শিরোনাম | সুত্র | তারিখ |
নিউয়র্কের পরিস্থিতি অবহিত করে পররাষ্ট্র সচিবকে দেয়া একটি চিঠি। | পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় | ১৪ অক্টোবর ,১৯৭১ |
প্রিয় আলম ভাই তারিখ; ১৪/১০/১৯৭১
আপনার ২৮/০৯/৭১ তারিখের চিঠির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১। নিউ ইয়র্ক থেকে ফিরে আসার পর পর চিঠিটি পেয়েছি। আমি ডাঃ নুরুল ইসলাম ,ডঃ মল্লিক এবং জনাব আসাদুল হকের সাথে সাক্ষাৎ করেছি। এর আগে আমি অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদের সাথে কথা হয়েছে।
২।. ডাঃ নুরুল ইসলামকে আপনাকে এবং প্রধানমন্ত্রিকেচিঠি লিখেছেন। এখানে ইতোমধ্যে কিছু কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমরা উপাদান সংগ্রহ করছি। একটি ব্যাংকে আমাদের প্রচুর সম্পদ আছে। রেহমান সোভানের মতে প্রায় আচ বছরের দীর্ঘমেয়াদি সম্পদ আমাদের আছে। পরিকল্পনা এমন জায়গায় বাস্তবায়ন করতে হবে যেখানে কম্পিউটার সুবিধা আছে।
৩। সাইদুজ্জামান (সি এস পি) এর সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে এবং আমাদের একই তথ্য দিয়েছেন। . ইঙ্গিতও রয়েছে যে কানাডা ফ্রান্স এবং ইউ কে ঋণ স্থগিত রাখার বিরোধিতা করছে। . পাক প্রতিনিধিদল “হতাশ” হয়ে ফিরে গেছে। তবে ভিতরের তথ্য এই যে U.S.A. তাদের কিছু ঋন প্রদান স্থগিত রেখেছে ।
৪। . আপনি কি মুহিত, রেহমান ও আমার লেখা “পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সহায়তা” এর কাগজ পেয়েছেন?
৫।. বিশ্ব ব্যাংককে ঢাকাতে একটি মিশন পাঠানো থেকে বিরত করা যায়নি।মিশন সদস্যরা হলেন, R. Picciotto, R Haxma, এবং U Shibusawa ।. তারা যাযেসব জায়গায় ভিজিট করেছেনঃ, (১) খেপুপাড়া (২) ভোলা ও চর লালমোহন, (৩) হাতিয়া, (৪) সন্দ্বীপ,এবং যদি সম্ভব হয় তবে (৫) রামগতি.। তারা এইসব ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন এবং সেনা সহচর ছাড়া ঐ জায়গা থেকে হেলিকপ্টার লাগবে কিনা সে বিষয়ে সাহায্যের কথা বলেছেন এবং এই সুবিধা ১৪ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেয়া হবে।
৬। খুরশীদ আলম পড়াশুনা নিয়ে ব্যাস্ত এবং আমার মনে হ না তিনি একজন সচিব হিসেবে যোগদান করতে ইচ্ছুক।
৭।. আমি আশা করি আপনার কাছে আমার এর আগের চিঠি টি ও আছে। আমি যদি একটি ব্যাংকে অবস্থান করি, তবে তারা আমাকে সরকারি পরামর্শক হিসেবে মেক্সিকোতে পাঁঠিয়ে দিতে পারে, যেটা আমি একদম ই চাচ্ছিনা। শোয়েব আমাকে এইখান থেকে সরানোর চেষ্টা অবশ্যই করবে। তবে আমার ইচ্ছা হলো জার্মান মিশনে অংশ নেয়া কিংবা ডঃঃ নুরুল ইসলামের সাথে থেকে পরিকল্পনা কমিশনে কাজ করা।
শুভেচ্ছা সমেত,
আপনার অনুগত
হারুন