You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৫ বৈশাখ ১৩৭৮ শুক্রবার ৩০ এপ্রিল ১৯৭১

 

জেড এ ভুট্টো ঘোষণা করলে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাধলে, চীন পাকিস্তানের পাশে এসে দাঁড়াব। এই ঘোষণাকে দ্রুত সমর্থন জানান পিকিংস্থ পাকরাষ্ট্রদূত। তিনি ভারতের সাথে পাকিস্তানের বিপদে চৈনিক স্বেচ্ছামূলক সাহায্যকে অভিনন্দন জানান।

–বাংলাদেশ সরকার ত্রান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ভারত সরকারের প্রশাসনিক কতৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে শরণার্থীদের জন্য আশ্রয় শিবির স্থাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। উল্লেখ্য মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণ ইচ্ছুক ছাত্র  যুব কদের জন্য যুব অভ্যর্থনা কেন্দ্র যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র , ও সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ ৪৫, প্রিন্সিসষ্ট্রীট দফতরে শুরু হয়। আওয়ামীলীগ এম এন এ ও এম পি এ দের এ সব যুব কেন্দ্রের সব বিষয়ে দায়িত্ব দেখা হয়। পূর্বাঞ্চলে ডঃ হাবিবুর রহমান, জনাব মাহবুব আলম চাষী, জনাব তাহের উদ্দীন ঠাকুর ও অধ্যাপক দেবব্রত দত্তগুপ্ত যুব কেন্দ্র পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন করেন।

তেলিয়াপাড়া যুদ্ধ লেফটেন্যন্ট মোর্শেদ নেতৃত্ব অকুতোভয় বীর মুক্তিফৌজ নতুন ভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ক্যাপ্টেন ভূঁইয়া ও ক্যাপ্টেন মতিনকে হেড কোয়ার্টারে ফেরন আনা হয় –

–নওগাঁ পাকবাহিনী অমানবিক ভাবে পাশবিকতা চালিয়েছে। দরিদ্র গ্রামবাসী সীমানা পানে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মালদা ও মুর্শিবাদ ছুটে যায়।

–মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কর্ণেল (পরে জেনারেল) এম এ জি ওসমানী রামগড়ে পরিদর্শনে আসেন। তাঁর পর রামগড় দু’দিন শত্রু মুক্তছিল। মেজর মীর শওকতের বাহিনী আপ্রাণ লড়েছেন পাকবাহিনীকে প্রতিরোধ করতে। মেজর মীর শওকত ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর ছিলেন)

–পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর চীফ অব ষ্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খান হেলিকপ্টারে নাটোর, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁ ও রংপুরে অবতরন করে এবং পাকিস্তানী সৈন্য কিভাবে বিভিন্ন স্থানএ থেকে দুষ্কৃতিকারী , রাষ্ট্রবিরোধী ও ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী নিশ্চহ্ন করে দিয়েছে তিনি তাঁর বিবরণ শ্রবণ করে।(পূর্বদেশ)

–পাকবিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল এ রহীম খান তিন দিন ঢাকা সফরশেষে করাচী ফিরে গেলেন। (পূর্ব দেশ) এপ্রিল মাসের শেষদিন পর্যন্ত ভারতে রিক্ত-নিঃস্ব অত্যাচারিত শরণার্থীদের সংখ্যা দাঁড়াল ৩০ লক্ষ। ভারতের সীমান্ত প্রদেশ গুলতে প্রতিদিন গড়ে ৬০০০০ শরনার্থী প্রবেশ করেছিল।

–এ সময়ে যুদ্ধের পরিস্থিতি সম্বন্ধে কর্নেল (পরে জেনারেল) মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীসাক্ষাতকারে পড়ে বলেছেন, “সর্ব প্রথম আমরা যুদ্ধ করছি নিয়মিত পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতিতে যুদ্ধ চালু থাকে মে মাস পর্যন্ত  এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ আমরা সিন্ধান্ত নেই যে

–সময় কামাবার আমাদের একটি গেরিলা বাহিনী গঠন করে ভেতর থেকে  শত্রুর আঁতে আঘাত হানতে হবে এবং সাথে সাথে নিয়মিত বাহিনীর ছোট ছোট ইউনিট দিয়ে শক্তকে আঘাত করে তাকে বিছিন্ন হতে বাধ্য করা হবে  (দৈঃ বাঃ ৩-১২-৭২) “সাবাস বাংলাদেশ , এ প্রথিবী অবাক তাকিয়ে রয়ঃ জ্বলে-পুড়ে –ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়”  মে ১৯৭১

Reference:

একাত্তরের দশ মাসরবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!