পাক বর্বরতার নির্মম কাহিনী
শারিকার, (বাঙলাদেশ), ৩০শে জুলাই (এ.পি)-বৃষ্টির জলে ডােবা ধানক্ষেতের কাদামাটির মধ্যে পাকবাহিনী দক্ষিণ ঢাকার এই হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামাঞ্চলে বাঙালী মুক্তি যােদ্ধাদের খুঁজে বেড়াচ্ছে। এসােসিয়েটেড প্রেসের সংবাদদাতা আর্নল্ড জেইটলিন একথা লিখেছেন। মুসলিম এবং হিন্দু বাঙালীরা এই সাংবাদিককে পাক বর্বরতার বহু কাহিনী শুনিয়েছেন। জনৈক বাঙালী হােমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হােরেস লংষ্ট্রটি বলেন, মার্কিণ সরকার আমাদের জীবন ধারণের খাদ্য পাঠাচ্ছেন আর আমাদের হত্যা করার জন্য পাঠাচ্ছেন বুলেট।
মিঃ জেইটলিনের কাছে যে সব তথ্য দেওয়া হয় তার থেকে জানা গেছে, নবগ্রাম হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুলতান আমেদকে ২রা জুলাই সৈন্যরা গুলী করে হত্যা করে। এর মাত্র চারদিন আগে শ্রী সুলতান পাকবর্বরতার নিদর্শন দেখানাের জন্য দুজন বৃটিশ সাংবাদিককে নিয়ে গিয়েছিলেন। এসত্ত্বেও একদল শিক্ষক মি: জেইটলিনকে গ্রামাঞ্চল পরিদর্শনের জন্য নিয়ে যান। ২৪শে জুলাই সৈন্যদের গুলীতে শারিকার গ্রামের পাঁচজন নিহত হয়েছেন বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। এখনাে আক্রমণ চলছে মাঝে মাঝে।
Reference:
৩১ জুলাই ১৯৭১, দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা