শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
যুব ত্রাণ শিবির সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন | বাংলাদেশ সরকার, লিবারেশন কাউন্সিল পূর্বাঞ্চলীয় জোন | ৬ জুন, ১৯৭১ |
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
তাং – ৬/৬/৭১
শিবির প্রধান / দায়িত্বপ্রাপ্ত শিবির প্রধান,
যেহেতু সরকার আপনার গবেষণার আবেদন মঞ্জুর করেছেন, সেহেতু এই ইউথ রিলিফ ক্যাম্প প্রজেক্টের কিছু তথ্য উপাত্ত আমি সংযুক্ত করছি।
এই প্রজেক্টকে আরো তরান্বিত ও অভিন্নভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আলোচনার জন্য কৃষ্ণনগর অফিসে আগামী রবিবার দুপুর ৩ঘটিকায় একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত মিটিং এ আপনার সদয় উপস্থিতির জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
সংযুক্ত প্রজেক্টের ৫নং প্যারা অনুসারে, এই সময়ের মধ্যে ক্যাম্প অফিসারদের এপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করার জন্যেও আপনাকে অনুরোধ করা হলো।
নিবন্ধন ও হিশেব (Return) সম্পর্কিত রীতিনীতির একটি তালিকা সংযুক্ত আছে । সংযুক্ত উপধারা অনুসারে, অনুগ্রহপূর্বক নিম্নে উল্লেখিত কাগজসমূহ নিয়ে আসবার জন্য জানানো হচ্ছে।
(১) কর্মকর্তাদের তালিকা
(২) দৈনিক হিশেব (Return) (আগমন ও বহির্গমন)
(৩) সাপ্তাহিক উন্নয়ন সমীক্ষা
আপনার বিশ্বাস্ত
(এম আলম)
৬/৬/৭১
যুব ত্রাণ শিবির
(পরিচিতি)
১) উদ্দেশ্যসমূহ
(ক) সারা বাংলাদেশ থেকে আগত তরুণদের একত্রিত করে সংঘবদ্ধভাবে ও উদ্দেশ্যমুলক কর্মকান্ডের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া
(খ) আমাদের সামরিক বাহিনীর জন্য অবস্থা শিবির হিসেবে পরিচালনা করা যেখান থেকে প্রশিক্ষিতদের নিয়মিত ও গেরিলা হিসেবে নিয়োগ করা হবে
(গ) অন্যদেরকে ভিত্তি-কর্মী হিসেবে প্রশিক্ষিত করা, প্রয়োজনে যারা আমাদের সামরিক বাহিনীর নির্দেশে শিক্ষানবিশ গেরিলা হিসেবেও কাজ করবে
(২) সূচী
(ক) আগামী ৬মাসব্যাপী যাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে
(১) ৫০,০০০ ভিত্তি কর্মী
(২) ১৮,০০০ সামরিক নিয়োগ
(খ) গড়ে প্রতি মাসে প্রায় ১২,০০০
(গ) প্রশিক্ষণ হবে দুই ভাগে, ১৫দিন করে, এক মাসের জন্য
(১) প্রথম অংশে সকল নতুন আগতদের উদ্বুদ্ধকরণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, এরপর সামরিক বাহিণীতে নিয়োগ দেওয়া হবে
(২) যাদেরকে সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে না, দ্বিতীয় অংশে তাদেরকে বেজ ওয়ার্ক এর জন্য প্রস্তুত করা হবে
*সংযুক্ত এপেন্ডিক্স-এ (সামারি এট ফ্ল্যাগ-এক্স) অংশে সূচীর রুপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।
৩) ক্যাম্পের গঠন
ক্যাম্প হবে দুই ধরনের
