You dont have javascript enabled! Please enable it! মুক্তিযুদ্ধের বহুমাত্রিকতা | মুনতাসীর মামুন - সংগ্রামের নোটবুক

মুক্তিযুদ্ধের বহুমাত্রিকতা | মুনতাসীর মামুন

মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ এলে সব সময় ১১টি সেক্টরের কথা চলে আসে। মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত বইগুলােতেও সব সময় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ১১টি সেক্টরের। ১১টি সেক্টর গুরুত্ববহ তাে বটেই। কারণ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল ১১টি সেক্টরের মাধ্যমে। বাংলাদেশ ১১ জন সেক্টর কমান্ডারের অধীনে পুরাে দেশ ভাগ করে দিয়েছিলেন। সেক্টর কমান্ডারদের অধীনেই যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে যদি খালি ১১টি সেক্টরের কথাই বলি, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অসম্পন্ন থেকে যায়।

আমরা ১৯৭১ সালের আগে বিজয় দেখিনি, যুদ্ধজয় তাই আমাদের কাছে বড় ঘটনা। আর যুদ্ধে বিজয়ী না হলে তাে আমরা স্বাধীনও হতাম না। কিন্তু শুধু গেরিলা। ও সম্মুখযুদ্ধের মাধ্যমেই কি একটি দেশ স্বাধীন করা যায়? তাহলে তাে মিয়ানমার, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও লাতিন আমেরিকায় যে দীর্ঘ যুদ্ধ চলছে (গেরিলা ও মাঝেমধ্যে সম্মুখযুদ্ধ) ‘স্বাধীনতাকামী’ সরকারি ভাষায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের, তাহলে তারা ‘স্বাধীনতা পায়নি কেন বা সম্পূর্ণভাবে জয়ী হতে পারেনি কেন? এটা ঠিক, একেকটি দেশের পরিস্থিতি একেক রকম। কিন্তু মূল কথা অর্থাৎ যুদ্ধের ব্যাপারটা তাে থেকেই যায়।

এ পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখার পদ্ধতি পর্যালােচনা করা উচিত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ ছাড়াও আরও কয়েকটি অনুষঙ্গ জোরালাে ভূমিকা পালন করেছিল। এই অনুষঙ্গগুলােকে একত্রে কখনাে পর্যালােচনা করা হয়নি। করা হলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিন্নমাত্রা পেত, সম্পূর্ণও হতাে। এখানে সেই অনুষঙ্গগুলাে পর্যালােচনা করব।

অবরুদ্ধ দেশ ও মুক্তিযুদ্ধ বা অবরুদ্ধ দেশের মানুষ ও মুক্তিযােদ্ধা শরণার্থীদের নয়টি মাস উজ্জীবিত করে রেখেছিল, বাঁচিয়ে রেখেছিল স্বাধীন বাংলা

২৮৩

বেতার কেন্দ্র। বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে যুদ্ধ-আব্দুল্লাহ আল ফারুকের ভাষা অনুযায়ী ধরে নিতে পারি, ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালেই এর যাত্রা শুরু এবং ২৬ মার্চ দুপুরেই এমএ হান্নান বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘােষণা প্রচার করেন। যে জিয়াউর রহমানের ঘােষণার কথা বারবার বলা হচ্ছে, সে জিয়াউর রহমানের ঘােষণা স্বাধীন বাংলা বেতারের প্রচারিত চার-পাঁচটি ঘােষণার পরের ঘােষণা। যাক, সেটি আলােচ্য বিষয় নয়। 

