You dont have javascript enabled! Please enable it! 1958.10.07 | সামরিক আইন জারি ও জেনারেল মীর্জা কতৃক ক্ষমতা দখল | সরকারি - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র  তারিখ
সামরিক আইন জারি ও জেনারেল মীর্জা কতৃক ক্ষমতা দখল  সরকারি ৭ ই অক্টোবর, ১৯৫৮

 

সামরিক শাসন জারিঃ
রাষ্ট্রপতির (ইস্কান্দর মির্জা) ঘোষণা

অক্টোবর ৭, ১৯৫৮
আমি গভীর উদ্বেগের সাথে দেখতে পাচ্ছি গত দু’বছর ধরে ক্ষমতার জন্য নির্মম বিবাদ, দুর্নীতি এবং আমাদের সাধারণ, সৎ, দেশপ্রেমিক ও কর্মঠ জনসাধারণের উপর লজ্জাজনক শোষণ, শালীণতার অভাব এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের স্বার্থে ইসলামের অবমাননা চলছে। এর তো অন্যথাও হতে পারত। সংখ্যালঘু হিসেবে দেশের ঘটনা প্রবাহেতারা তাদের প্রভাব জাহির করতে ব্যর্থ হয়ে আসছে।
এ ধরনের ঘৃণ্য কার্যক্রম নিম্ন শ্রেণীর দুঃসাহসীদের একনায়কতন্ত্রের দিকে ধাবিত করেছে এবং শোষকগন তাদের জঘন্যচামচার দ্বারা জনগণের ব্যাপক ক্ষতি সাধন কোরে তার বিপুল সম্পদের অধিকারী হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
আমাদের বারংবার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও খাদ্য সংকট নিরসনে কোন প্রকার উদ্যেগ গৃহীত হয় নি। আমাদের মত একটি দেশে, যেখানে খাদ্য হওয়া উচিত ছিল উদ্বৃত্ত সেখানে বরাবরই তা জীবন মরণ সমস্যা। কৃষি এবং ভূমি রাজনীতির হাতের ক্রীড়ানকে পরিণত হয়ে গিয়েছে, সুতরাং এমন অবস্থায় কোন রাজনৈতিক দলের জন্ম কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ সৃষ্টি করতে পারবে না।
অপরদিকে পূর্ব পাকিস্থানে খাদ্য, ঔষধ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসমূহের চোরাচালানী কারবার চলছে। সেখানকার জনসাধারণকে উক্ত কারণে সৃষ্ট নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসনূহেরকৃত্রিম সংকট এবং দ্রব্যমূল্যের উরধগতির কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর যাবত খাদ্য আমদানী ব্যয় আমাদের বৈদেশিক বিনিয়োগ আয় খাতের একটি নিয়ত অপব্যয় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে, যার দরুণ সরকার বাধ্য হচ্ছে অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন করমসূচীসমূহ সংক্ষিপ্ত করতে।
কতিপয় রাজনীতিবিদ রক্তাক্ত সংগ্রামের কথা বলে আসছেন। তাদের মাঝে আবার কিছু দুঃসাহসীগণ বিদেশী রাষ্ট্রে গিয়ে তাদের সাথে মিত্রতার চেষ্টা করছেন যা একমাত্র ষড়যন্ত্রের নামান্তর।
লজ্জাজনক দৃশ্য
পূর্ব পাকিস্থান এসেম্বলীতে সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া লজ্জাকর ঘটনার সম্বন্ধে সবাই অবহিত আছেন। আমাকে বলা হয়েছিল যে এ ধরণের ঘটনা অবিভক্ত বাংলায় খুবই নৈমিত্তিক ব্যাপার। তারা এমনই ছিল কিনা, কিন্তু এটা কখনোই সভ্য পদ্ধতি নয়। আপনি কখনোই স্পীকারকে মারধর, ডেপুটি স্পীকারকে হত্যা এবং নিজ দেশের পতাকাকে অপবিত্র করার মাধ্যমে নিজ দেশের মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন না।
রাজনৈতিক দলগুলোর মানসিকতা এত নীচে নেমে গেছে আমি এখন আর বিশ্বাস করতে পারছি না যে ,কোন নির্বাচন বর্তমানের অভ্যন্তরীণ এই নৈরাজ্যজনক অবস্থার উন্নয়ন করতে পারে এবং একটি শক্তিশালী সরকার এই ধরনের অসংখ্য সমস্যার মোকাবিলা করতে পারবে ।আমরা তো আর চাঁদ থেকে মানুষ আনতে পারব না ।এই একই জনগোষ্ঠী যারা পাকিস্তানকে ধ্বংসের প্রান্তে নিয়ে এসেছে তারা নিজেদের স্বার্থে নির্বাচনে কারচুপি করবে ।
তারা প্রত্যার্বতন করবে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ,কারণ আমি নিশ্চিত এই নির্বাচনের প্রতিযোগীতা হবে প্রধানত ব্যক্তিগত ,প্রাদেশিক এবং উপদলের ভিত্তিতে ।তারপর যখন তারা ফিরে আসবে , পুনরায় একই পদ্ধতি ব্যবহার করে গণতন্ত্রের দুঃখজনক প্রহসন করবে যা বর্তমানের দেশব্যাপী সর্বত্র নৈরাশার কারণ ।

