শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
কিসিঞ্জার ও এম এম আহমেদ এর বৈঠকঃ পাক-ভারত পরিস্থিতি ও উদ্বাস্তু সমস্যা আলোচিত হয়েছে | দৈনিক পাকিস্তান | ৯ জুলাই, ১৯৭১ |
কিসিঞ্জার-এম এম আহমেদ বৈঠকঃ
পাক-ভারত পরিস্থিতি ও উদ্বাস্তু সমস্যা আলোচিত হয়েছে
ইসলামাবাদ, ৩রা জুলাই (এপিপি)।- প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জনাব এম এম আহমেদ ও পররাষ্ট্র সেক্রেটারী জনাব সুলতান মোহাম্মদ খান আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ হেনরী কিসিঞ্জারের সাথে ৬২ মিনিট স্থায়ী বৈঠকে মিলিত হন। তারা এই বৈঠকে উপমহাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানের এই দু’জন উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তা আজ বিকেলে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্টের অতিথিশালায় ডঃ কিসিঞ্জারের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। যুক্তরাষ্ট্রের নিযুক্ত পাকিস্তানী রাষ্ট্রদূত জনাব আগা হিলালী ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিঃ জোশেফ এম ফারল্যান্ড আলোচনাকালে উপস্থিত ছিলেন।
ভারতে যে সব পাকিস্তানী উদ্বাস্তু রয়েছে তাদের প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থার জন্য পাকিস্তান সরকার নিজে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন বৈঠকে তারা সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে।
সাম্প্রতিক গোলযোগের সময় যারা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে গেছেন তাদের মধ্যে যে সব প্রকৃত পাকিস্তানী নাগরিক তাদেরকে দেশে ফিরে আসার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া গত ২১শে মে থেকে বারবার ব্যক্তিগতভাবে আবেদন জানিয়েছেন। পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এরপর সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শনের ঘোষণা দেন। সীমান্ত বরাবর এলাকায় চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ অনেকগুলো অভ্যর্থনা শিবির স্থাপন করা হয়। যা হোক ভারত স্বীয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার মতলবে উদ্বাস্তু সমস্যাকে কাজে লাগাবার জন্যে উদ্বাস্তুদের পাকিস্তানে ফিরে আসতে বাধা দিচ্ছে বলে জানা গেছে। আরো জানা গেছে যে, পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনীতির যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা পূরণের প্রয়োজনীয়তা বিষয়েও পর্যালোচনা করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তান থেকে দুষ্কৃতিকারী, বিদ্রোহী ও রাষ্ট্রদোহীদের নির্মূল করার পর ক্রমে ক্রমে সেখানকার অর্থনৈতিক জীবনের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
ডঃ কিসিঞ্জারের সাথে পাকিস্তানী কর্মকর্তাদের এই বৈঠকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পরিস্থিতিও আলোচিত হয়েছে।
ডঃ কিসিঞ্জার পাকিস্তানী কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার পর পাকিস্তানের সমস্যা সম্পর্কে সম্যক ধারণা গড়ে তুলতে পারবেন এবং তা প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে জানাতে পারবেন বলে এখানকার পর্যবেক্ষক মহল আশা করছেন।