শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
পূর্বাঞ্চলীয় জোনের আওতাধীণ যুব শিবির পরিচালনা সংক্রান্ত সভার বিবরণী | বাংলাদেশ সরকার, লিবারেশন কাউন্সিল, পূর্বাঞ্চলীয় জোন | ২৭ জুন, ১৯৭১ |
২৭ জুন, ১৯৭১ পূ্র্বাঞ্চলীয় জোন যুব শিবিরের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের নিম্নলিখিত উল্লেখযোগ্য অংশ আপনার অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হলো:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রবর্তিত আমাদের অর্থনৈতিক-সংগ্রাম এর মৌলিক যুদ্ধকৌশল সংক্রান্ত মূল প্রশিক্ষন পরিকল্পনার পরিস্কার ব্যখ্যা দিয়েছেন স্টুডেন্ট অ্যাকশন কমিটির জনাব এ.রব । তার প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আমাদের সার্বিক যুদ্ধ কৌশলের প্রশ্নগুলো আরও উচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরতে এগিয়ে আসবে লিবারেশন কাউন্সিল, পূর্বাঞ্চলীয় জোন। আমাদের যুদ্ধ পরিকল্পনা প্রশ্নে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব থাকবে নিম্নলিখিত দিকগুলোতে:
(ক) আমাদের নিজস্ব নেতৃত্বে, নিজেদের যুদ্ধ কৌশল থাকা উচিত এবং অন্য কোনো জাতির নেতৃত্বে নয়, তারা আমাদের সাহায্য করুক বা না করুক।
(খ) আমাদের সার্বিক যুদ্ধ কৌশলের জন্য যে কোনো প্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা পূর্ণ কৃতজ্ঞচিত্তে নেওয়া উচিত আমাদের তবে সাহায্যকারীর নিয়ন্ত্রণে নয় ।
(গ) সার্বিক যুদ্ধ কৌশলের একটি বড় অংশ হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাপ্রেমী সকল মানুষকে নিয়মিত তথ্য জানানো, যাতে স্ব স্ব ক্ষেত্রে তাদের পূর্ণ অংশগ্রহণ থাকে। সার্বিক কৌশলের জনপ্রিয় অংশগুলো জনগনের জানার জন্য প্রকাশ করতে হবে।
(ঘ) আমাদের যুদ্ধ কৌশণের একটি অপরিহার্য ব্যপার অবশ্য হওয়া উচিত আমাদের সামরিক বাহিনীর ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রন বাংলাদেশ সরকারের অধীনে নিশ্চিত করা । তাই আমাদের সামরিক বাহিনীর জন্য যে কোনো ধরণের সহায়তা, যেমন সেক্টর কমান্ডারদের সহায়তা হবে বাংলাদেশ বাহিনীর নেতৃত্বের মাধ্যমে করতে হবে। অন্যথায় সহায়তা সেক্টর কমান্ডারদের সরাসরি দেওয়া হলে নিজস্ব বাহিনী ও সেনাপতি গড়ে ওঠার ধারা সৃষ্টি হবে।
(ঙ) আমাদের সেনাবাহিনীর ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রেও একই ধরণের ঐক্যবদ্ধ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে। সেটা শুধু ওপরে উল্লেখিত কারণেই নয়, আমাদের সামরিক বাহিনীকে ক্ষতিগস্থ করতে পারে, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত অনুপ্রবেশ ঠেকাতেও।
(মো শফি কাদেরি)
অগ্রগতি কর্মকর্তা
যুব শিবির
…………………………………………..