(ক) অভ্যর্থনা/রিসিপশন ক্যাম্পঃ সীমান্তে প্রবেশমুখ মূলপথে ৫মাইল দূরবর্তী ত্রিপুরাতে এমন ১৫টি ক্যাম্প করা হবে
(১) প্রাথমিক বিশ্রাম ও পরিচিতি
(২) রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দ্বারা নিরাপত্তামূলক নিরীক্ষন
(৩) যদি সম্ভবপর হয়, নিয়মিত ক্যাম্পে ভর্তির অপেক্ষায় থাকাদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ
(খ) প্রশিক্ষণ/ট্রেনিং ক্যাম্পঃ আগরতলা এর ৩০ মাইলের মধ্যবর্তী ৩টি এলাকায় ত্রিপুরাতে এমন ১০টি ক্যাম্প হবে যার প্রতিটিকে থাকবে প্রায় ১০০জন
*এপেন্ডিক্স-বি তে ক্যাম্পসমূহের লিস্ট সংযুক্ত করা হলো
(৪) ক্যাম্প ম্যানেজমেন্ট
(ক) অভ্যর্থনা ক্যাম্পসমূহ নিম্নলিখিত ব্যক্তিবর্গের দ্বারা গঠিত কমিটি কর্তৃক পরিচালিত হবেঃ
১ জন ক্যাম্প ইন চার্জ
১ জন ডেপুটি ক্যাম্প ইন চার্জ
১ জন ক্যাম্প সুপারভাইজার
১ জন স্টুডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ
১ জন হেলথ অফিসার
(খ) প্রশিক্ষণ ক্যাম্পসমূহ নিমলিখিত ব্যক্তিবর্গের দ্বারা গঠিত কমিটি কর্তৃক পরিচালিত হবেঃ
১ জন ক্যাম্প ইন চার্জ
১ জন ডেপুটি ক্যাম্প ইন চার্জ
১জন রাজনৈতিক প্রশিক্ষক প্রতি ২৫০জন প্রশিক্ষনার্থীর জন্য
একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
( ২) প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী ( ডক্টর আবু ইউসুফ) এর নির্দেশনায় পরিচালিত হবে।
( ৩) ক্যাম্পের সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তা ভারত সরকার দ্বারা নিয়োজিত ক্যাম্প প্রশাসনের দায়িত্বে থাকবে ।
(৫) নিয়োগঃ
(ক) ক্যাম্প প্রধান/ ভারপ্রাপ্ত প্রধান এবং তাঁদের সহকারীবৃন্দ মনোনীত হবেন পূর্বাঞ্চলের জনপ্রতিনিধিবৃন্দ দিয়ে গঠিত রাজনৈতিক সমিতি দ্বারা।
(খ) ক্যাম্পপ্রধান/ ভারপ্রাপ্ত প্রধান নিন্মোক্তভাবে দপ্তরবাহকদের নিয়োগ দিবেন-
(১) পরিচালক, যুব মুক্তি ক্যাম্প প্রশাসনের ( অধ্যাপক এনআই চৌধুরী এমএনএ) সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ক্যাম্প কর্মকর্তা নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন সরকারী কর্মচারী এবং পেশাজীবীদের মধ্য থেকে।
(২) রাজনৈতিক নির্দেশনা আসবে অধ্যাপক এবং শিক্ষকদের সাথে প্রশিক্ষক সমন্বয়কের ( ডক্টর আবু ইউসুফ) আলোচনা সাপেক্ষে।
(৩) সেক্টর কমান্ডারদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কর্মচারী/ প্রাক্তন কর্মচারীদের মাঝ থেকে শারীরিক প্রশিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
(৪) ছাত্র প্রতিনিধি নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন বাংলাদেশ ছাত্র কার্যকরী সমিতি ( জনাব একিউ মাখন) দ্বারা।
(৫) মেডিক্যাল সমন্বয়কের ( ডাক্তার আখতারুজ্জামান) সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
