You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971 | কমিউনিটি উন্নয়ন ও স্থানীয় সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা | বাংলাদেশ সরকার, পরিকল্পনা সেল - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
কমিউনিটি উন্নয়ন ও স্থানীয় সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা বাংলাদেশ সরকার, পরিকল্পনা সেল …১৯৭১

 

সামাজিক উন্নয়ন এবং স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন

স্থানীয় স্বায়ত্তশাসক দল, গ্রাম্য পঞ্চায়েত, ইউনিয়ন পরিষদ, থানা সমন্বয়ক দল এবং জেলা পরিষদকে সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথে একীভূত হতে হবে। এসব স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত দলগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া এই উদ্দেশ্য সাধনে যথাযথ।
যে মৌলিক ধারণার উপর ভিত্তি করে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের স্থাপনা দাঁড়িয়ে আছে তা হল, একটি ভালো সরকার কখনোই একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকারের বিকল্প হতে পারে না। এটি শুরু হয় একটি সুস্পষ্ট কারণ মেনে নেয়ার মাধ্যমে, আর তা হল সকল সমস্যা সরাসরি কেন্দ্রীয় সমস্যা না এবং সকল সমস্যা কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য রেখে দেয়া হলে তা সমাজের একটি অংশের দায়িত্বজ্ঞান এবং উদ্ভাবনের অভ্যাসকে নষ্ট করে দিতে পারে। কোন একটি নির্দিষ্ট এলাকার অধিবাসীদের মধ্যে একটি সার্বজনীন উদ্দেশ্যে সচেতনতা থাকতে হবে, আশপাশের মানুষের প্রয়োজন সম্পর্কিত জ্ঞান থাকতে হবে যা শুধু তারাই পুরোপুরিভাবে জানতে পারে। They then find that the power to satisfy them of themselves gives to them a quality of vigour far greater in the happiness it produces than would be the case if satisfaction were always provided by, or controlled from, without. Because administrations firm without lacks the vitalizing ability to be responsible to local opinion;
এতে চিন্তাধারার ছায়া ও প্রকাশগুলো অনুপস্থিত যা একটি সফল সরকারের জন্য জরুরী। এতে স্থানিক প্রতিভাও অনুপস্থিত। যাদের শাসন করা হয় তাদের থেকে প্রকাশ্য সৃজনশীল কোনো সমর্থন এটি দেয় না। এটি যান্ত্রিক সর্বসাম্য বিরাজের জন্য, যা বিসদৃশ ব্যাপারে সদৃশ নিয়মগুলো খাটানোর একটি প্রচেষ্টা। এই প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত কারো আগ্রহ তৈরি করতে যা করা দরকার তা থেকে এটি অনেক দূরে। স্থানীয় বিষয়সমূহের কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপন জনরোষের সৃষ্টি করতে পারে, এবং এটি কখনোই সৃজনশীল সহায়তা প্রকাশ করতে পারবে না যা স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন এবং সামাজিক উন্নয়নের নীতি সংগঠিত করে।
কিছু সমস্যাঃ
১. অঞ্চলঃ স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের অঞ্চল যতটা সম্ভব ছোট হতে হবে।
২. গ্রাম ও জেলা পর্যায়ের স্থানীয় দলগুলোর সংবিধান।
এ) (i) ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে নির্বাচিত গ্রামের মেম্বারের নেতৃত্বে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েত সকল গ্রামীণ উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক কাজের জন্য দায়ী থাকবে।
(ii) ইয়ুথ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেজ কর্মীরা তাদের নিজ নিজ গ্রামে স্থানীয়ভাবে আয়োজিত গ্রামীণ উন্নয়ন কার্যক্রমে কাজ করবে।
(বি) ইউনিয়ন পরিষদের ১০-১৫ জন সদস্য সরাসরি জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে।

<003.169.416>

(সি) থানা সমন্বয় দলঃ সমন্বয়ের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নিয়ে থানা পর্যায়ের সমন্বয় দল গঠন।
(ডি) জেলা পরিষদঃ প্রতিটি জেলার জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হবে। তারা সার্বজনীন বয়স্ক ভোটাধিকারের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচিত হবে।
(I) জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলার প্রধান নাগরিক হবেন। তাকে উপমন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয়া হবে।
৩. কর্মকান্ডঃ
(এ) বিধিবদ্ধ এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম,
(বি) উন্নয়ন কাজ- সমাজ উন্নয়ন
৪. সভার নিয়মতন্ত্রঃ
৫. আর্থিক সংস্থানঃ
(এ) স্থানীয় কর আদায়
(বি) সরকারি অনুদান
(সি) উন্নয়ন অনুদান
৬. কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সম্পর্ক।
৭. স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত বেসামরিক সেবাঃ
(এ) সংগ্রহ
(বি) স্থানীয় দলের অধীনে কাজ করা কার্যালয়গুলোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তাদের উপর থাকবে।
(সি) বেতন ও সেবার অন্যান্য শর্ত।
৮. সমাজ উন্নয়নে সম্পূর্ণ নিবেদিত শ্রমিক পুনর্গঠনের একজন ক্যাডার।