শিরোনাম | সুত্র | তারিখ |
দিল্লীতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের উপর আন্তর্জাতিক সেমিনার সংক্রান্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কার্যসূচি | বাংলাদেশ সরকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় | ৯ জুলাই, ১৯৭১ |
১৯৭১ সালের ১৪, ১৫, এবং ১৬ আগষ্ট নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক সেমিনার নিয়ে ৯ জুলাই, ১৯৭১-এ বাংলাদেশ মিশনের হল রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সারসংক্ষেপ
নিম্নলিখিত মহোদয়গণ অংশগ্রহণ করেন।
১.ড. এ. আর. মল্লিক, উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
২.জনাব খিতিশ চন্দ্র চৌধুরী,
১২ ডি শংকর ঘোষ লেন, কল্কাতা-৬।
৩.জনাব রাধা কৃষ্ণান।
৪.জনাব আর. আই. চৌধুরী, প্রথম সচিব, বাংলাদেশ মিশন।
নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত গুলো নেয়া হয়েছে: –
যে, সেমিনারের স্পন্সরদেরকে জানানোর জন্য অবিলম্বে বাংলাদেশের ২৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির (অধ্যাপক, আইনজীবি, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও শিল্পী) তালিকা তৈরী করতে হবে যারা নয়া দিল্লির সেমিনারে অংশগ্রহন করবেন। এই সকল ব্যক্তির জীবন বৃত্তান্ত ও সংগ্রহ করতে হবে এবং সময়সুচির আগেই নামের তালিকার সাথে সংগঠনের ব্যবস্থাপকের নিকট পাঠাতে হবে।
অধ্যাপক ও শিল্পিদের তালিকা তৈরী এবং জীবনবৃত্তান্তসহ তাদের তালিকা বাংলাদেশ মিশনের ১ম সচিবের নিকট পাঠানোর জন্য ড. এ. আর. মল্লিককে অনুমোদন দাওয়া হয়েছে।
রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে ১ম সচিব প্রস্তাব করেন যে, নিম্ন লিখিত ব্যক্তিদের কাছে তাদের জীবন বৃত্তান্ত সহ তালিকা তৈরী এবং ১ম সচিবের নিকট তা জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে।
(১)জনাব মওদুদ আহমেদ, অ্যাডভোকেট
(২)জনাব তাহেরউদ্দিন ঠাকুর, এমএনএ
২. যে, নিম্নলিখিত বিষয়ের উপর অবিলম্বে নিবন্ধ লিখতে হবে এবং সেগুলোর প্রতিলিপি তৈরী করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কার্যকলাপের জন্য সময়ের অনেক আগেই সেমিনারের স্পন্সরদের কাছে পাঠাতে হবে।
(ক) একটি স্থায়ী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলদেশ (তার জনবল, সম্পদ, মানুষের রাজনৈতিক, সামাজিক আকাঙ্খা ইত্যাদি)।
(খ)রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি (এর প্রকৃত দৃষ্টিকোণ, অর্থনৈতিক অসমতা, বাংলাদেশের সংস্কৃতির ওপর আক্রমন, এবং বর্তমান সংকটের উপর তাদের প্রভাব এর পটভুমি)।
(গ) ইস্যুর বৈধতা।
(ঘ) বাংলাদেশের গণহত্যা।
(ঙ)ভারতে বাংলাদেশি শরণার্থী প্রবেশ সমস্যার মানবিক দিক।
৩. জনাব রাধা কৃষ্ণান ও অধ্যাপক ডঃ আলি হাসান জনাব সুব্রত রায়, অ্যাডভোকেট, উচ্চ আদালত, কলকাতা, কে (ঘ) নং এর গণহত্যার ওপর নিবন্ধ লিখতে অনুরোধ করতে সম্মত হয়েছেন।
ডঃ এ.আর. মল্লিক (খ) নং এর বাংলাদেশ ইস্যুতে “রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি” উপর নিবন্ধ লিখতে সম্মত হয়েছেন।
সিরিয়াল ক,গ এবং ঙ-এ উল্লেখিত অন্যান্য প্রবন্ধ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত হয় যে, উপরে ৩য় প্যরায় উল্লেখিত ২৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আলোচনা এবং আলাদা আলাদা ব্যক্তিদের আই দায়িত্ব দেওয়ার জন্য একটি মিটিংয়ের আহ্বান করা হোক।বাংলাদেশ মিশনের ১ম সচিব তাঁর দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই মিটিংয়ের আহ্বান করবেন।
৪. যে, এই মিশনের মিশনের প্রেস অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগকে নিম্ন লিখিত প্রবন্ধ গুলো সংগ্রহ এবং বাংলাদেশ মিশনের ১ম সচিবের নিকট জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে।
(১) শেখ মুজিবের ৭ ই মার্চ, ১৯৭১ এর ঐতিহাসিক ভাষণের ইংরেজী অনুবাদ (পঞ্চাশ কপি)
(২) শেখ মুজিবের ৭ ই মার্চ, ১৯৭১ এর ভাষণের টেপ।
(৩) বাংলাদেশ বিষয়ে বিভিন্ন ফিল্ম, নৃশংসতার ছবি, দলিলপত্র ইত্যাদি।
(৪) বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পীদের পেইন্টিং।
(৫) শেখ মুজিবের বড় আকারের ছবি (৫ কপি)
৫. যে, ১৯৭১ এর জুলাই থেকে আগষ্ট পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরার জন্য একটি স্পিকার প্যানেল তৈরী করা হবে। নির্বাচিত হয়ে গেলে এই সকল ব্যক্তিদের সল্প সময়ের নোটিশে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সফরের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়ে দিতে হবে। ফার্স্ট সেক্রেটারি মিশন প্রধানের সাথে পরামর্শ করে তালিকা তৈরী করবেন।
(আর. আই. চৌধুরী)
ফার্স্ট সেক্রেটারি,
বাংলাদেশ
মিশন।
বি. নং ৫/৮০/৭১
কপি পাঠানো হবেঃ-
(১) পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ সরকার।
(২) বাংলাদেশ মিশনের প্রধান।
(৩) প্যারা ৪ এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারি প্রেস অ্যাটাশে, বাংলাদেশ মিশন, কলকাতা।
(৪) প্যারা ১(খ) এবং ৩(খ) এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডঃ এ.আর. মল্লিক।
(৫) প্যারা ১(গ) এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনাব মওদুদ আহমেদ।
(৬)প্যারা ৩(ক) এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ড. আলী হাসান।
(৭) ড. মাজহারুল ইসলাম, তাঁর নিজের অংশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
(আর. আই. চৌধুরী)
ফার্স্ট সেক্রেটারি,