শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
যুব শিবিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে নির্দেশ | বাংলাদেশ সরকার, যুব শিবির পরিচালনা বোর্ড | ……… ১৯৭১ |
যুব শিবিরের নিরাপত্তা
বাসস্থানঃ
১। যথাযথ ভাবে অনুমোদিত শিবির সদস্য এবং আন্তরিক প্রশিক্ষণার্থী ব্যাতীত অন্য কেউ শিবিরে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবে না।
২। শিবিরের বাসিন্দারা কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া বের হতে পারবেনা। কর্তৃপক্ষের অনুপস্থিতিতে শিবির প্রধান/প্রশাসকের অনুমতি নিতে হবে। যে কোন ধরনের অননুমোদিত অনুপস্থিতি অপরাধ হিসাবে গন্য হবে, এবং সেই অনুযায়ী ব্যাবস্থা গৃহীত হবে।
৩। শিবির প্রধান / প্রশাসক প্রয়োজনীয় কাজে শিবির ত্যাগ করতে পারবেন, তবে দুইজন একই সাথে নয়। ৪। কোন অননুমোদিত বা ব্যক্তিগত দর্শনার্থী শিবিরে প্রবেশের অনুমতি পাবে না।
দর্শনার্থী
৫। যুব প্রশিক্ষণ/সহ পরিচালকের (রিলিফ) যথাযথ অনুমোদন ব্যাতিত অন্যকোন দর্শনার্থীর শিবিরে প্রবেশাধিকার থাকবে না। শিবির প্রধান/ প্রশাসকের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে অন্যান্য দর্শনার্থীর প্রবেশাধিকার থাকবে।
প্রশিক্ষণ
৬। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতি সর্বোচ্চ নিষ্ঠার ব্যত্যয় অথবা যুব প্রশিক্ষনে পাঠ তালিকার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোন কিছু শেখানো বা প্রচারিত হবে না।
৭। হালকা সমরাস্ত্র অনুশীলন ধরন ও প্রকৃতি, সহকারী প্রশিক্ষক সমন্বয়কারী দ্বারা অনুমোদিত হবে, যা সমন্বয়কারী যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন।
সৈনিক নিয়োগ
৮। প্রশিক্ষক সমন্বয়কারীর অনুমোদন ব্যতীত প্রশিক্ষণ শিবির হতে নতুন কোন সৈনিক নেওয়া যাবে না। একই বিধি নিষেধ প্রশিক্ষিত অফিস কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
শৃঙ্খলা
৯। “গ্রাউন্ড রুলস ফর গ্রুপ এ্যাকশন” এ অনুমদিত পাঠ্যক্রমে যে শৃঙ্খলা প্রদত্ত হয়েছে তার কোনরূপ ব্যত্যয় ঘটলে সংঘটিত বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ত্ব সহকারে বিবেচনায় এনে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালককে অবগত করতে হবে।
গোপনীয়তা
১০। প্রশিক্ষণার্থীদের নাম, ঠিকানা, গন্তব্য এবং সম্ভাব্য গতিবিধি সম্পর্কে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। শুধুমাত্র শিবির প্রধান/ সহকারীর কাছেই এই সমস্ত তথ্যাদি থাকবে। শিবিরে অবস্থানরত সকলকেই এই গোপনীয়তা রক্ষার শপথ নিতে হবে।
ষড়যন্ত্র
১১। প্রত্যেক প্রশিক্ষককেই তার দলকে ছোট ছোট কয়েকটা ভাগে ভাগ করে আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষানবিসদের অংশীভূত করে পার্শ্ববর্তী এলাকাস্থিতের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন তার উন্নতি এবং অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। যে কোন সম্ভাব্য অন্তর্ঘাত, দলত্যাগ অথবা গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনা ঘটলে সাথেসাথেই তাকে চিহ্নিত করে যুব প্রশিক্ষক পরিচালককে অবহিত করতে হবে।
শিবির রক্ষী
১২। প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর দল থেকে কিছু শিবির রক্ষী উপরোক্ত যোগ্যতানুসারে নিয়োগ করা হবে। বাছাইকৃতদের পরবর্তি দলের সাথে নিয়মমাফিক প্রশিক্ষনে পাঠানো হবে।
গোপন
সকল যুব শিবির
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সমস্ত চাকুরীজীবীদের ( চলতি/ অবসর) নিম্নোক্ত নিয়মানুসারে “জয়বাংলা কার্যালয়ে” হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছেঃ
১/ চাকুরীরত সকল সেনা, নৌ, বিমান এবং ইপিআর
২/ অবসরে যাওয়া সকল সেনা, নৌ, বিমান এবং ইপিআর
৩/ চাকুরীরত সকল আনসার, মুজাহিদ ও পুলিশ
৪/ অবসরে যাওয়া সকল আনসার, মুজাহিদ ও পুলিশ।
সকল শিবির সর্বাধিনায়ক/প্রধান/প্রশাসকগণকে উপরোক্ত ক্রমানুসারে সকল ব্যক্তিগনকে নির্দেশিত কার্যালয়ে যথাসময়ে প্রেরণ করতে নির্দেশ প্রদান করা হল। এই বিষয়ে কোন ধরনের অপারগতা গ্রহনযোগ্য না।
এই চার ক্রমানুযায়ী বাছাইকৃত ব্যক্তিদের ২-৮ দিনের বিরতিতে ধারাবাহিকভাবে পাঠাতে হবে। প্রতিটি শিবিরেই ১৫ জন আনসার, মুজাহিদ (অবৈতনিক) রক্ষী দ্বারা প্রয়োজনানুসারে পরিপূর্ণ থাকবে। তবে ঐ সমস্ত রক্ষীদের নিয়োগ প্রশিক্ষণার্থীদের অনুরূপ হবে না।
আদেশক্রমে
পরিচালকমন্ডলী
যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র