ফর্মাল চার্জ
[ দুই প্রধান সহ ]
[মামলার বিবরণী হচ্ছে, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা’ শিরোনামে সেইসব ব্যক্তিদের নাম রাখা হয়েছে যারা উল্লেখ্য অভিযোগের চেষ্টা করেছে এবং ‘সূচী ক’ তালিকায় সেইসব দুষ্কর্মের সহোযোগীদের নাম যাকে ক্ষমাপত্র দাখিল করা হয়েছে, তাদের তালিকা এই চার্জ-শীটে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং সভার কার্যবিবরণীতে প্রকাশ করা হবে।]
পাক/৭২৩২৪, সার্জেন্ট জহুরুল হক, ১৭ নং আসামি, নিম্নরূপে অভিযুক্তঃ
প্রথমতঃ সেই ব্যক্তি, ১৯৬৪ সালের শুরু হতে ১৯৬৭ সালের শেষ পর্যন্ত যিনি ষড়যন্ত্রে তার সহকারী আসামির সাথে, যার নাম ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা’তে যুক্ত করা হয়েছে এবং যার নাম ‘সূচী-ক’ তালিকায় উল্লেখ করা আছে, একই সাথে কিছু ভারতীয় নাগরিকের নাম আছে, পাকিস্থানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জারি এবং স্বাধীন পাকিস্থান হতে এর একটি অংশ মূলতঃ পূর্ব পাকিস্থান প্রদেশ বিচ্ছিন্ন করার জন্য প্রধাণত অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং তার ভারতীয় সহ-ষড়যন্ত্রকারী দ্বারা প্রাপ্ত তহবিল দিয়ে ফৌজদারী শক্তির মাধ্যমে সশস্ত্র বিদ্রোহ সংগঠিত করেছেঃ
এবং সেই অনুযায়ী পূর্বোক্ত ষড়যন্ত্রের অগ্রগতি ও এর সহায়তায়,তিনি তা করেছেন এবং বলেছেন তাকে যে অভিযোগে দায়ী করা হয় তা একই সাথে যুক্ত হয়েছে,তাতে সেই সময় এবং স্থান উল্লেখ করা হয়েছে;
এবং যার ফলে পাকিস্থান দন্ডবিধির ধারা ১২১-ক’য়ের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
দ্বিতীয়তঃ তিনি তার কর্ম ও বলার দ্বারা তার সহ-অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে “লিস্ট-এ” উল্লেখ করা হয়েছে,যারা আর্মি,নেভিবা পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সদস্য তাদের দ্বারা এবং যে বিদ্রোহের সংগঠনের সাহায্য করে যে তিনি তাদের আনুগত্য ও কর্তব্য থেকে বিচ্যুত করার চেষ্টা করছেন তা উল্লেখিত সেই সময় ও স্থানে এই অভিযোগ তাকে দায়ী করা হয়;
এবং যার ফলে পাকিস্থান দন্ডবিধির ধারা ১৩১য়ের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এবং যেহেতু সেইসব ব্যক্তি যাদের সাথে তিনি অপরাধ সংগঠনে নিযুক্ত ছিলেন যা সেবা আইনের সাপেক্ষে হলেও অন্য কিছুতে নয়, তাই তিনি এই ধরনের অপরাধের জন্য ফৌজদারি আইন সংশোধিত (স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল), অধ্যাদেশ, ১৯৬৮য়ের ধারা ৩য়ের অধীনে এই মাননীয় ট্রাইব্যুনালের দ্বারা বিচারাধীন।
[এই অভিযোগের সমর্থনের অভিপ্রায়ে যে সাক্ষীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে তা ফৌজদারি আইন সংশোধিত (স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল) অধ্যাদেশ, ১৯৬৮য়ের ধারা ৫য়ের জন্য আবশ্যক হিসেবে জমা দেওয়া হয়েছে। উপরন্তু, যেসব দলিল ও দস্তাবেজ সমূহ এই অভিযোগের সহায়ক হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে তাও জমা দেওয়া হয়েছে। এই তালিকাগুলো যথাক্রমে “প্রত্যক্ষদর্শীরা তালিকা”, “ডকুমেন্টস তালিকা” এবং “প্রবন্ধ তালিকা” শিরোনামে আছে, যা এনেস্ক টি’তে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সম্পূরক তালিকা পরবর্তীতে জমা দেওয়া হতে পারে।]*
ফৌজদারি আইন সংশোধিত (স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল) অধ্যাদেশ, ১৯৬৮য়ের স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের গঠন ইউ/এস ৪ উপর,(২১শে এপ্রিলে এস.আর.ও. ৫৯/আর/৬৮বিজ্ঞপ্তি দ্বারা)।
রাষ্ট্র
বনাম
শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যরা–অভিযুক্ত।
এইরূপ
প্রসিকিউশন (অতঃপর ইহাতে অভিযোগ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে) এর পক্ষ থেকে মামলার বিবরণী পূর্বোক্ত অধ্যাদেশের কেন্দ্রীয় সরকার ইউ/এস ৫ দ্বারা,বিনীত নিবেদন এইরূপ যে:
১। পাকিস্থান ভূখন্ডের একটি অংশ কেড়ে নেওয়ার বিদ্যমান ষড়যন্ত্রে প্রাপ্ত গোপন তথ্যানুসারে অস্ত্রশস্ত্র,গোলাবারুদ এবং ভারত কর্তৃক পদত্ত তহবিলের মাধ্যমে সশস্ত্র বিদ্রোহ এবং একই সাথে ভারত কর্তৃক স্বীকৃত একটু স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য,পাকিস্থান রুলস অফ ডিফেন্সের অধীনে কিছু ব্যক্তি গ্রেফতার হয় এবং অন্যান্যদের ডিফেন্স সার্ভিসের আইনানুযায়ী গ্রেফতার করা হয়।
২। সেইসব ব্যক্তিদের দ্বারা প্রস্তুতকৃত বা উদ্ধারকৃত দলিলে ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণকারী কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাংকেতিক নাম এবং সেই উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিবরণ ,’ডি’দিবসের আগেই কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশাবলী,’ডি’দিবসের নির্দেশাবলী এবং অন্যান্য স্মারকলিপি বর্ণিত আছে।
৩। কার্যকলাপের মূল পরিকল্পনা ছিলো সামরিক অস্ত্রাগার দখল করা যাতে মিলিটারি অচল হয়ে যায়। কার্যকলাপটি কমান্ডো স্টাইলে সম্পন্ন করা এবং বিস্ময়করভাবে ক্ষতিপূরণের জন্য জনশক্তির অপ্রাতুলতা তৈরী করা।এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য যোগসূত্র সংযুক্ত করা হলোঃ
(i) সশস্ত্র অগ্রবাহিনীকে কার্যকরভাবে ধ্বংস করতে সেইসব সশস্ত্র বাহিনীর, প্রাক্তন সশস্ত্র বাহিনীর এবং বেসামরিক লোকদের তালিকা তৈরী করা;
(ii) স্থানীয় উৎস হতে অস্ত্র ও তহবিল নিশ্চিত করা ছাড়াও যেসব উৎস হতে ভারতের তহবিল লাভ নিশ্চিরকরণ;
(iii) অপপ্রচারের মাধ্যমে সাধারণ রাজনৈতিক অসন্তুষ্টি তৈরী করা; এবং
(iv) বল প্রয়োগে ‘ডি’দিবসের কৌশলগত দফাগুলোর দায়িত্ব গ্রহণের মতো সুবিধাজনক মুহূর্ত ঠিক করা।
*১৯৬৮ সালের ১৯শে জুন আগরতলা মামলা শুরু হয়েছিল।
<2.62.310>
৪। তাঁদের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য, সেই সব প্রতিনিধি যাদেরকে পাকিস্থানে এই অপারেশন চালাতে হবে তাঁদের সাথে সেই সব ভারতীয় প্রতিনিধি যারা তহবিল, অস্ত্র এবং গোলাবারুদের যোগান দিবে, এদের মাঝে একটি মীটিংয়ের আয়োজন করা হয়। এই মীটিং ১৯৬৭ সালের ১২ই জুলাই ভারতের আগরতলায় অনুষ্ঠিত হয়।
৫। এই ষড়যন্ত্রের অগ্রগতিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং সেইসব ঘটনার আরো উল্লেখযোগ্য বিবরণ,ব্যাপ্তি অনুসৃত অনুচ্ছেদের দেওয়া হলো। মীটিংয়ের মূল আলোচনা ষড়যন্ত্রের সাধারণ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বারংবার আলোচিত হলেও,যা বাস্তবিকই প্রতিটি মীটিংয়ে আলোচিত ছিল,তার বেশিরভাগই বাদ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ যথাক্রমে ‘লিস্ট এ’,’অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা’, ‘সাক্ষীদের তালিকা’, ‘দলিলের তালিকা’এবং ‘দস্তাবেজের তালিকা’ শিরোনামের সাথে অ্যানেক্স ‘I’য়ের মধ্যে ব্যাখ্যা করা হয়েছে. অভিযুক্তদের সাংকেতিক নাম অ্যানেক্স ‘II’য়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই অভিযোগে প্রথমবার যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপেই রাখা আছে, বারংবার যখন একই নাম উল্লেখের প্রয়োজনীয়তা এসেছে তখন অন্য নামের থেকে আলাদা করতে ঠিক ততোটুকুই দেখানো হয়েছে যতটুকু করলেই তা অন্যদের থেকে আলাদা হবে। পূর্ণ চিহ্নিত করণের জন্য, যাই হোক, যতোবার একটি নাম ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা’তে যুক্ত হয়েছে, অথবা যে নাম উল্লেখ্যিত ‘সাক্ষীদের তালিকা’তে যুক্ত হয়েছে, তালিকার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট তালিকায় ‘অভিযুক্ত’ বা ‘সাক্ষী’ হিসেবে সেই নাম ক্রমিক নং দিয়ে বিশেষায়িত হয়েছে। একইভাবে, যে স্থান প্রথমবার উল্লেখ করা হয়েছে তার বর্ণনা সম্পূর্ণরূপে বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু যখনই সেই স্থানের উল্লেখের প্রয়োজনীয়তা এসেছে তখন অন্য নামের থেকে আলাদা করতে ঠিক ততোটুকুই বর্ণিত হয়েছে যতটুকু করলেই তা অন্য স্থান হতে আলাদা হবে।
৬। পূর্ণ চিহ্নিত করণের জন্য, যাই হোক, যতোবার একটি নাম ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা’তে যুক্ত হয়েছে, অথবা যে নাম উল্লেখ্যিত ‘সাক্ষীদের তালিকা’তে যুক্ত হয়েছে, তালিকার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট তালিকায় ‘অভিযুক্ত’ বা ‘সাক্ষী’ হিসেবে সেই নাম ক্রমিক নং দিয়ে বিশেষায়িত হয়েছে। একইভাবে, যে স্থান প্রথমবার উল্লেখ করা হয়েছে তার বর্ণনা সম্পূর্ণরূপে বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু যখনই সেই স্থানের উল্লেখের প্রয়োজনীয়তা এসেছে তখন অন্য নামের থেকে আলাদা করতে ঠিক ততোটুকুই বর্ণিত হয়েছে যতটুকু করলেই তা অন্য স্থান হতে আলাদা হবে।
১৯৬৪ সালের সেপ্টেম্বরের ১৫ হতে ২১ তারিখের মধ্যে, শেখ মুজিবুর রহমা,অভিযুক্ত নং-১, করাচী পরিদর্শনে ছিলেন। তিনি পাকিস্থান নেভীর লেফট্যানেন্ট মুয়াজ্জাম হুসেইন (বর্তমানে লেফট্যানেন্ট কমান্ডার মুয়াজ্জাম হুসেইন), অভিযুক্ত নং-২, দ্বারা আয়োজিত মীটিংয়ে আমন্ত্রিত ছিলেন, যিনি তাঁর বাসভবন বাংলো নং- ডি/৭৭, কে.ডি.এ. প্রকল্প নং-১, করাচীতে অনুষ্ঠিত পূর্বের মীটিংয়েও ছিলেন যা ১৯৬৪ সালের শুরুতে ছিল। স্টুয়ার্ড মুজিবুর রেহমান, অভিযুক্ত নং-৩, প্রাক্তন লীডিং সীম্যান সুলতান-উদ্-দীন আহমদ, অভিযুক্ত নং-৪, লীডিং সীম্যান নূর মুহাম্মদ, অভিযুক্ত নং-৫ এবং লেফট্যানেন্ট মুজ্জামিল হুসেইন, সাক্ষী নং-১য়ের সাথে শর্তানুযায়ী শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১য়ের সাথে পূর্ব পাকিস্থান দখল করার জন্য বিপ্লবী সংগঠন গঠনের পরিকল্পনার সাথে যুক্ত থাকার শলাপরামর্শের সিদ্ধান্ত হয়। এই মীটিং জনাব কামাল-উদ্-দীন আহমদ, সাক্ষী নং-২ এর বাসভবন নং# ৩/৪৭, এম.এস.জি.পি. স্কুল শিক্ষকদের কো-অপারেটিভ সোসায়েটু (মালামা আবাদ নামে জনবিদিত), করাচীতে অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে উপস্থিতঃ-
(i) শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১,
(ii) মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২,
(iii) স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩,
(iv) সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪,
(v) নূর মুহাম্মদ, অভিযুক্ত নং-৫,
(vi) জনাব আহমদ ফজলুর রেহমান, সি.এস.পি., অভিযুক্ত নং-৬,
(vii) মুজাম্মিল, সাক্ষী নং-১,
মুয়াজ্জাম, সাক্ষী নং-২, বলেন যে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি সহনশীল নৌবাহিনীতে পূর্ব পাকিস্থানকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য একটি সামরিক বাহিনী গঠন করেছিলেন,এবং সেই পূর্ব
