শিরোনাম | সুত্র | তারিখ |
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব বৃটিশ কলম্বিয়ার একটি প্রতিবেদন | এসোসিয়েশন এর দলিল | নভেম্বর, ১৯৭১ |
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব বৃটিশ কলম্বিয়া
৯০৫-৫৫০ ওয়েস্ট ১২’শ এভিন্যু
জয় বাংলা ভ্যাঙ্কুভার ৯. বি.সি. কানাডা
টেলিফোনঃ (৬০৪)৮৭৬-৮৪৫৩
হত্যাকান্ড ** গণহত্যা ** রক্তগঙা ** সন্ত্রাস
এবং এখন দুর্ভিক্ষঃ সব একটি খেলার অংশ
বাংলাদেশ ট্রাজেডি(পুর্ব পাকিস্তান)
যুদ্ধ, বন্যা এবং ঘুর্ণিঝড়ের কারনে সৃষ্ট ধ্বংস আর বিপর্যয়ের ফলস্বরুপ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পুর্ব বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে ১ থেকে ৩ কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পরবে।পশ্চিম পাকিস্তানি মুখপাত্রের ক্রমাগত মৃদু নিশ্চয়তার বিপরীতে পরিস্থিতি ছিল প্রশ্নাতীত ভাবে হতাশাজনক এবং একটি বড় শোকাবহ ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রয়োজন বৃহদাকার আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তা।জনগণকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মজুত খাদ্য যত দিন চলবে, পরিস্থিতি স্বভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সম্ভবত তার চেয়ে বেশি সময় লাগবে।যে বিষয় গুলো দুর্ভিক্ষের জন্য দায়ী, একটা পর্যায়ের পর আর সেগুলোকে পরিবর্তন করা যায় না।দ্রুত এবং শক্তিশালী আন্তর্জাতিক পদক্ষেপই হয়ত পুর্ব পাকিস্তানিদের একমাত্র প্রতিরোধ।
গত মার্চ থেকে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ মৌলিক অধিকারের জন্য সংগ্রাম এবং টিকে থাকার ভয়ানক লড়াইয়ে নেমেছে।
নিজের জনগণের ওপর ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস রক্তগঙা বইয়ে দেয়ার পর প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া এখন তাদের অনাহারে মারার পরিকল্পনা করছেন।
১৯১০ সালের নভেম্বরে একটি ঘুর্ণিঝড় অনেক মানুষ জীবন নিয়েছিল। সেটা ছিল প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ১৯৭১ সালের মার্চে পরিকল্পিত ভাবে এই অঞ্চলের যুবক, বুদ্ধিজীবী ও লাখো নির্দোষ ভুক্তভগীকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশে আর একটি দুর্যোগ আঘাত হানল। এবার অপরাধী ইয়াহিয়া খান।
আমরা, এই সাড়ে সাত কোটি বাংলাদেশি জনগণের পক্ষ থেকে আপনাদের কাছে আবেদন করছি, আপনারা আপনাদের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করুন, তাদেরকে বলুন পাকিস্তানে সামরিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য বিলম্বিত করতে এবং বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা থেকে সামরিক সরকারের জেনারেল ইয়াহিয়া খানকে বিরত রাখতে তার বিরুদ্ধাচারন করতে।
দয়া করে অনুদান দিয়ে আমাদের বাংলাদেশ সপ্তাহকে সমর্থন করুন, যা কিনা একটি চাঁদা সংগ্রহ প্রচারনা(নভেম্বর ১৫-১৯)