(৬) সকল নিয়োগপ্রাপ্তগণ তাদের ক্যাম্পেই অবস্থান করবেন।
৬। আর্থিক এবং হিসাব ব্যবস্থাপনাঃ
ক্যাম্প কর্মকর্তা/ ক্যাম্প পরিচালক হবেন লেখ্য এবং ব্যয়িক কর্মকর্তা।
তারা সাপ্তাহিক খরচের হিসাব পরিচালকের কাছে জমা দিবেন। ইতোমধ্যে ব্যয়িত অর্থের সাথে নতুন প্রাপ্ত অর্থ এবং এর ব্যবস্থাপনা হালনাগাদ করা হবে।
৭। সদরদপ্তর সমূহঃ
পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সমিতি সার্বিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পরিচালকমণ্ডলীর নিন্মোক্ত সদরদপ্তরসমূহ স্থাপনা করেছে :
জনাব মাহবুব আলম, পরিচালক (প্রকল্প সমন্বয়ক )
ডক্টর আবু ইউসুফ, পরিচালক ( অনুশীলন সমন্বয়ক)
অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, এমএনএ, পরিচালক ( প্রশাসন)
জনাব মুজাফফর আহমেদ, এমপিএ ,পরিচালক ( চালনা এবং আতিথ্য)।
জনাব খালেদ মাহমুদ,এমএনএ, পরিচালক ( অনুপ্রেরণা)
(ভবিষ্যৎ নিয়োগ) সহকারী পরিচালক (প্রশাসন)
(ভবিষ্যৎ নিয়োগ) সহকারী পরিচালক ( সরবরাহ)
জনাব বজলুর রহমান সহকারী পরিচালক ( হিসাব)
জনাব মোশাররফ হোসাইন সহকারী সমন্বয়ক (রাজনৈতিক)
অধ্যাপক দেবব্রত দত্ত গুপ্ত সহকারী সমন্বয়ক ( শারিরীক)
নামঃ শুরুর তারিখঃ
বর্তমান সামর্থ্যঃ
যুব ত্রাণ শিবির
(ভ্রাম্যমাণ, নিয়মিত কর্মকর্তাগণ)
১। ক্যাম্প প্রধানঃ ……………………………………………………………………………
২। সহকারী ক্যাম্প প্রধানঃ ……………………………………………………………………………
৩। ক্যাম্প কর্মকর্তাঃ ……………………………………………………………………………
৪। রাজনৈতিক নির্দেশকঃ ……………………………………………………………………………
ক) ……………………………………………………………………………
খ) ……………………………………………………………………………
৫। শারিরীক প্রশিক্ষকঃ ……………………………………………………………………………
ক) ……………………………………………………………………………
খ) ……………………………………………………………………………
৬। ছাত্র প্রতিনিধিঃ ……………………………………………………………………………
৭। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাঃ ……………………………………………………………………………
স্বাক্ষরঃ
(ক্যাম্প প্রধান)
তারিখঃ
সাপ্তাহিক উন্নতি
নামঃ তারিখঃ
যুব ত্রাণ শিবির
(নিরীক্ষণ-তালিকা)
আজকের অবস্থাঃ
১। দপ্তর বাহকগণঃ
ক) অফিস বাহকদের তালিকা কি সম্পন্ন হয়েছে ?
খ) না হলে শূন্যস্থান কোনগুলি ?
গ) শূন্যস্থানগুলি পূরণ করতে কী করতে হবে ?
ঘ) দপ্তরবাহকগণ কি ক্যাম্পেই অবস্থান করছেন ?
২। অবস্থান/স্থানঃ
ক) বর্তমানেঃ
খ) গমন স্থানঃ
গ) নিকটস্থ সীমান্ত স্থানঃ
৩। নির্মাণঃ
ক) তাবুঃ আকারঃ
সংখ্যাঃ
খ) চালাঘর/ কুটিরঃ
১।আকারঃ
সংখ্যাঃ
২।সম্পন্ন হওয়া সংখ্যাঃ
৩।নির্মাণাধীনঃ
৪।কাজ এখনো শুরু হয় নিঃ
নির্মাণকার্য সম্পন্ন হওয়ার অনুমিত তারিখঃ
৫।সকল নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার তারিখঃ
৩।পানি সরবরাহঃ
সুপেয় পানির উৎস কী ?
