২৬ চৈত্র ১৩৭৭, শুক্রবার ৯ এপ্রিল ১৯৭১
-তাজউদ্দীন আহমদ, এ, এইচ , এম কামরুজ্জামান ও অন্যান্য উপস্থিত আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্যবৃন্দ বিপ্লবী গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
–ঢাকা চট্টগ্রাম ছাড়া সারা দেশ এখনও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ দের নিয়ন্ত্রনে । পুলিশ, প্রশাসনসহ সকল শ্রেনীর ছাত্র জনতা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে।
–ঢাকা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জনাব বি, এ, সিদ্দিকী এস,পিকে এক ভাবগম্ভীর অনুষ্ঠানে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসাবে লেঃ জেঃ টিক্কা খান এসপিকে শপথ দান করেছেন।
—জামাত ও মুসলিম লীগের কতিপয় নেতৃবৃন্দ , সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বাঙ্গালী বিদ্রোহী সি এস পি কর্মকর্তাগণ স্বাধীনতা অংশগ্রণের জন্য কলকাতায় পৌছে যান। এঁদের মধ্যে সর্বজনাব নূরুল কাদের খান , তৌফিক ইমাম, তৌফিক ইলাহী , খন্দকার আশাদুজ্জামান , ওলিউল ইসলাম , কামাল সিদ্দিকী । পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুব, আব্দুল গাফফার চৌধুরী প্রমুখ ইতিপূর্বে পৌছে গিয়েছিলেন।(নথিপত্র)
–ঢাকা শহরের জীবন যাত্রার স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য খাজা খয়েরউদ্দিনকে আহবায়ক করে ১৪০ সদস্যের শান্তি কমিটি গঠিত হয়/
–সৈয়দপুর বাজারে বাঙালীদের উপর অমানবিক অত্যাচারসহ শতাধিক বাঙ্গালীকে হত্যা করে। আহত জনৈক নারায়ন প্রসাদ পরে বীভৎস অত্যাচার সংবাদ সকলে জানায়। ডাঃজিকারুল হক এম, পি , এ, কে পাকিবাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে।
–পাকবাহিনী নড়াইল (যশোর) শহরে বিমান হামলা চালায় এবং দাইতলা থেকে পাকবাহিনী এসে নড়াইল শহর দখল করে নেয়। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সহ কিছু ই , পি আর জোয়ান ভারতে আশ্রয় নেয়।
–কুড়িগ্রাম পাকবাহিনী পাখি শিকারের মত বাঙালীদের হত্যা করে।
–সিলেটের হাসান মার্কেটের এলাকায় পাকবাহিনী ১০ জনকে হত্যা করে।
–ভারতের ব্রিগেডিয়ার পাণ্ডের সঙ্গে মেজর খালেদ মোশারফকে যুদ্ধের সাহায্য সহয়তা নিয়ে আলোচনা করেন। পাকবাহিনী আশুগঞ্জ , ব্রাক্ষণবাড়িয়া মুক্তিবাহিনীর উপর প্রবল বিমান হামলা চালায়। মুক্তিবাহিনী রেল সড়ক স্তব্দ করে দেয়।
–ভোর ৪টা সিলেট শহরে মুক্তি বাহিনীর সাথে পাক বাহিনীর লড়াই শুরু হয়। সমগ্র শহর ও শহর তলি জুড়ে পাক বিমান হামলা চলে। মুক্তি বাহিনী পিছু হটে যায়। পাকবাহিনী সিলেট মেডিকেল কলেজের কয়েকজন নিবেদিত প্রাণ চিকিৎসক ও ৭৫ জন। রোগীকে পাক বাহিনী হত্যা করে। ডাঃ শামসুদ্দিন এফ আর সি এস তাদের মধ্যে অন্যতম শহীদ।
–সিলেট (সেক্টর নং ৪) কমাণ্ডার মেজর চিত্তরঞ্জ দত্ত ভারতের মেঘালয় ডাউকি থেকে আগরতলা খোয়াই পর্যন্ত প্রায় ৩৪০ মেইল এলাকার মুক্তি যোদ্ধাদের পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
