You dont have javascript enabled! Please enable it!
শিরোনাম সূত্র তারিখ
গেরিলা যুদ্ধ করার নিয়ম সংক্রান্ত একটি বেনামী লিফলেট —– ৮ মার্চ, ১৯৭১

গতানুগতিক যুদ্ধের ক্ষেত্রে অগতানুগতিক পরিচিতি

*শত্রুকে পরাজিত করতে সম্ভাব্য সকল মাধ্যম ব্যবহার করে সম্ভাব্য কম সময়ের মধ্যে।
*যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোঃ
স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা সবাইকে অবশ্যই অনুভব করতে হবে।
*গতানুগতিক যুদ্ধ সংঘটিত হয় দেশগুলোর মাঝে এবং গেরিলারা হিংসাত্মক ও অহিংস দুই উপায়ে গঠিত হয়। (সশস্ত্র এবং নিরস্ত্র)
*লক্ষ্য অর্জন করতে একজন গেরিলা সম্ভাব্য সকল পন্থা ব্যবহার করবে।
শত্রু গেরিলা সম্পর্কে জানবে না। গেরিলা মেধা ও অস্ত্র ব্যবহার করে ধীর গতিতেবিস্ময়করভাবে শত্রুকে আক্রমণ করবে।
*একজন গেরিলা অবশ্যই সাধারণ মানুষের কথা মনে। তাদের অবশ্যই মানুষের আত্মবিশ্বাস অর্জনের লক্ষ্যে একটি শক্ত এবং নতুন চরিত্র থাকবে।
*শত্রুর প্রধান সংস্থান ধ্বংস করতে গেরিলারা সকল সম্বল ব্যবহার করে। বেশিরভাগই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ।

প্রতিজ্ঞাঃ
যে লড়বে সেই পুরুষ।
আমরা লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতীজ্ঞার শেষটুকু দিতে প্রস্তুত এবং আমরা জয় করব। আমরা দুর্গের মত থেকে শত্রুর মনোবল ভেঙ্গে দেব।
পূর্বপাকিস্তানছাত্রলীগ
কেন্দ্রীয়সংসদ
প্রস্তাবাবলী
৪২, বলাকা ভবন
ঢাকা – ২
তারিখ ৮ ই মার্চ , ১৯৭১

অদ্যকার এই সভা আগামী কাউন্সিল অধিবেশন পর্যন্ত পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের পরিবর্তে শুধুমাত্র ‘ ছাত্রলীগ ‘ নাম ব্যাবহৃত হইবে।

প্রত্যেক জেলা শহর হতে প্রাথমিক শাখা পর্যন্ত শাখার সভাপতিকে আহবায়ক , সাধারণ সম্পাদককে সম্পাদক করিয়া এবং ৯ জন সদস্য সর্বমোট ১১ জনকে নিয়া “ স্বাধীন বাঙলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ “ গঠন করার প্রস্তাব গ্রহণ করিতেছে। সংগ্রাম পরিষদ গঠনের ব্যাপারে কলেজ ছাত্র সংসদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করার নির্দেশ প্রদান করিতেছে ।

প্রত্যেকটি শাখাকে তাহার আওতাভুক্ত এলাকায় আঞ্চলিক সংগ্রাম পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করিতেছে।

বটতলাওপল্টনেরজনসভারপ্রস্তাবাবলীএকনম্বরইস্তাহারএইসভারপ্রস্তাবহিসেবেগ্রহনকরাহইল।

প্রত্যেকজেলাশাখাকেজরুরীকাউন্সিলসভাআহবানকরিয়া ছাত্রলীগের এই কেন্দ্রীয় সংসদকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দায়িত্ব পালনের অনুমতি প্রদানের ব্যাবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতেছে ।

যে সকল জেলায় জেলা শাখা নাই , সেখানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সরাসরিভাবে সেই সকল জেলায় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করার দায়িত্বভার অর্পন করিতেছে ।

দেশের সকল প্রেক্ষাগৃহে পাকিস্তানী পতাকা প্রদর্শন , পাকিস্তান সংগীত বাজানো এবং উর্দু বই প্রদর্শন বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করিতেছে এবং বঙ্গবন্ধু নির্দেশিত সিনেমা কর প্রদান না করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করিতেছে ।

