Maqbool was among those who rushed forward to help. Chittagong fell to the Pakistan Army in early April and the Bengal Regiment started retreating. It was in this period that Dr. Maqbool’s patriotism was displayed to the full. Giving refuge to the felling soldiers at the college, he worked day, and night with them, feeding them, sheltering them, and looking after the wounds of the wounded, Many are the soldier who owes his life to the careful dressing and treatment of Dr. Maqbool. From the college the soldiers were able to retreat to the countryside and continue the fight from there, thanks to the effort and courage of people like Dr. Maqbool. Chittagong became a dead city by 7th April, with the shooting down of Bangalees on sight. Doctor Msqbool therefore shifted his family, consisting of his wife and six children, to his village Uttar Madrasah, near Hathazari.

On 13th April he left his family to return to Chittagong after getting reports that abandoned houses were being looted. He reached his residence the same night and being unwell, went to sleep early. The next morning he was awakened by a heavy pounding on his door.

 

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ ২২০

 

শহীদ ডা. মকবুল আহমদ

 

Opening it he found some Punjabi soldiers along with a Bihari by the name of Yousul (dealer), who used to stay in the nearby Tulsi Colony. Dr. Maqbool was taken to the cantonment and his eternal departure was witnessed by 3 class I staff of the college, namely Mr. Abdul Latif. Mr Shafiuddin Meah and Mr. Abdur Rashid.

Dr. Maqbool’s non-return to the village brought his wife looking for him to Chittagong along with her eldest 10 years old son. Entering her house and seeing the empty rooms she could get a premonition of the disaster Awaiting her. Her cries of agony and despair brought the local Biharis, who confided that Dr. Maqbool had been taken to the cantonment, Yousuf dealer is in custody today, and on questioning has admitted that he accompanied the Pakistani soldiers when they arrested the doctor. It was later on deteQined that Dr. Maqbool was kept in the cantonment for three days, after which his whereabouts could not be traced, Yousuf dealer is either unable or unwilling to give any further information about the doctor.

Today the fight for liberation is over, and all those who are alive have returned to their houses, to their near and dear ones. But Dr. Maqbool has not returned and his house remains empty. His wife has to face the impossible question from her youngest child 3 years old daughter Mimi, “Bangladesh is free today, why does no. Abba return?” and  to summon what courage she can to look to the future of her six children, the eldest of whom is only a daughter appearing in H.S.C. this year. “Why does not Abba return Yes, why… indeed!*

 

(*উই ওল্ট ফরগেট দেম থেকে সঙ্কলিত)

 

প্রাসঙ্গিক উল্লেখযোগ্য তথ্যসূত্রঃ

ক. মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক তালিকা; বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যালয় বিএমএ ভবনে(তোপখানা রোড, ঢাকা) শোভিত স্মৃতিফলকে উৎকীর্ণ। (পরিশিষ্ট দ্রষ্টব্য)

খ. মুক্তিযুদ্ধে শহীদ তালিকাঃ দৈনিক বাংলা, ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৬।

গ. *উই ওল্ট ফরগেট দেম; দ্য পিপল, ২৭ মার্চ, ১৯৭২।

 

 

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ      ২২১

 

ডাক্তার মনসুর আলীকে অপহরণ ও হত্যা

দৈনিক ইত্তেফাক, ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭১

 

 

নির্ভরযোগ্য সুত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা যায় যে, পিশাচ জল্লাদ বাহিনীর লোকেরা গত ২১ ডিসেম্বর(মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় ছদ্মবেশে এবং সশস্ত্ৰভাবে নয়া বাজারহু নিজ ফার্মেসি হইতে ডাক্তার মনসুর আলীকে অপহরণ করিয়া লাইয়া যায় এবং গতকাল (বুধবার) ভোরে ডাক্তার আলীর বুলেটবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে সরকারিভাবে এই খবরের সমর্থন এখনও পাওয়া যায় নাই। গতকাল বুধবার প্রকাশিত খবরে আরো জানা যায় যে, ঢাকার বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী বদর বাহিনীর একটি দলের নেতা ও তাহার সহচরদের নাম জানা গিয়াছে। গত মঙ্গলবার এই ব্যাপারে রমনা থানায় একটি এজাহার দেয়া হইয়াছে। দলের সদস্যরা ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসার বিশেষ একটি দলের সহিত জড়িত। ইহাদের নেতা হইতেছে ধৃত সৈয়দ পুরুল হক। ইহারা বকশীবাজার এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করিয়াছিল।

 

 

প্রাসঙ্গিক উল্লেখযোগ্য তথ্যসূত্রঃ

 

ক. মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা; তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার; প্রকাশকালঃ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২।

খ. মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক তালিকা; বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যালয় বিএমএ ভবনে(তোপখানা রোড, ঢাকা) শোভিত স্মৃতিফলকে উৎকীর্ণ। (পরিশিষ্ট দ্রষ্টব্য)

গ. শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মারকগ্রন্থ; প্রকাশনাঃ বাংলা একাডেমী; ১ম পুনর্মুদ্রণ, প্রকাশকালঃ পৌষ ১৪০০, জানুয়ারি ১৯৯৪; পৃ. ৬৫।

 

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ   ২২৩

Reference:  মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ – বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