You dont have javascript enabled! Please enable it!
শিরোনাম সূত্র তারিখ
বৈদেশিক বাণিজ্য মিশন কর্তৃক প্রত্যন্ত সীমান্ত ও মুক্ত এলাকার অবস্থিত ধন-সম্পত্তির সংরক্ষন ও ব্যবসা-বানিজ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকার বৈদেশিক বানিজ্য মিশন ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১

ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্প বোর্ড
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

বাংলাদেশ ওভারসীজ ট্রেড মিশন
২২৫-সি, লোয়ার সার্কুলার রোড, ৫ম তলা
কলকাতা-২০
ক্যাবলঃ বাংলাট্রেড
ফোনঃ ৪৪-৮৮০৬ (সৌজন্যমূলক)
ডিসেম্বর ৬, ১৯৭১

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
মুজিবনগর,

প্রিয় মহোদয়,

বিনীত নিবেদন এই যে এখানে সীমান্ত এবং মুক্ত এলাকার অর্থনীতি এবং বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বর্তমান অবস্থা এবং বাংলাদেশের মূল্যবান সম্পদের পর্যবেক্ষণ/গবেষণার সর্বসমেত বিবরণ সমন্বিতভাবে পেশ করা হয়েছে। এই বিবরণ বি এস এফের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণে তাদের সাথে বৈঠক/সভা শেষে এই বিবরণ তৈরি করা হয়েছে।

এই বিবরণটি সরকারের সাথে সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নীতি এবং কর্ম নির্ধারণে সহায়ক হতে পারে।

আপনার অসীম দয়া হবে যদি আপনি কলকাতায় বাংলাদেশ ওভারসীজ ট্রেড মিশন চালনার প্রস্তাব পরীক্ষা/পর্যালোচনা করে দেখেন যার মাধ্যমে বিদেশি রাষ্ট্র থেকে ওভারসীজ দেশসমূহের সাথে যোগাযোগ করার কাজও আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচালনা শুরু হবে। অতএব, এই মিশন যা বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার্থে আয়োজন করা হয়েছে তার জন্য আমাদের সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন।

ধন্যবাদান্তে
আপনার বিশ্বস্ত
(মুস্তফা সারওয়ার)
সদস্য
ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্প বোর্ড
বাংলাদেশ ওভারসীজ ট্রেড মিশন
বাংলাদেশ সরকার

চরম গোপনীয় হতেঃ মুস্তাফা সারোয়ার
প্রতিঃ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য বোর্ড, বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশ বৈদেশিক বাণিজ্য মিশন, ২২৫/সি লোয়ার সার্কুলার রোড, কলকাতা-২০।

বিষয়ঃ বিএসএফ এর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে এই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে, বাংলাদেশের মূল্যবান সম্পদসমূহ কোন যথাযথ যত্ন ছাড়া অবস্থিত এবং অননুমোদিত বাণিজ্য কার্যক্রমগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে
এবং মুনাফালোভীদের মানবিক দুর্যোগ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অর্থাৎ বাণিজ্য, সরকারি আয় এবং প্রাদেশিক ব্যাংক।

বিএসএফ এর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের স্বতন্ত্র নিমন্ত্রণের ভিত্তিতে প্রফেসর মোজাফফর আহমেদ, চেয়ারম্যান, পরিকল্পনা কমিশন, নিম্নসাক্ষর মোতাবেক অফিসে এসেছিলেন এবং সীমান্ত এলাকায় বেআইনি বাণিজ্য বিষয়ে তার মতামত ব্যক্ত করেছেন। যেহেতু বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশ এবং তার প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের আগ্রহের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, নিম্নসাক্ষর মোতাবেক তথ্য এবং সরকারের প্রয়োজনীয় নীতিসমূহ পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। বাংলাদেশে সৃষ্ট দুর্যোগ এবং বাংলাদেশের প্রতি তার প্রতিবেশি রাষ্ট্রের আন্তরিক ঔদার্যের সুযোগ নিয়ে যেসব মুনাফালোভীরা এবং কালোবাজারীরা অর্থের পাহাড় বানানোর চেষ্টা করছেন তাদের নির্মূলের উদ্দেশ্যে নীতি প্রণয়ন করা উচিত।

সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ এর দখলকৃত বাংলাদেশের পণ্যদ্রব্য সম্পর্কে

প্রতিবেদন মোতাবেক দেখা গেছে যে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ অথবা শুল্ক বিভাগের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের আনীত পণ্যদ্রব্য দখল নেয়া হচ্ছে। অধিকতর জ্ঞানের মাধ্যমে দেখা গেছে যে এইসব পণ্যদ্রব্যের উপর শুল্ক এবং কর সংগ্রহ করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিশাল পরিমাণ পণ্য অসাবধানে ব্যবহার করা হচ্ছে। পণ্যসমূহ শুধুমাত্র বাংলাদেশের সরকারের জন্য বিমুক্ত করা উচিত।

প্রতিবেদন এবং পরামর্শ

(১) যেহেতু বাংলাদেশের বড় সংখ্যক জনগণ সীমান্তের এই প্রান্ত অতিক্রম করছে সুতরাং ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া উচিত যেন তারা বাংলাদেশিদের যেকোন বাংলাদেশি পণ্যদ্রব্য যেমন পাট, চা, চর্মজাতীয় দ্রব্য, সবজি, তামাক, যন্ত্রপাতি, মাছ, চলচ্চিত্র, নিয়মিত ব্যবহার্য জিনিসপত্র, খাদ্য-শস্য ইত্যাদি কোন ধরনের আপত্তি এবং অসুবিধা ছাড়া বহন করতে অনুমতি দেয়। এই বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা পারষ্পরিক বাণিজ্য বৈঠকের সময়েও নিশ্চিত করা হয়েছে।
(২) বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের ব্যবসা পরিষদের মাধ্যমে একটি আইনগত বৈধ বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে এবং বৈধ দলিল প্রণয়ন করছে বাংলাদেশের পণ্যদ্রব্যের বিদ্যমান ব্যবসায়ীদের জন্য যেন বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃত্ব মোতাবেক বাংলাদেশের সকল পণ্যদ্রব্য আইনানুগ রপ্তানী হয় এবং আনগতভাবে এবং নিয়ম মোতাবেক সকল পণ্যদ্রব্য আনা-নেয়া করা হয়। এই ব্যাপারটি অনুমোদিত ব্যবসায়ীদের এবং কোন ধরনের অননুমোদিত ব্যবসায়ী এবং গুপ্তচরদের চিহ্নিত করবে।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!