ক) এটি কি যথেষ্ট ?
খ) যথেষ্ট না হলে কী করা হচ্ছে/ করণীয় কি ?
গোসল/স্নানের পানির উৎস কী?
ক)এটি কি যথেষ্ট ?
খ)………………।
———————————–
যুব যোগদান কেন্দ্র
কেন্দ্রের নাম______
তারিখ______
১.যুবকের ক্রমিক নং–
ক.যোগদান
আগেরদিনে–
নতুন যোগদান–
মোটসংখ্যা–
খ.প্রস্থান
স্বাভাবিক শিবিরে____
উদ্বাস্তু শিবিরে____
গ.বাদ দিয়ে (ক-খ)
ব্যয়সমূহ
২.স্বাভাবিক শিবিরের পরিবহন খরচ Rs____
অন্যান্য ব্যয়সমূহ Rs_____
ব্যালেন্স শিট
আগেরদিনের হিশেব____
নতুনদিনের হিশেব____
মোট____
আজকের দিনের খরচের হিশেব:
___________________
কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (নিযুক্ত কর্মকর্তা)
কেন্দ্রেরর ভারপ্রাপ্ত(যোগদানকৃত কর্মকর্তা অথবা তার মনোনীত ব্যক্তি)
১৩.০৬৭১ সালে বিকাল ৫.০০ ঘটিকায় রেস্ট হাউজে হাই পাওয়ার কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জহুর আহম্মেদ চৌধুরির নেতৃত্বে ৪ সদস্য নিয়ে কমিটি গঠিত হয়।
সদস্যরা হলেন-
১. মো.জে.এ চৌধুরি
২. এহ. হক
৩. শামসুজ্জোহা
৪. আবদুল কুদ্দুস মখন
পার্টির জেনালের মেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান চৌধুরি ইউথ ক্যাম্পাস প্রদর্শন করে। ত্রেন সংস্থা এ সভায় অংশগ্রহন করে এবং গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে।
মো.তাহেরউদ্দিন ঠাকুর সভায় অংশগ্রহন করতে না পারায় হাই পাওয়ার্ড কমিটি বড় সমস্যার সম্মুখীন হয়। তার পরিবর্তে এম এন এ এস , এম পি এস সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলনেতার প্রতিনিধিত্ব করে “হাই পাওয়ার্ড কমিটি” এবংশেষ পর্যন্ত্র কমিটিতে মো। তালুকদার ঠাকুরের পরিবর্তে মো। জহুরুল কাইয়ুমকে প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয় । তালিকদার ঠাকুরের অন্নন্নুপস্থিতিতে পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি মো। এম।আর চৌধুরি (কুমিল্লা জেলা) অতিসত্ত্বর প্রতিস্থাপনের পুরুত্ব অনুধাবন করেন
মো. জহুরুল কাইয়ুম যিনি মো. তালুকদার ঠাকুনের পরিবর্তে প্রতিনিধিত্ব করেন এবং সমস্ত সদস্য সর্বসম্মতি জানান।
সভায় ঠি করা হয় মো. তাকিকদার ঠাকুরকের বদলি হবেন মো.জহুর কাইয়ুম এবং কমিটির অবদান থেকে মন্তব্য প্রদর্শন করবেন।
ঠিক করা হয় সব ইয়ুথ ক্যম্প ও বাংলাদেশের সকল লিবারেশান কাউন্সিলের অফিসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রদর্শন করা হবে । এবং সেগুল প্রদান করবেন ত্রান ও পুনর্বাসন সংস্থার সদস্য শামসুজ্জোহার দ্বারা ।