শত্রু বাহিনীকে মোকাবেলায় প্রস্তুত হউন
গণস্বার্থে স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখুন
ভাইসব ,
বাংলাদেশের জনগণ আজ গণতন্ত্র ও নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এখানে একটা পৃথক ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র কায়েম করিতে বদ্ধ পরিকর হইয়াছেন ও এই জন্য এক গৌরবময় সংগ্রাম চালাইতেছেন। এই সংগ্রামে জনগণ সশস্ত্র সেনাবাহিনীকে অসম সাহসিকতার সহিত মোকাবেলা করিতেছেন এবং নিজেদের আশা – আকাঙ্খা পূরণের জন্য বুকের রক্ত ঢালিতেও দ্বিধা করিতেছেন না । কমিউনিস্ট পার্টি পূর্ব বাংলার সংগ্রামী বীর জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাইতেছে । পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট রা দীর্ঘকাল হইতেই বাঙালী সহ পাকিস্তানের সকল ভাষাভাষী জাতির বিচ্ছিন্ন হইয়া পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের অধিকার তথা আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার দাবী করিয়া আসিতেছে । পূর্ব বাংলার জনগণ আজ অনেক ঘটনার ঘাত – প্রতিঘাতের ভিতর দিয়া পূর্ব বাংলায় একটি পৃথক ও স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের যে দাবী উত্থাপন করিয়াছেন , আমরা উহাকে ন্যায্য মনে করি , তাই পূর্ব বাংলার জনগনের বর্তমান সংগ্রামে আমরাও সর্বশক্তি লইয়া শরিক হইয়াছি ।

জনগনের দুশমন কাহারা?

বাংলাদেশে পৃথক ও স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের এই সংগ্রামে জনগনের দুশমন হইল পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠী ও বর্তমান সামরিক সরকার । পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠী বিদেশী সাম্রাজ্যবাদ বিশেষতঃ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বড় বড় জোতদার – জায়গিরদার – মহাজন ও একচেটিয়া পুঁজির মালিক ২২ টি পরিবারের কায়েমী স্বার্থ রক্ষার জন্য গত ২৩ বছর বাংলাদেশের শ্রমিক – কৃষক , মধ্যবিত্ত – ছাত্র প্রভৃতি জনগনকে শোষন এবং নিপীড়ন করিয়াছেন সাম্রাজ্যবাদ , সমাজবাদ ও একচেটিয়া পুঁজির স্বার্থে শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাংলার সমগ্র জনগণকে জাতীয় অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার হইতে আগাগোড়া বঞ্চিত করিয়াছে । আজও উহাদের স্বার্থেই ইয়াহিয়া সরকার প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীসমূহের নয়া নেতা ভুট্টোর সহিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হইয়া জাতীয় পরিষদের অধিবেশন নস্যাৎ করে ও গনতন্ত্র , জাতীয় অধিকার এবং শাসন ক্ষমতা হস্তান্তরের বিরুদ্ধে লিপ্ত রহিয়াছে এবং সেনাবাহিনীকে জনগনের বিরুদ্ধে নিয়োগ করিয়াছে । সেনাবাহিনীকে জনগনের বিরুদ্ধে নিয়োগ করিয়াছে । সেনাবাহিনী পূর্ব বাংলায় ইতিমধ্যেই গণহত্যা ঘটাইয়াছে ও রক্তের বন্যায় পূর্ব বাংলায় জনতার সংগ্রামকে স্তব্ধ করিবার জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত হইয়া রহিয়াছে ।

তাই বাংলাদেশের দুশমন হইল সাম্রাজ্যবাদ – সামন্তবাদ ও একচেটিয়া পুঁজির স্বার্থ রক্ষাকারী সরকার ও উহাদের সেনাবাহিনী । পশ্চিম পাকিস্তানের পাঠান , বেলুচ , সিন্ধি , পাঞ্জাবী জাতিসমূহের মেহনতি জনতা পূর্ব বাংলার জনগনের শত্রু নয় । বরং পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের গণতন্ত্র ও বিভিন্ন জাতি – গোষ্ঠীর জাতীয় অধিকারকেও পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠীই নস্যাৎ করিয়া রাখিয়াছে । পূর্ব বাঙলার উর্দু ভাষাভাষী মেহনতি জনগণকেও ঐ শাসকগোষ্ঠী শোষণ ও নিপীড়ন করিতেছে । তাই ঐ দুশমন দের পরাজিত করিয়া বাংলাদেশের জনগনের দাবী কায়েম করার জন্য আজ এখানে গড়িয়া তুলিতে হইবে বাঙালী – অবাঙালী , হিন্দু – মুসলমান জনগনের দুর্ভেদ্য একতা। ঐ দুশমনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে বাংলাদেশের জনগণ কে বেলুচ – পাঠান – সিন্ধি – পাঞ্জাবী মেহনতি জনগণকে মিত্র বলিয়া মনে করিতে হইবে এবং পূর্ব বাংলার সংগ্রামে তাহাদের সাহায্য পাইতে সর্বদাই সচেষ্ট থাকিতে হইবে । এই সংগ্রামে এখানকার জনগনের সুদৃঢ় ঐক্য ও বেলুচ – পাঠান প্রভৃতির সমর্থন যত বেশি গড়িয়া উঠিবে গণদুশমনদের পরাজয়ও ততই নিশ্চিত হইবে ।

প্রকৃত মুক্তির লক্ষ্যে অবিচল থাকুন

ঐক্যবদ্ধ গণশক্তি ও জনতার সংগ্রামের জোরে গণদুশমনদের ও উহাদের সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করিয়া এখানে জনগণের দাবী মতে ‘ স্বাধীন গণতান্ত্রিক বাংলা ‘ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অগ্রসর করিয়া লইতে হইবে । কিন্তু স্বাধীন বাংলা যাহাতে সাম্রাজ্যবাদীদের ডলারের শৃংখলে বাঁধা না পড়ে , স্বাধীন বাংলার কৃষক সমাজের উপর যাহাতে জোরদার মহাজনদের শোষন না থাকে , স্বাধীন বাংলায় যাহাতে শ্রমিক ও জনসাধারণকে পুনরায় পুঁজিপাতিদের শোষণ ও নিপীড়নে ধুঁকিয়া ধুঁকিয়া মরিতে না হয় , সেজন্যও সংগ্রামকে দৃঢ় ভাবে আগাইয়া লওয়ার জন্য কমিউনিস্ট পার্টি শ্রমিক – কৃষক – ছাত্র মধ্যবিত্ত জনতাকে তাহাদের সংগ্রাম আগাইয়া লওয়ার আহবান জানাইতেছে ।

কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশে এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র – গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামের আহবান জানাইতেছে যেখানে সাম্রাজ্যবাদ , সামন্তবাদ , উৎখাত করিয়া ও পুঁজিবাদী বিকাশের পথ পরিহার করিয়া জনগণের স্বার্থে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব সমাধা করা ও সমাজতন্ত্রের পথে অগ্রসর হইবার বিপ্লবী পথ উন্মুক্ত হইতে পারে ।

বিভ্রান্ত হইবেন না

কতকগুলি তথাকথিত ‘ কমিউনিস্ট পার্টি ‘ জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য ‘ ধর্মঘট , অসহযোগ আন্দোলন প্রভৃতির প্রয়োজন নাই’, ‘ গ্রামে গ্রামে কৃষি বিপ্লব শুরু কর ‘, জোতদারদে গলা কাট ‘ প্রভৃতি আওয়াজ তুলিতেছে । কোনকোননেতাস্বাধীনবাংলাপ্রতিষ্ঠাহইয়াগিয়াছেবলিয়াধ্বনিতুলিয়াআজিকারগণসংগ্রামেরউদ্দীপনাসংকল্পওপ্রস্তুতিতেভাটাআনিয়াদিতেচাহিতেছেন।মার্কিনীএজেন্টরাএইসংগ্রামেঅনুপ্রবেশ করিয়া সংগ্রামকে বিপথগামী করার প্রচেষ্টা করিতে পারে। শাসকগোষ্ঠীর ও প্রতিক্রিয়াশীল দের উস্কানিতে সমাজবিরোধী দুস্কৃতিকারীরা দাঙ্গা – হাঙ্গামা , লুটতরাজ প্রভৃতি বাধাইয়া সংগ্রামকে বিনষ্ট করিতে তৎপর হইতে পারে ।এই সকল বিষয়ে হুঁশিয়ার ও সজাগ থাকার জন্য আমরা জনগণের প্রতি আহবান জানাইতেছি ।

