You dont have javascript enabled! Please enable it!
শিরোনাম সূত্র তারিখ
যুব ত্রাণ শিবির সম্পর্কে আরেকটি প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকার, লিবারেশন কাউন্সিল পূর্বাঞ্চলীয় জোন ২৪ জুন , ১৯৭১

 

যুব ত্রাণ শিবির

সাধারণ শরণার্থী ত্রাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই অঞ্চলে সীমান্তের প্রায় পাঁচ মাইল অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রবেশ স্থানে (তালিকা সংযুক্ত) ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কয়েকটি যুব ত্রাণ শিবির চালু করেছে। যুবা উদ্বাস্তুদের জন্য আলাদা শিবির বলতে বুঝাবে যেঃ

(ক) অন্যদের থেকে যুবক শরণার্থীদের আলাদা রাখা।
(খ) বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে যুবকদের উৎসাহ প্রদানের জন্য পর্যাপ্ত অভ্যর্থনা ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করা।
(গ) যুব প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের জন্য শিবির হিসেবে ব্যবহার করা।
(ঘ) প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের পূর্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক শুদ্ধতা যাচাইকরণ।

একটি আলাদা যুব প্রশিক্ষণ যাচাইকরণ ভারত সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। কারণ ভারতীয় ভূখন্ডের বেশ অভ্যন্তরে দশটি যুব শিবির নির্মাণ করা হবে। এ শিবির নির্মাণ করা হবে এই উদ্দেশ্যেঃ
(ক) বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীতে নিয়োগের পূর্বে প্রাথমিক অস্ত্র অনুশীলন।
(খ) বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীতে যাদের নিয়োগ দেওয়া হবে না, তাদের জন্য ভিত্তিমূলক কাজের প্রশিক্ষণ।

এ পর্যন্ত ১৪৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীর বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরো ১০,০০০ তরুণ থাকার জন্য শিবির নির্মাণ করা হচ্ছে।

আমরা এখন অনুধাবন করছি যে, যুব ত্রাণ শিবিরগুলি তরুণ দ্বারা পরিপূর্ণ। এখন তাদের থাকার জন্য বৃহত্তর যুব ত্রাণ শিবির নির্মাণাধীন রয়েছে।

যেসব কারণে সরকার আলাদা যুব শিবির সরকার নির্মাণ করেছে, স্বাধীনতা সংগ্রমের দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বেলায়ও তা সমানভাবে কার্যকর। আমরা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের মুক্তি বাহিনীর তরফ থেকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে বর্তমান যুব শিবিরগুলি চালু রাখার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।

স্বাক্ষরিত/-
———–

 

যুব শিবির তারিখঃ ২২/০৬/৭১ খ্রিঃ

(শিবির প্রধান সহ)

জেলার অভ্যর্থনা শিবির শিবিরের স্থান (প্রস্তাবিত স্থান) শিবির প্রধান
(ক) চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম (১) হরিণা

(২) বরিষামুখের শ্রীনগর

(৩) উদয়পুর (পল্টন)

এম. এ. হান্নান খাইরুদ্দিন আহমেদ, এমপিএ; (ওবায়দুল্লাহ মজুমদার, এমএনএ);

ক্যাপ্টেন এস. আলি, এমপিএ।

(খ) নোয়াখালী (১) ছোটাখোলা

(২) রাজনগর

খাজা আহমেদ, এমএনএ

এ হানিফ, এমএনএ।

(গ) কুমিল্লা (১) কালিহালিয়া (বড়মুড়া)

(২) হাতিমারা(কমলনগর)

(৩) বুনাগড়(চায়মারা)

(৪) মেলাগড়

জালাল আহমেদ, এমপিএ;

এম. এ. রশীদ, এমপিএ;

অধ্যাপক এ. রউফ

ক্যাপটেন শওকত।

(ঘ) সিলেট (১) আশ্রমবাড়ি (খোওয়াই)

(২) কৈলাশহর

(৩) ধর্মনগর

(৪) রাথারকান্দি (করিমগঞ্জ)

মুস্তফা শহীদ, এমপিএ
আজিজুর রহমান, এমপিএ
মানিক চৌধুরী, এমএনএ
তৈমুজ আলী, এমপিএ
জনাব আব্দুল মালেক
(ঙ) ঢাকা ও কুমিল্লার জন্য আগরতলায় ট্রানজিট শিবির (১) কংগ্রেস ভবন (ট্রানজিট)

(২) নরসিংহর

(৩) বাল্লালি (৪) মোহনপুর

(৫) কমলপুর

ফজলুর রহমান, এমএনএ;

দেওয়ান এ. আব্বাস, এমএনএ;

গাজী ফজলুর রহমান, এমপিএ;

শফিরউদ্দিন, এমপিএ;

জনাব আলতাফুর রহমান, এমপিএ। 

     
     

                                                               

বাংলাদেশ মুক্তি কাউন্সিল, পূর্বাঞ্চল কর্তৃক অনুমোদিত

১) উদয়পুর, (১১) জনাব আবদুল্লাহ হারুন, এমপিএ

২) শিলচর (পার্বত্য চট্টগ্রাম), জনাব সাইদুর রহমান                                        

              

)নিয়মিত ট্রেনিং শিবির

অঞ্চল প্রস্তাবিত ক্যাম্পের সংখ্যা বিদ্যমান ক্যাম্পের সংখ্যা ক্যাম্পের প্রধান / উপপ্রধান
১. গোকুলনগর

(বর্তমানে সার্বিক তত্বাবধানে আছেন

জনাব শামসুল হক, এমপিএ)

ক. শামসুল হক এমপিএ /

ওয়াইসুদ্দিন

 

পদ্মানগর ৩/৬ শুন্য খ. দেওয়ান আব্দুল আব্বাস, এমএনএ

হামিদুর রহমান

 

       

 

 

প্রতিটি শিবিরের শিবির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হবে:

১. শিবির প্রধান নিয়োগ পাবেন স্বাধীনতা কাউন্সিল কর্তৃক

২. সহকারী শিবির প্রধান নিয়োগ পাবেন স্বাধীনতা কাউন্সিল কর্তৃক

৩. পরিচালক, প্রশাসনের মনোনয়নে শিবির পরিদর্শক নিয়োগ পাবেন শিবির প্রধান কর্তৃক

৪. রাজনৈতিক প্রশিক্ষক নিয়োগ পাবেন পরিচালক, প্রশিক্ষণ সমন্বয় কর্তৃক

৫. শারীরিক প্রশিক্ষক নিয়োগ পাবেন প্রশিক্ষণ সমন্বয় কর্তৃক

৬. মেডিকেল কর্মকর্তা নিয়োগ পাবেন সহকারী পরিচালক (স্বাস্থ্য) কর্তৃক

৭. শিবির প্রশাসক (যেখানো নিযোগ দেওয়া হবে) স্থানীয় সরকার কর্তৃক

৮. অস্ত্র প্রশিক্ষক (যেখানে নিয়োগ হবে) স্থানীয় সরকার কতৃক

স্বাক্ষরিত/-………………..

 

 

………………………………

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!