শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
৩০শে আগস্ট অনুষ্ঠিত কনভেনশন কমিটির সভার প্রস্তাবসমূহ | এ্যাকশন কমিটির দলিলপত্র | ৩০ আগস্ট,১৯৭১ |
অধিবেশন কমিটির তৃতীয় মিটিং অনুষ্ঠিত হয় সোমবার, ৩০শে আগস্ট, ১৯৭১, গোরিং স্ট্রিট, লন্ডন ই. সি. ৩-তে
১. কোন ধরণের ভোটাধিকার ছাড়াই জনাব নূরুল ইসলাম এবং জনাব পাশাকে সংবিধান কাঠামোবদ্ধ করার জন্য উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
পরবর্তীকালে যখন সংবিধান কাঠামোবদ্ধ করা হয়, তখন একজন আইনী উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ করা হয়, সংবিধানের বৈধ দিকগুলো সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ করার জন্য। আইনী উপদেষ্টার সুপারিশসমূহ কমিটির সদস্য কর্তৃক বিবেচনায় রাখা হয়।
২. সংবিধানের ৩য় অনুচ্ছেদ।
“ট্রাস্টিবৃন্দ”
ধারা ১. পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত ছয়জন ট্রাস্টিজের সমন্বয়ে “বাংলাদেশ ফান্ড” গঠিত হবে। বর্তমান নির্বাচিত তিনজন ট্রাস্টির পাশাপাশি পরিষদ কর্তৃক আরও তিনজন ট্রাস্টি নির্বাচিত হবে। ফান্ড থেকে টাকা তুলে নেবার ক্ষেত্রে ন্যূনতম চারটি স্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে। নির্বাহী কমিটির আলোচনার পূর্বে কোন টাকা উঠিয়ে নেয়া যাবে না।
ধারা ২. বাংলাদেশ সরকারের শর্তাধীন সুপারিশক্রমে অথবা যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ প্রতিনিধির সুপারিশক্রমে ট্রাস্টিগণ দ্রুত টাকা উঠাতে পারবেন – শুধুমাত্র এ ক্ষেত্রেই উপরোক্ত অনুচ্ছেদের ব্যতিক্রম হবে।
৩. অনুচ্ছেদ ৪
ট্রাস্টিগণ সরাসরি পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত হবে। তাদেরকে কাউন্সিলের পূর্ববর্তী – অফিস সদস্য হতে হবে এবং ভোটাধিকার ছাড়া নিরবাহী কমিটির সদস্য হতে হবে এবং কেন্দ্রীয় বা স্থানীয় কমিটির হতে পারবে না।
৪. অনুচ্ছেদ ৫. কেন্দ্রীয় পরিষদ।
কেন্দ্রীয় পরিষদ গঠিত হবে নিম্নোক্ত প্রদেশগুলোর কমিটির প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে। প্রদেশসমূহ :
১. দক্ষিণ ইংল্যান্ড, ২. মিডল্যান্ডস, ৩. ল্যাঙ্কাশায়ার, ৪. ইয়র্কশায়ার এবং সংলগ্ন দেশসমূহ।
সকল শহর এবং গ্রামে প্রতিনিধিদের কোটা হবে সাধারণ, মূলত জনসংখ্যার ভিত্তিতে।
কেন্দ্রীয় পরিষদ প্রতি তিনমাসে অন্তত একবার বসবে।
পরবর্তী মিটিং
কমিটির পরবর্তী মিটিং অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার, ৩য় সেপ্টেম্বর, বিকেল ৫টায়।
(স্বাক্ষরিত) এ. মতিন
এ. এইচ. ভুঁইয়া
নুরুল ইসলাম
শেখ আব্দুল মান্নান
এ. এম.তরফদার
গাউস খান
এ. পাশা
আরব আলী