অনুষ্ঠানের জন্য স্বাধীন বাংলা বেতার প্রচারিত হতাে সন্ধ্যার সময়। তখন রেডিও, ট্রানজিস্টরের তেমন চল ছিল না। আমরা সােবহানবাগে মিরপুর থেকে প্রথমে আশ্রয় নিয়েছিলাম। মিনিট দশেক দূরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল একটি ট্রানজিস্টর। যখন জানলাম তা চালু হয়েছে, তখন মাঝেমধ্যে আমি ও আমার চাচা ড. বােরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর সন্ধ্যার পর অন্ধকার পার হলে রাস্তার ঢালুতে প্রায় হামাগুড়ি দিয়ে চলে ওই বাসায় পৌছাতাম। সেখানে মুক্তিযােদ্ধাদের জয় বা কোনাে আক্রমণ আমাদের বেঁচে থাকার আগ্রহ বাড়িয়ে দিত। চরমপত্রের মতাে আর কোনাে কথিকা বাংলাদেশে গত ৭০ বছরে এমন জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। আর গান-সেই সব গান ‘জয় বাংলার জয়’ বা ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’ মাতােয়ারা করে দিত। এখনাে ৪৫ বছর আগের এই গানগুলাে যখন শুনি, তখন মন কেমন করে ওঠে। স্বাধীন বাংলা কেন্দ্র প্রচারিত ওইসব গান যে কী অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল মানুষের মনে! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিবিসির ভূমিকা ছিল যেমন, ১৯৭১ সালেও স্বাধীন বাংলা বেতার, বিবিসি ও আকাশবাণীর ভূমিকা ছিল তেমন। ড. জাকির হােসেন রাজু তার একটি প্রবন্ধে স্বাধীন বাংলা বেতারকে ‘নেশন অন এয়ার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। বলা যেতে পারে, একটি জাতিরাষ্ট্রের ধারণা জোরদার করা ও একটি জাতি-রাষ্ট্র গঠনে স্বাধীন বাংলা বেতার খানিকটা হলেও ভূমিকা পালন করেছে।

এই ১২ নম্বর সেক্টর নিয়ে কিছু আত্মস্মৃতি, গ্রন্থ লেখা হয়েছে। তারপরও এর অভিযান নিয়ে গবেষণার অবকাশ আছে। এর গুরুত্ব অনুধাবন করে ঢাকায় জাতীয় জাদুঘর স্বাধীন বাংলা বেতার নিয়ে একটি কক্ষে প্রদর্শনীর উদ্বোধন। করেছে।

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জয়লাভের আরেকটি কারণ, বিদেশি রাষ্ট্রগুলাের সিভিল সমাজ, চীন, আমেরিকা, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান অধ্যুষিত দেশগুলাের সরকার বাংলাদেশকে সমর্থন করেনি। কিন্তু সেসব দেশসহ সারা বিশ্বের সিভিল সমাজ বাংলাদেশকে সমর্থন করেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের কথা ধরা যাক। সারা ভারতের সিভিল সমাজ, বিশেষ করে বাঙালিরা এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশের জন্য। সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলােতে শরণার্থীর চাপ সহ্য করেছে সাধারণ মানুষ।

২৮৪

স্কুলছাত্র, শ্রমিক, সাধারণ মানুষ, লেখক, শিল্পী-কে আসেননি বাংলাদেশের পক্ষে! আমেরিকায় জর্জ রবিশঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসনের কনসার্ট, জোন বেজের গান। উদ্বেলিত করেছে সারা বিশ্বের মানবতাবাদী মানুষকে। ইন্দোনেশিয়ার ছাত্ররা রাস্তায় নেমেছে। পাপুয়া-নিউগিনি থেকে বাঙালি কবিদের কবিতার অনুবাদ সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। ভিক্টোরিয়া ওকাম্পাে, হাের্হে লুই বাের্জেস, ফ্রান্সের আন্দ্রে মালরাে প্রমুখ এগিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের জন্য। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার এই বিদেশিদের মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা প্রদান করেছে।

