বাংলাদেশ সমর্থনে গঠিত ‘বাংলাদেশ ফ্রিডম মুভমেন্ট ওভারসীজ’-এর তিনটি প্রচারপত্র | ‘বাংলাদেশ ফ্রিডম মুভমেন্ট ওভারসীজ’-এর দলিলপত্র | অক্টোবর,
১৯৭১ |
হইতে: তাসাদ্দুক আহমেদ গ্যাঙ্গেস রেস্টুরেন্ট ৪০ জেরার্ড স্ট্রিট লন্ডন ডাব্লিউ ১ ফোন. ০১-৪৩৭ ৮৭০৫/০২৮৪
এই চিঠিটি আমি আপনাকে লিখছি, কারণ আমি মনে করি বিদেশে থাকা অনেক বাঙালি, যারা বাংলাদেশে প্রতিরোধ আন্দোলনে সহযোগিতার জন্য কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের অভাবে সম্পূর্ণরূপে হতাশ এবং বেদনাহত, আপনিও তাদেরই একজন। আমরা আপনার অনুভূতি এবং উদ্বেগ আমরাও উপলব্ধি করতে পারি এবং আমরাও তীব্রভাবে আশা করি আমাদের জাতীয় নেতারা অন্তত একবারের জন্য হলেও যেন তাদের সংকীর্ণ কলহ ভুলে গিয়ে হাতে হাত রেখে ৭০,০০০ প্রবাসী বাঙালিকে একটি জাতীয় নেতৃত্ব দেন। ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব জনগোষ্ঠীর কঠিন প্রয়োজনের সময় শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে ।
যাই হোক, দেশপ্রেমের জোয়ারে নেতৃত্বের গুণাবলি নিয়ে পৃথক পৃথক কিছু পেশাদার দলের উৎপত্তি হয়েছে। লন্ডনে যাদের কথা আমরা জানতে পেরেছি, তারা বাঙালি ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ, নারী পরিষদ, ডাক্তার পরিষদ, প্রচার কমিটি ইত্যাদি। এই সংকটপূর্ণ সময়ে এই দলগুলো নিজেদের কাজ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু তাদের কাজগুলো পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতার অভাবে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। মোটের ওপর, তারা হল পৃথক পৃথক ছোট দল, যাদের সাথে গণমানুষের যোগাযোগ খুবই সামান্য।
বিক্ষিপ্ত কার্যক্রম গুলিকে সীমিত একটি সমন্বয় দিতে হবে এবং একে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকা প্রতিরোধ করতে হবে, বিশেষ করে বিদেশী নাগরিকদের মধ্যে সংহতি প্রচারণার ক্ষেত্রে, সম্প্রতি দু’টি কমিটির ব্যয়ভার বহন করা হচ্ছে, একটি হচ্ছে সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি যাদের মূলনীতি হল পূর্ব পাকিস্তানের ন্যায় বিচার, অপরটি হল সর্বদলীয় নাগরিক প্রচার কমিটি, যার প্রধান ছিলেন ডেভিড মেসন, তিনি ছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্পর্কের নিমিত্তে গঠিত মেথডিস্ট কনফারেন্স কমিটির আহ্বায়ক। আন্তর্জাতিক প্রচার কমিটিটি বাংলাদেশ ফ্রিডম মুভমেন্ট ওভারসিস নামে পরিচিত ছিল। এর সহসভাপতি প্যানেলে কানাডা, আমেরিকা, শ্রীলংকার প্রতিনিধিরাও ছিলেন। আশা করা যায় যে, শীঘ্রই মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যান্য দেশগুলোকেও উপযুক্ত সামর্থ্য সহকারে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমাদের সীমিত প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা গেছে। ব্রুস ডগলাসম্যান এম.পির বাংলাদেশ পরিদর্শনের ব্যবস্থা আমরাই করেছিলাম। আন্তর্জাতিক ত্রাণসংস্থাগুলোকে শীঘ্রই গৃহযুদ্ধে ভুক্তভোগীদেরকে সাহায্য করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আমরা ঘনিষ্ঠভাবেই জন স্টোন হাউস এম.পি. র সংস্পর্শে আছি, যিনি শরণার্থীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে সম্প্রতি কলকাতা গিয়েছিলেন। বিমানের মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রীর সাপ্তাহিক চালানের ব্যবস্থা ইতিপূর্বে করা হয়েছে। আমরা প্রতিনিধিদের ব্যয়ভারের সম্মুখীন হচ্ছি, যারা প্যারিসে পাকিস্তান এইড কনসোর্টিয়াম এর সদস্যদের মধ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে। জাতিসংঘে দুইজন প্রতিনিধিকে পাঠানোর ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি, আমরা আমাদের একজন সহযোগীকে বিশেষভাবে নিয়োগ দিয়ে সিলেট জেলার অবস্থার উপর প্রতিবেদন তৈরির জন্য করিমগঞ্জে পাঠিয়েছি।
আপনার বিবেচনার জন্য জানিয়ে রাখছি যে, আমরা নিজ নিজ ভাবে যতটুক সম্ভব চেষ্টা করছি, তারপরেও আমরা আপনাকে মাদের পূর্ণ সহযোগিতা প্রদানের আবেদন জানাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য এবং আন্দোলনের উদ্দেশ্য সহকারে আবেদন করছি। দয়া করে সতর্কতার সাথে পড়বেন এবং আপনার বন্ধুদেরকে এর কপি সরবরাহ করবেন, যারা নিজেদেরকে এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত করতে আগ্রহী। আমরা আপনার এবং আপনার সহযোগীদের কাছে কী ধরণের সহযোগিতা পেতে পারি, সে বিষয়ে দয়া করে জানাবেন।
শুভেচ্ছা এবং অভিবাদন রইল।
একান্তে, ……………………….
২।
বাংলাদেশ ফ্রিডম মুভমেন্ট ওভারসীস ১৫৫ হুইটফিল্ড স্ট্রিট, লন্ডন ডাব্লিউ ১ টেলিফোনঃ ০১-৩৮৭ ৬৪৮২/৪৩৭ ৮৭০৫ ক্যাবলঃ প্রবাসী লন্ডন ডাব্লিউ ১ প্রেসিডেন্ট-ডেভিড মেসন
পাকিস্তান আমাদের কাছে মৃত। যে মাটি আমাদের অসংখ্য আশার জন্ম দিয়েছিলো, তা এখন বর্বর পেশাদার সৈন্যদলের খেলার মঞ্চে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনগুলোকে নিয়ে দেখা আমাদের অপূর্ণ স্বপ্নগুলো খুন হওয়া স্ত্রীদের, শ্লীলতাহানি হওয়া বোনদের এবং মেরে ফেলা শিশুদের দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
আমরা যারা পেশাদার সৈন্যদের দাস হয়ে স্বদেশে ফিরে যাওয়াকে প্রত্যাখ্যান করি এবং শান্তি, ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্রের মন্ত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ একটি স্বাধীন দেশে ফিরে যাবার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তারাই বাংলাদেশ ফ্রিডম মুভমেন্ট ওভারসীসকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছি – এটি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে সংহতির জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্রচার। এই আন্দোলনের লক্ষ্য (ক) অমানবিকতা এবং পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যদের নৃশংসতার বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেককে জাগ্রত করে তোলা (খ) গৃহযুদ্ধের ভুক্তভোগীদের জন্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ এবং সাহায্য সহজলভ্য করা; এবং (গ) বিশ্বের সভ্য, গণতান্ত্রিক এবং সমাজতন্ত্রী দেশগুলোর সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশের ৭ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের জন্য আত্মনির্ধারণের অধিকার অর্জন করা।