আনুগ্যতের পালাবদল

যাই হোক ,প্রশাসন যতই চেষ্টা করুক না কেন ,আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে হারে চাতুকারিতা এবং ক্ষমতা দখলের অবিরাম অনৈতিক চর্চা চলছে তাতে করে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ হবে না । তারা কখনই আমাদের সমস্যার সমাধান করবে না । বরং তারা সার্বজনীন অশান্তি এবং হতাশার সৃষ্টি করবে যা আমাদের একটি রক্তাক্ত অভূত্থানের দিকে নিয়ে যাবে । সম্প্রতি আমরা করচি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নির্বাচন দেখেছি । যেখানে ২৯ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন যার মধ্যে ৫০ শতাংশ ছিল জাল ভোট ।এককেন্দ্রীক ব্যবস্থা ভাঙ্গা এবং বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবক সংস্থাগুলো টিকিয়ে রাখার জন্য হুমকি দেয়া হয়েছে । এ ধরণের অর্ন্তঘাতমূলক মনোভাব তাদের দেশপ্রেম,তাদের নেতা ও সাঙ্গপাঙ্গদের সংকীর্ণ উদ্দেশ্য সাধনের পরিচয় বহন করে ।আমাদের বৈদেশিক নীতি দেশপ্রেমের চেতনা থেকে নয় বরং স্বার্থানে্‌বষী মনোভাব থেকে অবিবেচক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন সমালোচনার শিকার হচ্ছে । এ ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই একাজটি করেছেন । আমরা সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই । কিন্তু রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খাগুলো সোভিয়েত ইউনিয়ন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও গ্ণচীনের মত দেশগুলোর সাথে ভুল বোঝাবুঝি ও শত্রুতা সৃষ্টি করে । নিশ্চিত হার জেনেও তারা ভারতের বিরুদ্ধে তর্জন গর্জন করে ।বৈদেশিক নীতিকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো যতটা অবহেলার চোখে দেখে পৃথিবীর আর কোথাও সেভাবে দেখা হয় না । এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটাতে ,আমি বারবার খোলাখুলিভাবে বলছি আমরা এমন একটি নীতি অনুসরণ করব যা আমাদের আকাঙ্খা এবং ভৌগলিক চাহিদা মেটাবে । আর্ন্তজাতিক অঙ্গীকারগুলোর প্রতি সম্মান দেখিয়েই আমরা পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি ,যা সবাই জানে । এবং এই অশান্ত পৃথিবীতে যুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমনে শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে আমরা সঠিক ভূমিকা রেখেছি । বিগত তিন বছর যাবৎ গণতান্ত্রিকভাবে শাসনতন্ত্র চালানোর জন্য আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি । প্রশাসনকে স্থিতিশীল করা এবং জনগণের দাবী অনুসারে দেশ চালাতে আমি সমঝোতার পর সমঝোতার চেষ্টা করছি ।আমার সমালোকরা তাদের বহুচর্চিত মিথ্যাচারের মাধ্যমে আমার এই প্রচেষ্টাগুলোকে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করছিল ।সবকিছুর দায় রাষ্ট্রপতির উপর চাপানো এখন একটি রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে ।যেমন সেদিন একজন সুশীল বলছিল ,” আতিবৃষ্টি যেমন রাষ্ট্রপতির দোষে হয় তেমনি অনাবৃষ্টির জন্যেও রাষ্ট্রপতি দায়ী ।কেবল মাত্র আমিই যদি উদ্বিগ্ন হতাম ,তবে তাদের নিন্দা বাক্য ঘৃণার সাথে গ্রহণ করতাম যা তাদের প্রাপ্য । কিন্তু এইসব বিশ্বাসঘাতক ও দেশের জন্য ক্ষতিকর বস্তুর অভিপ্রায় হচ্ছে রাষ্ট্রের
প্রধানকে আক্রমণ করে পাকিস্তান ও এই সরকারের মর্যাদা নষ্ট করা । তারা এই বিষয়ে অনেকদূর এগিয়েছে ,যদি তাদের এই কার্যধারা অব্যহত থাকে তবে তারা তাদের সার্বিক উদ্দেশ্য সাধনে সফল হবে ।

জনতার মোহমুক্তি

আভ্যন্তরীণ বিষয় সর্ম্পকে আমার মূল্যায়ন আমাকে এই বিশ্বাসে নিয়ে যাচ্ছে যে জনসংখ্যার বিশাল অংশের,বর্তমান সরকার ব্যবস্থার উপর আর আস্থা নেই । উত্তোরোত্তর তাদের মোহমুক্তি ঘটছে এবং অসন্তোষ বাড়ছে ।এবং যেভাবে শোষিত হচ্ছে তার উপর তারা তীব্রভাবে ক্ষুব্ধ । তাদের এই অসন্তোষ ও রিক্ততা সর্মথনীয় । নেতাগণ তাদেরকে সেই ধরণের সেবা দিতে ব্যর্থ যা তাদের প্রাপ্য । এবং তারা এটা প্রমান করেছে ,জনগণ যে সকল বিষয়ে তাদের উপর নির্ভর করত সে সকল বিষয়ে তারা অদক্ষ । অনেক বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও ২৬মার্চ ,১৯৫৬ সালে যে সংবিধান কার্যকরী করা হয়েছিল ,তা কার্যক্ষেত্রে তা অনুপযোগী । এটা বিপদজনক আপোষ সম্বলিত যা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সংহতি অতিসত্ত্বর নষ্ট করবে যদি না তা দূর করা যায় ।তার জন্য দেশকে প্রথমে শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের মাধ্যমে সদ্ববিবেচনা করতে হবে । রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যাগুলোকে পরীক্ষা করার জন্য দেশপ্রেমিক একত্রিত করার অভিপ্রায় ছিল এবং আরও যর্থাথ সংবিধান তৈরী করা যা আমার প্রতিভাবান মুসলমানদের জন্য উপযুক্ত । যখন তা প্রস্তুত তখন জনগণের সামনে উত্থাপিত হবে গণভোটের জন্য ।

প্রধানতম দায়িত্ব

বলা হয় যে সংবিধান পবিত্র । কিন্তু সংবিধান বা অন্য যে কিছুর চেয়ে দেশ ,তার জনগ্ণের কল্যাণ ও সুখ বেশি পবিত্র ।রাষ্ট্রের প্রধান হয়ে সৃষ্টিকর্তা এবং জনগণের সামনে আমার সর্বপ্রথম দায়িত্ব হচ্ছে পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষা করা ,যা গভীরভাবে হুমকির সম্মুখীন বিশ্বাসঘাতকদের নির্মমতা ও রাজনৈতিক ধৃষ্টতাকারীদের দ্বারা । বর্তমান ব্যবস্থার দ্বারা গঠিত কোন সরকার তাদেরকে ব্যক্তিস্বার্থ , ক্ষমতার তৃষ্ণা ও দেশপ্রেমহীন আচরণ থেকে বিরত রাখতে পারবে না । দেশ ধ্বংসাত্বকমূলক কার্যক্রমে দর্শক থেকে আমিও আর সয্য করব না । অত্যন্ত গভীর ও শঙ্কাজনক চিন্তার পর আমি এই দুঃখজনক সিদ্ধান্তে ঊপনীত হয়েছিূ যে , আমি আমার কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হতাম যদি না পাকিস্তানের সম্পূর্ন ভাঙ্গন ঠেকাতে আমার দৃষ্টিতে অবশ্যম্ভাবী এই পদক্ষেপগুলো না নিতাম । কাজেই আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে ঃ
ক ) ২৩ মার্চ,১৯৫৬ সালের সংবিধান রদ করা হবে ।
খ ) কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার অতিসত্ত্বর বরখাস্ত করা হবে ।
গ) জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙ্গে দেওয়া হবে ।
ঘ ) সকল রাজনৈতিক দল রহিত করা হবে ।
ঙ ) যতক্ষ্ণ পর্যন্ত কোন বিকল্প ব্যবস্থা না নেওয়া যাচ্ছে পাকিস্তান থাকবে সামরিক আইনের অধীনে । আমি, সর্বাধিনায়ক পাকিস্তান আর্মি ,জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব খানকে নিয়োগ দিচ্ছি প্রধান সামরিক শাসক হিসেবে এবং পাকিস্তানের সকল সামরিক বাহিনীকে তার অধীনে নিয়োগ দিচ্ছি

সশস্ত্রবাহিনিকে আহ্‌বান

পাকিস্তানের নির্ভীক সশস্ত্র বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলছি যে ,পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকে তারা এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকার দরুন আমি তাদের দেশপ্রেম এবং আনুগত্যের তারিফ করতে জানি । আমি বুঝতে পারছি ,আমি তাদের উপর বিশাল চাপ প্রয়োগ করছি ।তবুও সেনা কর্মকর্তা ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বলছি আপনাদের ভূমিকার উপর পৃথিবীর এই অংশে একটি স্বাধীন দেশ ও দুর্গ হয়ে উঠতে ভবিষ্যৎ পাকিস্তানের অস্তিত্ব নির্ভর করছে ।আপনাদের কাজ আপনারা করুন ,কোনরকম ভয় বা অনুগ্রহের আশা ব্যতীত ,আল্লাহ আপনাদের সহায় হন ।

পাকিস্তানের সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে ,একজন ভাই এবং স্বদেশপ্রেমী হিসেবে বলছি চরম খেদের সাথে নেয়া আমার আজকের এই পদক্ষেপ দেশ এবং সাধারণ জনগণ ,খাঁটি দেশপ্রেমিকদের স্‌বার্থের কথা চিন্তা করে নেয়া । আইনানুগ এবং দেশপ্রেমীদের বলছি আপনারা মুক্ত ও সুখী হবেন । রাজনৈতিক ধৃষ্টতাকারী, পাচারকারী , কালোবাজারী ও মজুতদাররা হবে অসুখী কারন তাদের কর্মকান্ডে তীব্র প্রতীরোধ গড়ে তোলা হবে । আর দেশদ্রোহীদের বলছি এ দেশ থেকে পালানোর জন্য যদি তারা তা পারে ,কারণ পালানোই তাদের জন্য কল্যাণকর ।

——

আদেশের মূলপাঠ

১ । (১) এই আদেশগুলোকে ১৯৫৮’র আইনের আদেশ (ক্ষমতার ধারাবাহিকতা ) বলা যেতে পারে ।
(২) এক্ষুণি কার্যকর করা হবে এবং ৭,অক্টোবর ১৯৫৮’র এই ঘোষণাকে অবিলম্বে বাস্তবরূপে গণ্য করা হবে । অতঃপর ইহাকে ইস্তেহার হিসেবে জারি করা হবে ।
(৩) এটা সমগ্রদেশব্যাপী কার্যকর হবে ।
২। (১) ২৩ মার্চ ,১৯৫৬ সংবিধান রদ করা সত্ত্বেও ইহাকে পূর্ববতী সংবিধান হিসেবে ইস্তেহারে উল্লেখ করা হয়েছে ,প্রেসিডেন্টের অধীনে বা গণতন্ত্রের সামরিক আইনের প্রধান প্রশাসকের বিধি নিষেধ দ্বারা । এবং পাকিস্তান তার পূর্ববতী সংবিধানের যথাসম্ভব অনুরূপে শাসিত হবে ।
(২) পূর্বোক্ত বিষয়ে , বর্তমানে বিদ্যমান সকল আদালত ইস্তেহার ঘোষণার ঠিক পূর্বের মত কার্যকর থাকবে । এই আদেশের বিধানগুলোও তাদের ক্ষমতার ও এক্তিয়ারের অধীনে থাকবে ।
(৩) সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক প্রণীত আইনগুলো পাকিস্তানের সকল আদালত মানতে বাধ্য থাকতে ।
(৪) সর্বোচ্চ আদালত এবং উচ্চ আদালত কর্তৃক habeas Corpus, mandamus ,prohibition ,quo warranto and certiorari ,এই সকল বিষয়ে রিট জারি করার ক্ষমতা থাকতে হবে ।
(৫) সামরিক আইনের প্রধান প্রশাসক ,সহকারী প্রধান প্রশাসক অথবা তাদের অধীনের কোন ব্যক্তি যারা ক্ষমতা ও এক্তিয়ারের প্রয়োগ করছে তাদের বিরুদ্ধে কোন রিট জারি করতে পারবে না ।
(৬)যেথায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে রিট জারি করার প্রয়োজন পড়বে তা করা হবে পূর্বোক্ত ধারায় বর্ণিত কর্তৃপক্ষ দ্বারা , এই অনুচ্ছেদের ৪ নং ধারায় বর্ণিত নিয়মানুসারে । আদালত এই বিষয়ে কোন রিট জারি করতে পারবে না ,তা সত্ত্বেও আইনের প্রসঙ্গে আদালত তার মতামত কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবে ।
(৭) এই আদেশের ঘোষনা ও ইস্তাহারের মধ্যবর্তী সময়ে সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক জারিকৃত বা প্রদানকৃত সকল আদেশ এবং বিচার বৈধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হল এবং পাকিস্তানের সকল আদালত ও কর্তৃপক্ষ তা মানতে বাধ্য ।কিন্তু এ নির্দেশ এবং আইনসমূহ সংরক্ষণে , ইস্তেহার পরবর্তী যে কোন রিট অথবা আইন এর কার্যকারীতা থাকতে পারবেনা ,যদি না তা এই নির্দেশের দ্বারা প্রণীত হয়ে থাকে । কোন রিটের উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা সকল পদক্ষেপ এবং এর প্রচলন অবিলম্বে বিলুপ্ত হয়ে যাবে না তা এর দ্বারা প্রণীত হয়ে থাকে ।