সামগ্রিকভাবে বিদেশি এই সিভিল সমাজের সমর্থন নিয়ে কোনাে গবেষণা হয়নি। বিচ্ছিন্ন কিছু আলােচনা হয়েছে মাত্র। এই বিদেশি সিভিল সমাজকে উল্লেখ করতে চাই ১৩ নম্বর সেক্টর হিসেবে। এই নামে আমার একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধে ১১টি সেক্টরের যােদ্ধারা ছাড়াও অনেকে যুদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কমপক্ষে ২৫টি বাহিনী যুদ্ধ করেছে। বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়ভাবে বাহিনিগুলাে গড়ে উঠেছিল। যেমন-কাদেরিয়া বাহিনী, হেমায়েত বাহিনী, আফসার বাহিনী প্রভৃতি। বিভিন্ন অঞ্চলে চোরাগােপ্তা হামলা চালিয়ে তারা হানাদার পাকিস্তানিদের ব্যতিব্যস্ত রেখেছে। পাকিস্তানি বাহিনীকে একইসঙ্গে তাদের ও ১১ সেক্টরের যােদ্ধাদের মােকাবিলা করতে হয়েছে। এই বাহিনীগুলাের কারণে মুক্তি ত্বরান্বিত হয়েছে। আশ্চর্য এই যে, এ যােদ্ধারা এখনাে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাননি। মুক্তিযােদ্ধাও বলা হয় না তাদের। ১১টি সেক্টরের যােদ্ধা থেকে তাদের অবদান কোনাে অংশেই কম নয়। তারাও মুক্তিফৌজের অংশ। এই যােদ্ধাদের মধ্যে কাদের সিদ্দিকী ছাড়া রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হয়তাে দু-একজন পেয়েছেন। এ অধ্যায়টি অনালােচিত ও উপেক্ষিত। এ ক্ষেত্রটি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হওয়া উচিত। স্থানীয় এই কাহিনিগুলােকে উল্লেখ করতে চাই ১৪ নম্বর সেক্টর হিসেবে।

অবরুদ্ধ দেশ বা অবরুদ্ধ দেশের সাধারণ মানুষ এবং পাকিস্তানি আটকেপড়া বাঙালিদের নিয়ে সামগ্রিকভাবে কেউ গবেষণা করেননি। অবরুদ্ধ দেশের মানুষ ও পাকিস্তানে আটক বাঙালিদের সব সময় হেয় করা হয়েছে ১৯৭২ সাল থেকে। আটকেপড়া বাঙালিদের স্থূলকে লেখা এক প্রবন্ধে অধ্যাপক আমেনা মহসীন উল্লেখ করেছেন ‘পলিটিকস অব লেবেলিংয়ের কারণ। আমি পলিটিকস না বলে ডেস্টেড ইন্টারেস্ট শব্দটা উল্লেখ করতে চাই।

মুক্তিযােদ্ধাদের যখন সার্টিফিকেট ও বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়, তখন থেকেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এই সুবিধা বিশেষ স্বার্থের সৃষ্টি করেছিল। এ ছাড়া তখন অবরুদ্ধ দেশের মানুষকে হেয় করা হয়েছে, অনুকম্পা দেখানাে হয়েছে। এ মনােভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি অবরুদ্ধ মানুষজনের মনে তিক্ততার সৃষ্টি করেছিল।

২৮৫

বাংলাদেশে ও পাকিস্তানে বাঙালিরা হানাদার বাহিনীর বেয়ােনেটের সম্মুখেই ছিলেন। তারপরও তারা মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেছেন। এ দেশে যেমন কিছু বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের বিরােধিতা করেছে, সেখানেও কিছু বাঙালি ফেরত আসতে চায়নি। পাকিস্তানে আটক বাঙালিদের অনেকে পালিয়ে দেশে ফিরতে পেরেছেন। অন্যদের কনসেস্ট্রেশন ক্যাম্পের মতাে অবস্থায় রাখা হয়েছে। কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের অবস্থা হয়তাে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের জন্য তৈরি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের মতাে ছিল না। কিন্তু মনােভাবটি এ রকমই ছিল। প্রবল অত্যাচার তাদের ওপর করা হয়নি একটি কারণে যে, তাদের জনবন্দি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আটক বাঙালিরা আমার সােনার বাংলা গেয়েছেন হানাদার প্রহরীদের সামনেই। বাংলাদেশের জয় চেয়েছেন, দেশে ফিরতে চেয়েছেন।