–আসমের জঙ্গল ঘের রুপসী বিমান ঘাটি রেষ্ট হাউজে সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও আব্দুল মান্নান এম, এন, এ (টাঙ্গাইল) গতকাল বোরখা পরে পায়ে হেটে পৌছছেন। বিমানঘাটি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ সাজে সজ্জিত কড়া পাহারা রয়েছে। সকাল সাড়ে দশটায় একোটা বিমান অবতরণ করলো বিমানযাত্রীরা নামলেন –শেখ ফজলুক হক মনি,তাজউদ্দীন আহমদ , ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং লেঃ জেঃ আরোরা এবং উর্দ্ধতন সামরিক ও বি , এস ,এফ কর্মকর্তা।
আলোচনার পর আগরতলা যাত্রার আগে শামসুল হক চৌধুরী এম, পি, এ-কে উত্তরাঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধার সার্বিক দায়িত্ব দেয়া হয় । কলকাতার পত্রিকায় পর দিন ছাপা হয়, আসামের কোন এক জঙ্গলে বঙ্গবন্ধুর মুজিবের সাথে শামসুল হক চৌধুরীর সাক্ষাৎ হয়েছে । বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় সেই সংবাদে।
–বাংলার প্রাচীন কীর্তি ধামরাইয়ের রথ পাকবাহিনী জ্বালিয়ে দেয় । স্থানীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীনেশ বাবু সহ ১৪ জনকে পাকবাহিনী গুলি করে হত্যা করে।
–ইসলামবাদে নিযুক্ত ভারতের কমিশনার মিঃ বি,কে আচার্যকে পাকিস্তান পররাষ্ট্র দফতরে থেকে জানান হয় যে, ভারতীয় নাগরিকদের পাকিস্তানী এলাকায় অনুপ্রবেশ এবং সেখানে তাদের ধ্বংসাত্মক তৎপরতা অবিলম্বে ভারত সরকারের বন্ধ করা উচিৎ।তা না হলে, যেসব ভারতীয় নাগরিক আভাবে অনুপ্রবেশ করবে তারা সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্তেই করবে।(দৈঃপাঃ)
–পাক বাহিনী ঢাকা থেকে প্রচুর শক্তি নিয়ে অগ্রসর হয় এবং আরিচা ঘাঁট দখল করে।আখান থেকে পরবর্তী কয়েকদিনের মধ্যেই তারা সামরিক গুরুত্বপূর্ণ দু’টি ঘাট গোয়ালন্দ ও নগরবাড়ী দিয়ে পদ্মা অতিক্রমে সফল হয়। কন নিয়মিত সেনাবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরধ না থাকায় নগরবাড়ি ও গোয়ালন্দে তারা সুধু প্রতীক প্রতিরধের সম্মুখীন হয়।(দৈঃবাঃ১৬/১২/৭২)
–পাক-বাহিনী বিকেল ৪টায় নগর বাড়ী প্রতিরোধকারী মুক্তিযোদ্ধাদের উপর বিমান আক্রমণ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
— বন্ধুদেশ ভারত থেকে অন্ত্র যোগাড় করার জন্য দক্ষিণাঞ্চল কমান্ডের প্রধান মেজর জলিল,আওয়ামি লীগ নেতা নুরুল ইসলাম মঞ্জুর (এম, এন, এ) কে ভারতে পাথান। অস্ত্র শস্ত্র যোগাড় ছাড়াও অন্যান্য নেতাদের সাথে যোগাযোগ করাও তখন প্রয়োজন ছিল।(৯ খণ্ডঃ পৃ ৫০৮)
-পাক-বাহিনী দৌলতপুরের রঘুনাতপুর গ্রামে হামলা করে। সেখানে তারা বহু নিরীহ লোককে হত্যা করে। এখানেও বাংলার কুলবধুরা নির্যাতিতা হন।
— কাজী কাদের এক বিবৃতিতে বলেন, আওয়ামি লীগের নেতৃত্ব পাকিস্তানের চিরশত্রু। আওয়ামী লীগ ভারতের পক্ষে কাজ করছে। তাই পূর্ব পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে সামরিক বাহিনীর অভিযান সময়োচিত।(সংবাদপত্র)
–ইসলামিক রিপাবলিক পার্টির সভাপতি মাওলানা নুরুজ্জামান ঢাকায় ঘরে ঘরে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উক্তোলনের জন্য প্রদেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।
–সামরিক কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেন, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে রাস্ত্রদ্রোহী ও সমাজবিরোধীদের (মুক্তিবাহিনী) বিতারিত করা হয়েছে। ফযলুল কাদের চৌধুরী,মৌলবী ফরিদ আহমেদ সহ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা আজ চট্টগ্রামের সামরিক কতৃপক্ষের সাথে দেখা করে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।(দৈঃপাঃ)
–ইসলামাবাদে ঘোষণা করা হয়, শেখ মুজিবর রহমান ও তাঁর সহচরেরা যে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নির্ভরযোগ্য সুত্রে সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সন্দেহজনক লোকজনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রন সংক্রান্ত এক নতুন সামরিক বিধি জারী করেন।(দৈঃপাঃ)
ঢাকা জেলা বারের ৫১ জন আইনজীবী এক যুক্ত বিবৃতিতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতের নগ্ন হস্তক্ষেপের নিন্দা করে সম্ভাব্য সকল উপায়ে অনুপ্রবেশকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) প্রতিহত করার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান। বিবৃতিতে সাক্ষর করেন আব্দুল মতিন, মহাম্মদ ইদ্রিস,সৈয়দ আলতাফ হোসেন, জালালুদ্দিন আহমদ, কে এ এম তৌফিকুল ইসলাম,ফখরুদ্দিন আহমদ,এম ইকবাল আহমদ, সৈয়দ শহুদুল হক,কলিমউদ্দিন আহমদ, সিরাজুল ইসলাম, এ কিউ এন শফিকুল ইসলাম ও মেসবাহউদ্দিন। প্রমুখ।(দৈঃপাঃ)
–ঢাকায় খাজা খয়েরউদ্দিনকে আহবায়ক করে ১৪০ সদসসের নাগরিক শান্তি কমিটি গঠন করা হয়।শান্তি কমিটির কেন্দ্রিয় সদস্যরা হচ্ছেন এ কিউ এম শফিউল ইসলাম অধ্যাপক গোলাম আজম,মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মাসুম,আব্দুল জব্বার খদ্দর, মাহমুদ আলী, এম একে রফিকুল হসেন,ইউসুফ আলী চৌধুরী,আবুল কাসেম, মৌলভী ফরিদ আহমদ, অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার, সৈয়দ আজিজুল হক (নান্না মিয়া) এ এস এম সোলায়মান, পীর মোহসেন উদ্দিন আহমদ, এডভোকেট শফিকুর রহমান, মেজর (আবঃ) আফসারউদ্দিন, সৈয়দ মোহসিন আলী এডভোকেট ফজলুল হক চৌধুরী, আলহাজ্ব সিরাজউদ্দিন, এডভোকেট এ টি সাদী ,আতাউল হক খান, মকবুলুর রহমান, আলহাজ্ব মোঃ আকিল, অধ্যক্ষ রুহুল কুদ্দুস, নুরুজ্জামান (ইয়ং পাকিস্তান সম্পাদক), মওলানা মিয়া মফিজুল হক, এডভোকেট আবু সালেক ও এডভোকেট আব্দুল নায়েম প্রমুখ। (দৈঃপা)
— খেলাফত রব্বানী পার্টির চেয়ারম্যান এ এস এম মোফাখখার প্রদেশিক মুসলিমলীগের (কাইয়ুম গ্রুপ) যুগ্ন সম্পাদক মাহবুবুল হক দুলন ও পাকিস্তান পার্টির আহবায়ক মোহাম্মদ আলী সরকার পৃথক বিবৃতিতে বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে সশস্ত্র ব্যাক্তিদের অনুপ্রবেশ মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। পাকিস্তানকে খণ্ডিত করার কোন প্রচেষ্টায় জনগণের কোন সাড়া পাওয়া যাবে না।
