You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.10.09 | কমিউনিটি উন্নয়নের “রওমারী” প্রকল্প সভার কার্যবিবরণী | রওমারী প্রকল্প - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
কমিউনিটি উন্নয়নের “রওমারী” প্রকল্প সভার কার্যবিবরণী রওমারী প্রকল্প ৯-১০-৭১

 

রৌমারীর জন্য স্বনির্ভর পুনর্গঠন কার্যক্রম

৯ই অক্টোবর, ৭১ এ অনুষ্ঠিত; পররাষ্ট্র সচিব, জনপ্রতিনিধি, “আওয়ামী লীগ” কর্মী এবং কর্মকর্তাদের আলোচ্য বিষয়ের তালিকা

আলোচনাটি রৌমারী উপ-অঞ্চলের উন্নয়নে নিবিষ্ট ছিল। ঐ অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা প্রায় তিন লাখ। পেশার উপর ভিত্তি করে মোট জনসংখ্যার শ্রেণীবিন্যাসঃ
১. কৃষক – ৯৫%
২. জেলে- ১%
৩. তাঁতি- ২%
৪.অন্যান্য- ২%
যেসব ক্ষেত্রে উন্নয়ন জরুরী বিবেচিত হয়েছেঃ
১. কৃষি
২. জনস্বাস্থ্য
৩. শিক্ষা
৪. যোগাযোগ

কৃষিঃ
১. কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যেঃ
এ) পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে সেচঃ
পাওয়ার পাম্পের সংখ্যাঃ ১৭
ব্যবহারযোগ্য ১২
ব্যবহার অযোগ্য ৫
এই ১২টি পাওয়ার পাম্প ১২ x ২৫= ৩০০ একর জমি সেচ করতে পারবে,
বি) উন্নত প্রজাতির বীজ ব্যবহারঃ
i. ইরি ৮ এবং ৫
ii. ম্যাক্সিপাহ গম
iii. আলু (হল্যান্ডের প্রজাতি)
iv. সরিষা (সুইডেনের প্রজাতি)
v. কৃষকদের ঋণ সরবরাহ।
ইরি ৫ এবং ৮ নং প্রজাতি সেচ সুবিধা থাকা জমিতে চাষ করা যাবে।
বর্তমান উৎপাদন বৃদ্ধিতে ম্যাক্সিপাহ গম একটি অসাধারণ প্রজাতি।

যেহেতু কৃষকেরা সাধারণত গরীব শ্রেণীর হয়ে থাকে সুতরাং নগদ অর্থ ঋণ অথবা অন্যান্য ঋণ এর প্রয়োজন হয়। ধান চাষের জন্য প্রতি একরে ইরি বীজের মূল্য ৩০০ রুপী হিসেবে সম্পূর্ণ ইরি ধান চাষের খরচ ৯০ হাজার রুপী হতে পারে। ইরি বীজ স্থানীয় বাজারে সহজলভ্য হলেও, গম চাষের বীজ বাইরে থেকে আমদানী করতে হয়।

জেলে :
জেলের সংখ্যা – ২০০০ (প্রায়)
জেলেরা স্বাধীন এলাকার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের কাছে কোন মূলধন নেই তাদের ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে তাদেরও ঋণ এর প্রয়োজন।
প্রয়োজনীয় ঋণ এর পরিমাণ অন্তত ১ লক্ষ রূপী।

তাঁতী :
অন্তত ৩ শতাধিক পরিবার কাপড় বুনে জীবিকা নির্বাহ করে। বর্তমানে তাদের কাছে অবশিষ্ট সম্পদ দিয়ে নিজেদের ব্যবসা চালানো তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব। যদি তাদেরকে কিছু অর্থ সাহায্য প্রদান করা হয় তাহলে হয়তো তারা নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে নিতে পারবে।
প্রয়োজনীয় ঋণ এর পরিমাণ – ৬০ হাজার রুপী। (পরিবার প্রতি ২০০ রুপী)