বাংলাদেশে আটক বাঙালিদের অবস্থা ছিল ভয়াবহ। প্রতিটি মুহূর্ত ছিল মৃত্যুর মুহূর্ত। গেরিলারা এসেছে, আশ্রয় পেয়েছে সাধারণ মানুষের ঘরে। হানাদার পাকিস্তানিরা খবর পেয়ে সেই গ্রামে গণহত্যা চালিয়েছে। গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে। এ ধরনের ঘটনা অজস্র। তারপর একেবারে তৃণমূলের মানুষ গেরিলা ও স্থানীয় বাহিনীকে আশ্রয় দিয়েছে, খাবার জুগিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য জোগাড় করে দিয়েছে, মানুষের মনােবল অক্ষুন্ন রাখার জন্য গােপনে পত্রিকা প্রকাশ করেছে। মাও সে তুং বলেছিলেন, ‘গেরিলারা হবে জলে মাছের মতাে। বাংলাদেশেও ঠিক একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। এই সাধারণ মানুষজনের বীরত্বের কথা কেউ লেখেননি। ইতিহাসের পদ্ধতি মেনে তাদের অবদান নিয়ে গবেষণা হয়নি। অথচ এই মানুষজন না থাকলে গেরিলা যুদ্ধ হতাে কীভাবে?

কিছু লােক ছাড়া পুরাে দেশের মানুষ ছিল হানাদার পাকিস্তানিদের বিপক্ষে। এ রকম শত্রুভাবাপন্ন সাধারণ মানুষ, গেরিলা ও স্থানীয় বাহিনীর মােকাবিলা করা পাকিস্তানিদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। তারা হাল ছেড়ে দিয়েছিল। মনােবল ভেঙে পড়ছিল। পরাজয় তাদের সুনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল। একটি দেশের অধিকাংশ মানুষ যদি মুক্তিযােদ্ধা হয়ে ওঠে, তাহলে সে দেশ অধিকারে রাখা যায় না। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তা-ই ঘটেছিল। তাদের উপেক্ষা করা মানে মুক্তিযুদ্ধকে উপেক্ষা করা। তাই অবরুদ্ধ দেশের মানুষজনকে বলতে চাই ১৫ নম্বর সেক্টর ও আটকেপড়া বাঙালিদের ১৬ নম্বর সেক্টর।

আরেকটি সেক্টরের কথা উল্লেখ করতে হয়। সেটি হলাে ১৭ নম্বর সেক্টর। প্রবাসী বাঙালিরা কী ঐকান্তিক নিষ্ঠা নিয়ে প্রথম দিন থেকেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে ও যুক্তরাষ্ট্রে। তাদের মধ্যে অনুগত বাঙালি কূটনীতিকবৃন্দও। প্রবাসী বা বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধ পরিচালনা করেছে। তাই সেটি

২৮৬

মূল বা আলাদা বিষয়। সেক্টরগুলাের সমন্বয় তারাই করেছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য দেশ ছাড়াও ভারতে আশ্রয় নেওয়া বুদ্ধিজীবী, খেলােয়াড়রাও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। এই ১৭ নম্বর সেক্টর জনমত গড়ে তুলেছে বিশ্বব্যাপী, অর্থ সংগ্রহ করেছে, অস্ত্র সগ্রহ করেছে, পাকিস্তান সরকারকে বিপাকে খেলেছে। এই সেক্টর নিয়ে দু-একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তবে ব্যাপক গবেষণার অবকাশ আছে। 

মুক্তিযুদ্ধ একরৈখিক কোনাে বিষয় নয়, বহুমাত্রিক। এই বহু মাত্রিকতা ধরতে গেলে ১১টি সেক্টরের সঙ্গে বাকি ৬টি সেক্টরকেও বিবেচনা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বহুমাত্রিকতা উপস্থাপন করতে হলে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ সরকার ও ১৭টি সেক্টর নিয়ে অবশ্যই আলােচনা করতে হবে। না হলে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আলােচনা বা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

আজ সময় এসেছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চাকে নতুনভাবে দেখার। নতুন জেনারেশনের ঐতিহাসিক বা লেখকরা সে কাজ নিশ্চয়ই সম্পন্ন করবেন। না হলে ওই বহুমাত্রিকতা উপেক্ষিত হবে। সেটিই আমাদের জেনারেশনের কাম্য নয়।

আমাদের সময় 

৩১.০৩.২০১৭

২৮৭

Reference – জয়বাংলা যেভাবে ছিনতাই হয়ে গেছে যায় – মুনতাসীর মামুন