দৃঢ় সংকল্প বজায় রাখুন

বাংলাদেশের জনগণ আজ অভূতপূর্ব দৃড়তার ও একতার সাথে অফিস – আদালতে হরতাল , খাজনা – ট্যাক্স বন্ধ প্রভৃতির যে সংগ্রাম চালাইতেছেন , সে সংগ্রাম ইতিমধ্যেই ইতিহাসে এক নূতন নজির স্থাপন করিয়াছেন । সামরিক সরকারের হুমকি , দমননীতি , অভাব – অনটন প্রভৃতির মধ্যেও সে সংগ্রাম শিথিল বা দমিত হইবে না এবং শত্রুর নিকট আমরা কখনও নতি স্বীকার করিব না – এই দৃঢ় সংকল্প আজ বাংলার ঘরে জাগিয়া উঠুক ।

ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য করুন

নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর , সামরিক শাসন প্রত্যাহার প্রভৃতি যে দাবীগুলি আওয়ামী লীগ প্রধান উত্থাপন করিয়াছেন , সেগুলি আদায় করতে পারলে স্বাধীন বাংলা কায়েমের সংগ্রামের অগ্রগতির সুবিধা হইবে – ইহা উপলদ্ধি করিয়া ঐ দাবীগুলির পিছনে কোটি কোটি জনগণকে সমাবেত করা এবং ঐ দাবীগুলি পূরণে ইয়াহিয়া সরকারকে বাধ্য করা – ইহা হইল এই মূহুর্তে জরুরী কর্তব্য।

সেনাবাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করুন

বস্তুতঃ হরতাল , লক্ষ লক্ষ জনতার সমাবেশ , মিছিল , সরকারী অফিস – আদালত ও সামরিক বাহিনীর সহিত অসহযোগ প্রভৃতি শান্তিপূর্ণ পন্থায় বর্তমান পর্যায়ে জনগণের আকাংখিত স্বতন্ত্র স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে চালাইতে হইবে ।
কিন্তু জনগণকে আজ সংগ্রাম করিতে হইতেছে প্রত্যক্ষভাবে সশস্ত্র সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে । তাই শান্তিপূর্ণ পন্থায় শেষ পর্যন্ত জনগনের সংগ্রাম বিজয়ী হইবে এইরূপ মনে করিবার কারণ নাই । প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠীর আজ্ঞাবাহী সেনাবাহিনী জনগণের উপর সশস্ত্র হামলা শুরু করিতে পারে । তাই আত্মতুষ্টির কোন কারন নাই । সংগ্রাম যে কোন সময় সুতীব্র রূপ ধারণ করিতে পারে । এই স্বতঃস্ফূর্ততার উপর নির্ভর না করিয়া সুশৃংখল্ভাবে সংগ্রামের সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহন করা দরকার । সেনাবাহিনীর আক্রমণ মোকাবেলা , উহা প্রতিরোধ করার জন্য শহর – গ্রাম সর্বত্র জনগণকে সংগঠিত ভাবে প্রস্তুত হইবার জন্য আমরা জনগণের প্রতি আহবান জানাইতেছি ।
এই জন্য পাড়ায়, মহল্লায় , গ্রামে কল – কারখানায় সর্বত্র দলমত নির্বিশেষে সমস্ত শক্তি নিয়া গড়িয়া তুলুন স্থানীয় সংগ্রাম কমিটি ও গণবাহিনী । সেনাবাহিনী আক্রমণ করিলে উহা প্রতিরোধের জন্য ব্যারিকেড গঠন করুন , যাহা আছে উহা দিয়েই শত্রুকে প্রতিহত করুন ।

শ্রমিক – কৃষক ভাইরা এগিয়ে আসুন

আজিকার সংগ্রাম জনগণের ন্যায্য সংগ্রাম । পশুশক্তির বিরুদ্ধে এই সংগ্রামে বিজয়ের বজ্রকঠিন শপথ ও সংকল্প নিয়া আগুয়ান হওয়ার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি আজ নারী – পুরুষ , জাতি – ধর্ম – নির্বিশেষে বাংলাদেশের সমস্ত জনগণকে বিশেষতঃ শ্রমিক , শহরে গরীব বস্তিবাসী , কৃষক ও ছাত্রসমাজের প্রতি আহবান জানাইতেছে । সাহসের সহিত শত্রুর বিরুদ্ধে সঠিকভাবে সংগ্রাম চালাইতে পারিলে আমাদের জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত ।

কেন্দ্রীয় কমিটি
ঢাকা পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি
তাং ৯ -৩ -১৯৭১
 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!