ফরমান জারির পর কোন রিট শুধুমাত্র তখন ই কার্যকর হবে যদি এটা এই ফরমান দ্বারা উপলব্ধ হয় , এবং এমন কোন রিট এর সাপেক্ষে করা কোন আবেদন অবিলম্বে হ্রাস পাইবে ।
৩) কোন আদালত বা ব্যক্তিকে নিম্নোক্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উত্থাপন করা অনুমতি দেয়া হবে নাঃ
(১) ফরমান;
(২) ফরমান বা কোনো সামরিক আইন আদেশ বা সামরিক আইন প্রবিধান অনুসারে প্রদত্ত কোন আদেশ;

(৩) কোন অনুসন্ধান প্রাপ্ত তথ্য, রায় বা বিশেষ সামরিক আদালতের বা একটি সারসংক্ষেপ সামরিক আদালত প্রদত্ত আদেশ

৪) (১) আগের সংবিধান বাতিল এবং সামরিক আইন, সকল আইন, প্রয়াত সংবিধান ছাড়া অন্য প্রধান প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত প্রেসিডেন্ট বা প্রবিধান এর কোন আদেশ সাপেক্ষে, এবং সব অধ্যাদেশ, আদেশ-ইন-কাউন্সিল এতদসত্ত্বেও প্রয়াত সংবিধানের অধীন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত আদেশ ছাড়া অন্য আদেশ প্রয়াত সংবিধানের অধীন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত এই অর্ডার তফসিলে এই ধরনের আদেশ, বিধি, বাই-ল প্রবিধান, বিজ্ঞপ্তি ও অন্যান্য আইনগত বলবৎ যন্ত্র পাকিস্তানে বা উহার বা অতিক্ষেত্রিক বৈধতা থাকার কোন অংশে, অবিলম্বে ঘোষণার আগে, যতদূর প্রযোজ্য এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে যেমন প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ করার অধিকার বলবত্ থাকিবে, যতক্ষণ রদবদল রহিত বা উপযুক্ত দ্বারা সংশোধিত কর্তৃপক্ষ।
(২) এই প্রবন্ধে একটি আইন বলা হয় যদি তা কার্যকর আইন যেমন কিনা বা না আইন অপারেশন মধ্যে আনা হয়েছে হয়েছে বলবৎ করা.
(৩) দফা (1) এর অধীনে কোন আদালত রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত কোন অভিযোজনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না ।

গভর্নরের ক্ষমতা

৫) . (১) গভর্নর ক্ষমতা, যা ঐ তিনি প্রেসিডেন্ট তার প্রয়াত সংবিধান এবং এই ধরনের ধারা ১৯৩ এর বিধান মোতাবেক প্রদেশের সরকারি সব ফাংশন রাষ্ট্রপতির পক্ষে অনুমান করা নির্দেশ ছিল হবে হইবে অধ্যাদেশ তৈরীর হিসাবে তিনি পারতেন এবং সীমাবদ্ধতার মধ্যে ক্ষমতা ধারা ১০৬ এবং দফা (১) ও (৩) প্রয়াত সংবিধানের ১০২ ধারা এখনও আছে।
(২) ক্ষমতা আগের দফার মাধ্যমে অর্পিত গভর্নর রাষ্ট্রপতি বা সামরিক আইন প্রধান প্রশাসক দ্বারা বা প্রধান প্রশাসক থেকে কর্তৃত্ব থাকার অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক তাহাকে প্রদত্ত কোন নির্দেশ সাপেক্ষে কাজ করিবেন.
(৩) এই ধারা কোন কিছুই সামরিক আইন প্রবিধান প্রণয়নের মার্শাল ল এর প্রধান প্রশাসক কর্তৃক বা সামরিক আইন প্রধান প্রশাসক থেকে কর্তৃত্ব থাকার অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রণীত কোন প্রবিধান অপারেশন ক্ষুণ্ণ করবে এবং যেখানে কোন অধ্যাদেশ বা কোনো বিধান উহার অধীন প্রণীত দফা (১) এই ধারা নিয়ন্ত্রন বা অংশ প্রাধান্য পাবে এর এমন কোনো নিয়ন্ত্রণ বা অংশ বেমানান।
(৬)যারা ঘোষণা দেয়ার পুর্বে আগের সংবিধানের দফা (১) এর ২১৮ নাম্বার অনুচ্ছেদের আগে পাকিস্তানের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন এবং যারা ঘোশনার পরে গভর্নর পদে,সুপ্রিম কোর্টের বিচারক কিংবা এডভোকেট পদে,নিয়ন্ত্রক,অডিটর জেনারেল পদে,এটর্নি জেনারেল পদে নিয়োজিত আছেন তারা তাদের কাজ আগের মত আগের অফিসে, একি ভাবে,সমশর্তে, পুর্বের সুযোগ সুবিধা নিয়ে আগের মত চালিয়ে যাবেন। যদি না,

৭. একটি অ্যাডভাইজারি বোর্ডে কোনো আটকাদেশ রেফারেন্স প্রদানের জন্য কোন আইনের ক্ষেত্রে কোনো আদেশের প্রভাব থাকে

তফসিল

১।করাচির আদালত আদেশ; ১৯৫৬
২।ফেডারেল ক্যাপিটাল (আবশ্যিক সরবরাহ) অর্ডার, ১৯৫৬
৩। ধারনের ধরন (নিরাপত্তা আইন) আদেশ ১৯৫৬ (এ পর্যন্ত একটি অ্যাডভাইজারি বোর্ডে একটি আটকাদেশ উদ্বেগের ক্ষেত্র ব্যতীত).
৪।স্ট্যাম্প আইনের (সংশোধন) আইন, ১৯৫৬
৫।আবশ্যিক সার্ভিসেস (ক্ষমতা রক্ষণাবেক্ষণ) অর্ডার, ১৯৫৬
৬।মজুদ এবং কালোবাজারে অর্ডার, ১৯৫৬
৭।করাচির আদালত (সংশোধন) আইন, ১৯৫৬
৮।. করাচী ভাড়া সীমাবদ্ধতা আইন (সংশোধন) আইন, ১৯৫৬
৯।রিকুইজিশন ভূমি (ক্ষমতা ধারাবাহিকতা) অর্ডার, ১৯৫৬
১০।. করাচি (সংশোধন) আদেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৫৬
১১।হাইকোর্টের (বাংলার) অভিযোজন অর্ডার , ১৯৫৬
১২।করাচি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অর্ডার, ১৯৫৭
১৩।করাচি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (সংশোধন) আইন, ১৯৫৮
১৪।হাইকোর্টের বিচারকদের (দৈনিক ভাতা) অর্ডার, ১৯৫৮
১৫।ফেডারেল ক্যাপিটাল (ক্ষমতা ও দায়িত্ব চীফ কমিশনার) (ঘোষণা) অর্ডার, ১৯৫৮
১৬।ফেডারেল ক্যাপিটাল আবশ্যিক সরবরাহ (সংশোধনী) অর্ডার, ১৯৫৮
১৭।Gwadur (সরকার ও প্রশাসন) অর্ডার, ১৯৫৮ ধারা ব্যতীত (2) ধারা ২.
১৮।দি Gwadur (সরকার ও প্রশাসন) (আইন প্রয়োগ) আদেশ ১৯৫৮
নতুন বৈধ আদেশে প্রধান বিচারপতি মো.মুনিরের বক্তব্য-
(তার বিচার থেকে প্রতিলিপি(রাষ্ট্র বনাম দোসা, ঢাকা ল’ রিপোর্ট,ভলিউম ১১), ৭ অক্টোবরের ঘোষণা বলে,রাষ্ট্রপতি ১৯৫৬ সালের ২৩মার্চের সংবিধান বাতিল করেন,কেন্দ্রীয় এবং প্রাদেশিক মন্ত্রিসভা ভঙ্গ করেন এবং জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙ্গে দেন একই সাথে দেশব্যাপী সামরিক আইন জারি করা হয় এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আইয়ুব খানকে প্রধান সামরিক শাসন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।তিনদিন পর রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আইনের আদেশ ঘোষণা করা হয় যার অর্থ হচ্ছে পূর্বের সংবিধান ছাড়া অন্যান্য আইনের বৈধকরণ এবং সুপ্রীম কোর্ট এবং হাইকোর্ট সহ দেশের সকল আদালতে বিচার ব্যবস্থা প্রত্যার্পন বা পুনর্বহাল। আইনটিতে আরো নির্দেশনা ছিলো যে দেশটির শাসন পরবর্তীতে পাকিস্তান নামে পূর্বেকার সংবিধান মোতাবেক পরিচালিত হবে। যেহেতু আমাদেরকে এই আইনের কিছু শর্ত ব্যাখ্যা করতে হবে, সেহেতু বিচারিক নীতির আলোকে বিদ্যমান সাংবিধানিক অবস্থানকে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। বিচারিক নীতিসমূহ আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা পরিচালিত আধুনিক রাষ্ট্রের আইন প্রনয়নকারী সংগঠনসমূহের বৈধতা নির্ধারণ করবে।একটি নির্দিষ্ট সময়ে আইনের বৈধতা মূল্যায়নে, বৈধ দৃষ্টবাদে মৌলিক মতবাদ যার উপর আধুনিক বিচার দুরদর্শিতার সামগ্রিক জ্ঞান নির্ভর করে তার জন্য প্রয়োজন একজন বিচারক যিনি ঐতিহাসিকভাবে প্রথম সংবিধানের বৈধতা ওয়াকিবহাল হবেন যে সংবিধানটি আভ্যন্তরীন দখলদার বা বহিঃআক্রমণকারী কিংবা জাতীয় নেতা অথবা পরিষদের অন্য সদস্যদের দ্বারা দেওয়া হয়েছিলো কিনা।সংবিধান এবং আইনের পরবর্তী পরিবর্তন সমূহ প্রথম সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত হয়। যে ক্ষেত্রে একটি সংবিধান এরকম চলমান ধারা প্রদান করে সেইক্ষেত্রে প্রণীত আইন যতক্ষণ পর্যন্ত না সংবিধান মোতাবেক বাতিল বা পরিবর্তন সংশোধন হয় ততক্ষণ পর্যন্ত কার্যকর থাকে।মাঝে মাঝে এমনটি ঘটে যে একটি সংবিধান এবং জাতীয় বৈধ আইন /আদেশ সংবিধানের ধারণা বহির্ভুত আকস্মিক রাজনৈতিক পরিবর্তন দ্বারা ব্যাহত হয়।এরকম কোনো পরিবর্তনকে বলা হয় একটি বিপ্লব এবং এর বিপ্লবের প্রভাব শুধুমাত্র বিদ্যমান সংবিধান ধ্বংসই নয় বরং জাতীয় বৈধ আইনের ধ্বংস যে একটি বিপ্লব গণ অস্থিতিশীলতা, বিদ্রোহ,সংঘাত এবং রক্তপাতের সাথে সম্পর্কযুক্ত বা সম্পৃক্ত কিন্তু বিচারিক দৃষ্টিকোণ থেকে যে পদ্ধতি বা ব্যক্তিকর্তৃক একটি বিপ্লব আনয়ন করা হয় তা পুরোপুরি অবাস্তবিক / অপার্থিব। পরিবর্তনটি হতে পারে সংঘাতপূর্ণ বা পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ।এটি কোনো একজন রাজনৈতিক দুঃসাহসী লোক কর্তৃক অবৈধভাবে রাষ্ট্রের শাসনতন্ত্র পরিবর্তনে রূপ নিতে পারে অথবা রাষ্ট্রীয় অবস্থানে থাকা লোকদের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।আইনে সমভাবে অপ্রাসঙ্গিক হচ্ছে একটি বিপ্লবের উদ্দেশ্য যাতে উচ্চ দেশপ্রেম মূলক আবেগ দ্বারা সাংবিধানিক গঠন ধ্বংস হওয়ার তৎপরতা থাকে।এখানে বর্ণিত মতবাদের উদ্দেশ্যের প্রেক্ষিতে একটা পরিবর্তন হচ্ছে একটি বিপ্লব। যদি এটি সংবিধানকে রদ করে এবং এই রহিতকরণ কার্যকর হয়।যদি সংবিধান ভঙ্গ করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় তবে যারা এর প্রচেষ্টাকারী বা আয়োজক তারা বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহীর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়।কিন্তু যদি বিপ্লব জয়ী হয় এই দৃষ্টিকোণ থেকে যে পরিবর্তনের অধীন ক্ষমতাসীনতা দেশটির অধিবাসীকে নতুন শাসনব্যবস্থার সাথে খাপ খাওয়াতে বা সম্মত করতে পারে তাহলে সেই বিপ্লবটি হয় একটি আইন প্রণয়নকারী বিষয় কারণ এর ফলে তার নিজস্ব বৈধতা বাতিলকৃত সংবিধান দ্বারা নির্ধারণ হয়না বরং এর নিজস্ব সফলতা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
একই নীতিতে তৈরীকৃত আইনের বৈধতা বাতিলকৃত নয় বরং নতুন সংবিধান দ্বারা নির্ধারিত হয়। এইভাবে একটি সংবিধান রহিত হয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করতে প্রয়োজনীয় শর্ত হচ্ছে পরিবর্তনের কার্যক্ষমতা। এই পরিস্থিতিতে কোনো রাষ্ট্রই বিকাশ লাভ করতে পারেনা যদিও এরিস্টটল অন্যভাবে চিন্তা করতেন।যদি নির্দিষ্ট ভূ-খন্ড এবং জনগণ প্রকৃতভাবে একই থাকে,তবে আধুনিক আইনবিষয়ক মতবাদের অধীন রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক অস্তিত্বে কোনো পরিবর্তন হয়না এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ঐ বৈপ্লবিক সরকার এবং নতুন সংবিধান রাষ্ট্রের বৈধ সরকার এবং বৈধ সংবিধান . এটি প্রমাণ করে যে পুরাতন আইনের সকল প্রথা বিপ্লবের ধারা তাদের বৈধতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং কোন বৈধতার নীতি অনুসারে নয়। আর সেইগুলো বঞ্চিত হয়েছে শুধুমাত্র বাস্তবিক পক্ষেই না বরং ন্যায় সম্মত অধিকার চলে। কোন আইনজীবী সমর্থন করবে না যে এমনকি একটি সফল বিপ্লবের পর পুরাতন সংবিধান এবং তার উপর ভিতিকৃত আইন এই যুক্তিতে কার্যকরথাকলেও পূর্বের আইন দ্বারা প্রত্যাশিত বাতিল হয়নি। প্রত্যেক আইনজীবী ধরে নিবেন যে পুরাতন আইন যার সাথে রাজনৈতিক বাস্তবতার কোন মিল তার বৈধতা শেষ হয়ে গেছে এবং সকল রীতিনীতি যেগুলো নতুন আইনে বৈধ সেগুলো শুধুমাত্র নতুন সংবিধান বলে বৈধতা পেয়েছে।
এটি প্রমাণ করে যে পুরাতন আইনের সকল প্রথা বিপ্লবের ধারা তাদের বৈধতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং কোন বৈধতার নীতি অনুসারে নয়। আর সেইগুলো বঞ্চিত হয়েছে শুধুমাত্র বাস্তবিক পক্ষেই না বরং ন্যায় সম্মত অধিকার চলে। কোন আইনজীবী সমর্থন করবে না যে এমনকি একটি সফল বিপ্লবের পর পুরাতন সংবিধান এবং তার উপর ভিতিকৃত আইন এই যুক্তিতে কার্যকর থাকুক। যে সেইগুলো পূর্বের আইন দ্বারা প্রত্যাশিত বাতিল হয় হয়নি। প্রত্যেক আইনজীবী ধরে নিবেন যে পুরাতন আইন যার সাথে রাজনৈতিক বাস্তবতার কোন মিল তার বৈধতা শেষ হয়ে গেছে এবং সকল রীতিনীতি যেগুলো নতুন আইনে বৈধ সেগুলো শুধুমাত্র নতুন সংবিধান বলে বৈধতা পেয়েছে।
বিচারের দৃষ্টিকোণ থেকে, পুরাতন নিয়মকে বৈধ নিয়ম হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া যাবে না. “(আইন ও রাষ্ট্রের সাধারণ তত্ত্ব, অ্যান্ডার্স ওয়েডবারগ, বিংশ শতাব্দীর আইনগত দর্শনশাস্ত্র সিরিজ, পৃ. ১১৭-১১৮ থেকে অনুদিত)।
মনের মধ্যে নীতি শুধু বিবৃত হাবভাব, আমাদের এখন প্রশ্ন এই ক্ষেত্রে জড়িত কাছে যাক. তাহলে কি আমি ইতিমধ্যে বিবৃত করেছেন সঠিক হয়, তাহলে বিপ্লব সফল থাকার এটা কার্যক্ষমতা পাঠ্য সন্তুষ্ট এবং একটি মৌলিক আইন-তৈরি সত্য হয়ে. যে ধৃষ্টতা উপর, আইন (বলবৎ ধারাবাহিকতা) অর্ডার, তবে সাময়িক বা অসিদ্ধ এটা হতে পারে, একটি নতুন আইনানুগ আদেশ করা হয় এবং এটি যে আদেশ যে আইন বৈধতা এবং শাসনকলাপের শুদ্ধি করা হয়েছে অনুযায়ী নির্ধারিত. এই অর্ডার অফ প্রাসঙ্গিক বিধান রয়েছে:
ধারা 2- (১) ২৩ মার্চ ১৯৫৬ সালের সংবিধান বাতিল থাকুক না কেন, অত: পর ইহাতে দেরী সংবিধান হিসাবে, মার্শাল ল প্রধান প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত প্রেসিডেন্ট বা প্রবিধান এর কোনো অর্ডার উল্লেখ ফরমান এবং বিষয় দ্বারা, প্রজাতন্ত্র, পাকিস্তান যেমন অতঃপর পরিচিত হবে, দেরী সংবিধান অনুযায়ী হতে পারে হিসাবে প্রায় নিয়ন্ত্রিত হইবে.
(৪) সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের ওয়ারেন্ট এবং চার বছর হেবিয়াস কর্পাস, নিম্ন আদালতের প্রতি উচ্চ আদালতের হুকুমনামা, নিষেধাজ্ঞা ,, স্থিতাবস্থা এর writs জারি করার ক্ষমতা থাকিবে.
ধারা 4- (১) প্রয়াত সংবিধান বাতিল থাকুক না কেন, এবং সামরিক আইন, সকল আইন, প্রয়াত সংবিধান ছাড়া অন্য প্রধান প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত প্রেসিডেন্ট বা প্রবিধান এর কোন আদেশ সাপেক্ষে, এবং সব অধ্যাদেশ, আদেশ-ইন কাউন্সিলের প্রয়াত সংবিধানের অধীন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত আদেশ ছাড়া অন্য আদেশ, যেমন দেরী সংবিধানের অধীন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত আদেশ, এই আদেশ, বিধি, আইন দ্বারা সূচী মধ্যে সেট করা হয়. পাকিস্তানে বা উহার যে কোন অংশে রেগুলেশন, সূচনাবার্তা, এবং বলবৎ অন্য কোন আইনগত যন্ত্র, অথবা অতিরিক্ত স্থানিক বৈধতা haying, অবিলম্বে ঘোষণার আগে, যতদূর প্রযোজ্য এবং রাষ্ট্রপতির যেমন প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ করতে দেখতে ফিট করিবেন বলবত্ থাকিবে, যতক্ষণ রদবদল রহিত বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা সংশোধিত.
(২) এই প্রবন্ধে একটি আইন বলা হয় যদি তা কার্যকর আইন যেমন কিনা বা না আইন অপারেশন মধ্যে আনা হয়েছে হয়েছে বলবৎ করা.
(৩) কোন আদালত প্রশ্ন দফা (1) এর অধীন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত কোন অভিযোজন ডাকবে. “
শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে ৭ই অক্টোবর গৃহীত আইন যে তারিখ অনুচ্ছেদ 4 এ গণিত পর বলবৎ হয় রাষ্ট্রপতির ফরমান অধীনে অস্তিত্বে এসেছে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, কিন্তু এই ধরনের আইন ২৩ মার্চ ১৯৫৬-এর সংবিধানের তালিকা থেকে, হয়েছে স্পষ্টভাবে বহির্ভূত. এর মানে হল এই যে যখন দফার অধীন (৪) ধারা ২ সুপ্রীম কোর্ট বা হাইকোর্টের একটি রিট জন্য সরানো হয়, রিট জন্য স্থল শুধুমাত্র অনুচ্ছেদ ৪, বা কোনো উল্লেখিত কোনো আইন এর ব্যত্যয় হতে পারে ডান ক্রম এবং প্রয়াত সংবিধান দ্বারা নির্মিত একটি অধিকার লঙ্ঘন দ্বারা স্বীকৃত. যা দেরী সংবিধানের অংশ -২ বর্ণিত তথাকথিত মৌলিক অধিকার, আর জাতীয় আইনগত অর্ডারের একটি অংশ তাই, এবং তন্ন তন্ন সুপ্রিম কোর্ট কিংবা হাইকোর্টের নতুন আইনের অধীন কোনো রিট ইস্যু করার ক্ষমতা রয়েছে।
মৌলিক অধিকারের কোন. একটি মৌলিক অধিকার খুব সারাংশ যে এটা আরো কম বা স্থায়ীভাবে এবং সাধারণ আইন মত পরিবর্তন করা যাবে না।জিবেন্দ্র কিশোর আচার্য চৌধুরী ও ৫৮ জন বনাম পূর্ব পাকিস্তান সচিব, অর্থ প্রদেশ এবং রাজস্ব বিভাগ সরকার পূর্ব পাকিস্তান (১) এর, আমি বাতলান একটি মৌলিক অধিকার খুব ধারণা যে এটি একটি অধিকার সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত হচ্ছে, না দূরে আইন দ্বারা গ্রহণ করা যেতে পারে যে অনুষ্ঠানে ছিল এবং এটা শুধুমাত্র টেকনিক্যালি ভুল নয় যে কিন্তু একটি সংবিধানের প্রস্তুতকারকদের জন্য নাগরিকদের উপর একটি জালিয়াতি বলে যে একটি অধিকার মৌলিক কিন্তু এটি দূরে আইন দ্বারা গ্রহণ করা যেতে পারে. নতুন আইনানুগ আদেশ অনুযায়ী, কোনো আইন যে কোন সময়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পরিবর্তিত হতে পারে এবং, অতএব, সেখানে ঠিক সেখানে একটা মৌলিক রাষ্ট্রপতির আইন গ্রহণের ক্ষমতা কোন সীমাবদ্ধতা হচ্ছে যেমন কোন জিনিস. প্রয়াত সংবিধানের 4 এর অধীন বিধানসভার ক্ষমতা সব প্রচলিত আইন, রীতি ও রীতিনীতি এবং আইনের বল থাকার যদি তারা কোনো সঙ্গে সঙ্গতিহীন ছিল সংযুক্ত মৌলিক অধিকার ও দুর্বলতা ভঙ্গের জড়িত আইন প্রণয়নের ওপর কোনো বিধিনিষেধ ছিল মৌলিক অধিকার; আইন এবং আইন শক্তি প্রতিবন্ধক বৈধতা নির্ধারণ করতে এই পরীক্ষাটি আইন উভয় নতুন অর্ডার অধীন উধাও হয়ে গেছে করতে. , যতক্ষণ না এখানে সম্মুখ রাষ্ট্রপতি স্পষ্টভাবে বিধান প্রয়োগ, মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত, তারা দেশের আইন এর একটি অংশ নয় এবং কোন তাদের ভিত্তিতে রিট ইস্যু করতে পারে. এটা সত্য যে, ধারা 2 যে পাকিস্তান প্রায় দেরী সংবিধান অনুযায়ী হতে পারে যেমন নিয়ন্ত্রিত হইবে প্রদান করে কিন্তু এই বিধান মৌলিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রভাব নেই কারণ এই ধারা সরকারকে রেফারেন্স তিনি গঠন এবং এর সীমারেখা হয় সরকার ও দেরি সংবিধানের আইন আছে যা স্পষ্টভাবে ধারা দ্বারা রহিত করা 4. ধারা 2 এবং ধারা 4, তাই একসঙ্গে স্ট্যান্ড করতে পারবেন এবং তাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই. কিন্তু এমনকি যদি কিছু অসঙ্গতি দুই মধ্যে বিদ্যমান অনুমিত হতে, অনুচ্ছেদ 4 এর বিধান যা আরো অধিক এবং পরেরটির হয় ধারা 2 সেই ওভাররাইড আবশ্যক.
Writs জন্য ভবিষ্যতে আবেদন বিষয়ে অবস্থান, তাই, যে তারা শুধুমাত্র স্থল যে কেউ বা আইন ধারা 4 বা অন্য কোন আইন (ফোর্স ধারাবাহিকতা) দ্বারা সংরক্ষিত অধিকার উল্লেখিত আরো অর্ডার লঙ্ঘন হয়েছে থাকা হয়.
যেহেতু যা সুপ্রীম কোর্টে হয় বিচারাপেক্ষ হয় বা প্রয়োগকারী প্রয়োজন ইতিমধ্যে রিট জারি করলে, প্রাসঙ্গিক বিধান দফা (7) ধারা 2, যা এর:
“সমস্ত আদেশ ও অনুশাসন তৈরি এবং ফরমান এবং এই আদেশ জারির মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এতদ্দ্বারা বৈধ ঘোষণা করেন এবং সব আদালত ও পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের উপর বাধ্যকর, কিন্তু সংরক্ষণ এই আদেশ এবং আদালতের রায় কোন রিট বা রিট জারি বা জন্য অর্ডার হয় তৈরি পর ফরমান কার্যকর থাকিবে, যদি না এটা এই অর্ডার দ্বারা জন্য উপলব্ধ করা হয়, এবং সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন এবং কোন রিট যা জন্য উপলব্ধ করা হয় না এর সম্মান মধ্যে কার্যধারা অবিলম্বে হ্রাস পাইবে. “
বিশ্লেষণ, এই বিধান এর মানে হল যে, ফরমান পর শৃঙ্খলা জারির আগে সুপ্রিম কোর্টের জারি করা রিট ব্যতীত, কোন রিট বা জারি বা ফরমান পরে তৈরি একটি রিট জন্য যাতে কোনো আইনি কার্যকর থাকিবে যদি না রিট জারি করা হয় মাটিতে যে কেউ বা অন্য কোন অধিকার অনুচ্ছেদ 4 এ উল্লিখিত আইনগুলো আরো নতুন অর্ডার দ্বারা বাঁচিয়ে রেখেছে লঙ্ঘন করা হয়েছে. আর দফা দ্বারা আচ্ছাদিত করা হয় না, যা করে সেখানে একটি রিট এর সম্মান একটি বিচারাধীন আবেদন বা কার্যধারা হতে (৪)
ধারা ২ বা নতুন আদেশের অন্য কোন বিধান অনুযায়ী, রিট আবেদন যৌক্তিক ভিত্তির উপর এগিয়ে নিতে হবে যেখানে কোন মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হবে না, তারপর আবেদনটি অবিলম্বে নিষ্পত্তি করতে হবে। এটাই প্রতিয়মান হয় যে শুধুমাত্র রিট আবেদনই সঠিকভাবে মীমাংসিত হবে না, মীমাংসার কার্যধারাগুলো ও যথাযথভাবে শেষ করতে হবে। নিষ্পত্তিকরনের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে যদি সেটা সুপ্রীম কোর্টের কাছে আপিল যোগ্য হয়, সত্যায়নের মাধ্যমে বা বিশেষ অনুমতির মাধ্যমে। কোন রা্‌ আদেশ বা রিট চূড়ান্ত বলে গন্য হবে না যতক্ষন পর্যন্ত আদালত সত্যায়ন না করবে যে সেটা আপিলের জন্য উপযুক্ত এবং আপিলের কার্যক্রম শুরু করা যাবে অথবা যখন সুপ্রীম কোর্ট নিজেই বিশেষ ভাবে অনুমতি মঞ্জুর করবে উক্ত রায়, আদেশ বা রিট এর উপরে আপিলের জন্য। অতএব আমি মনে করি, উচ্চ আদালত কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত রিট গুলোই চূড়ান্ত নয় এই মামলার ক্ষেত্রে, এবং সেই সাথে সেই রিটের সাথে যুক্ত সকল কার্যক্রম, মূল আবেদন সহ উচ্চ আদালতে রহিত হল।

——