—- কেন্দ্রীয় ইসলামী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মওলানা সৈয়দ মোঃ মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক মওলানা জুলফিকার আহমদ কিসমতি, ইসলামী ছাত্র সংঘ ও জাতীয় ছাত্র ফেডারেশনের (এন এস এফ) সভাপতি আমিনুর রহমান জিন্নাহ ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সিদ্দিক সাবেক এম এন এ আব্দুল আওয়াল ভুইয়া, ঢাকা হাইকোর্টের এডভোকেট মাহবুবুর রহমান, ঢাকা শহর কনভেনশন মুসলিম লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বক্স পৃথক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী পাঠিয়ে ভারত প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশপ্রেমের মুলে আঘাত হেনেছে। ভারতের মনে রাখা উচিত যে, স্বীয় আধিকার আদায়ের ব্যাপারে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ শত্রুওরাষ্ট্রের কাছে থেকে কোন সাহায্য চায় না। (সংবাদপত্র)
–ঢাকায় সামরিক কর্তৃপক্ষ ঢাকাস্থ ভারতীয় ডেপুটি কমিশন বেতার ট্রান্সমিটার অপসারণের নির্দেশ দেন। ( দৈঃ পা)
একাত্তরের দশ মাস-৯
–মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সহকারী পররাষ্ট্র সচিব জোসেফ সিসকো বলেন , চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানকে যে অস্ত্র দিয়েছে তা তারা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য ব্যভার করতে পারবে। (সংবাদপত্র)
–প্রাদেশিক জামাতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক গোলাম হাফেজ ঢাকায় বেতার ভাষণে বলেন , ভারত সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী প্রেরণ করে কার্যতঃ পূর্ব পাকিস্তানী মুসলমানদের কাছ থেকে কোন সাহায্য পাবে না। (দৈঃ পা)
-শেরে বাংলার পুত্র ও জাতীয় পরিষদের সদস্য (আওয়ামীলীগ) এ কে ফয়জুল হক ঢাকায় বিবৃতিতে বলেন ,পূর্ব পাকিস্তানে সশস্ত্র ভারতীয়দের নগ্ন অনুপ্রবেশ ও অসাধু উদ্দেশ্যের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। আমাদের প্রিয় মাতৃভুমিকে দিখণ্ডিত করার জন্য ভারতের স্থির প্রতিজ্ঞা আমাদের প্রতি তাদের শত্রুতামূলক মনোভাবের প্রমাণ। আমরা জনসাধারণের প্রতিনিধিরা তাদের সবরকম দায়দায়িত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন। আমাদের প্রতি জনসাধারণ যে আস্থা প্রকাশ করেছে আমরা তা থেকে তাদের বঞ্চিত করতে পারি।
আমার প্রিয় দেশকে দ্বিখণ্ডিত করার কোন পরিকল্পনা সাথে শরীক হতে পারি না।
–পাকিস্তান মুসলীমলীগের (কাইয়ুম) প্রধান সংগঠক কাজী আব্দুল কাদের এক বিবৃতিতে বলে , পূর্ব পাকিস্তানে অরাজকতার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানই দায়ী। রাষ্ট্র বিরোধীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী যে ব্যবস্থা নিয়েছে আমি তাঁর সমর্থন জানাই । আমি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে ধন্যবাদ জানাই এ জন্য যে, তিনিত আওয়ামী লীগ নেতাদের ষড়যন্ত্র অংকুরেই বিনাশ করে তাঁর রাষ্ট্র প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন (সংবাদপত্র)
–বেনাপোল সীমান্তে মুক্তিবাহিনী ও পাকসেনার মধ্যে সারা দিন ধরে সংঘর্ষ চলে।
Reference:
একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী