শিরোনাম | সুত্র | তারিখ |
প্রবাসে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব সহ বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে লিখিত চিঠি | ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি সার্ভিসের পক্ষে এসোসিয়েট এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারির চিঠি | ৮জুলাই,১৯৭১ |
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি সার্ভিস
২০,ওয়েস্ট ফরটিথ স্ট্রীট, নিউইয়র্ক১০০১৮
জুলাই ৮,১৯৭১
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী
১১,গোরিং স্ট্রীট,
লন্ডন, ইসি ৩,ইংল্যান্ড।
প্রিয় চৌধুরী সাহেব,
আমার আপনার সাথে নিউ ইয়র্কে দেখা হয়েছিল,যখন আপনি বাংলাদেশে চলমান নৈরাজ্যের বিষয়ে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে কথা বলতে এসেছিলেন।আপনার সাথে দেখা হওয়ায় খুব ভাল লেগেছিলো।
আপনাকে একটি প্রস্তাব দেয়ার জন্যে এই চিঠিটি লিখছি। আপনার সাড়া পেলে খুব খুশি হবো।
আপনি নিশ্চয় জানেন যে,বিশ্বের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কমিউনিটি আক্রান্ত হলে (যেমন বর্তমানে পাকিস্তানে যা চলমান),ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি সার্ভিস শিক্ষক এবং ছাত্রদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করে থাকে ।
আমার মনে হয় পূর্ব পাকিস্তান থেকে যারা পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন,তাদের জন্য বিদেশে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করলে শুধুমাত্র দুর্দশা দূর করবে তা না,বরং অভিযুক্তদের জন্যে একটি শেষ আশ্রয়স্থল ও হতে পারে। আরো সুদুরপ্রসারী চিন্তা করলে বলা যায়,এটি বিশ্বের বিভিন্ন নৈরাজ্যবাদী সরকার কর্তৃক একই অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাওয়া জনগণের জন্যে আশার প্রতীক হিসেবে কাজ করবে।
যদি পশ্চিমবঙ্গে কিংবা ভারতের অন্য সুবিধাজনক স্থানে বাংলাদেশ বহিঃস্থ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়, তবে আনুষঙ্গিক সহায়তার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান ফাউন্ডেশন থেকে সহায়তার পরিকল্পনা শুরু করতে পারি।
আমাদের ধারণা হলো,মেজর ফাউন্ডেশনগুলোর কাছে শরণার্থীদের জন্যে সরাসরি সাহায্য চেয়ে আবেদন করলে তা ফলপ্রসূ হবে না। কারণ ফাউন্ডেশনগুলো নিজেদের রিলিফ এজেন্সির চেয়ে ডেভেলপমেন্ট এজেন্ট মনে করে এবং এভাবেই তারা সামাজিক পরিবর্তনে ভুমিকা রাখতে চায়।
পরিকল্পনা পাঠিয়ে মন্তব্য চাওয়ার আগে আমি এ ব্যাপারে আপনার প্রতিক্রিয়া আশা করছি। নিম্নলিখিত কয়েকজনের কাছেও এ পত্রটি পাঠানো হচ্ছে এবং পরবর্তীতে এ ব্যাপারে তাদের মতামত ও আপনাকে জানানো হবে।
ইতি
কে বি রাও
এসোসিয়েট এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি
সিসি –
মি চিদাম্বরনাথন
ড.হ্যারি ডি গিডকোনেস
মি . এনামুল হক
মি. জামশেদ খান
ড. এ আর মল্লিক
মি. লেনন ও’ ম্যারিয়ন
ড. গ্লেন টি নাইগ্রিন
মি লিওনার্ড সুসম্যান