১৩ আষাঢ়,১৩৭৮ সোমবার, ২৮ জুন ১৯৭১
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সামরিক শাসন অব্যাহত রাখা ও নবশাসনতন্ত্র জারির ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বেতার ভাষণে তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন রায় বাতিল করেন। শূন্য আসনগুলো উপনির্বাচন দ্বারা (বাই ইলেকশানে) পূর্ণ করার আদেশ জারি করে। ষড়যন্ত্র বিচ্ছিন্নতাকামী বিদ্রোহী হিসেবে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করেন। ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া তীব্র উম্মা প্রকাশ করেন। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান রেডিও ভাষণে বলেন, দেশকে রক্ষা করার জন্য ইতোপূর্বে ঘোষিত জাতীয় পরিষদে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নতুন পদ্ধতিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনার পর শাসনতন্ত্রের চূড়ান্ত রূপদান করার পর জাতীয় পরিষদে পেশ করা হবে। তিনি ঘোষণা করেন, কেন্দ্র ও প্রদেশে জনগনের সরকার কায়েম হবার পর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দেশে সামরিক শাসন বলবৎ থাকবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা হলেও নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ব্যক্তিগত পর্যায়ে সদস্যপদে বহাল থাকবে। নতুন করে নির্বাচিত অনুষ্ঠানে প্রশ্ন ওঠে না। তবে, অযোগ্য বিবেচিত সদস্যদের আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যারা রাষ্ট্রবিরোধী কাজে অংশ নিয়েছেন তাদের। পরিষদ সদস্যপদ থাকবে না। ইয়াহিয়া খান বলেন, দেশে পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান সামরিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকবে তবে ৪ মাসের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরের একটি পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, কপটতা ও পৃথক রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণ দেশকে খণ্ডবিখণ্ড করার জন্য ভোট দেয়নি, ভোট দিয়েছিলেন প্রাদেশিক স্বায়ত্বশাসন লাভের জন্য। ইয়াহিয়া খান বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানের সময় পূর্ব পাকিস্তানে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ও সশস্ত্র বিদ্রোহের পরিস্থিতি বিরাজ করেছিল পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতের হস্তক্ষেপ পূর্ব পরিকল্পিত। আওয়ামী লীগের চরমপন্থী, বিদ্রোহী ও ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে যোগসজাশ ছিল। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী পাকিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত। (দৈঃপা)
-বাংলাদেশ প্রশ্ন ভারত জাতিসংঘ উত্থাপন করবে। পূর্ব পাকিস্তানে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ও শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ছাড়া ভারত অন্য কোন কিছু মেনে নেবে না। লোকসভায় শরণ সিং-এর বক্তব্য।
-মিঃ টি বি জেসেল ভারত সফররত বৃটিশ প্রতিনিধি এদিন জানালেন, গণহত্যা এখনও চলছে পূর্ব বাংলায়। (সংবাদপত্র)
-রাজশাহী অঞ্চলে মুক্তিবাহিনী গেরিলা ইউনিটের কমান্ডো অপারেশন তীব্র হয়ে উঠে। পক্ষান্তরে, নবাবগঞ্জ এলাকায় রাজাকার ও দালালদের বর্বরতা বৃদ্ধি পায়।
-নয়াদিল্লীতে উর্দু পত্রিকায় সম্পাদকমণ্ডলী তিনদিনব্যাপী আলোচনা শেষে অভিমত ব্যক্ত করে যে, ‘যথাশীঘ্র বাংলাদেশ সমস্যার সমাধান না হলে ভারত একান্ত অনিচ্ছার সঙ্গেই তাঁর গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থগুলি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহনে বাধ্য হবে। (১৪:খৃঃ পৃঃ ৮৩৮)
– A spokes man for the ‘Provisional Government of Bangladesh” said in Calcutta on June 28 that all member o the Awami League had been warned that they must not participate in the National Assembly, whilst the people of Bangladesh would be asked to boycott the by elections. Many of the elected representatives of the Awami League had been killed by the Army. He stated, and most of those who were still alive were in exile in India or had gone underground in East Pakistan. [KCA,p-24953]
উল্লেখ্য, একদিকে দেশের অভ্যন্তরে জনগণের ঐক্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি এবং অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো বাংলাদেশ সৃষ্টির বিরুদ্ধে সরাসরি অবতীর্ণ এই সময়ে আওয়ামী লীগের একদম নেতা-কর্মী অতুসূক্ষ্ম যুক্তি-তর্ক ভাবাবেগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন বিরোধী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। (লেখক)
-এদিন পাক-প্রেসিডেন্টের সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আহবান বাঙালীদের কাছে কোনো আবেদন সৃষ্টি করতে পারেনি। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ রেখে সাধারণ ক্ষমা বা বাই ইলেকশনের টোপ বিশ্ব জনমতকে বিভ্রান্ত করার হীন প্রচেষ্টা ছাড়া কিছু নয়। কারণ, সীমান্ত এলাকায় কয়েকটি অভ্যর্থনা শিবির সাজিয়ে বিশ্ব জনমতকে ধোঁকা দেয়া এবং দেশের অভ্যন্তরে সেনাবাহিনীর মদদপুষ্ট রাজাকার আলবদর বাহিনী অসহায় হিন্দুদের। ওপর নির্যাতন-ধর্ষণ-লুণ্ঠন-হত্যা প্রতিদিনের ঘটনা ছিল। শরণার্থীদের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, এ সময়ে ভারতে প্রতি ঘণ্টায় ১৮০০ জন বাঙ্গালী শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করছিল। (লেখক)
-ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি নূরুল আমিন, প্রাদেশিক মুসলিম সভাপতি খাজা খয়েরুদ্দিন, প্রাদেশিক জামাতের প্রধান অধ্যাপক গোলাম আযম মুসলীম লীগ নেতা খান এ সবুর, নেজামে ইসলামী পার্টির মহাসচিব মওলানা আশরাফ আলী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার ভাষণকে স্বাগত জানান। গোলাম আযম বলেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ঘোষিত কর্মসূচীই জাতির জন্য একমাত্র পথ যা অবশিষ্ট রয়েছে। (দৈঃ পাঃ)
-বিশ্ব ব্যাংক পাকিস্তানকে আর কোন আর্থিক সাহায্য দেবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ওয়াশিংটন পোষ্ট দৈনিক পত্রিকা এ খবর জানায়।
-স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এক কথিকায় বলা হয়ঃ পাকিস্তানকে সাহায্যদানকারী কনসর্টিয়ামভুক্ত দেশসমূহের অভিমত হলোঃ ইয়াহিয়া ও তাঁর জঙ্গী সরকার যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে গণহত্যা, লুঠতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও নারী নির্যাতন বন্ধ না করবে, বাংলাদেশ থেকে যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসবে, ততদিন আমরা কেউই পাকিস্তানকে একটি কানাকড়ি পর্যন্ত দিচ্ছি না।(খঃ ৫ পৃঃ ৭১)
অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা গেরিলাদল ফরিদপুর জেলার রাজৈর থানার টেকেরহাটে পাকসেনাদের অবস্থানের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে ১০ জন পাকসেনাকে হত্যা করে। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়ে টেকেরহাটের অবস্থান থেকে পালিয়ে যায়। (খঃ ৯ পৃঃ ১৭৫)
জেনারেল ইয়াহিয়া খানের রেডিও ভাষণের সময় (সন্ধ্যা ৮ টা) ঠিক ঐ সময়ে ২ নং সেক্টরের সকল সাব সেক্টর কমাণ্ডারগণ একযোগে পাকসেনাদের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। মেজর খালেদ মোশাররফের নির্দ্দেশেই ইয়াহিয়ার ভাষণকে উপযুক্ত উপস্থিতি সম্বর্ধনা জানানোর পরিকল্পনা গৃহিত হয়। ৪র্থ বেঙ্গল ‘এ’ কোম্পানি নয়ানপুরে, একটি কোম্পানি, লাটুমুড়া, কুমিল্লা শহরের সার্কিট হাউজ (মার্শাল ল’ দপ্তর), ফুলতলী, বিবিরবাজার, মিয়াবাজার, ফেনী, বিলোনিয়া, লাকসাম, শালদানদী, চাঁদপুর, মর্টার ও গ্রেনেড সাহায্য অতর্কিত আক্রমণ চালায়। পাকসেনারা জেনারেলের ভাষণে মগ্ন ছিল। বিভিন্নস্থানে ৬০ জন পাকসেনা নিহত হয়। (খঃ ৯ পৃঃ ১৭৬) উল্লেখ্য, এসব গেরিলা আক্রমণে পাকসেনারা মুক্তিবাহিনী সম্বন্ধে ভীত হয়ে পড়ে।
-মেজর খালেদ মোশাররফের মেলাঘর ক্যাম্পের নিয়মানুবর্তিতা ও শৃংখলা প্রশংসনীয় ছিল। এই সেক্টরে ইপিআর বাহিনী ছাড়াও ছিলো রাইফেল ও পুলিশ বাহিনীর বহু সংখ্যক সদস্য। আর প্রশিক্ষণরত ছিলেন বহু ছাত্র-যুবক। এখানে অস্ত্র প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন মাহবুব। এ সময়ে আগরতলায় বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী ও পদন্থ কর্মজীবীর ভিড় জমেছিল। সপরিবারে থাকতেন মেজর মীর শওকত আলী, মেজর সফিউল্লাহ মেজর নূরুল ইসলাম ও মেজর খালেদ মোশাররফের বেগম ও পরিবার পরবর্তী সময়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আগরতলায় পৌঁছান। বেগম জিয়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কর্নেল মাসুদের পরিবারের সাথে একত্রে এক বাড়িতে আটক রেখেছিল পাক সেনাবাহিনী। এই সময়ে মেজর ইসলাম ছিলেন মেজর শফিউল্লার নেতৃত্বাধীন তিন নম্বর সেক্টরে। (একাত্তরের স্মৃতিচারণ পৃঃ ৮৮)
এদিন ঢাকায় জেনারেল ইয়াহিয়ার ভাষণের প্রত্যুত্তর দিতে ৫০ জনের অকুতভয় গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে জিন্নাহ এভিনিউ (বর্তমান বঙ্গবন্ধু এভিনিউ), মতিঝিল, শাহাবাগ, পুরানা পল্টন, সদরঘাট, চকবাজার একসাথে ইয়াহিয়ার রেডিও ভাষণের সময় গ্রনেডে বিস্ফোরণ এবং মোটরগাড়িতে এক্সপ্লোসিভ লাগিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। ঢাকায় পাকসেনারা চতুর্দিকে ছোটাছুটি করে এবং সমস্ত ঢাকায় ক্তা আতঙ্কের সৃষ্টি হ্য়। বাঙালীরা মনোবল ফিরে পায়।
-কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শান্তিময় রায় বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব এ এইচ এম কামরুজ্জামানের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। এদিন অপরাহ্নে বাংলাদেশের কম্যুনিষ্ট পার্টিসহ কয়েকটি বাম দলকে মুক্তিযুদ্ধের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার বিষয় আলোচনা করেন অধ্যাপক শান্তিময় রায়। উল্লেখ্য, এ সময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ক্ষমতার দ্বন্দ্বও মতবিরোধের লক্ষণ ছিল।
— কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহধন্যা সুসাহিত্যিক শ্রীমতি মৈত্রেয়ী দেবী তাঁর সংগঠন সম্প্রীতি পরিষদ তথা শরণার্থীদের অনাথ শিশুদের লালন-পালনের ব্যবস্থাদি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামানের সঙ্গে আলোচনা করেন।
পশ্চিম বাংলার অজয় মুখার্জ্জী মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করে। পশ্চিম বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন অনিবার্য হয়ে পড়ে। শ্রী অজয় মুখার্জ্জীর উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সহায়ক সমিতির কাজ পুরোদ্যমে চলতে থাকে। কেন্দ্রীয় সাহায্য ও পুনবার্সন কমিটির সেক্রেটারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সদস্য সোহরাব হোসেন, শামসুল হক, শাহ মোয়াজ্জম হোসেন ও আবদুল মালেক উকিল, সহায়ক সমিতির সম্পাদক স্বাধীন গুহ, কারাজিৎ বোস ও অরুন মৈত্রের সঙ্গে নানাবিষয়ে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামরুজ্জামানের নির্দেশে যুব অভ্যর্থনা শিবির, মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামগ্রী সংগ্রহের জন্য কাজী শামসুজ্জামান (প্রশাসনিক অফিসার) যোগাযোগ রক্ষা করতেন। (লেখক)
ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধি দলনেতা মিঃ প্রেন্টিস ও তাঁর তিনজন সহকর্মী পূর্ব বংগে চার দিনব্যাপী সফরের পর ২৮ জুন কলকাতা পৌঁছান। সেখান থেকে বনগাঁও গিয়ে তাঁরা কয়েকটি আশ্রয় শিবির ও স্থানীয় হাসপাতালের কলেরা ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। কংক্রিটের নোংরা মেঝের উপর বিভিন্ন বয়সের কলেরা রোগী এবং দরজার কাছে একটি ছোট মেয়ের বিবস্ত্র মৃতদেহ তাঁরা দেখতে পান। স্থানীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কে কে নস্কর পার্লামেন্ট সদস্যদের বলেন, গত দু’তিন দিন যাবৎ দৈনিক প্রায় ৯০ হাজার লোক বনগাঁও এলাকায় সীমান্ত পার হয়ে পশ্চিম বাংলায় আশ্রয় গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে, ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারীদের সংখ্যা ৬৪ লক্ষে দাঁড়িয়েছে বলে অনুমান করা হয়। (সংবাদপত্র) উল্লেখ্য, বৃটিশ সংসদীয় দলের অন্যতম নেতা মিঃ Jesse এদিন ঢাকায় বৃটিশ পত্র পত্রিকার সংবাদদাতাদের জানিয়েছে যে, From what I have seen and heard from reliable sources. I could not put my hand on my heart and tell refugees to come back. I am sure it is not safe for Hindus, Who may be attacked by the Army, or for anyone who was actively connected with the Awami League to return…. Referring to sacking of village, Mr Jessel said he thought that the Pakistan Army might have got out of control at “Company and battalion level” adding that a “reign of terror” was not conductive to the restoration of the economic life of the country. (KCA,P 24760) উল্লেখ্য, কলকাতাস্থ বৃটিশ দূতাবাসের রাজনৈতিক অফিসার মিঃ পিটার ফাওলার, বৃটিশ সংসদীয় দলের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার কয়েকটি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। মিঃ ফাওলার বাংলাদেশ সরকারের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। লন্ডন থেকে যে ক’জন প্রবাসী বাঙ্গালী নেতা কলকাতায় এসেছেন তাঁদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা বর্ণনায় ইমোশনালী নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছিলেন। তাঁর ঐকান্তিকতায় মিঃ পিটার বটমলের নেতৃত্বাধীন বৃটিশ সাংসদগণ গণহত্যা ও শরণার্থীদের সমস্যার সম্যক ধারণা পেয়েছেন বলে জানা যায়। (লেখক)
Reference:
একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী