You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971 | "দি এ্যাকশন কমিটি ফর দা পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ ইন দা ইউনাইটেড কিংডম" এর গঠনতন্ত্র | এ্যাকশন কমিটির দলিলপত্র - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
“দি এ্যাকশন কমিটি ফর দা পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ ইন দা ইউনাইটেড কিংডম” এর গঠনতন্ত্র এ্যাকশন কমিটির দলিলপত্র ১৯৭১

প্রস্তাবনা
“কোন জাতিই স্বাধীনতা এবং ন্যায় অর্জন করতে পারে না যদি না তারা এটার জন্য রক্ত ঝরায়। স্বাধীন,সার্বভৌম বাংলাদেশ স্থাপন করতে হলে একটি সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা সৃষ্টি করতে হবে যেটি তৈরী হবে মানুষ এবং অঞ্চলভেদে”
-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহনান।
বাংলাদেশের জনগন পশ্চিম পাকিস্তানের উপর একটি সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়েছিল।
আমরা যুক্তরাজ্যের বাঙ্গালিরা শপথ করে আমাদের সমর্থন, ত্যাগ, অবদান নিশ্চিত করেছিলাম আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি। “যুদ্ধজয়” এর ক্ষেত্রে একতা একান্ত জরুরী। আমরা একতাবদ্ধ। একই লক্ষ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমাদের এক্যবদ্ধ কাজও করা উচিৎ। সুতরাং আমরা যুক্তরাজ্যের বাঙ্গালিরা একটি সংগঠন গড়ে তুললাম।
প্রবন্ধ:
এই সংগঠনটির নাম হবে “দি এ্যাকশন কমিটি ফর দা পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ ইন দা ইউনাইটেড কিংডম”। সংগঠনটির প্রধান কার্যালয় হবে লন্ডন। হাম্বারিস ব্যাংকের “বাংলাদেশ ফান্ডের” তিনজন ট্রাস্টির নাম-
১.আবু সাঈদ চৌধুরী
২.জন স্টোনহাউজ
৩.চেসওর্থ
যা হবে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় তহবিল।
কেন্দ্রীয় কমিটি তিনজন ট্রাস্টি নির্বাচিত করবে এবং ছয়জন থাকবে সর্বমোট ট্রাস্টি। কমপক্ষে চারজন ট্রাস্টির স্বাক্ষর লাগবে ফান্ড থেকে টাকা উত্তোলন করতে। সেন্ট্রাল কমিটির সিদ্ধান্তের পূর্বে টাকা উত্তোলন করা যাবে না।
নির্বাচিত ট্রাস্টি সরাসরি “সেন্ট্রাল কাউন্সিল” নির্বাচিত করবে। তাদের পূর্ববর্তী অফিসীয় কমিটির সদস্য হতে হবে। কিন্তু ভোটের অধিকার ছাড়া কেন্দ্রীয় কিংবা লোকাল কমিটিতে যুক্ত হতে চাইলে সেটা অবৈধ হবে না।
কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক কমিটিতে আবু সাঈদ চৌধুরী ও ৩জন নির্বাচিত ট্রাস্টি সহ নয় জন সদস্য থাকবে। ২ জন হিসাবরক্ষক সহ অন্য ৫ জন সদস্য নির্বাচিত হবে সরাসরি কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে। এই ৫ জন সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত করার জন্য মনোনিত হবে না।
কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক কমিটির কাজ হবে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে হিসাব সাবমিট করার পূর্বে সঠিক হিসাব রাখা, ফান্ড বৃদ্ধি করা।
সেন্ট্রাল কাউন্সিলঃ
সকল কমিটির প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কেন্দ্রিয় কাউন্সিল গঠিত হইবে। জনগনের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে প্রতিটা শহরের প্রতিনিধি কোটাভিত্তিক হবে।কেন্দ্রিয় কাউন্সিল প্রতি তিন মাসে কমপক্ষে একবার বসবে। কেন্দ্রিয় কাউন্সিলের ১৫ জন সদস্যে সরাসরি কেন্দ্রিয় কমিটি নির্বাচিত করবে।
কেন্দ্রিয় কমিটির কার্যাবলিঃ কেন্দ্রিয় কমিটি সকল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ সংস্থা হবে।সংগঠনের মুখপত্র হিসেবে অন্তত একটি বাংলা এবং ইংরেজি সাপ্তাহিক বা পাক্ষিক কাগজে তা প্রকাশ করবে। কেন্দ্রিয় কমিটি অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের সাহিত্যে,লিফলেট,বই ইত্যাদি প্রকাশ করবে। ইউ.কে ভিত্তিক পাবলিক মিটিং ও বিক্ষোভ আয়োজন করবে। ইহা জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে সহযোগী অন্য যে কোন কর্মকান্ড নিয়ে কাজ করবে। কেন্দ্রিয় কমিটি কিছু নির্দিষ্ট কাজের জন্য সাব কমিটি এবং এসব সাব কমিটির জন্য কিছু নন কাউন্সিলর তৈরি করবে।
স্থানীয় কমিটি সমূহের কার্যাবলিঃ স্থানীয় বা মাসিক ভিত্তিতে তহবিল বৃদ্ধিকরণ এবং সদস্যদের নিবন্ধন রক্ষনাবেক্ষন করবে। প্রতিটি ছোট ও বড় শহরে শুধুমাত্র একটি কার্যকরী কমিটি থাকবে। তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে গেলে তা কার্যকরী এবং সুনির্দিষ্ট করার জন্য কেন্দ্রিয় কাউন্সিল এবং কমিটির উভয়ের সম্মতি অনুযায়ী এবং তাদের প্রতিনিধি ও সদস্যের অংশগ্রহণে একটি বিদ্যমান কমিটি থাকা সত্ত্বেও আরো কমিটি গঠন করা যাবে। কমিটির প্রতিনিধিদের সাথে সমস্যা সমূহ একত্রিত করন এবং তা কার্যকরী সমাধানের জন্য স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে।
বিতর্কঃএকটি স্থানীয় কমিটি ও কেন্দ্রিয় কমিটি অথবা দুই বা ততোধিক শহর বা কেন্দ্রিয় কমিটির মধ্যবর্তী কমিটি গঠনের মধ্যে কোন বিবাদের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়ার ১৪ মাসের মধ্যে তার সমাধান করতে হবে। কেন্দ্রিয় কমিটির কেন্দ্রিয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পার্টির আপিল করার ক্ষমতা থাকবে।কাউন্সিলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।
সংশোধনঃ এই সংবিধানের কোন ধারা বর্তমান কাউন্সিলের ২/৩ দ্বারা সংশোধন করা যাবে। সংশোধনের পক্ষে ভোট মোট কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যার ৫০% এর কম হবে না।
কোরামঃ একটি কেন্দ্রিয় কমিটি এবং একটি কাউন্সিলের জন্য মিটিঙয়ের জন্য কোরাম হবে ১/৩ এবং ১/২ ।
নোটিশঃ কেন্দ্রিয় কমিটি এবং কেন্দ্রিয় কাউন্সিলের মিটিঙয়ের জন্য কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা ও ৭ দিনের নোটিশ দিতে হবে। জরুরী ক্ষেত্রে কেন্দ্রিয় কমিটি নোটিশ ছাড়াই বসতে পারবে। কিন্তু সকল সদস্যগণকে জানানোর চেষ্টা করতে হবে। বিচারপতি এ.এস চৌধুরী কেন্দ্রিয় কমিটির উপদেষ্টা হবে।