জীবনচিত্র নামঃ ডা. কোরবান আলী
Dr. Korban Ali
ডাকনামঃ কোরবান
পিতার নামঃ আলহাজ মহিউদ্দীন মিঞা
পিতার পেশাঃ কৃষিজীবী মাতার নামঃ এসমা খাতুন
ভাইবোনের সংখ্যাঃ এক ভাই ও তিন বোন। নিজক্ৰম-প্রথম
ধর্মঃ ইসলাম
স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম-দুর্গাপুর, ডাকঘর-চাঁপাই দুর্গাপুর,
উপজেলা/জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ
শহীদ ডা. কোরবান আলী
নিখোঁজ হওয়ার সময় ঠিকানাঃ বাজার রোড, ডাকঘর/উপজেলা-বোয়ালমারী, জেলা-ফরিদপুর
জন্মঃ ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ খ্রি.
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
ম্যাট্রিকঃ তৃতীয় বিভাগ, ১৯৪৭, নবাবগঞ্জ এইচএম ইনসটিটিউশন, রাজশাহী
এলএমএফঃ ১৯৫২, রাজশাহী মেডিকেল স্কুল
শখঃ নাট্যাভিনয়, বই পড়া, ফুটবল, ভলিবল ও দাবা খেলা
সমাজসেবাঃ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা; পাঠাগার ও ক্লাব প্রতিষ্ঠা; রেডক্রসের আন্দোলন
রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাঃ আওয়ামী লীগ, ১৯৬০-৭০, সদস্য, সম্পাদক
চাকরির বর্ণনাঃ জেলা বোর্ডের অন্তর্গত (স্বায়ত্তশাসিতা)
মেডিকেল অফিসারঃ সাজাইল চ্যারিটেবল ডিসপেনসারি, ১৯৫৭-৬০
মেডিকেল অফিসারঃ ভাঙা চ্যারিটেবল ডিসপেনসারি, ফরিদপুর, ১৯৬০-৬২
মেডিকেল অফিসারঃ বোয়ালমারী থানা ডিসপেনসারি, ফরিদপুর, ১৯৬২-আমৃত্যু
হত্যাকারীর পরিচয়ঃ অজ্ঞাত
নিখোঁজ হওয়ার তারিখঃ ১৫ মে, ১৯৭১
মরদেহঃ পাওয়া যায়নি।
স্মৃতিফলক/স্মৃতিসৌধঃ নেই
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হিসেবে সাহায্য/দান/পুরস্কারঃ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত ২০০০ টাকা
স্ত্রীর নামঃ সাহেলা বেগম এলিজা
বিয়েঃ ১০ জানুয়ারি, ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দ
সন্তান-সন্ততিঃ চার পুত্র।
মো. আবু রাকিবঃ এমবিবিএস, পরামর্শক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা
মো. আবু হাসিবঃ এমএসসি, এলএলবি, আইন ব্যবসা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কোর্ট
মো. আবু নাসিবঃ বিকম, বেসরকারি উদ্যোক্তা
মো. আবু নাকিবিঃ বিএ, ব্যবসা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
তথ্য প্রদানকারী
মো. আবু রাকিব
শহীদ চিকিৎসকের জ্যেষ্ঠপুত্র
৪১/৩৫, চাঁদ হাউজিং, ব্লক-সি(৫ম তলা),
মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ ১৩৯
শহীদ ডা. কোরবান আলী
দৈনিক সংবাদ বিশেষ সংগ্রাহক সংখ্যা-৩
যেসব হত্যার বিচার হয়নি
পরিকল্পনায়ঃ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন
প্রকাশকালঃ সোমবার ১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮
পৃ. ৩৪ থেকে সঙ্কলিত
ডা. কোরবান আলী ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার দুর্গাপুর মহল্লার সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানা চ্যারিটেবল ডিসপেনসারির মেডিকেল অফিসার ছিলেন। তাঁর স্ত্রী এলিজা খাতুন জানালেন, ১৯৭১ সালের ২০ মার্চ তাঁর স্বামী তাঁকেসহ ছেলেমেয়েদের ফরিদপুর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পাঠিয়ে দেন। ইতোমধ্যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এলিজা খাতুন বেশ কয়েকবার তাঁর স্বামীকে চিঠি পাঠিয়ে উত্তর না পেয়ে আশঙ্কিত হয়ে ওঠেন। প্রেরিত ওই সব চিঠির প্রেক্ষিতে ১০ জুন তাঁর স্বামীর অফিস থেকে পাঠানো এক চিঠিতে জানতে পারেন যে, ১২ মে তার স্বামী অফিস থেকে ছুটি নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চলে গেছেন। ১৩ জুলাই এলিজা খাতুন নিজে ফরিদপুর যান তাঁর স্বামীর খোঁজ নিতে। জানতে পারেন পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাঁকে হত্যা করেছে।
১৪০ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ
Reference: মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ – বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