বাংলাদেশের কারণে আন্তর্জাতিক সমঝোতা এবং সহানুভূতি অর্জনের জন্য যে গ্রুপটি নতুন কাওকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে, সক্রিয় হয়েছে যখন ২৫ শে মার্চ ১৯৭১ এর রাতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকাতে নিরস্ত্র নাগরিকদের গণহত্যা হয়েছিল। ইংরেজি ভাষার বুলেটিন ‘বাংলাদেশ’ আমরাই প্রকাশ করেছি, পাঁচ সপ্তাহের খবর নিয়ে এটি প্রকাশিত হয়েছে এবং বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এই বুলেটিন টিকে আমাদের কার্যক্রমের দৈনন্দিন ফিচার বানাতে চাই এবং সম্পূর্ণ করতে চাই অনিয়মিত প্রকাশনার ক্ষুদ্র পুস্তক, পুস্তিকা, পোস্টার ইত্যাদির মাধ্যমে। পরবর্তী দুই মাসে এর জন্য আমাদের খরচ পড়বে প্রায় ১৫০০ পাউন্ডের কাছাকাছি। পাশাপাশি, আমরা জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রে (খরচ আনুমানিক ১৫০০ পাউন্ড) , নেপাল, শ্রীলংকা, বার্মা এবং আফগানিস্তানে (১৫০০ পাউন্ড), যুক্তরাজ্যে (১৫০০ পাউন্ড) এবং ইউরোপে (৫০০ পাউন্ড) সংহতি প্রচারাভিযানের ইচ্ছা রাখি। এই প্রকল্পের জন্য মোট আনুমানিক খরচ প্রায় ৭৫০০ পাউন্ডের মত। আমরা এই অর্থ প্রাথমিকভাবে উত্তোলনের আশা রাখি তাদের মধ্যে থেকে যাদের নিজ জন্মভূমিতে মুক্তভাবে বসবাস করার অধিকার আছে এবং হানাদার সৈন্য এবং তাদের দোসরদের দ্বারা আজকের এই গৃহযুদ্ধ যেসব মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং যাদের আত্মীয়স্বজন ভুক্তভোগী।
যারা আমাদের জন্মভূমিকে স্বাধীনভাবে আবার হাসতে দেখতে চায় এবং অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে প্রস্তুত হবার জন্য বাড়তি অর্থ এবং অতিরিক্ত সময় ছন্নছাড়া জীবনের ছায়া থেকে বের হয়ে একটি নতুন জাতির আবির্ভাব চায়, আপনিও নিশ্চয়ই তাদেরই একজন, আর তা হয়ে থাকলে আমাদের সাথে যোগদান করুন এবং আমাদের প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলনে সহায়তা করুন। আমরা আশা করি, প্রচারাভিযান চালু করার প্রথম বছরে প্রথম ১০০ স্পন্সর প্রত্যেকে ১০০ পাউন্ড দান কিংবা অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে সংগ্রহ করতে পারব।
নতুনরা নির্দলীয় হবে এবং কোন উপদলেরও সদস্য হবে না। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং বহুজাতিক কোম্পানি এবং বহু-জাত সংবলিত বিভিন্ন সমস্যাতে এর গঠনের অগ্রসরে কাজ করবে । এসব প্রচারাভিযান কার্যক্রমে ইচ্ছুক যে কেউ সক্রিয় সদস্য, সহযোগী সদস্য কিংবা সমর্থক হিসেবে যোগদান করতে পারে, আরও বিস্তারিত জানতে আগ্রহী হলে নিম্নে সাক্ষর সহ দয়াকরে আমাদের সংস্পর্শে থাকুন।
বিনীত,
———-
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে আপনারা যেভাবে সাহায্য করতে পারেন – নির্দেশাবলী
১। একটি কার্যকরী কমিটি থেকে যেখানেই হোক আপনারা কমপক্ষে পাঁচ জন বাংলাদেশী সমর্থক মিলিত হতে পারেন। এটি হতে পারে আপনার কাজের জায়গাতে কিংবা বাসায় কিংবা বিনোদনের কোন জায়গাতে। শুরুতে বাংলাদেশ আন্দোলনের জন্য আমরা সকল বাঙালি রেস্তোরাঁগুলোকে প্রচারাভিযান কেন্দ্র এবং অর্থ ও ত্রাণসামগ্রীর সংগ্রহশালা হিসেবে গঠন করার পরামর্শ দিচ্ছি। মেইল গ্রহণের জন্য কমিটির একটি উপযুক্ত অ্যাড্রেস এবং মিটিং এর উদ্দেশ্যে একটি জায়গা নির্ধারণ করা উচিত। (একটি আদর্শ শাসনতন্ত্রের সাথে আপনাদেরকে সাহায্য করার জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত হতে হবে।)
২। এরপর, কমিটিকে বিভিন্ন দেশি এবং বিদেশি সংস্থাগুলোর সংস্পর্শে থাকা উচিত যারা বাংলাদেশের জন্য প্রচারাভিযান চালাচ্ছে এবং মুক্তিযোদ্ধা এবং পশ্চিম পাকিস্তানের পেশাদার সৈন্য দ্বারা ভুক্তভোগীদের জন্য নৈতিক সমর্থন এবং চিকিৎসা সামগ্রী সংগ্রহের চেষ্টা করছে, সেসব সংস্থাগুলোকে তাদের প্রকাশিত পুস্তক, পত্রিকা ইত্যাদি আপনাদেরকে পাঠাতে বলুন। তারপর সেগুলো পরিচিতদের মধ্যে বিতরণ করুন।
৩। বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার, বাংলাদেশের সাথে সংহতির জন্য প্রচারাভিযান -তাদের সকলেরই কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন। সুতরাং আপনার কমিটির জন্য একটি তহবিল গঠন করুন। ব্যাংকের স্থানীয় শাখাতে একটি হিসাব খুলুন। হিসাব পর্যবেক্ষণের জন্য দু’জন ট্রাস্টি নিয়োগ করুন। আপনার কমিটির প্রত্যেক সদস্যকে মুক্তিযুদ্ধ তহবিলে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে এক পাউন্ড দান করতে উৎসাহিত করুন। আপনার পরিচিত এবং সহযোগীদের তহবিলে দান করতে উৎসাহী করুন। স্বল্প সংগ্রহগুলো সিলগালাযুক্ত বাক্সে রাখতে হবে, যেগুলো দেশি এবং বিদেশি সংস্থাগুলোর ত্রাণ থেকে জমা হয়েছিলো। এবং এক পাউন্ডের বেশি দান করলেও, তা সবসময়ই গ্রহণযোগ্য। দেশি এবং বিদেশি প্রচারকদের কাছ থেকে রসিদ বই চেয়ে নিন।
৪। বাংলাদেশ সরকার এবং তাদের বিদেশি এজেন্সিগুলোর যোগ্যতাসম্পন্ন পরিচালক, প্রযুক্তিবিদ, জনসংযোগ কর্মচারীবৃন্দ, ইত্যাদি প্রয়োজন। দয়া করে এই ধরনের লোকদের একটি তালিকা সংগ্রহ করুন, যারা বাংলাদেশ সরকার নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে কাজ করতে ইচ্ছুক। সংগ্রহ করর সময় সম্মানিত সংস্থাগুলোকে এই ধরনের কর্মচারীবৃন্দের প্রাপ্যতা সম্পর্কে অবগত করুন। এই ধরনের কর্মী নির্বাচনের সময় তাদেরকেই অগ্রাধিকার দিন, যাদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব আছে অথবা ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য মনোনীত হয়েছেন। যারা পাকিস্তানের প্রেষণের উপর নির্ভর করেন অথবা যারা পাকিস্তান সরকারের ভাতা সমূহের সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন তাদের অবশ্যই বোঝাতে হবে, যেন তারা বাংলাদেশ আন্দোলনের সাথে না জড়ান, যদিও এটা পরিষ্কার করে দেওয়া উচিত যে, আমরা তাদের উদ্বেগ এবং সহানুভূতিকে সম্মান করছি।
৫। কমিটিকে তাদের তহবিল থেকে অর্থ প্রদানে সতর্ক হওয়া উচিত। সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে সংগ্রহকৃত তহবিল অথবা অন্যান্য সাহায্য সামগ্রী অবশ্যই বিশেষ কারনে বিতরণ করা হবে। ব্যাক্তিগত সংগ্রহকারীদের পছন্দ এবং পরামর্শকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে। যদি একটি কমিটি সমষ্টিগতভাবে কিছু দান করতে চায়, তবে তাদের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে কমিটি সদস্যদের যাচাই করতে বলা উচিত। এই পরিমাপগুলো অতি প্রয়োজনীয়, দানকারীরা যেন সন্তুষ্ট হতে পারেন যে, তাদের দান সঠিকভাবেই ব্যবহার করা হচ্ছে। একমাত্র এই উপায়েই যেকোন দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পের জন্য আমরা আমাদের দানকারীদের আস্থা অর্জন করতে পারবো এবং বাংলাদেশ আন্দোলনে তাদের টেকসই আগ্রহ অর্জন করতে পারব।
বাংলাদেশ ফ্রিডম মুভমেন্ট ওভারসীস এর পক্ষে ইস্যুকৃত। ৪০ জেরার্ড স্ট্রিট। লন্ডন ডাব্লিউ ১। ০১.৪৩৭ ৮৭০৫। তাসাদ্দুক আহমেদ।