You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.08.08 |  পাকিস্তান কর্তৃক প্রকাশিত শ্বেতপত্রের প্রতিক্রিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় | দি টাইমস অফ ইন্ডিয়া - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
 পাকিস্তান কর্তৃক প্রকাশিত শ্বেতপত্রের প্রতিক্রিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় দি টাইমস অফ ইন্ডিয়া ৮ আগস্ট, ১৯৭১

 

অসংখ্য মিথ্যাচারে ভরা শ্বেতপত্র
পাকিস্তান সরকারের ৭ আগষ্ট১৯৭১ শ্বেতপত্রের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের বক্তব্য

পররাষ্ট্র দপ্তরআজ বাংলাদেশ সরকারের একজন মুখপাত্র বাংলাদেশে পাকিস্তানের শ্বেতপত্র কে মিথ্যাচারে ভরা বলে বর্ননা করেন ।
মুখপাত্র আরো বলেন ,এই সামরিক জান্তা তার জঘন্য কার্জক্রমের দ্বারা বিশ্ববাসীর মতামতকে উপেক্ষা করে এবং বিপক্ষে থেকে প্রচলিত নিয়ম নীতি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে ।
সত্য এতইপরিষ্কার যা বারবার বলার প্রয়োজন নেই কারন বিষয়টি বিশ্ববাসী সাংবাদিকদের সৌজন্যে ভালভাবেই জানেন ।
“আমরা বিশ্ববাসিকে জানাতে চাই যে যদি শেখ মুজিবর রহমানের কোন সশস্ত্র বিপ্লবের পরিকল্পনা থাকত তবে তাঁর জান্তার হাতে বন্দি হবার সম্ভাবনা থাকত না যখন যুদ্ধের জন্য তাঁর নিজস্ব বাহিনী রয়েছে।
মুজিবের বিশ্বাস ছিল অহিংসা এবং অসহযোগ নীতিতে। তিনি বারবার জোর দিয়ে বলেছেন যে তিনি পিছিয়ে যাবার বিপক্ষে ,কারন তা বাংলাদেশের জন্য অর্থহীন ,পাকিস্থানের অন্তর্গত মুখ্য অংশ থেকে গৌন অংশকে পৃথক করা ।
“তাঁর ৬ দফা আন্দোলন ছিল পাকিস্তানের সকল প্রদেশের জন্য এবং ক্ষুদ্রতর অবহেলিত প্রদেশগুলোরঅধিকারের জন্য তিনি অনমনীয় ভাবে যুদ্ধ করেছিলেন।”
“জিরো আওয়ার”
ঘটনা প্রবাহের বাস্তবতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমান করে যে সামরিক জান্তা আগে থেকেই জিরো আওয়ার ঠিক করে রেখেছিল যখন তারা “কপটতাপুর্ণ দীর্ঘায়ীত আলোচনা” চালায় ।

মুখপাত্র উল্লেখ করেন “২৪ তারিখ সন্ধ্যায় ইয়াহিয়া খানের উপদেষ্টাগণএবং আওয়ামী লিগের নীতি নির্ধারকগণ একটি আলোচনা সভায় মিলিত হন যেখানে চুক্তি সম্পাদিত হয় এবং সরকার গঠনের অধ্যাদেশের খসড়া ঘোষনার জন্য চূড়ান্ত করা হয়।
মুখপাত্র উল্লেখ করেন যে “পুরো জাতি অধীরভাবে অপেক্ষায় ছিল।”
কিন্তু সেই ঘোষণার পরিবর্তে সেনাবাহিনীর আক্রমন শুরু হয়।
“আমরা বিশ্বাসঘাতকদের সতর্ককরতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশের আদর্শ কে শেষ করার যে কোন চেষ্টা শেষ পর্যন্ত বিপরীত ফল দিবে ।”
তিনি দৃঢ়ভাবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন যে সেনাবাহিনী আক্রমনের পূর্বে বাঙ্গালীরা অবাঙ্গালীদের হত্যা করেছে।

“অসহযোগআন্দলনেরপরবাঙ্গালীরাকখনই, অবাঙ্গালীদেরএলিয়েনহিসাবেদেখেনি, তাঁদের মেরেফেলার কথাও বলেনি। এমনকি৯ মার্চের পর অবাঙ্গালী সেনাবাহিনী এবং নৌ বাহিনী হাতেহাত মিলিয়ে সাম্প্রদায়িক যুদ্ধ পরিচালনা করে যেখানে শতশত বাঙ্গালী নিহত হয়েছিল। ”
সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এত তীব্র হয় যে মৌলানা ভাসানী দ্রুত চিটাগং পৌঁছান এবং শেখ মুজিবর রহমান অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য দুজন নেতাকে সেখানে প্রেরন করেন ।নেতৃবৃন্দ সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনী কে সরাসরি অভিযুক্ত করেন।