You dont have javascript enabled! Please enable it!

 

শিরোনাম সূত্র তারিখ
২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কনভেনশন সভার কার্যবিবরণী ও প্রস্তাবসমূহ এ্যাকশন কমিটির দলিলপত্র ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১

২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ এ অনুষ্ঠিত সম্মেলনের অগ্রগতি প্রসংগে।

অনুচ্ছেদ – ৬: নির্বাহী কমিটি
কাউন্সিলের সরাসরি নির্বাচিত ১১ সদস্য নিয়ে নির্বাহী কমিটি গঠিত হবে। তারা ‘কাউন্সিল’ এর সদস্য হবেন। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাহী কমিটি নির্বাচনের সাতদিনের মধ্যেই প্রথম সভায় কমিটি নিজেদের মধ্য থেকে আহ্বায়ক নির্বাচন করবে। নির্বাচিত আহ্বায়কের নাম নির্বাহী কমিটির প্রথম সভার চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। নির্বাহী কমিটির নির্দেশনা অনুসারে আহ্বায়ক দায়িত্ব পালন করবেন।

কার্যাবলী
নির্বাহী কমিটির হাতে কাউন্সিলের নির্ধারিত সাধারণ নীতি-কাঠামোর মধ্যে প্রাত্যহিক কর্মকান্ড ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকবে। এছাড়াও নির্বাহী কমিটি অন্যান্য সাহিত্য, প্যাম্ফলেট, বই প্রভৃতি প্রকাশ করবে। এটি সমগ্র যুক্তরাজ্যের ভিত্তিতে সাধারণ সভা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে সহায়ক যেকোনো কার্যক্রম পরিচালনা করবে। নির্বাহী কমিটি নির্দিষ্ট কার্যাবলীর উপর ভিত্তি করে সাবকমিটি গঠন করবে এবং সাবকমিটির সদস্যবৃন্দ নন-কাউন্সিলর হতে পারবেন।

অনুচ্ছেদ – ৭: অংগীভূত অঞ্চল এবং কেন্দ্রের মধ্যে সম্পর্ক
অংগীভূত অঞ্চলগুলো কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অথবা নির্বাহী কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী সহযোগী হবে।অংগীভূত কমিটিগুলো সংবিধান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বা নির্বাহী কমিটির কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে কোনো সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেনা। অঞ্চলগুলো কেন্দ্রীয় অফিসে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান করবে। নির্বাহী কমিটি কেন্দ্রীয় সকল নীতিমূলক সিদ্ধান্ত মাইমোগ্রাফিক সার্কুলারের মাধ্যমে প্রত্যেক অঞ্চলে পৌঁছে দেবেন। নির্বাহী কমিটির *অজ্ঞাতে* জাতীয় নীতি বা বাংলাদেশ সরকার বা এর মিশন বা যেকোনো সরকারী অথবা অন্যান্য যেকোনো সংগঠনের যেকোনো ব্যাপারে অংগীভূত কমিটিগুলোর নির্দেশনার অধিকার থাকবেনা। নির্বাহী কমিটি এবং যেকোনো (ইউনিট) কমিটির মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে তার একটি কপি আঞ্চলিক কমিটিতে পাঠানো হবে।
কোনো অঞ্চলের অংগীভূত সংস্থাগুলোর মধ্যে বিবাদের ক্ষেত্রে তা আঞ্চলিক কমিটির অধীনে সমর্পিত হবে। আঞ্চলিক কমিটির সিদ্ধান্তের বিপক্ষে নির্বাহী কমিটির কাছে যেকোনো পক্ষই আপীল জানাতে পারবে। নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত যদি কোনো পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য না হয় তবে তা কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের হাতে সমর্পিত হবে। কাউন্সিলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
কোনো অংগীভূত সংস্থা এবং তার আঞ্চলিক কমিটির মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে তা নির্বাহী কমিটির হাতে অর্পিত হবে। যদি নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত কোনো পক্ষের কাছেই গ্রহণযোগ্য না হয়, তবে বিষয়টি কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের হাতে অর্পিত হবে। কাউন্সিলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

অনুচ্ছেদ – ৮: শৃংখলাতান্ত্রিক পদক্ষেপ:
যেকোন অফিসনির্বাহী, সদস্য বা সংস্থার বিরুদ্ধে শৃংখলাতান্ত্রিক পদক্ষেপ আহ্বায়কের মাধ্যমে নির্বাহী কমিটির বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা যাবে।নির্বাহী কমিটি ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। উক্ত অফিসনির্বাহী, সদস্য বা সংস্থা চৌদ্দ দিনের মধ্যে আহ্বায়কের মাধ্যমে কাউন্সিলের কাছে নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে, যা পরবর্তীতে ৩০ দিনের মধ্যেই কাউন্সিলের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
অনুচ্ছেদ – ৯: কোরাম:
নির্বাহী কমিটির সাতজন এবং কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের ৯৫ জন সদস্য নিয়ে তাদের স্ব স্ব কোরাম গঠিত হবে।
অনুচ্ছেদ – ১০
সংবিধানে যেকোন সংশোধনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের অর্ধেকের বেশি সদস্যের প্রয়োজন হবে।

অনুচ্ছেদ – ১১
নোটিশ: নির্বাহী কমিটির সভার জন্য কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা কেন্দ্রীয় কমিটির সাতদিনের স্পষ্ট নোটিশ দেওয়া হবে।

অনুচ্ছেদ – ১২
প্রধান উপদেষ্টা: যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনই কেন্দ্রীয় অ্যাকশন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হবেন।

অনুচ্ছেদ – ৬ এর ধারাবাহিকতা
কোনো গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়াই পরপর নির্বাহী কমিটির তিনটি সভায় অনুপস্থিত যেকোন সদস্যই তার সদস্যপদ হারাবেন। কেন্দ্রীয় কমিটির পরবর্তী সভায় এই শূন্য পদ পূরণ করা হবে।

স্বাক্ষরসমূহ –
 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!