শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
বাংলাদেশের মুক্তি প্রশ্নে অধ্যাপক মুজাফফর আহমদ-২৫ জুলাই
|
এশিয়ান রেকর্ডার সেপ্টেম্বর ৩-৯,১৯৭১ | ২৫ জুলাই,১৯৭১ |
বাংলাদেশের আন্দোলনে অধ্যাপক মুজাফফর আহমদঃ
জাতীয় আওয়ামী দলের সভাপতি(মুজাফফর-ওয়ালি গ্রুপ)অধ্যাপক মুজাফফর আহমদ মুজিবনগরে জুলাই-র ২৫ তারিখে বলেছিলেন,বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ব্যাপারে পশ্চিম পাকিস্তানের ছোট রাস্ট্রের সহানুভূতি রয়েছে।’খুব শীঘ্রই এর সুস্পষ্ট প্রকাশ আমরা দেখতে পাব।”
একটি সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক আহমেদ বলেছিলেন যে তাঁর কাছে তথ্য আছে ,পশ্চিম পাকিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা নতুন করে যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য সময় নিচ্ছে।অপর দুটি রাজ্য সিন্ধু এবং বেলুচিস্তানে অস্থির অবস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে,’হয়ত খুব শীঘ্রই তারাও স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দেবে।’
তিনি আরও বলেছিলেন,আমি জানি তারা কি চায়ঃ’আমরা আসলে একই লড়াইয়ে আছি স্বায়ত্তশাসন এবং গণতন্ত্রের জন্য।’ ফ্যাসিবাদী সরকার জেনারেল ইয়াহিয়া খান এই তিনটি রাষ্ট্রের জনগনের কাছ থেকে সম্পুর্নভাবে বিচ্ছিন্ন।
তিনি বলেন যে বাংলাদেশের আন্দোলন বায়াফ্রার মত কোন বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরর আন্দোলন নয় । এটি পর্তুগিজের এঙ্গলা ও মোজাম্বিকের মত স্বদেশের মুক্তির লড়াই । পাকিস্তান কখনই এই আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারবে না।তবুও আশু সাফল্যের প্রত্যাশায় সমস্যা সমাধানে গেরিলা যুদ্ধের দ্রির্ঘসুত্রিতার সম্ভাবনা উপেক্ষা করা মুক্তিযোদ্ধাদের উচিত হবে না।’জনগণের ঐক্যের মাঝেই এই আন্দোলনের সফলতা নিহিত।প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে চাপরাসি পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জান্তার বিরুদ্ধে।এমনকি ইন্ডিয়ায় ব্রিটিশ শাসকরাও জনগণের কাছ থেকে এইরকম সম্পুর্নভাবে বিচ্ছিন্ন ছিল না যতটা বাংলাদেশে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের শাসন ব্যবস্থায়।এই সেই ঐক্য যা পাকিস্থানের পুতুল শাসন প্রয়াসকে হতাশগ্রস্থ করে দিয়েছে।আমাদের আরও একটি জোরদার বিষয় হচ্ছে,ইন্ডিয়ার সমর্থন যারা কিনা আমাদের তিন প্রান্ত ঘিরে রয়েছে।’
তিনি বলেন,আমরা যেমনটি প্রত্যাশা করেছিলাম সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো আমাদের সেভাবে সাহায্য করছে না।অন্যদিকে অ্যামেরিকা এবং চায়না প্রকাশ্যভাবে পাকিস্তানকে সহায়তা করছে।আরব দেশগুলোর এইরকম নির্লিপ্ত আচরণ আশা করিনি । আমরা ভেবেছিলাম অন্তত আরব দেশগুলোর মধ্যে প্রগতিশীল দেশগুলো আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করবে।