গণস্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন :
কলেরা বা বসন্তের মত মহামারী অনেক বড় একটি সমস্যা। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি বড় মহামারীর ঘটনা ঘটেছে। সুতরাং এই ধরণের মহামারী ঠেকাতে সব ধরণের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।
১. ঔষধ সরবরাহ
প্রয়োজন :
• কলেরা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন – ৩০,০০০ সিসি
• বি সি জি – ১০,০০০ সিসি
• টি এ বি সি ইনজেকশন
• ব্লিচিং পাউডার – ১০ ড্রাম
• সালফাজুয়ানাইডিন ট্যাবলেট – ১৫,০০০
• স্যালাইন – ১০০০ ফাইল
• গ্লুকোজ ইনজেকশন – ১০০০
• ফার্স্ট এইড সেট – ১০টি

২. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা :
সবাইকে নিজেদের ঘর ও ঘরের চারপাশ পরিষ্কার রাখা উচিত। গ্রাম পরিষ্কার ও পরিচর্যা এবং সৌন্দর্য্য বর্ধন স্কিম চালু এবং বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মিলে এই কাজটি করতে পারেন।

হাসপাতাল :
রৌমারী তে অবস্থিত হাসপাতালে সুযোগ সুবিধা নগণ্য। এটিকে প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং চিকিৎসার যন্ত্রপাতি সহকারে ২৫ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালে উন্নীত করা জরুরী।

শিক্ষা :
১. প্রাথমিক – এখন পর্যন্ত ৬৩ টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩ টি খুলেছে।
২. বয়স্ক শিক্ষা – প্রতিটি গ্রাম মহল্লায় একটি করে বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র চালু করা জরুরী।

যোগাযোগ :
১. ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামত।
২. নতুন রাস্তা খনন ও তৈরী।
৩. এই কাজের শতকরা ৮০ ভাগ স্বেচ্ছাসেবী কাজ এবং ২০ শতাংশ আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে করা জরুরী।

উন্নয়ন কমিটি ( রৌমারী সাব জোন) :
রাজনৈতিক :
১. জনাব সাদাকাত হুসেইন এম এন এ, চেয়ারম্যান।
২. জনাব নুরুল ইসলাম এম পি এ, ভাইস চেয়ারম্যান।
৩. জনাব আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী, মেম্বার।
৪. ড: মাফিজার রহমান এম এন এ, মেম্বার।
৫. জবাব ফজলুল হক খান, মেম্বার।
৬. জনাব আজিজুল হক, প্রধান শিক্ষক, রৌমারি হাই স্কুল।
৭. জনাব নুরুল ইসলাম, থানা আওয়ামী লীগ।
৮. জনাব নওশের আলী (চেয়ারম্যান)
৯. জনাব সিরাজ উদ্দিন আহমেদ (চেয়ারম্যান, মোল্লারচর হাট কমিটি)

দাপ্তরিক:
১০. জনাব আবদুল লতিফ, সাব জোনাল প্রশাসক।
১১. জনাব আবদুল করিম মিয়া, সি ও, (উন্নয়ন) রৌমারী।
১২. জনাব আবদুল সহিদ চৌধুরী সি ও, (উন্নয়ন) উলিপুর।
১৩. জনাব আবদুল মতিন টি এ ও, ভারপ্রাপ্ত।
১৪. জনাব আবদুল জলিল, টি ই ও, ভারপ্রাপ্ত।

সমাজসেবক :
১৫. জনাব এন এ জাহাঙ্গীর।
১৬. জনাব ফজলে রাব্বী।
১৭. জনাব সাইফুল আলম।
১৮. জনাব আজিজার রহমান।
১৯. জনাব আজমল হুসেইন।
২০. জনাব মতিয়ার রহমান।
২১. জনাব নুরুল ইসলাম (রাজিবপুর)
২২. জনাব শামসুল হক।
২৩. জনাব সাদা আলী সরদার (মাইনকার চর)।