শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
দক্ষিণ-পূর্ব জোনে বেসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী | দক্ষিণ-পূর্ব জোন ১ | ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ |
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বেসামরিক প্রশাসনের উপশাখা গঠনের লক্ষ্যে ফেনীতে অবস্থিত উপশাখা কর্মকর্তার দপ্তরে ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় মেজর থাপার সাথে একটি মিটিং এর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উপস্থিত
১) জনাব নুরুল ইসলাম চৌধুরী – সভাপতি, পূর্বাঞ্চল
২) _সামাদ- জোনাল প্রশাসক, পূর্বাঞ্চল
৩)_খাজা আহমেদ, এমএনএ,
৪)_তালেব আলী, এমপিএ।
৫)_খাইরুদ্দিন, এমপিএ।
৬)_পুলিন বিহারী দে, এমএনএ
৭)_খান-এ-আলম খান, ডি.সি., নোয়াখালী
৮)_মুসা, পুলিশ প্রধান, নোয়াখালী।
৯)_মোঃ ইশহাক, এস.ডি.ও., ফেনী।
১০) সকল বিভাগীয় প্রধান।
১) নিম্নলিখিত নির্দেশনাসমূহ জনাব নুরুল ইসলাম চৌধুরী, সভাপতি, পূর্বাঞ্চল কর্তৃক প্রদান করা হয়েছিলঃ-
১) এলাকায় দ্রুত বেসামরিক প্রশাসন গড়ে তুলতে হবে।
২) সরকারের নির্দেশ আসা পর্যন্ত সকল বিভাগে বিদ্যমান কর্মচারীবৃন্দ সাময়িকভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন।
৩) আঞ্চলিক নীতিগুলো বাস্তবায়িত করা হবে।
৪) জনাব সামাদ কর্তৃক আদেশ এবং নির্দেশনাগুলো সময়ে সময়ে জারি করা হবে, জোনাল প্রশাসক দ্বারা সম্পন্ন করা হবে।
৫) জনাব মোঃ ইসহাক উপ-বিভাগীয় কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন, ফেনী।
৬) সংযোগাধিকারিক বিভিন্ন বিভাগীয় এবং আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের সাথে সংযোগ রক্ষা করবেন।
৭) স্থানীয় প্রশাসনকে আরো গতিশীল করতে অফিসিয়াল যন্ত্রপাতিগুলো দ্বারা কর্মসময়ের পরেও কাজ করা হবে।
৮) ২৫শে মার্চের আগে যেসকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ তাদের কর্মক্ষেত্র ত্যাগ করেছেন তারা অন্যদের মতো একই পদমর্যাদায় থাকবেন।
২) জনাব সামাদ, আঞ্চলিক প্রশাসক উপস্থিত সবাইকে আঞ্চলিক প্রশাসনের কাজের বর্ণনা দিলেন এবং বিভিন্ন সদস্যকর্তৃক উত্থাপিত বিভিন্ন দিকগুলো পরিষ্কার করলেন।
৩) মেজর থাপা নিম্নলিখিত নির্দেশনাগুলো জারি করলেনঃ
১) বেসামরিক প্রশাসনের গঠনের লক্ষ্যে এ সম্পর্কিত সবকিছু দ্রুত সম্পাদন করতে হবে।
২) ফেনী থানা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কেন্দ্রে ত্রাণবিতরণ শুরু করা হবে যেখানে নিম্নোক্ত ব্যবস্থাগুলো থাকবেঃ-
ক) রান্না
খ) সংরক্ষণ
গ) প্রজ্বলন
ঘ) স্বাস্থ্যব্যবস্থা।
৩) সকল লুটকৃত সম্পদ দ্রুত ফিরিয়ে দেয়া হবে।
৪) মুদ্রাঃ
ক) ১১/১২/৭১ তারিখ পর্যন্ত সকল ব্যাংক বন্ধ রাখা হবে।
৫) জনাব সি.এম.আহমেদ এ সময়ে উপ-কোষাগার কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন।
৬) বাজার সচিবের নিয়ন্ত্রণে, কোন অতিরিক্ত মূল্য ভোক্তা যেন অনুভব না করে তা শিল্প ও বানিজ্য চেম্বার পর্যবেক্ষণ করবে।
৭) নিম্নক্ত পণ্যদ্রব্যগুলো থাকবে……এবং রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে বিক্রয় হবে।
ক) চিনি
খ)পেট্রোল
গ)কে.ওয়েল
ঘ)লবণ
ঙ) সকল ই.ওয়েল
৮) হাসপাতাল-হাসপাতাল স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে।
৯) স্বাস্থ্য- ফেনীর মেডিকেল অফিসার ঠিক আছেন, তাকে মহামারীরোধ করার জন্য টিকা এবং প্রতিষেধক প্রদান শুরুর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
১০) স্বাস্থ্যব্যবস্থা- নগর কমিটি দ্রুত এ ব্যাপারে মনোনিবেশ করবে
১১) বিদ্যুৎব্যবস্থা-২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ চলাচল নিশ্চিত হবে। এইচ.এস.ডি তেলের ব্যবস্থা করা হবে।
১২) উপবিভাগে এইচ.এস.ডি তেল সরবরাহের জন্য হোস্ট সরকারকে অনুরোধ করা।
১৩)কৃষিতে পাম্পের জন্য…….এইচ.এস.ডি তেল আহরণের ব্যবস্থা করা।
১৪) শিক্ষা-সকল প্রতিষ্ঠানে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করা। ফেনী কলেজকে কি করে দ্রুত শুরু করা যায় তা জি.বি কলেজের সদস্য জনাব এ. মালেক দেখবেন।
১৫) রাস্তা ও মহাসড়ক | ডি.সি., নোয়াখালী নিশ্চিত করেছেন যে তিনি চুক্তির
নিমিত্তে উভয় বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের
১৬) গৃহব্যবস্থাপনা | মেজর থাপার নিকট পাঠাবেন।
১৭) টেলিযোগাযোগ – সকল সরকারী বিভাগ এবং আর্মি ক্যাম্পগুলোতে দ্রুত টেলিফোন সংযোগ দেয়া হবে।
১৮) ডাকঘর- পুরাতন টিকেটগুলোতে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সীল বসিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হবে।
১৯) দূরবার্তা – দূরবার্তা সুবিধা উপবিভাগগুলোতে বর্ধিত করা হবে।
২০) অকেজো যানবাহনগুলোকে মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত অংশ আনা হবে।
২১) রেলপথ- রেল মাস্টারদের সকল রেলপথ সম্পত্তি গোডাউনে স্তূপ করতে এবং অর্থ কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
২২) পরিবহন – বাস সমিতি দ্রুত পরিবহন সুবিধা তৈরী করবে।
২৩) কৃষি – শীতকালীন শস্য সরবরাহ করা হবে।