হাই পাওয়ার্ড কমটিকে বেঙ্গল লিবারেশান কাউন্সিল হিসাবে পুনঃনামকরন করা হয়। ইস্টার্ন জোনকে সুপারিশ করা কয় পার্তীর জেনারেল সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান চৌধুরি দ্বারা। ৪.০৬.৭১ সালে সভাটিকে মুলতবী করা হয় বিকাল ৫.০০ পর্যন্ত এবং সেখানে শুধুমাত্র তিনজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন মোঃ জহুর আহম্মেদ চৌধুরি, আব্দুল কুদ্দুস এবং জহুরুল কাইয়ুম সেখানে ট্রাঞ্জিট রিলিফ ক্যাম্প এবং ইউথ ক্যাম্পাস্বে নিয়ন্ত্রক সহ আরো অনেক সমস্যা সম্পর্কিত আলোচনা করা হয়। ১৩.০৬.৭১ সালে জেনারেল সেক্রেটারি ও এই ব্যাপারে প্রতিবেদন জানান। সভাটি পুনরায় বিকাল ৫.০০ পর্যন্ত মুলতবী রাখা হয় ১৫.০৬৭১ সালে।
১৫.০৬৭১ সালে সভায় ৫ জন সদস্য উপস্থিত থাকেন । তারা হলেন – মোঃ জহুর আহম্মেদ চৌধুরি, মোঃ এন হক, মোঃ শামসুজ্জোহা , মোঃ মাখন এবং পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরি । এবং সভাটি আরো সৌষটব মইন্ডিত হয়। সর্বসম্মতিক্রমে সভায় ইয়ুথ ক্যাম্প এবং ট্রানজিট রিলিফ ক্যামপের প্রয়োজনীয় শর্তগুলো আলোচনা করা হয় এবং পুনঃসমাধান করা হয়। একটি স্বাস্থ্য সংস্থা স্থাপন করা হয় বিশিষ্ট ডাক্তারদের দ্বারা স্বাস্থ বিভাগের সদস্যরাই হবে বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং এক্স অফিসিও সদস্য হিসাবে ।
ড. আবউ ইউসুফ ট্রেনিং কো অর্ডিনেশনের পরিচালক পুর্বলিখিত শর্ত গুলোর সাথে এগুলোর সংযোগ স্থাপন করেন।
ডাক্তাররা হলেন –
১. ডা. মোশারফ হোসেন এম.ব.বি.এস
২. ডা. এম এ মাক্ষন – ইয়ুথ ক্যাম্পের পরিচালক
৩. ডা. কাজী সিরাজ সৈন্যবাহিনীর স্বাস্থ সামরিক কর্মকর্তা।
মো. ফুজুল হক মনি এবং মো. এ.ব মৃধা ( ডেপুটি ডিরেকটর) একটি বিজ্ঞাপন পরিদপ্তর স্থাপন করেন। পুনরায় সমাধান করা হয়ে যে, সদস্য , প্রচার, প্রেস ই হবে বোর্ডের চেয়ারম্যান এক্স অফিসিও সদশ্য হিসাবে।
সভার সদস্য রা পূর্ব লিখিত শর্ত গুলো এবং মূলসুত্র দিয়ে একটি পত্র বের করেন সেটা প্রদান করা হয় মো। ইমরান ; জোনাল এডমিনিস্ট্রেশন; ইস্টার্ন জোন দ্বারা। ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদান করা হয়।
এবং ৫০০০০ টাকা অনুমোদন করা হয় ত্রান ও পুনর্বাসন বিভাগের জন্য এবং ৫০০০ টাকা অনুমোদন করা হয় ঔষধ ও জরুরি বিভাগের জন্য
নিম্নলিখিত ক্যাম্পগুলার জন্য যোগাযোগ কর্মকর্তা কে.আলম এম.এন.এ এর মাধ্যমে পরিবহনের স্থায়ী সমাধান করতে হবেঃ
১। কাঁঠালিয়া ২। বক্সনগর ৩। হাতিমারা ৪। মালাগার
জনাব জহুরুল কায়ূমকে সংবাদ, প্রকাশনা এবং যুবকদের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হিসাবে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিতে হবে।
করিমগঞ্জ এবং শিলচর সেক্টরের জন্য মেজিস্ট্রেট কর্তৃক একজন প্রথম শ্রেণী মর্যাদার প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।
জনাব এইচ.টি ইমামকে এই জন্য একটি নাম প্রস্তাব করতে হবে স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিষদের কাছে।
স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিষদ এর একটি প্রতিলিপি যোগাযোগ কর্মকর্তা জনাব ফরিদ গাজী, এম.এন.এ কে দেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।
তুরা এবং গারুহিল সেক্টরের যোগাযোগ কর্মকর্তা জনাব রফিকুদ্দিন ভূইয়ার কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পরে তুরা(ময়মনসিংহ বর্ডার) এর জন্য একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।
যুবকদের থাকার জন্য নিম্নলিখিত জিনিষগুলার ভর্তুকি দিতে হবেঃ
১। মাথা প্রতি ০.২৫ পয়সা করে খাবার জন্য দিতে হবে।
২। জনপ্রতি একটা লুঙ্গি দিতে হবে।
৩। প্রয়োজন অনুযায়ী বিছানা,বালিশ এবং চাদর দিতে হবে।
জনাব এম.এ.ওয়াহাব এম.পি.এ এর আবেদন অনুযায়ী জনাব শামসুজ্জুহাকে, সদস্য ত্রাণ এবং পুনর্বাসন উচ্চ রাজনৈতিক কমিটি দ্বারা পরিচালিত করতে হবে।
সেইসাথে যারা ত্রানের জন্য আবেদন করেছে যেমনঃ আওয়ামীলীগ কর্মী, ছাত্র, যুবক এবং ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা সকলের জন্য বিশ্রাম এবং অন্য ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য সব ধরণের সাহায্য নিশ্চিত করতে হবে।
দলের সাধারণ সম্পাদক জনাব মিজানুর রহমান চৌধুরী যিনি বিরতিহীন ভাবে দেশের স্বাধীনতার জন্য পূর্ব-পশ্চিমের বিভিন্ন সেক্টরে দিনের পর দিন পরিশ্রম করে গেছেন তাকে ধন্যবাদের মাধ্যমে সভা সমাপ্তি করা হয়।
(জনাব জহুর আহমেদ চৌধুরী)
আহ্বায়ক
উচ্চ ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক কমিটি সভা
স্মারকলিপি নং…… তারিখ….
অনুলিপি পাঠানো হলঃ
১।, প্রশাসক, পূর্বাঞ্চল, বাংলাদেশ সরকার।
২। সদস্য, সংবাদ,প্রকাশনা এবং যুবকদের প্রশিক্ষক।
৩। সদস্য, ত্রাণ এবং পূনর্বাসন
(জহুর আহমেদ চৌধুরী)
গোপনীয়
১০ জুন, ১৯৭১, পূর্ববাংলার শক্তিশালী রাজনৈতিক কমিটির সভা এন.পি.সি.রেস্ট হাউজ কুঞ্জবন, আগতলাতে অনুষ্ঠিত হয়।এই সভাতে নিম্নোক্ত সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।জনাব জহুর আহমেদ চৌধুরী,এমপিএ, উপস্থিতিতে ব্যবসায়িক লেনদেন বিষয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
উপস্থিত সদস্যবৃন্দ
১.জনাব জহুর আহমেদ চৌধুরী,এমপিএ
২.জনাব নুরুল হক,এম.এন.এ
৩.জনাব এ.এস.এম শামসুজ্জোহা,এম.এন.এ
৪.জনাব তাহের উদ্দিন ঠাকুর,এম.এন.এ
৫.জনাব মো.ইলিয়াস(আমন্ত্রিত)
৬.জনাব আব্দুল কাদের মোক্তার,(নিরীক্ষক)
অনুবন্ধে জনাব তাহের উদ্দিন ঠাকুর এই শক্তিশালী রাজনৈতিক কমিটির আহ্বায়ক হিশেবে জনাব জহুর আহমেদকে উদ্দেশ্যে একটি প্রস্তাবনা রাখেন।জনাব নুরুলমহক সেই প্রস্তাবনাটি সর্বসম্মতভাবে প্রকাশ করেন,
ব্যবসায়িক আদানপ্রদান :-
১.জনাব ফজলুল হক মনি অনুমোদিত পূর্ববাংলার এই কমিটিতে সিলেট,কুমিল্লা, নোয়াখালী,চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ঢাকা জেলার নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে আলোচনা করে তাদের সুপারিশকৃত প্রতিনিধিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
২.জনাব নুরুল হক,এম.এন.এ এবং তাহের উদ্দিন,এম.এন.এ ঘোষণা করেন অতিসত্বর মন্ত্রীসভার সাথে যোগাযোগ করে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই কমিটির অনুমোদন নিশ্চিত করা।তাদের অনুরোধে অর্জিত অনুমোদনে পরিচালিত মন্ত্রীসভা এবং জরুরি অনুমোদিত ব্যয় প্রায় দশ লক্ষ রুপি।এম.পি.এ এবং এম.এন. এ -তাঁদের যৌথ আলোচনায় মন্ত্রীসভায় এটা অনুমোদিত হয়েছিল এবং পূর্ববাংলার কার্যনির্বাহীদের আনুপাতিক প্রক্রিয়া এরসাথে সংযুক্ত হয়েছিল।
৩.ঘোষিত ১০,০০,০০০ রুপি, প্রতিটা যুব ত্রাণ কেন্দ্রের জন্য ১,০০,০০০ বরাদ্দকৃত।কমিটির সেক্রেটারি কমিটির অনুমতিক্রমে বাজেট তৈরির নির্দেশ দিবে।
৪.ডাইরেক্টর,জনাব এম আলম যুব ত্রাণ কেন্দ্রেগুলোকে কোঅরডিনেট করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।ডাইরেক্টররা তাঁদের উদ্দেশ্য নিম্নোক্ত ভদ্রমহোদয়দের সঙ্গে মিলে তৈরি করবেন।তাঁরা হলেন-
১.ডা.আবু ইউসুফ-ডাইরেক্টর,সমন্বয়ক,প্ল্যানিং এন্ড প্রোগ্রামিং
২.প্রফেসর নুরুল ইসলাম,এম.এন. এ, ডাইরেক্টর, প্রশাসন
৩ মি. মুজাফফাই আহমেদ এম.পি.এ -পরিচালক , আন্দোলন ও আতিথেয়তা
৪ মি. খালেদ মোহাম্মদ আলী এম.এন.এ -পরিচালক ,প্রেরণা
৫ যুবকদের নিম্নোক্ত উপায়ে সাজানো হবেঃ
বিভাগ | যুব ক্যম্প | যুব ক্যম্প প্রস্তাবিত জায়গা |
(ক) চিটাগং ও চিটাগং হিল ট্র্যাক | হরিনা | ১. শ্রীপুর অথবা
২. ঋষিমুখ |
(খ) নোয়াখালি | ছোটাখোলা | |
(গ) কুমিল্লা | ১. কাঠালিয়া
২.হাতিমারা ৩.বক্সনগর ৪. মতিনগর |
|
(ঘ) কুমিল্লা ও ঢাকা | কোনাবার | |
(ঙ ) সিলেট | ১. আশ্রমবাড়ি
২. কালিশহর খোয়াই |
খোয়াই |
কুমিল্লা ও ঢাকার জন্য
আগরতলা ট্রানজিট ক্যম্প |
(ক) জয়নগর
(খ) ছাড়িপাড়া (গ) কংগ্রেস ভবন (ঘ) নারসিংহার |
৬. ইয়ুথ ক্যম্পের জন্য সকল প্রশাসনিক কমিটি নিম্নোক্ত অফিসার দিয়ে গঠিত হবে ।
(১) ক্যম্প এর চিফ
(২) ক্যম্প এর ডেপুটি চিফ
(৩) প্রশাসনিক কর্মকর্তা
(৪) রাজনৈতিক প্রশিক্ষক
(৫) ছাত্র পরামর্শক
(৬) শারীরিক প্রশিক্ষন কর্মকর্তা
(৭) চিকিৎসা কর্মকর্তা
প্রয়োজন এর সময় প্রশাসনিক কমিটি নিয়োগ কমিটি হিসেবেও কাজ করবে । ইয়ুথ ক্যম্পের ডিরেক্টর কমিটির লোকেদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য নির্ধারণ করে দেবেন ।কমিটির লোকেদের কমিটিই নিয়োগ দেবে । কমিটির মেম্বাররা ক্যম্পে থাকবে এবং সকল সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধিকার ভোগ করবে ।
৭. রাজনৈতিক কমিটির প্রতিটি মেম্বার এর জন্য নির্দিষ্ট কাজ করা বরাদ্দ করা হবে । এগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
বিভাগ | সদস্যদের নাম |
১. ত্রাণ, পুনর্বাসন ও স্বাস্থ্য সেবা | মি. এ.কে.এম শামসুজ্জোহা, এম.এন.এ |
২. তথ্য , প্রকাশনা ও বিতরন | মি. টি.ইউ ঠাকুর এম. এন.এ
মি. ডি .এফ গাজি এম.এন.এ |
৩. প্রশাসনিক | টি.ইউ ঠাকুর এম. এন.এ |
৪. প্রশিক্ষন ও প্রোগ্রামিং (ইয়ুথ ক্যম্প) | মি. এম .আর সিদ্দিকি এম.এন.এ |
৫. অর্থায়ন | মি. নুরুল হক এম.এন.এ |
৬. যুদ্ব প্রচেষ্টা | |
৭. ছাত্র বিষয়ক | মি. জহুর আহমেদ চৌধুরী .এম.পি.এ |
৮. রাজনীতি সমস্যা |
৬. ইয়ুথ ক্যম্পের জন্য সকল প্রশাসনিক কমিটি নিম্নোক্ত অফিসার দিয়ে গঠিত হবে ।
(১) ক্যম্প এর চিফ
(২) ক্যম্প এর ডেপুটি চিফ
(৩) প্রশাসনিক কর্মকর্তা
(৪) রাজনৈতিক প্রশিক্ষক
(৫) ছাত্র পরামর্শক
(৬) শারীরিক প্রশিক্ষন কর্মকর্তা
(৭) চিকিৎসা কর্মকর্তা
প্রয়োজন এর সময় প্রশাসনিক কমিটি নিয়োগ কমিটি হিসেবেও কাজ করবে । ইয়ুথ ক্যম্পের ডিরেক্টর কমিটির লোকেদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য নির্ধারণ করে দেবেন ।কমিটির লোকেদের কমিটিই নিয়োগ দেবে । কমিটির মেম্বাররা ক্যম্পে থাকবে এবং সকল সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধিকার ভোগ করবে ।
৭. রাজনৈতিক কমিটির প্রতিটি মেম্বার এর জন্য নির্দিষ্ট কাজ করা বরাদ্দ করা হবে । এগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
বিভাগ | সদস্যদের নাম |
১. ত্রাণ, পুনর্বাসন ও স্বাস্থ্য সেবা | মি. এ.কে.এম শামসুজ্জোহা, এম.এন.এ |
২. তথ্য , প্রকাশনা ও বিতরন | মি. টি.ইউ ঠাকুর এম. এন.এ
মি. ডি .এফ গাজি এম.এন.এ |
৩. প্রশাসনিক | টি.ইউ ঠাকুর এম. এন.এ |
৪. প্রশিক্ষন ও প্রোগ্রামিং (ইয়ুথ ক্যম্প) | মি. এম .আর সিদ্দিকি এম.এন.এ |
৫. অর্থায়ন | মি. নুরুল হক এম.এন.এ |
৬. যুদ্ব প্রচেষ্টা | |
৭. ছাত্র বিষয়ক | মি. জহুর আহমেদ চৌধুরী .এম.পি.এ |
৮. রাজনীতি সমস্যা |