শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
প্রেরিত চাঁদার রসিদ চেয়ে লিবিয়া থেকে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে লেখা চিঠি | এ্যাকশান কমিটির দলিলপত্র | ১৭ অক্টোবর, ১৯৭১ |
AL-MAARJ HOSPITAL
AL-MARJ(BRACE),LIBYA
17.10.71
জনাব চৌধুরী সাহেব,
আমার সালাম নেবেন। অনেকদিন পূর্বে আপনার কাছে চিঠি লিখে জানিয়েছিলাম যে আমি এবং ডাঃ মোঃ আবদুস সালাম ১০০ স্টার্লিং পাউন্ড বাংলাদেশ ফান্ডে পাঠিয়েছি। ব্যাংকের পক্ষ থেকে ১০০ পাউওন্ডের রসিদ পেয়েছি। কিন্তু আপনাদের কাছ থেকে রসিদ পেলাম না। রসিদের কোন প্রয়োজন ছিল না; কিন্তু যেহেতু মাহবুব পেয়েছেন বাংলাদেশ গভর্ন্মেন্টের পক্ষ থেকে সেহেতু আমাদেরও দরকার এবং বিশেষ করে আমার আবদুর রহমান ও ডাঃ নুরুল আলম চৌধুরীর প্রত্যেকে ৫০ পাউন্ড করে পাঠিয়েছেন। তারাও রসিদ পাননি। এ ব্যাপারে একটু ত্বরান্বিত না হলে অসুবিধা আছে। রসিদ তাড়াতাড়ি দিলে টাকা সংগ্রহও তাড়াতাড়ি হবে।
আপনাদের কাছ থেকে কাগজপত্র রীতিমত পাচ্ছি, সেজন্য আপনাদের সকলকে জানাই মোবারকবাদ। আরবীতে অনুদিত বইপত্র পাঠাতে পারলে খুব ভাল হয়। কোন ব্যাপারেই আমরা চেষ্টার ত্রুটি করছি না।
… হাসপাতালে ডিউটি করছি আর চিঠি লিখছি। একই চিন্তা-কিভাবে আমাদের দুঃখ-দুর্দশা ঘুচবে এবং আমাদের সন্তান-সন্তানিরা মুক্ত হাওয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করবে, স্বাধীনভাবে চিন্তা করবে, কথা বলবে। ঐ দিনের প্রতীক্ষায় রইলাম যেদিন পরম আল্লাহতালা জালিমের শাস্তি দিয়ে নিরপরাধ জনসাধারণকে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেবেন……।
জয় বাংলা
ডাঃ এ, কে, এম, আবদুল হাফিজ
justice abu sayeed chowdhury
11, Goring St. London EC 3 U.K.