পাকিস্থানী সামরিক ও বিমান বাহিনীর ব্যক্তিদেরকেও সেই দলে যোগদান করানো হয়। তিনি ব্যাখ্যা করেন এই প্রকল্পের সাফল্য বিস্তারের জন্য পূর্ব পাকিস্থানের রাজনৈতিক নেতা ও বেসামরিক লোকদের সমর্থন এবং সহযোগীতার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরো ব্যাখ্যা করেন যে দলের জন্য আর্থিক তহবিলের প্রয়োজন হতে পারে। শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১, শুধু সম্মতই হননি, বরং বলেছেন যে তাঁর নিজস্ব চিন্তাভাবনাও একই রকম। তিনি তাঁর পূর্ণ সমর্থন ও অপরিহার্য তহবিল গঠনের অঙ্গীকারের প্রতিশ্রুতি দেন। এ.এফ. রহমান, অভিযুক্ত নং-৬ মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২য়ের সাথে সম্মত হওয়ার সময় বলেন যে সশস্ত্র বিপ্লবই হচ্ছে পাকিস্থানের দুই প্রদেশে বিদ্যমান অসমতার একমাত্র উত্তর, যদিও তিনি নিশ্চিত নন যে এইরকম কাজে ভারতের প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে। শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ বলেন যে এটা তাঁর (শেখ মুজিবুর রহমান) চিন্তার বিষয়। তিনি আরো যোগ করেন যে, যাই হোক, তাঁরা আপাতত ধীরে অগ্রসর হবেন কেননা এই কাজের প্রয়োজন নাও হতে পারে যদি প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে বিরোধী পক্ষ জিতে যায়, যা তখন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৭। শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১, প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের পর আবারো করাচী পরিদর্শন করেন এবং সেখানে ১৯৬৫ সালের ১৫ হতে ২১শে জানুয়ারী পর্যন্ত ছিলেন। এই দিনগুলোর মধ্যে যে কোন একদিন মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২য়ের বাসভবনে পূর্বোক্ত মীটিং অনুষ্ঠিত হয়, মীটিংয়ে উপস্থিতিঃ-
(i) শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১,
(ii) মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২,
(iii) নূর মুহাম্মদ, অভিযুক্ত নং- ৫,
(iv) এ.এফ. রহমান, অভিযুক্ত নং-৬,
(v) ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট মাহফিজুল্লাহ্, অভিযুক্ত নং-৭,
(vi) লেফট্যানেন্ট মুজাম্মিল হুসেইন, সাক্ষী নং-১,
এবং আরো কতিপয় ব্যক্তি যাদেরকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১, বলেছেন যে পূর্ব পাকিস্থানের জনগণ সম্মানের সাথে বাঁচার একমাত্র পথ হচ্ছে পসচিম পাকিস্থান হতে আলাদা হয়ে যাওয়া। তিনি পূর্ণ সমর্থন এবং আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন এবং মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২কে তাঁর প্রধান কার্যালয় পূর্বপাকিস্থানে স্থানান্তর ও বিপ্লবী দলের কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে আহ্বান জানান।
৮। জনাব মোহাম্মদ আমির হুসেইন মিয়াঁ, সাক্ষী নং-৩, যিনি করাচীতে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অফিসে কর্মরত ছিলেন, তিনি স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩, সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ এবং প্রাক্তন কর্পোরাল আবুল বাশার মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ, অভিযুক্ত নং-৮এর সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগে ছিলেন। ১৯৬৫ সালের জানুয়ারীর কোন এক সময়ে স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩ এর সাথে মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ এর পরিচয় করান। আমির হুসেইন, অভিযুক্ত নং-৩ এতে দারুণভাবে প্রভাবিত হন এবং দলের একজন সক্রিয় সদস্য হয়ে যান।
৯। ১৯৬৫ সালের জানুয়ারী এবং ১৯৬৫ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ এর বাসভবনে অনেকবার সভা অনুষ্ঠিত হয় যাতে সাধারণত উপস্থিত থাকতোঃ-
(i) মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২,
(ii) স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩,
(iii) সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪,
(iv) নূর মুহাম্মদ, অভিযুক্ত নং-৫,
(v) Hav. দলিল-উদ্-দীন, অভিযুক্ত নং-৯,
(vi) আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩।
যারা সংগঠনটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এইসব মীটিংগুলোতে তাঁদের কাজ সম্পন্ন করার জন্য লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং পদ্ধতিগুলো গ্রহণ করা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।
১০। পূর্ব পাকিস্থানে কার্যক্রম শুরু করার জন্য সক্রিয় কিছু সদস্যদের সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সেই মোতাবেক, মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-৩এর তাগাদায় স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ এবং সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ ছুটিতে ঢাকায় গেলেন। তাঁদেরকে স্থায়ীভাবে পূর্ব পাকিস্থানে স্থানান্তরের প্রয়াস চালানো হচ্ছিল। ১৯৬৫ সালের আগস্ট মাসে শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ এর সঙ্গে স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ এবং সুলতান অভিযুক্ত নং-৪ এর মাধ্যমে শলা পরামর্শের মধ্যে দলীয় মীটিং পরিচালনা করার জন্য মুয়াজ্জম, অভিযুক্ত নং-২ ঢাকাস্থ ৩২ নং ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ এর নিজস্ব বাসভবনে আয়োজন করে। মীটিংয়ে উপস্থিতি থাকার জন্য দলীয় সদস্যদের করাচী থেকে ঢাকায় যাতায়াতের খরচ মেটাতে সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩ এর ঠিকানা বরাবর বীমাকৃত খামের মধ্যে ১,৫০০ টাকা এবং ৫০০ টাকা টেলিগ্রাফিক মানি অর্ডার করে নূর মুহাম্মদ, অভিযুক্ত নং-৫ এর ঠিকানা বরাবরে মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ এর কাছ পাঠায়। এই পরিমাণ অর্থ পাঠানো হয় এবং তা সঠিক সময়েই মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ এর কাছে পৌঁছায়।
১১। ১৯৬৫ সালের ২৯শে আগস্ট তারিখ উপরোক্ত মীটিংয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়। এতে যোগদানের জন্য পি.আই.এ.য়ের ফ্লাইটে করে মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ এবং আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩ ঢাকার উদ্দেশ্যে করাচী ছাড়ে।
১২। উপরোক্ত মীটিংটি পূর্ব নির্ধারিত দিনে ও স্থানে দুপুর ৩টায় অনুষ্ঠিত হয়, এতে অংশগ্রহণ করেনঃ-
(i) শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১,
(ii) মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২
(iii) স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩
(iv) সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪
(v) জনাব রুহুল কুদ্দুস, সি.এস.পি., অভিযুক্ত নং-১০ এবং
(vi) আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩
মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন এবং তিনি দাবী করেন যে শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ এর তত্ত্বাবধানে এবং আশীর্বাদে তিনি বিপুল সংখ্যক সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ও বিদায়ী ব্যক্তিদের তালিকাবদ্ধ করেছেন যারা পূর্ব পাকিস্থানকে স্বাধীন রাষ্ট্র বানাতে কর্মসূচী গ্রহন করেছেন। অংশগ্রহণকারী সকলেই অগ্রগতি সম্পর্কে তাঁদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ তহবিল, অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ তাঁদেরকে ভারত হতে প্রয়োজনীয় সাহায্যের জন্য আশ্বস্ত করেন। শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ আপাতত ১ লাখ রুপি প্রদানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন যা ২০০০ থেকে ৪০০০ রুপির কিস্তিতে স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ ও সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ সংগ্রহ করবেন।
১৩। ১৯৬৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বর স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ এর ঢাকাস্থ ধানমন্ডির বাসভবন হতে ৭০০ টাকার মতো পান এবং তা আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩ এর কাছে হস্তান্তর করেন।
১৪। ১৯৬৫ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১য়ের ঢাকাস্থ ধানমন্ডির বাসভবনে ৪০০০ টাকার মতো অর্থ সংগ্রহ করেন এবং তা আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩ এর কাছে হস্তান্তর করেন, যিনি তা থেকে ৩০০ টাকা স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ ও সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ কে তাঁদের ব্যক্তিগত খরচে মেটাতে দিয়ে দেন এবং বাকি অর্থ মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২য়ের কাছে হস্তান্তর করার জন্য নিজের কাছে রেখে দেন।
১৫। ভারত-পাকিস্থান যুদ্ধের সময়, যেসব প্রতিরক্ষা কর্মীরা ছুটিতে বা অস্থায়ী দায়িত্ব পালনে পূর্ব পাকিস্থানে ছিলেন, তাঁরা পশ্চিম পাকিস্থানে ফিরে যেতে পারেন নি। তাঁদেরকে পূর্ব পাকিস্থানে দায়িত্ব পালনের জন্য পুনরায় ডাক দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ ও সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ চট্টগ্রামের নৌ ঘাঁটির সাথে যুক্ত ছিলেন। সেখানে যুক্ত থাকাকালীন তাঁরা ষড়যন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত তাঁদের কার্যক্রম চালাতে থাকেন।
১৬। ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বরে, এ.এফ. রহমান, অভিযুক্ত নং-৬য়ের বাসভবন করাচীস্থ ভিক্টোরিয়া রোডের ইলাকো হাউজের ২১ নং ফ্ল্যাটে দলটির মীটিং অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিতি ছিলেনঃ-
(i) মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২,
(ii) নূর মুহাম্মদ, অভিযুক্ত নং-৫,
(iii) এ.এফ. রহমান, অভিযুক্ত নং-৬,
(iv) সামাদ, অভিযুক্ত নং-৮ এবং
(v) আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩।
অগ্রগতি সম্পর্কে সেখানে আলোচনা হয় এবং শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ যে ভূমিকা পালন করেছেন তা প্রশংসিত হয়। এ.এফ. রহমান, অভিযুক্ত নং-৬ যুক্তরাজ্য হতে ট্রান্সিস্টরাইজড ট্রান্সমিটার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব করেন। এটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে মুয়াজ্জম,অভিযুক্ত নং-২কে পূর্ব পাকিস্থানে স্থানান্তরের প্রচেষ্টা করতে হবে। এই প্রসঙ্গে জনাব কে.জি. আহমদ, সাক্ষী নং-৪ যিনি এ.এফ. রহমান,অভিযুক্ত নং-৬য়ের সাথে অথিতি হিসেবে সেখানে ছিলেন,তাঁকেও কাজে লাগানো হবে।
১৭। সেই একই মাসে (১৯৬৫ সালের ডিসেম্বরে), আরো একটি মীটিং মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২য়ের করাচীস্থ, কারসাজের অফিসার্স কোয়ার্টারের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ১৬ অনুচ্ছেদে নামোল্লেখ্যিত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ ব্যাখ্যা করেন যে, স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ ও সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ পূর্ব পাকিস্থানে কাজ চালাচ্ছেন এবং সামাদ, অভিযুক্ত নং-৮ ও আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩কে দলীয় কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে শীঘ্রই ঢাকায় পাঠানো হবে। মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ সাবী করেন যে তিনি ৩০০০ স্বেচ্ছাসেবক যোগাড় করেছেন এবং যদি তাঁদেরকে প্রতিরক্ষা কার্যালয়ের কিছু সংখ্যক অফিসার দ্বারা স্বজ্জিত ও পরিচালিত হবে তবে অল্প সময়ের মধ্যেই ওরাপূর্ব পাকিস্থান হতে পশ্চিম পাকিস্থানী ব্যক্তিদের বিতাড়িত করতে পারবে। অনুচ্ছেদ ১৬তে উল্লেখ্যিত বিষয়গুলি নিয়েও মীটিংয়ে আলোচনা করা হয়।
১৮। সেই একই মাসে (১৯৬৫ সালের ডিসেম্বরে), আরো একটি মীটিং মাহফিজুল্লাহ, অভিযুক্ত নং-৭ দ্বারা করাচীস্থ কোরাঙ্গী ক্রীকে তাঁর ৩২৯/২ নং কোয়ার্টারে আহ্বান করা হয়, যেখানে উপস্থিতি ছিলেনঃ-
(i) সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪,
(ii) মাহফিজুল্লাহ, অভিযুক্ত নং-৭,
(iii) ফিট. সার্জেন্ট মুহাম্মদ ফজলুল হক, অভিযুক্ত নং-১১,
(iv) ওয়ারেন্ট অফিসার মুশাররফ এইচ. শেখ, সাক্ষী নং-৫,
(v) সার্জেন্ট সামসুদ্দীন আহমদ, সাক্ষী নং-৬ এবং আরো কতিপয় যাদের চিহ্নিত করা যায়নি।
মাহফিজুল্লাহ, অভিযুক্ত নং-৭ এবং সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ বারংবার উল্লেখ করেন যে পূর্ব পাকিস্থানকে রক্ষা করার একমাত্র উপায় হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার হতে আলাদা করে ফেলা, যা সশস্ত্র বিপ্লব ঘটানো ছাড়া অর্জন করা সম্ভবপর নয়। মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ দ্বারা অগ্রগতির নেতৃত্ব উল্লেখযোগ্য।
১৯। ১৯৬৬ সালের ২রা ফেব্রুয়ারীতে আমির হুসেইনে, সাক্ষী নং-৩য়ের করাচী হতে প্রস্থানের সময় মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ তাঁকে তিনটি বড় ডায়েরী প্রদান করেন, যার কিছু পাতায় তিনি তাঁকে পরিচালনার জন্য নির্দেশাবলী ও দাপ্তরিক যোগাযোগের নথিগুলো লিখে রেখেছিলেন। মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ তাঁকে জানান যে উল্লেখিত ডায়েরীতে লিখে রাখা নির্দেশাবলী নিজের নোটবুকে অনুলিপি করা আছে। এইটি হচ্ছে সেই সব ডায়েরীর একটি যেখানে সাংকেতিক নামগুলো এনেক্স ‘ii’তে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যা পাওয়া যাবে। এছাড়াও শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১কে হস্তান্তর করতে তিনি একটি মানচিত্র এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদের দুইটি তালিকা দেন, যা উনার চাহিদা মোতাবেক ছিল।
মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩কে ট্রেজারার হতে বলেন এবং তাঁকে দলের জন্য তহবিল সংগ্রহ ও গ্রহণের কতৃত্ব দেন এবং গ্রহণকৃত অর্থ হতে পূর্ব পাকিস্থানের প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজে করে তাঁর (মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২) কাছে করাচীতে পাঠিয়ে দিতে নির্দেশ দেন।
২০। ঢাকায় পৌঁছানোর পর আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩ চট্টগ্রামে চলে যান, যেখানে স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ এবং সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ সে এলাকায় গণ-অভ্যুত্থ্যানের প্রচারণামূলক কাজের অগ্রগতি সাধনে ব্যস্ত ছিলেন। ১৯৬৬ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী তিনি মিশকা হোটেলে তাঁর রুমে একটি পার্টি মীটিং আহ্বান করেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেনঃ-
(i) স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩,
(ii) সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪,
(iii) জনাব ভূপতি ভূষন চৌধুরী (মানিক চৌধুরী নামে বহুল পরিচিত), অভিযুক্ত নং-১২,
(iv) জনাব বিধান কৃষ্ণ সেন, অভিযুক্ত নং-১৩,
(v) সুবেদার আব্দুর রাজ্জাক, ই.পি.আর., অভিযুক্ত নং-১৪,
(vi) ডাঃ সাঈদুর রহমান চৌধুরী, সাক্ষী নং-৭ এবং
(vii) প্রাক্তন লেফট্যানেন্ট কমান্ডার মুহাম্মদ শহীদুল হক (পি.এন.ভি.আর.), সাক্ষী নং-৮।
মানিক চৌধুরী, অভিযুক্ত নং-১২ এবং ডাঃ সাঈদুর রহমান, সাক্ষী নং-৭ আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩কে বলেন যে, শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ তাঁদেরকে
দলের প্রতি পরিপূর্ণ সমর্থন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁরা এইটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছেন। ষড়যন্ত্রের সহায়তায় মানিক চৌধুরী, অভিযুক্ত নং-১২ আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩কে ৩০০০ টাকা অর্থ প্রদান করেন।
২১। ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে পূর্ব পাকিস্থানে দলের বিন্যাসকে আরো সুসংহত করতে মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ সামাদ, অভিযুক্ত নং-৮কে ঢাকায় পাঠান। চাকরী হতে তাঁর বিদায় ঘনিয়ে আসছিলো, তাই তাঁর জীবনধারণের ব্যবস্থা করাও জরুরি হয়ে পড়েছিল। সেই হিসাবে মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩ কে সেভাবেই চিঠি লিখেন, যাতে সামাদ, অভিযুক্ত নং-৮য়ের জন্য যতদিন চাকরীর ব্যবস্থা করা না হয় ততোদিন পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০০ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। সেই চিঠিতে যা ১৯৬৬ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারীতে লেখা, মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ আরো বলেন যে, তিনি সবকিছু নিয়ে “পরশ” ( শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১এর সাংকেতিক নাম)এর সাথে সব কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছুই নেই।
২২। একই মাসে সামাদ, অভিযুক্ত নং-৮ আরো চারজন নতুন সদস্য জোগাড় করেন, যাদের নামঃ-
(i) মুজিবুর রহমান, ক্লার্ক, ই.পি.আর.টি.সি., অভিযুক্ত নং-১৫,
(ii) প্রাক্তন ফ্লাইট-সার্জেন্ট মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, অভিযুক্ত নং-১৬,
(iii) প্রাক্তন নায়েক সুবেদার আশরাফ আলী খান, সাক্ষী নং-৯ এবং
(iv) প্রাক্তন ল্যান্স নায়েক এ.বি.এম. ইউসুফ, সাক্ষী নং-১০।
তাঁরা আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩ দ্বারা উদ্বুদ্ধ ছিলেন।
২৩। ১৯৬৬ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারী এ নং অভিযুক্ত শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম পরিদর্শন করেন এবং লালদিঘীর ময়দানে একট জনসভার আয়োজন করেন। জনসভা শেষে তিনি চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার, ১২ নং রফিক-উদ-দীন সিদ্দিকী নেনে ৭ নং সাক্ষী সাঈদুর রহমানের বাসভবনে দলের মীটিং আহ্বান করেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেনঃ-
(i) ১ নং অভিযুক্ত শেখ মুজিবুর রহমান,
(ii) ৩ নং অভিযুক্ত স্টুয়ার্ড মুজিব,
(iii) ১২ নং অভিযুক্ত মানিক চৌধুরী এবং
(iv) ৭ নং সাক্ষী সাঈদ-উর-রহমান।
১নং অভিযুক্ত শেখ মুজিবুর রহমান ৭ নং সাক্ষী সাঈদ-উর-রহমানকে দলের মীটিং আয়োজন করার জন্য জায়গা দিতে বলেন।
২৪। সেই একই মাসে (ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৬) ১ নং অভিযুক্ত শেখ মুজিবুর রহমান দলের আর্থিক সহযোগীতা অর্জনের জন্য আরো একটি উৎসের ব্যবস্থা করে ফেলেছিলেন। পূর্বে ১০ নং অভিযুক্ত রুহুল কুদ্দুসের চাচাতো ভাই ১১ নং সাক্ষী জনাব মুহাম্মদ মহসীন হতে তহবিলের অর্থের জোগান পাচ্ছিলেন। ১ নং অভিযুক্ত শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর কাছে থেকে দলের জন্য অর্থ দিতে বলেছিলেন। ১ নং অভিযুক্ত শেখ মুজিবুর রহমানের বৈঠকখানে হতে যখন ১১ নং সাক্ষী মুহসীন বেরিয়ে আসছিলেন তখন তিনি ১ নং অভিযুক্ত শেখ মুজুবির রহমানের অনুরোধকৃত অর্থ “মুরাদ” (স্টুয়ার্ড মুজিবের সাংকেতিক নাম হচ্ছে মুরাদ)য়ের কাছে পাঠিয়ে দিতে বলেন। সেই মোতাবেক ২ থেকে তিন দিন পর ১১ নং সাক্ষী মুহসিন হতে ৩নং অভিযুক্ত স্টুয়ার্ড মুজিব দুই কিস্তিতে ৭০০ টাকা পেয়েছিলেন।
২৫. মার্চ, ১৯৬৬ সালে, ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের নির্দেশে, ৮ নং আসামি সামাদকে, ৬ নং আসামি, এ.এফ. রহমান কর্তৃক তার স্ত্রীর মালিকানাধীন একটি পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত করেন, যা ঢাকার ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনের বাসভবনের পাশেই অবস্থিত ছিল। এই পেট্রোল পাম্পের নাম হচ্ছে গ্রীন ভিউ পেট্রোল পাম্প। এই ব্যবস্থা ছিল ৬ নং আসামি, এ.এফ. রহমানের মাধ্যমে ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে গ্রুপের সদস্যদের যোগাযোগের জন্যে একটি কভার মাত্র। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে, ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তা পেট্রোল নেয়ার জন্যেই পেট্রোল পাম্প পরিদর্শনে গিয়েছেন।
২৬. ৪ঠা মার্চ, ১৯৬৬ তারিখে, ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম; ৩ নং সাক্ষী, আমিরকে ঢাকার অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহনে ‘সেকন্ডমেন্ড’(অস্থায়ী ভিত্তিতে কোন কর্মচারীকে যখন অন্যত্র কোন নির্দিষ্ট কাজের জন্যে বদলি করা হয়) ত্বরান্বিত করার জন্যে, ৪ নং সাক্ষী, কে.জি-এর দ্বারস্থ হতে একটি চিঠি লেখেন। তিনি ৩ নম্বর সাক্ষী, আমির হুসেইনকেও ভারত থেকে যেসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ আসার কথা সেগুলো রাখার জন্যে জায়গা ভাড়া করতে নির্দেশ প্রদান করেন।
২৭. একই মাসে ( মার্চ ১৯৬৬) –এর প্রথম দিকে৩ নম্বর সাক্ষী, আমির হুসেইন মহাখালী, ঢাকায় দলের একত্র হওয়ার জন্যে একটি জরুরী বৈঠক ডাকেন, যেখানে অংশগ্রহণ করেনঃ-
আসামি নং ৮, সামাদ,
আসামি নং ১৫, মুজিব, ক্লার্ক,
আসামি নং ১৬, এম.এ রাজ্জাক,
আসামি নং ১৭, সার্জেন্ট জহুরুল হক,
সাক্ষী নং ৯, আশরাফ আলি এবং
সাক্ষী নং ১০, ইউসুফ।
এছাড়াও অন্যান্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি যাদের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ-
এল.এ.সি.এম.এ. নওয়াজ
এল.এ.সি.জেড.এ. চৌধুরী এবং
সার্জেন্ট মিয়া, পি.এ.এফ।
(তদন্তের স্বার্থে এসব ব্যক্তিবর্গের পরিচয় প্রকাশ করা হয় নি।)
তারা জোর দিয়েছিল এই ব্যপারে যে তাদের উদ্দেশ্য অর্জনের একমাত্র উপায় সশস্ত্র বিদ্রোহ। এই প্রতিষ্ঠানের জন্যে ভারত সরকার অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
২৮. ১নংআসামি, শেখ মুজিবুর রহমান, ১২ই মার্চ, ১৯৬৬ তারিখে একটি ষড়যন্ত্রমূলক সভা করেন, যেটি ছিল শনিবারে, যা ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের সুবিধা অনুযায়ী করা হয়, যিনি শুধুমাত্র সপ্তাহ শেষে, কোন ছুটি নেয়া ছাড়াই করাচী থেকে যাতে আসতে পারেন। সভাটি জনাব তাজ-উদ-দীন এর ৬১৭ নং বাড়ি, ১৮ নং রোড, ধানমন্ডি, ঢাকায় প্রায় সূর্যাস্তের সময় অনুষ্ঠিত হয়। জনাব তাজ-উদ-দীন, যিনি ১ নং আসামি শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সহযোগী, তার প্রাঙ্গন এই মিটিংয়ের জন্যে ধার দেন কিন্তু তিনি নিজে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। ১ নং আসামি শেখ মুজিবুর রহমান, সভায় অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগকে একটি বাস স্টপে একত্র করেন এবং একটি গাড়িতে উঠিয়ে পূর্বে উল্লেখিত বাড়িতে নিয়ে যান। এই সভায় অংশগ্রহণ করেনঃ –
১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমান,
২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম
৩ নং আসামি, স্টুয়ার্ড মুজিব
১০ নং আসামি, রুহুল কুদ্দুস এবং
সাক্ষী নং ৩, আমির হুসেইন।
২নং আসামি, মোয়াজ্জেম; আশা প্রকাশ করেন যে, সেই ডি’ ডে(আক্রমণের জন্যে নির্ধারিত দিন)-তে, পূর্ব পাকিস্তানের সকল জনগণ তাদের সমর্থন করবেন। সকল অংশগ্রহণকারী ষড়যন্ত্রের সদস্যদের জন্যে অস্ত্র প্রদান এবং ব্যবহারের জন্যে প্রশিক্ষনের সময় হয়েছে বলে ঐক্যমত্য পোষণ করেন। ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথে অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্যে তাদের কিছু প্রতিনিধি ভারতে পাঠানোর ব্যপারেও বিবেচনা করা হয়।
২৯. কিছুদিন পরে,৯নং সাক্ষী, আশরাফ আলী; ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনকে পূর্ব পাকিস্তানের একটি সেনানিবাসের লেআউটের একটি স্কেচ প্রদান করেন বলে ধারণা করা হয়।
৩০. ১৯শে মার্চ, ১৯৬৬ তারিখে, ২ নং আসামি মোয়াজ্জেম, ৩ নং সাক্ষী আমির হুসেইনকে জানান যে, ৬ নং আসামি, এ.এফ রহমান তাকে ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমকে ঢাকায় হস্তান্তরের জন্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে টেলিফোনে জানিয়েছেন। তিনি ৩ নং সাক্ষী আমির হুসেইনকেও জানান যে ৫ নং আসামি, নূর মুহাম্মদ, কিছুদিনের মধ্যেই ঢাকা যাবে এবং ওয়েস্ট উইংয়ে গ্রুপের কাজের ব্যপারে তাকে অবহিত করবে। ঐ একই পত্রে, তিনি গোপন ভাষায় আরও লিখেন যে, তিনি তার সার্ভেন্ট শ্যাফট(এখনও পাওয়া যায় নি) দিয়ে তাকে ছোট অস্ত্র পাঠাবেন এবং অস্ত্র কেনার জন্যে ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনের উচিত আরও টাকা সংগ্রহ করা ।
৩১. প্রায় এক সপ্তাহ পরে, ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম, ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনকে আরেকটি চিঠি লিখেন যে, তাকে ৬ নং আসামি এ.এফ রহমানের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতে এবং একটি ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে তার কাছে এটা পাঠাতে। সেই অনুযায়ী, ৩ নং সাক্ষী আমির হুসেইন, ৬ নং আসামি এ এফ রহমানের কাছ থেকে নগদ ৫,৫০০ রুপি গ্রহণ করেন। তিনি ৩১শে মার্চ, ১৯৬৬ তারিখে একটি ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে, ২ নং আসামি মোয়াজ্জেমের নিকট ৫,০০০ রুপি প্রেরণ করেন এবং খরচের জন্যে ৫০০ রুপি নিজের কাছে রেখে দেন।
৩২. ৩রা এপ্রিল, ১৯৬৬ তারিখে, ৩ নং আসামি, স্টুয়ার্ড মুজিব এবং ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন, ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি, ঢাকার বাসভবনে যান এবং বলেন যে, দলের জন্যে ছোট অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার জন্যে আরও তহবিল প্রয়োজন। ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমান, ৩ নং আসামি স্টুয়ার্ড মুজিবকে ৪,০০০ রুপি নগদ প্রদান করেন, যিনি দলের জন্যে ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করার জন্যে ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম দ্বারা মনোনীত করা হয়েছিল। ৩ নং আসামি, স্টুয়ার্ড মুজিব; ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনের নিকট এই টাকা হস্তান্তর করেন।
৩৩. পরবর্তী দিন, ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের কাছ থেকে গোপন ভাষায়, তহবিল সংগ্রহের জন্যে আরও তৎপরতার নিমিত্তে একটি চিঠি পান। সেই অনুযায়ী, ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; ৩ নং আসামি, স্টুয়ার্ড মুজিবকে; ১০ নং আসামি, রুহুল কুদ্দুসের নিকট আরও তহবিলের জন্যে প্রেরণ করেন। ৩ নং আসামি, স্টুয়ার্ড মুজিব; ১০ নং আসামি, রুহুল কুদ্দুসের কাছ থেকে ২,০০০ রুপি সংগ্রহ করেন এবং এই অর্থ ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনের নিকট প্রদান করেন। পরবর্তীতে, ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; ৬,০০০ রুপিসহ একটি বাণিজ্যিক জাহাজে করে ৩ নং আসামি, স্টুয়ার্ড মুজিবকে; ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের নিকট দ্রুত প্রেরণ করেন।
৩৪. প্রায় একই সময়ে, ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; ১০৭-দিনা নাথ, সেন রোড, ঢাকার বাড়িটি দলের ব্যয়সাপেক্ষে ভাড়া নেন। এই বাড়িতে একটি টেলিফোন ছিল যার নাম্বার ছিল ৮২৪৫২।
৩৫. ৬ই এপ্রিল, ১৯৬৬ তারিখে; ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম; ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনের নিকট পূর্বে তার কাছে পাঠানো ব্যাংক ড্রাফটের প্রাপ্তি স্বীকার করে একটি চিঠি লিখেন। ঐ চিঠিতে, গোপন ভাষায়, তিনি ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনকে ষড়যন্ত্রের জন্যে আর্থিক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে একটি বাজেট প্রস্তুত করতে উল্লেখ করেন। ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; অস্ত্র-শস্ত্রের টেকনিক্যাল ব্যপারে গভীর জ্ঞান না থাকায় , বাজেট প্রস্তুত না করার সিদ্ধান্ত নেন যতক্ষণ না ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমান এই বাজেট দাবি করেন।
৩৬. এর কিছুদিন পরেই, ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের কাছ থেকে ৮ই এপ্রিল, ১৯৬৬ তারিখে লেখা আরেকটি চিঠি পান এই মর্মে যে, ২২শে এপ্রিল, ১৯৬৬ তারিখের দিকে পূর্ব পাকিস্তানে তার স্থানান্তর হবে এবং এটা যেন “তুষার”-কে(৬ নং আসামি, এ.এফ রহমানের কোড নেম) অবহিত করা হয়।
৩৭. একই মাসে (এপ্রিল, ১৯৬৬), ১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরীকে; ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি, ঢাকার বাসভবনে তলব করা হয়। তিনি ৪ নং আসামি, সুলতানকে সেখানে ইতিমধ্যে সেখানে উপস্থিত দেখতে পান। ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমান; ১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরীকে; ৪ নং আসামি, সুলতানকে অর্থ প্রদান করতে বলেন। তিন বা চার দিন পরে, ৪ নং আসামি, সুলতানকে; ১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরী বাসভবন, ৪১-রামজয় মহাজন লেন, চট্টগ্রাম শহরে তলব করা হয় এবং ১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরী; তাকে ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্যে ১,৫০০ রুপি প্রদান করেন।
৩৮. একই মাসে (এপ্রিল, ১৯৬৬) সালে, ১১ নং সাক্ষী, মহসিনকে; ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি, ঢাকার বাসভবনে তলব করা হয়। ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমান; ১১ নং সাক্ষী, মহসিনকে; আত্মবিশ্বাসের সাথে জানান যে, তিনি সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান এবং প্রাক্তন সদস্যদের নিয়ে একটি বিপ্লবী দল গঠন করেছেন, এবং এর কার্যক্রমে সহায়তার জন্যে তার কাছে আর্থিক সহায়তা প্রদানের অনুরোধ করেন।
৩৯. এপ্রিল, ১৯৬৬ সালের শেষদিকে অথবা মে, ১৯৬৬ সালের শুরুর দিকে, ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের চট্টগ্রামে বদলির পরে; ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনের সাথে দেখা করতে তার বাসভবন, ১০৭-দিনা নাথ সেন রোড, গেন্ডারিয়া, ঢাকায় দেখা করেন। তারা দলের পক্ষে অর্থ প্রাপ্তির এবং দল কর্তৃক খরচের বিস্তারিত হিসাব নিয়ে আলোচনা করেন। ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম; প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল খরচের কোন যথাযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হন। ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন এবং ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের নেতৃত্বের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। একই সন্ধ্যায়, ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; দুইটি ক্যাশ বই এবং অ্যাকাউন্টস সম্পর্কিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ নগদ ৮,০০০ রুপি; ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের নিকট; রোড নং ২, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় ডাঃ খালেকের বাড়িতে হস্তান্তর করেন, যেখানে ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম; বাস করছিলেন। ঐ বাড়িটিকে ডাকা হত “আলেয়া”। ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম; ঐ সমুদয় অর্থ থেকে দিনা নাথ সেন রোডে তিনি যে বাসা ভাড়া করে থাকতেন তা পরিশোধের জন্যে ১,৫০০ রুপি, ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনকে প্রদান করেন। ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; তারপরে ষড়যন্ত্র থেকে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
৪০. ১লা মে, ১৯৬৬ সালে; ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম; চট্টগ্রাম নৌ ঘাঁটিতে নিযুক্ত হন। তার নিয়োগের পরে দ্রুতই তিনি দলের একত্র হওয়ার জন্যে একটি বৈঠক ডাকেন।
এই মিটিং, ৭ নং সাক্ষী, সাঈদ-উর-রেহমানের “বাইরের ঘরে” অনুষ্ঠিত হয়, যিনি এটা দলের জন্যে মিটিংয়ের স্থান হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন। এই “বাইরের ঘর”-টি ইনায়েতউল্লা হোসেন মার্কেট, চট্টগ্রামে অবস্থিত। এই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেনঃ-
২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম,
৩ নং আসামি, স্টুয়ার্ড মুজিব,
৪ নং আসামি, সুলতান,
১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরী,
১৮ নং আসামি, জনাব মুহাম্মদ খুরশিদ, এবং
৭ নং সাক্ষী, সাঈদ-উর-রেহমান।
১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরী, এবং ৭ নং সাক্ষী, সাঈদ-উর-রেহমানকে এই মিটিংয়ের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল।
৪১. ৬ই মে, ১৯৬৬ সালে, ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমান, এই ষড়যন্ত্রের সাথে সম্পর্কহীন, কিছু নির্দিষ্ট কার্যকলাপের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা বিধির অধীনে গ্রেফতার হন। তিনি পাকিস্তান প্রতিরক্ষা বিধির নিয়মবিধি অনুযায়ী বন্দী অবস্থায় ছিলেন এবং এই ষড়যন্ত্রের সাথে তার যোগাযোগের কারনে তিনি গ্রেফতার হন এবং তাকে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়। (পাকিস্তান প্রতিরক্ষা বিধির নিয়মবিধি অনুযায়ী বন্দী অবস্থায়, তাকে বিভিন্ন কেসে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। )
৪২. পূর্বেই বর্ণিত ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতারের পরে, তার রাজনৈতিক দল ২০ই মে, ১৯৬৬ সালে, তার বাসভবনে, একটি জরুরী সভার আহবান করে। ১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরী, ঐ মিটিংয়ে অংশগ্রহণের জন্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় গিয়েছিলেন। মিটিংয়ে অংশগ্রহণের পূর্বে, করে। ১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরী; ৭ নং সাক্ষী, সাঈদ-উর-রেহমানকে ঢাকার হাই কমিশনের অফিসে, পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি, জনাব পি.এন ওঝার কাছে নিয়ে যান। জনাব পি.এন ওঝা, ৭ নং সাক্ষী, সাঈদ-উর-রেহমানের বিস্তারিত বিবরণ লিখে রাখেন এবং কিছুদিন পরে তার সাথে দেখা করতে বলেন। ৭ নং সাক্ষী, সাঈদ-উর-রেহমান; অফিস থেকে বাইরে চলে আসেন যখন কিছু সময়ের জন্যে, ১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরী অফিসে রয়ে যান।
৪৩. ২০ এবং ২১শে মে, ১৯৬৬ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে, ১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরীকে এই ষড়যন্ত্রের সাথে সম্পর্কহীন, কিছু নির্দিষ্ট কার্যকলাপের সাথে সংযুক্ত থাকার অভিযোগে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা বিধির অধীনে গ্রেফতার হন।
৪৪. একই মাসে (মে, ১৯৬৬), মানিক চৌধুরীর গ্রেপ্তারের পর, ১২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম; ষড়যন্ত্রকারীদের নিয়ে পূর্বোক্ত “আউটার হাউসে” আরও দুটি সভা আহবান করেন, যেখানে অংশগ্রহণ করেনঃ
২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম,
৩ নং আসামি, স্টুয়ার্ড মুজিব,
৪ নং আসামি, সুলতান,
১৮ নং আসামি, খুরশিদ, এবং
৭ নং সাক্ষী, সাঈদ-উর-রেহমান।
কাজগুলো বিভিন্ন সদস্যের মাঝে বিতরণ এবং তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ঢাকা, কুমিল্লা, যশোর এবং চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট এবং চট্টগ্রাম নৌ-ঘাঁটির লে-আউট পর্যালোচনা করা হয়। আরও অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
৪৫
একই মাসে (মে, ১৯৬৬) চট্রগ্রামে মিঃ এম এম রমিজ (সাক্ষী নং ১২), যিনি তখন পিআইএ’র চট্রগ্রাম জেলার ম্যানেজার ছিলেন মুয়াজ্জেম (অভিযুক্ত নং ২) এর সংস্পর্শে আসেন এবং চক্রান্তে যোগ দেন।
৪৬
এর পরেই রমিজ (সাক্ষী নং ১২) এর মাধ্যমে মিঃ কে এম শামসুর রহমান সিএসপি (আভিযুক্ত নং ১৯) চক্রান্তে যোগ দেন। তিনি তখন চট্রগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
৪৭
একই মাসে (মে, ১৯৬৬) আশরাফ আলী (সাক্ষী নং ৯) এবং সামাদ (অভিযুক্ত নং ৮) ১০০/৩, আজিমপুর, ঢাকা ঠিকানায় ‘আত্মা’ নামের একটি বাড়ি ভাড়া করেন দলের ব্যবহারের জন্য। তারপরেই উল্লেখিত দুই জন আমির হোসেনের (সাক্ষী নং ৩) বাড়ি থেকে নতুন বাড়িতে চলে যান। তার আগে তারা আমির হোসেন এর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
৪৮
১৯৬৬ সালের জুন মাসে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) চট্রগ্রামের নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির নিজ বাসায় রমিজ (সাক্ষী নং ১২) কে একটি ডাইরি, একটি নোট বুক এবং একটি ফোল্ডার দেন এবং তাকে সেগুলো পড়তে বলেন। এই কাগজ পত্র সমুহে প্রস্তাবিত রাস্ট্রের ধরন এবং রুপরেখা সম্পর্কিত লেখা ছিল। সেখানে সমস্ত সম্পত্তি রাস্ট্রের অধিনে থাকার, কল কারখানা জাতীয়করণ করার এবং কুপন দ্বারা প্রচলিত মুদ্রা প্রতিস্থাপিত করার কথা বলা হয়। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) তাকে নতুন রাস্ট্রের প্রস্তাবিত পতাকাও দেখান যা সবুজ এবং স্বর্ণ উজ্জল রঙ্গে শোভিত ছিল।
৪৯
একই মাসের শেষের দিকে (জুন, ১৯৬৬) মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) চট্রগ্রামের পাচলাইশে পিআইএ, বাড়ি নং ৬০ রমিজের বাড়িতে একটি সভা আহবান করেন। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন
১। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২)
২। স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩)
৩। খুরশিদ (অভিযুক্ত নং ১৮)
৪। রিসালদার সামসুল হক এ সি (অভিযুক্ত নং ২০)
৫। হাবিলদার আজিজুল হক এস এস জি (অভিযুক্ত নং ২১)
৬। রমিজ (সাক্ষী নং ১২)
এই সভার উদ্দেশ্য ছিল দলের সামনের সারির কর্মীদের সাথে রমিজের (সাক্ষী নং ১২) পরিচয় করিয়ে দেয়া। উপরে উল্লেখিত নামের ব্যক্তি সমুহ ছাড়াও এই সভায় আরো কিছু কর্মী যোগদান করেন কিন্তু তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয় নি।
৫০
একই মাসের শেষের দিকে (জুন, ১৯৬৬) মুয়াজ্জিম (অভিযুক্তনং২) তারবাড়িতে (নাসিরাবাদহাউজিংসোসাইটিচট্রগ্রাম) একটিসভাআহবানকরেন।উক্তসভায়উপস্থিতছিলেন
১।মুয়াজ্জিম (অভিযুক্তনং২)
২।স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্তনং৩)
৩।সুলতান (অভিযুক্তনং৪)
৪।সুবেদাররাজ্জাক (অভিযুক্তনং১৪)
৫।জহুরুলহক (অভিযুক্তনং১৭)
৬।খুরশিদ (অভিযুক্তনং১৮)
৭। রিসালদারসামসুলহক (অভিযুক্তনং২০)
৮।আশরাফআলী (অভিযুক্তনং৯) এবং
৯।ইউসুফ (সাক্ষীনং১০)
(আরো একজন এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায় যার নাম উল্লখ করা হয়েছে সারজেন্ট সাফি কিন্তু তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয় নি) মুয়াজ্জিম (অভিযুক্তনং২) এইসভায়তারডাইরিএবংএকটিনোটবুকপ্রদর্শনকরেনযাতেপ্রস্তাবিতস্বাধীনরাষ্ট্রেরমুলরুপরেখাছিলএবংসেই রাষ্ট্রেরনামবাংলাদেশ বলে উল্লেখ করা হয়।প্রস্তাবিতজাতীয়পতাকাওপ্রদর্শনকরাহয়।
৫১
১৯৬৬সালেরজুন/জুলাইএমাহফিজুল্লাহ (অভিযুক্তনং৭) বিমানবাহিনীরচক্রান্তকারীদেরনিয়েএকটিসভাকরেনতার২৫/৩আবিসিনিয়ালেন, করাচিরকোয়ার্টারে।যাতেউপস্থিতছিলেনঃ
১। নুর মুহাম্মদ (অভিযুক্তনং৫)
২। মাহফিজুল্লাহ (অভিযুক্তনং৭)
৩। এসএসিমাহফুজুলবারী (অভিযুক্তনং৭)
৪। মুসাররফ (সাক্ষীনং৫)
৫। কর্পোরালজামালউদ্দিনআহমেদ (সাক্ষীনং১৪) এবং
৬। কর্পোরালসিরাজুলইসলাম (সাক্ষীনং১৫)
এইসভাতেআরোকিছুলোকঅংশগ্রহনকরেছিলযদিওতাদেরসনাক্তকরাসম্ভবহয়নি।এইসভাতেনুরমুহাম্মদ (অভিযুক্তনং৫) এরউপরঅধিকগুরুত্বারোপকরাহয়যেহেতুতিনিনেভিথেকেএসেছিলেন।মাহফিযুল্লাহর (অভিযুক্তনং৭) অনুরোধেকর্পোরালজামাল (সাক্ষীনং১৪) যিনিসদ্যঢাকাথেকেঘুরেএসেছেনতিনিউপস্থিতসভাকেপূর্বপাকিস্তানেচক্রান্তকারীদেরঅগ্রগতিসম্পর্কেঅবহিতকরেনএবংবলেনযেশেখমুজিবুররহমান (অভিযুক্তনং১) এবংএবংকিছুউচ্চপদস্থসরকারিকর্মকর্তাজোরতৎপরতাচালাচ্ছে।মাহফিযুল্লাহ (অভিযুক্তনং৭) সিরাজকে (সাক্ষীনং১৫) পূর্বপাকিস্থানত্যাগকরারপূর্বমুহূর্তেফাজলুলহকএবংপিএফএ’রসার্জেন্টসামসুলহকেরসাথেযোগাযোগকরেতাদেরকেবাকিদেরসাথেযোগাযোগরক্ষাকরতেবলেন।
৫২
১৯৬৬সালেরজুন/জুলাইয়েরকোনএকসময়েমুয়াজ্জিম (অভিযুক্তনং২) এবংরমিজ (সাক্ষীনং১২) যাতেকুমিল্লাভ্রমণকরতেপারেতারব্যবস্থাকরাহয়।সেইঅনুসারেস্টুয়ার্ডমুজিব (অভিযুক্তনং৩) কেকুমিল্লাপাঠানোহয়মেজরসামসুলআলমএএমসি (অভিযুক্তনং২৪) কেজানানোরজন্য।মুয়াজ্জিম (অভিযুক্তনং২) এবংরমিজ (সাক্ষীনং১২) চট্টগ্রামত্যাগকরেনমুয়াজ্জিমের (অভিযুক্তনং২) HILLMAN IMP No. EBA-9591 এইনাম্বারেগাড়িতেকরে।তারাকুমিল্লাশহরেসামসুলআলমের (অভিযুক্তনং২৪) বাড়িতেগিয়েছিলেনযেখানেতাদেরসাথেযোগদেনক্যাপ্টেনমুহাম্মুদআব্দুলমুতাল্লিববালুচরেজিমেন্ট, সামসুলআলম (অভিযুক্তনং২৪) কুমিল্লারজন্যসেক্টরকমান্ডারহিসাবেকাজকরারকথা,তিনিআক্রমণেরসময়সামরিকবাহিনীরঅস্ত্রাগারদখলেনেয়ারপ্লানব্যাখ্যাকরেনএবংএরফলেপাকিস্তানি সেনাবাহিনীরযুদ্ধকরারসক্ষমতানষ্টহয়েযাবেবলেউল্লেখকরেন।তারমতেঅতর্কিতআক্রমনলোকবলেরঅভাবপুষিয়েদিবে।তিনিসামসুলআলমকে (অভিযুক্তনং২৪) সাবেকওবর্তমানসেনাদেরসাথেযোগাযোগবাড়াতেঅনুরোধকরেন।মুতাল্লিব (অভিযুক্তনং২৫) জানানতিনিপূর্বপালিস্তানরাইফেলসেরসদস্যদেরতালিকাকরেছেন।পরেতারাপাচজনএকইগাড়িতেকরেকুমিল্লাসেনানিবাসেক্যাপ্টেনমুহাম্মদশওকতআলীমিয়ানএওসি (অভিযুক্তনং২৬) এরবাড়িতেযান।সেখানেস্টুয়ার্ডমুজিব (অভিযুক্তনং৩) তাদেরসাথেযোগদেন।শওকত (অভিযুক্তনং২৬) মুয়াজ্জিমকে (অভিযুক্তনং২) কেজানানযেতিনিক্যাপ্টেনআব্দুলআলিমভুইয়ানএএসসি (সাক্ষীনং১৩) এবংক্যাপ্টেনখন্দকারনাজিমউলহুদাএএসসি (অভিযুক্তনং২৭) এরসাথেঢাকাতেযোগাযোগকরেছিলেনএবংআরোজানানএইদুইঅফিসারসংগঠনসম্পর্কেআরোবিস্তারিতজানতেচান।মুয়াজ্জিম (অভিযুক্তনং২) দ্রুতইঢাকাতেএকটিমিটিংআয়োজনেরপ্রতুশ্রুতিদেন।
৫৩
একই মাসে (জুন ১৯৬৬) সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) মুয়াজ্জিমের (অভিযুক্ত নং ২) চিঠিতে উল্লেখিত চট্রগ্রামের বাসা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেই সময় মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) সায়েদ উর রহমানের (সাক্ষী নং ৭) কাছে প্রকাশ করেন যে মানিক চৌধুরী (অভিযুক্ত নং ১২) তার গ্রেফতারের আগে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি ঢাকায় ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি পি এন ওঝার কাছে অস্ত্রে একটি লিস্ট সরবরাহ করবেন যাতে ষড়যন্ত্রের জন্য অস্ত্র ক্রয় করা যায়। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) কে জিজ্ঞেস করেন তিনি পি এন ওঝাকে চেনেন কিনা। সায়েদ উর রাহমান (সাক্ষী নং ৭) ইতিবাচক উত্তর দিলে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) তাকে পি এন ওঝার কাছে অস্ত্রের লিস্ট পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ করেন। সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) তার উপর আরোপিত নজরদারির কথা উল্লেখ করে তার অক্ষমতার কথা জানান।
৫৪
তার কিছুদিন পড় এক সকালে পি এন ওঝা সায়েদ উর রহমানের (সাক্ষী নং ৭) চট্টগ্রামের বাসায় আসেন এবং অভিযোগ করেন যে তার অনুরোধ সত্তেও কেন তিনি ( সায়েদ উর রহমান সাক্ষী নং ৭) তার ঢাকার অফিসে কল করেন নি। সেই সময় সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) পি এন ওঝা কে অস্ত্রের লিস্ট সম্পর্কে মুয়াজ্জিমের (অভিযুক্ত নং ২) বার্তা জানান যা মানিক চৌধুরীর (অভিযুক্ত নং ১২) পৌঁছেদেয়ার কথা ছিল।
৫৫
পরের দিন পি এন ওঝার নির্দেশ মত সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) মুয়াজ্জিমের (অভিযুক্ত নং ২) এর কাছ থেকে উল্লেখিত লিস্ট সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম রেল ষ্টেশনে পি এন ওঝাকে পৌঁছে দেন। সেই সময় পি এন ওঝা সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) কে একটি কোড ওয়ার্ড দেন ঢাকায় তার সাথে যোগাযোগের জন্য এবং বলেন মুয়াজ্জিমের (অভিযুক্ত নং ২) উচিৎ ঢাকায় পি এন ওঝার সাথে দেখা করা।
৫৬
কিছু দিন পড় মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) সায়েদ উর রহমানের (সাক্ষী নং ৭) মাধ্যমে ঢাকার ধানমন্ডিতে ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারির অফিসিয়াল বাস ভবনে পি এন ওঝার সাথে একটি মিটিং আয়োজন করেন। পি এন ওঝা মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) কে নিশ্চিত করেন যে তিনি অস্ত্রের তালিকা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে পৌঁছে দিবেন তাদের অনুমোদনের জন্য। একই সাথে তিনি আপাতত ষড়যন্ত্রকারীদের আর্থিক সাহায্য দেয়ার অক্ষমতার কথা জানান।
৫৭
১৯৬৬ সালের আগস্টে শওকত (অভিযুক্ত নং ২৬) ঢাকায় আসেন এবং আলিমের (সাক্ষী নং ১৩) এর সাথে অর্ডিন্যান্স মেসে থাকেন। একই দিনে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) একই মেসে আলিম (সাক্ষী নং ১৩) এবং শওকত (অভিযুক্ত নং ২৬) এর সাথে দেখা করেন। সেই সাক্ষাতে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) ঘোষণা দেন যে তিনি পরের দিন সকালে ঢাকার মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেট এ রমিজ (সাক্ষী নং ১২) এর বাসায় একটি মিটিং আহবান করেছেন। উক্ত মিটিং এ নিম্নে বর্ণিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন বলে উল্লেখ করেনঃ
১। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২)
২। স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩)
৩। সুলতান (অভিযুক্ত নং ৪)
৪। নাজমুল হুদা (অভিযুক্ত নং ২৭)
৫। শওকত (অভিযুক্ত নং ২৬)
৬। আলিম (সাক্ষী নং ১৩)
মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) মিটিং এ উপস্থিত ষড়যন্ত্রকারীদের একটি ডাইরি এবং একটি নোট বুক দেখান যেখানে একশনের পুরো প্লান রয়েছে। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) দাবি করেন তিনি ইতোমধ্যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে ষড়যন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ ক্রয়ের জন্য যোগাযোগ করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই দলের সদস্যরা আরো কিছু আর্মি অফিসারকে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন যারা যশোর ও রংপুরের লোকজনকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। তিনি দাবি করেন এ এন এম নুরুজ্জামান ইবিআর (অভিযুক্ত নং ২৮) এবং তার নৌবাহিনী চট্টগ্রামের কাজ করার জন্য যথেষ্ট। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) কুমিল্লায় মুতাল্লিব (অভিযুক্ত নং ২৫) এবং সামসুল আলমের (অভিযুক্ত নং ২৪) কাজের প্রশংসা করেন।
৫৮
একই মাসে (আগাস্ট ২৯৬৬) সামসুল হুদা (অভিযুক্ত নং ২৭) সামসুল আলম (অভিযুক্ত নং ২৪) আলিম (সাক্ষী নং ১৩) এবং শওকত (অভিযুক্ত নং ২৬) দাউদকান্দি রেস্ট হাউজে মিলিত হন। তারা অনুভব করেন যে ষড়যন্ত্রকারীদের নেতৃত্ব সিনিয়র কোন আর্মি অফিসারের হাতে থাকা উচিৎ। তারা সিদ্ধান্ত নেন ষড়যন্ত্র এর সংগঠকদের পরিচয় সম্পর্কে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) প্রশ্ন করবেন।
৫৯
একই মাসে (আগাস্ট ১৯৬৬) মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) দলীয় ফান্ড থেকে রমিজ (সাক্ষী নং ১২) কে ৫০০০ টাকা দেন যাতে তিনি দলীয় কাজে ব্যবহারের জন্য একটি গাড়ি কিনতে পারেন।
৬০
১৯৬৬ সালের সেপ্টম্বর এর কোন এক সময় মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) রামিজের (সাক্ষী নং ১২) ঢাকার মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেট এর ১২-৮/৮ নং বাসায় ষড়যন্ত্রকারীদের নিয়ে একটি মিটিং করেন। মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন
১। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২)
২। স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩)
৩। সুলতান (অভিযুক্ত নং ৪)
৪। সামসুর রহমান (অভিযুক্ত নং ১৯)
৫। সামসুল আলম (অভিযুক্ত নং ২৪)
৬। মুতাল্লিব (অভিযুক্ত নং ২৫)
৭। নাজমুল হুদা (অভিযুক্ত নং ২৭)
৮। রমিজ (সাক্ষী নং ১২) এবং
৯। আলিম (সাক্ষী নং ১৩)
মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) ষড়যন্ত্রকারীদের জানান যে ভারতীয় কত্রিপক্ষ প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। তিনি মুতাল্লিব (অভিযুক্ত নং ২৫) সাবেক সেনা সদস্যদের নানা গ্রুপে সংগঠিত করে নানা ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষন দেয়ার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) সেক্টর কমান্ডারদের আর্থিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার দায়িত্ব নেন। সাজমুল হুদা (অভিযুক্ত নং ২৭) সামসুল আলম (অভিযুক্ত নং ২৪) এবং আলিম (সাক্ষী নং ১৩) ‘নেতৃত্ব কোন সিনিয়র আর্মি অফিসারের হাতে থাকা উচিৎ’ এমন প্রস্তাব করার মধ্য দিয়ে সভা বিঘ্নিত করেন। সামসুর রেহমান (অভিযুক্ত নং ১৯) এই ব্যাপারেকর্নেলএমএজিওসমানী (অবসরপ্রাপ্ত) এরসাথেযোগাযোগকরার অঙ্গীকার করার মধ্য দিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটান। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে ভারত এবং সমর্থনদানকারী ব্লকের স্বীকৃত পাওয়া যাবে এবং এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নতুন রাষ্ট্রের এলাকায় ভারতের অনুপ্রবেশ কে ঠেকিয়ে রাখবে।
মুয়াজ্জিম (অভিযুক্তনং২) ঘোষণাদেনযেস্বাধীনতানিশ্চিতকরারপরমার্শাললজারিকরাহবেএবংস্বাভাবিকপরিবেশফিরিয়েআনারপরসাধারণনির্বাচনদেয়াহবে।রমিজ (সাক্ষীনং১২) বলেন সশস্রবিদ্রোহেরসময়পিআইএএবংপিএএফএরবিমানএবংরেডিওসেটেরমাধ্যমেযোগাযোগরক্ষাকরাহবে।একজনষড়যন্ত্রকারীমতামতদেনযেবিদ্রোহেরসময়বন্ধীপশিমপাকিস্তানীদেরবিনিময়েপশ্চিমপাকিস্তানেআটকেপরাপূর্বপাকিস্তানীদেরমুক্তকরাহবে।
৬১
একইমাসে (সেপ্টেম্বার১৯৬৬) দ্বিতিয়বারসায়েদউররহমান (সাক্ষীনং৭) মুয়াজ্জিম (অভিযুক্তনং২) এরসাথেপিএনওঝারধানমন্ডিরবাড়িতেতাদেরমধ্যেএকটিমিটিঙেরব্যবস্থাকরেন।পিএন ওঝামুয়াজ্জিম (অভিযুক্তনং২) কেজানানযেভারতীয়কর্তৃপক্ষষড়যন্ত্রকারীদেরঅস্ত্রদিতেসম্মতহয়েছেএবংতিনিমুয়াজ্জিমকে (অভিযুক্তনং২) জানাবেনকখনকোনঅস্ত্রওগোলাবারুদসরবরাহকরাহবে।
৬২
অক্টবর১৯৬৬সালেসামসুররহমানের (অভিযুক্তনং১৯) অনুরোধেসিনিয়রআর্মিঅফিসারদেরপ্রতিক্রিয়াদলেরকাছেজানানোরজন্যমুয়াজ্জিম(অভিযুক্তনং২) তারনোঙরনামকচট্টগ্রামেরবাসভবনেএকটিমিটিংডাকেন।উক্তমিটিংএকর্নেলএমএজিওসমানী (অবসরপ্রাপ্ত) উপস্থিতছিলেন।আরোউপস্থিতছিলেন
১।মুয়াজ্জিম (অভিযুক্তনং২)
২।সামসুররহমান (অভিযুক্তনং১৯)
৩।রামিজ (সাক্ষীনং )
৬৩
মুয়াজ্জিম আলোচনায় (অভিযুক্তনং২) ষড়যন্ত্রেরগুরুত্বপুরদিকগুলোতুলেধরেন।তিনিআরোবলেনভারতেরসাথেএকটি ‘ভদ্রলোকেরচুক্তি’ স্বাক্ষরিতহয়েছেএবংতারফলেস্বধীনতাঘোষণাকরলেভারতপূর্বপাকিস্তানেরবর্তমানসীমানায়অনুপ্রবেশকরবেনাএবংসমুদ্রওআকাশপথবন্ধকরেদেয়ারমাধ্যমেভারতবিদ্রোহেসমর্থনদিয়ে যাবেযাতেপশ্চিমপাকিস্তানথেকেসাহায্যপৌছাতেনাপারে।কর্নেলওসমানীএইআলাপেতেমনমনযোগীছিলেননা।
৬৩।অক্টোবর১৯৬৬সালেসায়েদউররহমান (সাক্ষীনং৭) তৃতীয়বারেরপিএনওঝারঢাকাধান্মন্ডিরবাড়িতেমুয়াজ্জিম (অভিযুক্তনং২) এবংপিএনওঝারমধ্যেমিটিঙেরব্যবস্থাকরেন।পিএনওঝাআফসোসকরেবলেনভারতেআসন্নসাধারণনির্বাচনেরকারণেঅস্ত্রসরবরাহেরতারিখনির্ধারণকরাসম্ভবহচ্ছেনা।পিএনওঝাঅস্ত্রেরজন্যসাধারণনির্বাচনপর্যন্তঅপেক্ষাকরতে অনুরোধ করেন।
৬৪
একইমাসে (অক্টোবর১৯৬৬) স্টুয়ার্ডমুজিব (অভিযুক্তনং৩) মহসিনের(সাক্ষীনং১১)কাছেআর্থিকসাহায্যচান।মহসিন(সাক্ষীনং১১)২০০০টাকাদেন।স্টুয়ার্ডমুজিব (অভিযুক্তনং৩) বলেনঅস্ত্রওগোলাবারুদক্রয়েরজন্য৩থেকে৪লাখটাকাপ্রয়োজন।মহসিন(সাক্ষীনং১১)এইকথায়ভয়পেয়েস্টুয়ার্ডমুজিব (অভিযুক্তনং৩) কেবাড়িথেকেচলেযেতেবলেন।
৬৫
২৩শেজানুয়ারি১৯৬৭বাএরআশেপাশেরসময়েমানিকচৌধুরী (অভিযুক্তনং১২) আটকদশাথেকেমুক্তিলাভকরেন।
৬৬
ফেব্রুয়ারি১৯৬৭সালেমাহফুজুল্লাহ (অভিযুক্তনং৭) ঢাকাপৌঁছানএবংবিমানবাহিনীরএকটিদলেরসাথেঢাকারআওলাদহোসেনমার্কেটেএমএরাজ্জাকের (অভিযুক্তনং১৬) দোকানেমিটিংএমিলিতহন।মিটিংএউপস্থিতছিলেন
১।মাহফুজুল্লাহ (অভিযুক্তনং৭)
২।এমএরাজ্জাক (অভিযুক্তনং১৬)
৩।সার্জেন্টসামসুলহক (অভিযুক্তনং২৩)
৪।সিরাজ (সাক্ষীনং১৫)
আরোকিছুব্যক্তিমিটিংএউপস্থিতছিলেনকিন্তুতাদেরপরিচয়ট্রেসকরাযায়নি।এইমিটিংএষড়যন্ত্রেরসাধারনলক্ষ্যউদ্দেশ্যনিয়েআলাপকরাহয়।
৬৭
১৯৬৭সালেরমার্চেমুয়াজ্জিম (অভিযুক্তনং২) পূর্বপাকিস্তানআভ্যন্তরিন নৌকর্তৃপক্ষেরদ্বিতিয়প্রধানব্যক্তিছিলেনএবংতাকেবরিশালপোস্টিংদেয়াহয়েছিল।
৬৯
একই মাসে (মার্চ ১৯৬৭) মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) মানিক চৌধুরীর মাধ্যমে পি এন ওঝার সাথে তার চতুর্থ মিটিং এ মিলিত হন পি এন ওঝার ধানমন্ডির বাড়িতে। ১৯৬৭ সালের মার্চের ১০ তারিখে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২), মানিক চৌধুরী (অভিযুক্ত নং ১২) এবং সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) পি এন ওঝার সাথে দেখা করেন। তিনি তাদের জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র সরবরাহের তারিখ ঠিক করা সম্ভবপর হচ্ছে না। পি এন অঝা তাদের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান এবং মিটিং শেষ এ তাদেরকে নগদ ৫০০০ টাকা দেন।
৭০
১৯৬৭ সালের ৩১শে মার্চ মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) মানিক চৌধুরী (অভিযুক্ত নং ১২) এবং সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) পি এন ওঝার ঢাকার বাসায় পঞ্চমবারের মত পি এন ওঝার সাথে মিটিংএ মিলিত হন। উক্ত মিটিং এ পি এন ওঝা বলেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অনুভব করছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করার পূর্বে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিনিধি দলেরসাথে ভারতীয় অফিসারদের একটা মিটিং জরুরী। পি এন ওঝা পাকিস্তানি সীমান্তের কাছাকাছি আগারতলা নামক স্থানকে মিটিং স্থান হিসাবে প্রস্তাব করেন। তিনি মুয়াজ্জিমকে (অভিযুক্ত নং ২) তিন জন প্রতিনিধির নাম প্রস্তাব করতে বলেন। সেই সময় পি এন ওঝা তাদেরকে ১০০০০ টাকা দেন।
৭১
একই মাসে (১৯৬৭ সালের মার্চ) মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩) এবং রমিজ (সাক্ষী নং ১২) রমিজের ঢাকাস্থ মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেট এ একত্রিত হন। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) রমিজ (সাক্ষী নং ২) কে বলেন তার হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফান্ড রয়েছে এবং তারা পি এন ওঝার কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন তারা রুহুল কুদ্দুস (অভিযুক্ত নং ১০) এবং এ এফ রহমান (অভিযুক্ত নং ৬) এর কাছ থেকেও আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন। স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩) এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এই মিটিঙেই সিদ্ধান্ত হয় যে তারা একটি বাড়ি ভাড়া করবেন যেখানে মিটিং গুলো অনুষ্ঠিত হবে এবং সার্বক্ষণিক কর্মীরা বাস করবেন। আরো সিদ্ধান্ত হয় যে ষড়যন্ত্রকারীদের কার্যক্রমকে আড়ালে রাখতে একটি প্রদর্শনী মুলক ব্যবসা দাড় করানো হবে। রমিজ (সাক্ষী নং ১২) ব্যবসা দাড় করানোর জন্য তার বন্ধু আবু লুতফুল হুদার (সাক্ষীনং১৬) নামপ্রস্তাবকরেন।
৭২
একইমাসে (মার্চ১৯৬৬) আরএকটিমিটিংউল্লেখিতফ্ল্যাটেঅনুষ্ঠিতহয়।মিটিংএউপস্থিতছিলেন
১।মুয়াজ্জিম (অভিযুক্তনং২)
২।স্টুয়ার্ডমুজিব (অভিযুক্তনং৩)
৩।সামাদ (অভিযুক্তনং৮)
৪।সামসুররাহমান (অভিযুক্তনং১৯)
৫।মুতাল্লিব (অভিযুক্তনং২৫)
৬।রামিজ (সাক্ষীনং১২) এবং
৭।লুতফুলহুদা (সাক্ষীনং১৬)
এইমিটিংএট্রান্সমিটারসেটক্রয়এবংঅপারেটরদেরপ্রশিক্ষনবিষয়েআলোচনাকরাহয়।আরোসিদ্ধান্তহয়যেদলীয়কার্যক্রমআড়ালকরারজন্যব্যবসাদাড়করানোরজন্যরমিজকে (সাক্ষীনং১২) প্রয়োজনীয়অর্থদেয়াহবেআরএইকাজতদারকিকরারদায়িত্বদেয়াহয়লুতফুলহুদাকে (সাক্ষীনং১৬)
৭৩
কিছুদিনপড় (মার্চ২৯৬৭) রামিজ (সাক্ষীনং১২) মুয়াজ্জিমেরকাছথেকে২৫০০০টাকাপানস্টুয়ার্ডমুজিবেরমাধ্যমে।উক্তটাকাথেকেরামিজ (সাক্ষীনং১২) নগদ৫০০০টাকাব্যবসাদাড়করানোরজন্যলুতফুলহুদা (সাক্ষীনং১৬) কেপ্রদানকরেন।বাকি২০০০০টাকাথেকেষড়যন্ত্রকারীদেরবিবিধখরচবাবদরামিজ (সাক্ষীনং১২) ১৮৬৮৯টাকাখরচকরেন।
৭৪
১৯৬৭সালের১৪ইমার্চস্টুয়ার্ডমুজিব (অভিযুক্তনং৩) সড়যন্ত্রেরকাজেনিজেকে পুরোপুরিউৎসর্গকরারউদ্দেশ্যেপাকিস্তাননৌবাহিনীথেকেইস্তাফাদেন।
৭৫
এরপক্ষকালপরেএকইমাসে (১৯৯৬৭সালেরমার্চ) সামসুররহমান (অভিযুক্তনং১৯) ফারিদপুরেরডেপুটিকমিশনারমিঃসিদ্দিকুররহমানকেএকটিচিঠিলিখেনযাতেতিনিসিদ্দিকুররহমানকেঅনুরোধকরেনতারবন্ধুমিঃমুজিবুররহমানকেসাহায্যকরারজন্য।স্টুয়ার্ডমুজিব (অভিযুক্তনং৩) লুতফুলহুদা (সাক্ষীনং১৬) কেসাথেনিয়েফরিদপুরযানচিঠিটিমিঃসিদ্দিকুররাহমানকেপৌঁছেদেয়ারজন্য।
৭৬
১৯৬৭সালেরএপ্রিলেঢাকাস্থগ্রিনস্ক্যায়ারের১৩নাম্বারবাসাটিদলেরকাজেজন্যভাড়াকরাহয়।১লামেথেকেসেইবাসায়ব্যভার করা শুরু করা হয়।নিম্নলিখিতসার্বক্ষণিককর্মীরাসেখানেথাকাশুরুকরেন।
১।স্টুয়ার্ডমুজিব (অভিযুক্তনং৩)
২।সামাদ (অভিযুক্তনং৮)
৩।দলিদুদ্দিন (অভিযুক্তনং৯)
৪।সাবেকসুবেদারজালালউদ্দিনআহমেদ (সাক্ষীনং১৭)
৫।মিঃমুহাম্মদগুলামআহমেদ (সাক্ষীনং১৮)
মুয়াজ্জিম (অভিযুক্তনং২) তার HELLMAN car No. EBA— 9591 নম্বর গাড়িটি স্টুয়ার্ড মুজিবকে দেন দলের কাজে ব্যবহারের জন্য।
৭৭
১৯৬৭ সালের এপ্রিলের কোন এক সময়ে মাহফুজুল্লা (অভিযুক্ত নং ৭) করপরাল হাই একেএমএ (সাক্ষী নং ১৯) এর পিএএফ এর করাচির করাঙ্গি ক্রিকস্থ আবাসিক এলাকার কোয়ার্টার এ তার সাথে দেখা করেন।
মাহফুজুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭) হাই (সাক্ষী নং ১৯) এর বাসায় একটি ডামি হ্যান্ড গ্রেনেড সাজানো দেখতে পান এবং সেটি সংগ্রহ করেন হাই এর কাছ থেকে।
৭৮
১৯৬৭ সালের মে মাসে করাচির ক্লেটন কোয়ার্টার এ সার্জেন্ট জালিলের (অভিযুক্ত নং ২৯) ১৪/৪-জি নাম্বারের বাড়িতে মাহফুজুল্লার (অভিযুক্ত নং ৭) আহবানে একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মিটিঙ্গে উপস্থিত ছিলেন
১। মাহফুজুল্লা (অভিযুক্ত নং ৭)
২। বাড়ি (অভিযুক্ত নং ২২)
৩। সার্জেন্ট সামসুল হক (অভিযুক্ত নং ২৩)
৪। সার্জেন্ট আব্দুল জলিল (অভিযুক্ত নং ২৯)
৫। মুহাম্মদ মাহবুবুদ্দিন চৌধুরী (অভিযুক্ত নং ৩০)
৬।সামসুদ্দিন (সাক্ষী নং ৬)
৭। কর্পোরাল জামাল (সাক্ষী নং ১৪)
৮। সিরাজ (সাক্ষী নং ১৫)
সার্জেন্ট সামসুল হক (অভিযুক্ত নং ২৩) যিনি সাম্প্রতি পূর্ব পাকিস্থান থেকে ফিরেছেন এবং দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সভায় উপস্থিত সকলকে বলেন যে মুয়াজ্জম (অভিযুক্ত নং ২) ষড়যন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে রাজি করিয়েছেন।
তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের বলেন যে ‘ডি’ দিনে পূর্ব পাকিস্থানের জনগন সম্পূর্ণ ভাবে সসশ্র বিদ্রোহ কে সমর্থন করবে। মিটিং এর শেষ পর্যায়ে মাহফুজুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭) পকেট থেকে একটি ডামি হ্যান্ড গ্রেনেড বের করেন এবং কিভাবে সেটি ছুড়তে হয় তা দেখান। তিনি দলের সদস্যদের সেটা চর্চা করতে বলেন। সেই উদ্দ্যেশে তিনি হ্যান্ড গ্রেনেডটি জলিল (অভিযুক্ত নং ২৯) এর বাসায় রেখে যান। তিনি আরো বলেন তিনি হাল্কা অস্ত্রের ট্রেনিং শুরু করবেন সেটা হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই।
৭৯
একই সময়ে (মে ১৯৬৭) মাহফুজুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭) সিরাজ (সাক্ষী নং ১৫) এর কাছে স্বীকার করেন যে সামসুদ্দিন (সাক্ষী নং ৬) তাদের সংগঠনের সদস্য এবং এই বিমান বাহিনীর সদস্যরা লেঃ এম এম এম রাহমান (অভিযুক্ত নং ৩১) এর নেতৃত্বে পরিচালিত। মাহফুজুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭) সামসুদ্দিন (সাক্ষী নং ৬) এবং মাহববুদ্দিন (অভিযুক্ত নং ৩০) কে কারাচির সারসেজে লেঃ রেহমান (অভিযুক্ত নং ৩১)এর বাস ভবনের মিটিং এ নিয়ে আসতে সিরাজ (সাক্ষী নং ১৫) কে নির্দেশ দেন।
৮০
একই মাসে (মে ১৯৬৭) উল্লেখিত তারিখে লেঃ রেহমানের বাসায় নিম্নে উল্লেখিত ব্যক্তি রা একত্রিত হন।
১। মাহফিজুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭)
২। লেঃ রেহমান (অভিযুক্ত নং ৩১)
৩। মাহববুদ্দিন (অভিযুক্ত নং ৩০)
৪। সামসুদ্দিন (সাক্ষী নং ৬)
৫। সিরাজ (সাক্ষী নং ১৫)
এবং আরো কয়েকজন যাদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বারংবার বলার পর লেঃ রেহমান (অভিযুক্ত নং ৩১) অংশগ্রহণকারীদের অনুরোধ করেন বেশী বেশী করে সসশ্র বাহিনীতে কর্মরত বাঙ্গালিদের সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করতে। তিনি আরো অনুরোধ করেন কিভাবে উপযুক্ত কর্মীদের পূর্ব পাকিস্থানে পাঠিয়ে দেয়া যায় তার তার উপায় খুজে বের করতে।
৮১
১৯৬৭ সালের জুনের শেষের দিকের কোন এক সময় মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) জালাল (সাক্ষী নং ১৭) এবং সামাদ (অভিযুক্ত নং ৮) কে রিক্রুটমেন্ট এর জন্য পাঠান। সেই উদ্দ্যেশে উল্লেখিত ব্যক্তিরা কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং যশোর ভ্রমণ করেন। তারা খুলনায় সাবেক সাবঃ এ কে এম তাজুল ইসলাম এর সাথে দেখা করেন এবং সেই এলাকার কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন। তাজুল ইসলাম (অভিযুক্ত নং ৩২) তার নিজের করা রিক্রুট এর সাথে ষড়যন্ত্রকারীদের পরিচয় করিয়ে দেন।
৮২
১৯৬৭ সালের জুনের ২য় বা ৩য় সপ্তাহে পূর্বোক্ত দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি লেঃ রেহমান (অভিযুক্ত নং ৩১) তার তার বাসায় একটি মিটিং করেন। নিম্নোক্ত ষড়যন্ত্রকারীরা উক্ত মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন।
১। মাহিজুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭)
২। বাড়ি (অভিযুক্ত নং ২২)
৩।মাহববুদ্দিন (অভিযুক্ত নং ৩০)
৪। লেঃ রেহমান (অভিযুক্ত নং ৩১)
৫। সাঃ সামসুদ্দিন (সাক্ষী নং ১৫)
৬। সিরাজ (সাক্ষী নং ১৫)
এবং আরো কয়েক জন যাদেকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
লেঃ রেহমান (অভিযুক্ত নং ৩১) উপস্থিত সদস্যদের বলেন মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) আর কোন রিক্রুট্মেন্ট করতে নিষেধ করেছেন। মাহববউদ্দিন (অভিযুক্ত নং ৩০) এবং বাড়ি (অভিযুক্ত নং ২২) এর পরামর্শে লেঃ রেহমান (অভিযুক্ত নং ৩১) সামসুদ্দিন কে নির্দেশ দেন ঢাকায় গিয়ে মুয়াজ্জিমের সাথে যোগাযগ করতে এবং তাকে জিজ্ঞেস করতে যে লেঃ রেহমানের উপস্থিতি ঢাকায় দরকার কি না। যদি দরকার হয় তাহলে সামসুদ্দিন ‘বাজলো গুরুতর অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি’ লিখে টেলিগ্রাম করবে। বাড়ি (অভিযুক্ত নং ২২) এবং মাহববুদ্দিন (অভিযুক্ত নং ৩০) এর অনুরোধে সিদ্ধান্ত হয় যে আপাতত সদ্যসরা শুধুমাত্র করাচির সদস্যদের জন্য চাদা তুলবেন।
৮৩
১৯৬৭ সালের জুনে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২)১৩ গ্রিন স্কয়ার ঢাকাতে কয়েকটি মিটিং আহবান করেন যাতে অংশগ্রহণ করেন।
১। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২)
২। স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩)
৩। সুলতান (অভিযুক্ত নং ৪)
৪। দলিলুদ্দিন (অভিযুক্ত নং ৯)
৫। রিসালদার সামসুল হক (অভিযুক্ত নং ২০)
৬।মিঃ এম আলী রেজা (অভিযুক্ত নং ৩৩)
৭। ক্যাপ্টেন খুরশিউদ্দিন আহমেদ এ এম সি (অভিযুক্ত নং ৩৪)
৮। রামিজ সাক্ষী নং ১২)
৯। জালাল উদ্দিন (সাক্ষী নং ১৯) এবং
১০। মিঃ আনোয়ার হুসাইন (সাক্ষী নং ২০)
৮৮) ১৪ জুলাই, ১৯৬৭ তারিখে তাঁরা ২ নং আসামি মোয়াজ্জেমকে পূর্বোক্ত মিটিং এর ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করার জন্য বরিশাল যান।
৮৯) ঐ মাসেই আরও পরে, ২ নং আসামি মোয়াজ্জেম, ১২ নং আসামি মানিক চৌধুরী এবং ৭ নং সাক্ষী সাঈদ-উর-রহমান ঢাকার ধানমণ্ডিতে পি এন ওঝার বাড়িতে তাঁর সাথে ষষ্ঠবারের মত দেখা করেন। পি এন ওঝা ২ নং আসামি মোয়াজ্জেমের সাথে ভান করেন যে তিনি তখনও তাঁর সরকারের কাছ থেকে আগরতলা বৈঠকের ফলাফল পান নি। তিনি অবশ্য আড়ালে ১২ নং আসামি মানিক চৌধুরীকে জানান যে ভারতীয় কর্মকর্তারা [পূর্ব পাকিস্তানি] প্রতিনিধিদের পদমর্যাদা নিয়ে অসন্তুষ্ট।
৯০) একই মাসে ৪ নং আসামি সুলতান করাচি ভ্রমণ করেন। করাচিতে কর্মরত ষড়যন্ত্রকারীদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় করাচির ১৪/৪-জি মার্টিন কোয়ার্টাস্ এ ৩০ নং আসামি মাহবুবউদ্দীনের বাড়িতে। নিম্নলিখিত ব্যক্তিবর্গ এ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন:-
সুলতান, ৪ নং আসামি
মাহফিজউল্লাহ, ৭ নং আসামি
জহরুল হক, ১৭ নং আসামি
সার্জেন্ট শামসুল হক, ১২৩ নং আসামি
লেফটেন্যান্ট রেহমান, ৩১ নং আসামি
সিরাজ, ১৫ নং সাক্ষী
বৈঠকে আরও যাঁরা অংশগ্রহণ করেন তাঁদের নাম পাইলট অফিসার মির্জা, এস এম আলি এবং সিএইচ জয়নুল আবিদীন। শেষের দু’জনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি; প্রথম জন হাসপাতালে থাকায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমোদন পাওয়া যায় নি।
৪ নং আসামি সুলতান বলেন, তিনি কিউবায় বিপ্লবের সাক্ষী এবং সশস্ত্র বিদ্রোহ করতে গিয়েআত্মাহুতিতে তিনি প্রস্তুত [he was alive to the sacrifices warranted in staging an armed revolt]। তিনি [বিদ্রোহের] মূল কর্মীদের মধ্যে বিপ্লবী চেতনার অভাব লক্ষ্য করার হতাশা ব্যক্ত করেন। অংশগ্রহণকারীদেরকে এ লক্ষ্যে তাঁদের জীবন ত্যাগ করার শপথ নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
৯১) প্রায় ১৫ দিন পর, জুলাই/আগস্ট ১৯৬৭ এ, ৩১ নং আসামি লেফটেন্যান্ট রেহমান করাচির ১৪/৪-জি, মার্টিন কোয়ার্টাস্ এ ৩০ নং আসামি মাহবুবউদ্দীনের বাড়িতে আরেকটি বৈঠক আহ্বান করেন। নিম্নোক্ত ষড়যন্ত্রকারীরা বৈঠকে অংশ নেন:-
লেফটেন্যান্ট রেহমান, ৩১ নং আসামি
লেফটেন্যান্ট আবদুর রউফ, ৩৫ নং আসামি
জহরুল হক, ১১ নং আসামি
সুলতান, ৪ নং আসামি
মাহফিজউল্লাহ, ৭ নং আসামি
বারি, ২২ নং আসামি
সিরাজ, ১৫ নং আসামি
বৈঠকে আরও যারা অংশগ্রহণ করেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আরও যে দু’জন যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন, সিএইচ জয়নুল আবিদীন এবং এস এম আলি এবং আরও কয়েকজন যাঁদের নাম নিশ্চিত করা যায় নি, তবে এঁদের কারও বিস্তারিত পরিচয় জানা সম্ভব হয় নি।
ঐ বৈঠকে ৩১ নং আসামি লেফটেন্যান্ট রেহমান পূর্ব পাকিস্তানে ২ নং আসামি মোয়াজ্জেমের নেতৃত্বে সক্রিয় মূল সংগঠনের সাথে ঘনিষ্ট সহযোগিতা করার জন্য সদস্যদের নির্দেশ প্রদান করেন। লেফটেন্যান্ট আবদুর রউফ এরপর অংশগ্রহণকারীদেরকে শপথ পাঠ করান। একই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে,
১৫ নং সাক্ষী, সিরাজুল ইসলাম মৌরিপুর এলাকা থেকে অর্থসংগ্রহ এবং সদস্য নিবন্ধন করবেন,
৭ নং আসামি মাহফিজউল্লাহ Drigh সড়ক এলাকা থেকে অর্থ সংগ্রহ এবং সদস্য নিবন্ধন করবেন,
১৭ নং আসামি জহরুল হক কোরাঙ্গি এলাকা থেকে অর্থসংগ্রহ এবং সদস্য নিবন্ধন করবেন, এবং চাকলালা, পেশোয়ার, কোহাল এবং সারগোদা এলাকাসমূহেও একই উদ্দেশ্য ভ্রমণ করবেন।
৯২) ১৯৬৭ সালের আগস্ট মাসে, ১২ নং আসামি মানিক চৌধুরী এবং ৭ নং সাক্ষী সাঈদ-উর-রহমান ঢাকা যান এবং ৩ নং আসামি কার্যাধ্যক্ষ মুজিবের সাথে দেখা করেন। মুজিব তাঁদেরকে তাঁর এবং ৩৩ নং আসামি রেজার আগরতলায় যাওয়ার কথা জানান।
৯৩) ১৯৬৭ সালের আগস্ট মাসে, ৩৫ নং আসামি লেফটেন্যান্ট রউফ ক্লেটন কোয়ার্টার্সে ২৯ নং আসামি জলিলের বাড়িতে জরুরী বৈঠক আহ্বান করেন। নিম্নোক্ত ব্যক্তিরা তাতে অংশগ্রহণ করেন:-
মাহফিজউল্লাহ, ৭ নং আসামি
বারী, ২২ নং আসামি
জলিল, ২৯ নং আসামি
লেঃ রেহমান, ৩১ নং আসামি
লেঃ রউফ, ৩৫ নং আসামি
শামসুদ্দীন, ৬ নং সাক্ষী
সিরাজ, ১৫ নং সাক্ষী
আরও যে তিনজনের নাম দেয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন, ক্যাপ্টেন আফতাব চৌধুরী, জয়নুল আবিদীন এবং সিদ্দীকুর রহমান; তাঁদের বিস্তারিত পরিচয় প্রমাণ করা যায় নি।
এ বৈঠকে ৩৫ নং আসামি লেঃ রউফ এবং ৩১ নং আসামি লেঃ রেহমানকে কিছুটা চিন্তিত দেখাচ্ছিল। তাঁরা নজরদারিতে আছেন বলে তাঁদের সন্দেহ হচ্ছিল। ৩৫ নং আসামি লেঃ রউফ নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা বন্ধ করতে অংশগ্রহণকারীদের নির্দেশ দেন। তিনি সদস্যদের আরও অনুরোধ জানান ছুটি নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে চলে যাবার। সে অনুসারে সদস্যরা ছুটি নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে নিজ নিজ শহরে চলে যাওয়া শুরু করেন।
৯৪) ২৩ নং আসামি সার্জেন্ট শামসুল হকের নির্দেশে, ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কোন এক সময়ে, ১৭ নং আসামি জহরুল হক চাকলালায় পাকিস্তান এয়ার ফোর্স দপ্তরে যান, এবং ২১ নং সাক্ষী সার্জেন্ট রজব হোসেনের সাথে দেখা করেন। ১৭ নং আসামি জহরুল হক সাক্ষী নং ২১, রজবকে জানান যে সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা আদায়ের লক্ষ্যে একটি গোষ্ঠী গড়ে তোলা হয়েছে, এবং এ ষড়যন্ত্রে যোগ দেয়ার জন্য রজবকে তিনি আহ্বান জানান। ২১ নং সাক্ষী রজব অবশ্য এরুপ কর্মকাণ্ডের সাথে নিজেকে জড়িত করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন।
৯৫) ১৯৬৭ এর অক্টোবরে ৩৩ নং আসামি রেজা ১২ নং সাক্ষী রমিজের কাছ থেকে পিআইএ এর একটি ক্রেডিট টিকিট পান; এবং লাহোরে ও পেশোয়ারে গিয়ে ইতোমধ্যে লাহোরে বদলি হওয়া ১০ নং আসামি রুহুল কুদ্দুসকে, এবং পেশোয়ারে বদলি হওয়া ২৫ নং আসামি ক্যাপ্টেন মুতালিবকে তহবিল তছরুপের ব্যাপারে অবহিত করেন; ২ নং আসামি মোয়াজ্জেম যেটি করছেন বলে তাঁর মনে হচ্ছিল।
৯৬) ১৯৬৭ সালের নভেম্বরে, ঐচ্ছিক ছুটি নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেন ১৫ নং সাক্ষী সিরাজ। এরই মধ্যে ৩০ নং আসামি মাহবুবউদ্দিন, ৩৫ নং আসামি লেঃ রউফ এবং ৩১ নং আসামি লেঃ রেহমান ছুটিতে ঢাকায় চলে এসেছিলেন।
৯৭) ১৯৬৭ সালের নভেম্বরে ২৪ নং সাক্ষী প্রাক্তন স্কোয়াড্রন লিডার মুয়াজ্জেম হোসেইন চৌধুরীর বাসভবনে নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা বৈঠকে অংশ নেন:-
ফজলুল হক, ১১ নং আসামি
এম এ রাজ্জাক, ১৬ নং আসামি
কর্পোরাল জামাল, ১৪ নং সাক্ষী
জাকির আহমেদ, ২২ নং সাক্ষী
সার্জেন্ট এম আব্দুল হালীম, ২৩ নং সাক্ষী
চৌধুরী, ২৪ নং সাক্ষী
গ্রুপটিকে নতুন করে জাগিয়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা এ বৈঠকে অনুভূত হয়, কেননা ২ নং আসামি মোয়াজ্জেম এবং তাঁর অনুগ্রহভাজনদের স্বার্থপরতায় গোষ্ঠীটি অকেজো হয়ে পড়ছিল।
৯৮) ১৯৬৭ এর নভেম্বরে ২২ নং সাক্ষী জাকির উইং কমান্ডার, ২৫ নং সাক্ষী আশফাক মিয়ার কাছে এ মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন যে কিছু দিন পূর্বে ২৩ নং সাক্ষী হালীম তাঁকে ২৪ নং সাক্ষী চৌধুরীর আবাসস্থলে নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি এঁদেরকে সমবেত অবস্থায় দেখতে পান:-
ফজলুল হক, ১১ নং আসামি
এম এ রাজ্জাক, ১৬ নং আসামি
চৌধুরী, ২৪ নং সাক্ষী
কর্পোরাল জামাল, ১৪ নং সাক্ষী
হালীম, ২৩ নং সাক্ষী
২২ নং সাক্ষী জাকির ২৫ নং সাক্ষী আশফাকের কাছে অভিযোগ করেন যে পূর্ব পাকিস্তানকে কেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার ব্যাপারে এ ব্যক্তিরা কথা বলছিলেন।
৯৯) ১৯৬৭ এর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুক্রাবাদ, ঢাকায় ১৫ নং সাক্ষী সিরাজের বন্ধু জনৈক মালিকের বাসায় নিম্নোক্ত ব্যক্তিরা, এবং আরও কয়েকজন, যাদের খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয় নি, দেখা করেন:-
লেঃ রউফ, ৩৫ নং আসামি
মাহবুবউদ্দিন, ৩০ নং আসামি
সিরাজ, ১৫ নং সাক্ষী
গোষ্ঠীটির কার্যকলাপের কভার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য ঢাকায় একটি টেকনিক্যাল স্কুল চালু করার প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। ৩৫ নং আসামি লেঃ রউফ [গোষ্ঠীর] কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করার ব্যাপারে ২ নং আসামি মোয়াজ্জেম এবং কর্নেল এম এ জি ওসমানীর সাথে যোগাযোগ করার দায়িত্ব নেন।
১০০) শীঘ্রই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা শুরু হয় এবং এভাবেই তাঁদের কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে।
আসামিবৃন্দের বিরুদ্ধে আনীত পেশকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের বিচার করার জন্য প্রার্থনা করা হল।
পরিশিষ্টI
(রেফারেন্স অনুচ্ছেদ ৫)
১) তদন্তের সময়ে পাকিস্তানের যেসব নাগরিকের নাম ও বিস্তারিত ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে পাওয়া গেছে তাঁদেরকে “অভিযুক্তদের লিস্ট” শিরোনামের অথবা “লিস্ট এ” শিরোনামের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২) লিস্ট ‘এ’ তে সেসব ব্যক্তিদের নাম এবং বিস্তারিত বিবরণ দেয়া আছে যাঁদেরকে শপথ করানো হয়েছে ষড়যন্ত্রের বিশদ ব্যাপারে সাক্ষ্য প্রদান করার ব্যাপারে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকায় সেসব ব্যক্তিদের নাম এবং বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে, যাঁদেরকে তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।
৩) যেসব ব্যক্তিরা বিচারে সাক্ষ্য দেবেন তাঁদের নাম এবং বিস্তারিত বিবরণ ক্রমানুসারে “সাক্ষী তালিকা” শিরোনামের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা রয়েছে। যে সব ব্যক্তিদের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়েছে, তাঁদের নাম এবং বিস্তারিত “সাক্ষী তালিকা”তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
৪) সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে দাখিলকৃত দলিল এবং প্রবন্ধসমূহ যথাক্রমে “দলিলের তালিকা” এবং “প্রবন্ধের তালিকা” শিরোনামের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
৫) সম্পূরক তালিকাসমূহ প্রয়োজনবোধে পরবর্তীতে পেশ করা হবে।
সংযোজনী২
(অনুচ্ছেদ ১৯ এর ৫)
ক্রমিক নং | সাংকেতিক নাম | সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য |
১ | ২ | ৩ |
১ | আলো | লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মুয়াজ্জান হুসাইন
অভিযুক্ত নং ২ |
২ | উলকা | মুহাম্মদ আমীর হোসেন মিয়া
সাক্ষী নং ৩ |
৩ | তুহিন | কেটারিং লেফটেন্যান্ট মোজাম্মিল হোসেন
সাক্ষী নং ১ |
৪ | কামাল | প্রাক্তন এল/এস সুলতান-উদ-দীন আহমেদ
অভিযুক্ত নং ৪ |
৫ | মুরাদ | স্টেওয়ার্ড মুজিব-উর-রহমান
অভিযুক্ত নং ৩ |
৬ | পরশ | শেখ মুজিব-উর-রহমান
অভিযুক্ত নং ১ |
৭ | তুষার | এ. এফ. রহমান সি. এস. পি.
অভিযুক্ত নং ৬ |
৮ | সবুজ | এল/এস নূর মুহাম্মদ
অভিযুক্ত নং ৫ |
৯ | শেখর | রুহুল কুদ্দুস সি. এস. পি.
অভিযুক্ত নং ১০ |
তালিকা এ (A)
(ব্যাক্তিবর্গ যাদেরকে ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড ইউ/এস ৩৩৭ তে ক্ষমা করার প্রস্তাব করা হয়েছে)
(রেফারেন্স অনুচ্ছেদ ৫৩)
১। লেফটেন্যান্ট মুজাম্মেল হোসেন। এস/ও মৃত মৌলভী মেনহাঞ্জুদ্দীন মিয়া, আর/ও পশ্চিম ফুলকি, বাসাইল পুলিশ স্টেশন, ময়মনসিংহ জেলা।
২। প্রাক্তন কর্পোরাল মোহাম্মদ আমীর হোসেন মিয়া, এস/ও মৌলভী ফাজিল মোল্লা, আর/ও গ্রাম রুপবাবুরচার দারিকান্দি, জাঞ্জির পুলিশ স্টেশন, ফরিদপুর জেলা।
৩। সার্জেন্ট পাক/৫৪২৭২, সামসুদ্দীন আহমাদ, এস/ও মোহাম্মদ আফতাব উদ্দীন, আর/ও গ্রাম নিজকল্প, কোতোয়ালি পুলিশ স্টেশন, ময়মনসিংহ জেলা।
৪। ডঃ সাঈদ-উর-রহমান, এস/ও মৌলভী আবুল খায়ের চৌধুরী, আর/ও গ্রাম এনায়েত বাজার, কোতোয়ালি পুলিশ স্টেশন, চট্টগ্রাম জেলা।
৫। এফ/লেফটেন্যান্ট মির্জা মোহাম্মদ রমীজ, এস/ও এম এম সিরাজ, আর/ও গ্রাম ধানুন, রুপগঞ্জ পুলিশ স্টেশন, ঢাকা। বর্তমানে ৬০-পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম
৬। ক্যাপ্টেন পিএ/৬৬৩২, মোহাম্মদ আব্দুল আলীম ভূঁইয়া, এস/ও আল্বহাজ নিজাম উদ্দীন ভূঁইয়া, আর/ও গ্রাম পরমতলা, মুরাদনগর পুলিশ স্টেশন, কুমিল্লা।
৭। কর্পোরাল জামাল উদ্দীন আহমেদ, এস/ও বসির উদ্দীন, আর/ও গ্রাম বিরামপুর, সুজানগর পুলিশ স্টেশন, পাবনা।
৮। পাক কর্পোরাল সিরাজুল ইসলাম, এস/ও মৌলভী আমিন উদ্দীন, আর/ও গ্রাম শিলাই, বুড়িচাং পুলিশ স্টেশন, কুমিল্লা জেলা।
৯। জনাব মোহাম্মদ ঘুলাম আহমেদ, এস/ও আব্দুল জব্বার, আর/ও জাফারাবাদ গ্রাম, মাদারিপুর পুলিশ স্টেশন, ফরিদপুর জেলা।
১০। জনাব আবুল বাশার মোহাম্মদ ইউসুফ, এস/ও মুনশি মোহাম্মদ আলী হাওলাদার, দক্ষিণ মিথখালি গ্রাম, মাঠবাড়িয়া পুলিশ স্টেশন, বরিশাল জেলা।
১১। সার্জেন্ট মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, এস/ও মৃত মুনশি আব্দুল আজিজ, আর/ও শোহিলপুর, চান্দিনা পুলিশ স্টেশন, কুমিল্লা জেলা।
<2.62.336>
অভিযুক্ত ব্যাক্তিবর্গের তালিকা
[ রেফারেন্স অনুচ্ছেদ ৫ এবং সংযোজনী ]
ক্রমিক নং নাম পিতার নাম ঠিকানা মন্তব্য | ||
১। জনাব শেখ মুজিবুর রহমান | মৌলভী শেকলি লুতফুর রহমান | (১) গ্রামঃ টুঙ্গীপাড়া, থানাঃ গোপালগঞ্জ, জেলাঃ ফরিদপুর
(২) নং- ৬৭৭, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, রাস্তা নং – ৩২, ঢাকা |
২। পি নং ৫৭৪, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মুয়াজ্জান হোসেন | মৈলভী মোফাজ্জল আলী | গ্রামঃ ধুনুরিতাল, পি এসঃ পিরোজপুর, জেলাঃ বরিশাল |
৩। ও নং ৬৬৫০৮, স্টেওয়ার্ড মুজিব-উর-রহমান | মুন্সী আব্দুল লতিফ | গ্রামঃ ঘাটমাঝি, পি এসঃ মাদারিপুর, জেলাঃ ফরিদপুর |
৪। প্রাক্তন এল/এস সুলতান-উদ-দীন আহমেদ | মৌলভী সামসুদ্দীন আহমেদ | গ্রামঃ উত্তরা খামার, পি এসঃকাপাসিয়া, জেলাঃ ঢাকা |
৫। ও নং ৬৪৬৭২, এল/এস, সি ডি আই নূর মুহাম্মদ | জনাব তমিজুদ্দীন আখন্দ | গ্রামঃ কুমার ভোগ, পি এসঃ লৌহজং, পোস্ট অফিসঃ লৌহজং তহসিলঃ হালিদিয়া, জেলাঃ ঢাকা |
৬। জনাব আওহমেদ ফজলুর রহমান, সি এস পি | জনাব ইমাজুদ্দীন আহমেদ | (১) গ্রামঃ কাচিশার, পি এসঃ দেবীদ্বার, জেলাঃ কুমিল্লা
(২) নং-৭০৮, ধানমন্ডি, আবাসিক এলাকা, রাস্তা নং – ৩০, ঢাকা |
৭। পাক/৫১৩০৩, এফ/সার্জেন্ট মাহফিজুল্লাহ | হাজী মুহাম্মদ ইসমাইল | গ্রামঃ মুরাদপুর, পি এসঃ বেগমগঞ্জ, পোস্ট অফিসঃ নয়ালিয়াত,জেলাঃ নোয়াখালি |
অভিযুক্তদেরনামেরতালিকা
১. মি. শেখমুজিবুররহমান
পিতা-মৌলভীশেখলীলুতফুররহমান
গ্রাম- টঙ্গীপাড়া, পি.এস-গোপালগন্জজেলা -ফরিদপুর
৬৬৭নংধানমন্ডি, আবাসিকএলাকা, রোডনং-৩২ঢাকা।
২.পি.নং-৫৭৪,এল. টি. কমান্ডারমাউজ্জামানহোসেইন
পিতা-মৌলভীমোফাজ্জালআলী
গ্রাম-ধুনুরীতল, পিএস- ফিরোজপুর, জেলা-বরিশাল।
৩.ও.নং৬৬৫০৮, স্টিওয়ার্ডমুজিবুররহমান
পিতা-মুন্সিআব্দুললতিফ
গ্রাম- ঘাটমাঝি,পিএস -মাদারীপুরজেলা-ফরিদপুর।
৪.প্রাক্তনএল./এস. সুলতানউদ্দিনআহমেদ
পিতা-মৌলভীশামসুদ্দীনআহমেদ
গ্রাম-উত্তরাখামার,পি.এস.-কাপাসিয়া,জেলা-ঢাকা।
৫.ও.নং৬৪৬৭২এল./এস. সি.ডি.আই. নুরমোহাম্মদ
পিতা-মি. তামিজউদ্দিনআকন্দ
গ্রাম-কুমারবাগ,পি.এস-লোহাগঞ্জ, পো.অ.-লোহাগঞ্জ।তেহশীলহলিদিয়া, জেলাঢাকা।
৬.মি. আহমেদফজলুররহমান, সি. এস. পি.
পিতা-মি. ইমামুদ্দিনআহমেদ
(১)গ্রাম-কচিসার, পি.এস.-দাবিদাওয়ার,কুমিল্লা
(২)৭০৮নংধানমন্ডি, আবাসিকএলাকারোডনং-৩০, ঢাকা।
৭.পাক/৫১৩০১,এফ/এস. জি. টি. মাহফিজুল্লাহ্
পিতা-হাজী. মোহাম্মদইসমাঈল
গ্রাম-মধুপুর, পো.অ.-নয়াটিলা,পি.এস.-বেগমগঞ্জ, জেলা–নোয়াখালী.
৮.প্রাক্তনকর্পোরালআব্দুলবশরমোহাম্মদআবদুসসামাদ
পিতা-মি. ইন্তেআলীমৃধা
গ্রাম-মিল্তাখালী,পি.এস.-বরিশাল।
৯.প্রাক্তন -হাব. দালিলুদ্দিন
পিতা-আফিজুদ্দিন
গ্রামএবংপোস্টঅফিসশ্যামপুর, পি.এস.-বাকেরগঞ্জজেলা-বরিশাল।
১০.মি. রুহুলকুদ্দুসসি. এস. পি.
পিতা- মি. রইসুদ্দিনআহমেদ
(১) গ্রাম-পাঞ্চরিকি,পো.অ-কাকাডাঙ্গা,পি. এস.-সাতক্ষিরা, জেলা-খুলনা
(২)৬১৮কনংধানমন্ডিআবাসিকএলাকা, রোডনং-১৮ঢাকা।
১১.পাক/৭২৮৭০, এফ/এস.জি.টিমোহাম্মদফজলুলহক
পিতা-মৌলভীসায়েদআলীতালুকদার
গ্রামএবংপো. অ.-সায়েস্তাবাদ, পি.এস-কোতয়ালী-,জেলা-বরিশাল।
১২.মি. ভূপতিভুশানচৌধুরীআলাইসমানিকচৌধুরী
পিতা- মি. ধিরেন্দ্রলালচৌধুরী
গ্রাম-হবিলাশদ্বীপ,পো.অ-বোয়ালখালী, পি.এস- পটিয়া,তেহশীলএবং৪১রামজয়মহাজনলেইন,চট্টগ্রাম, পি. এস. কোতোয়ালি।
১৩. মি. বিধানকৃষ্ণাসেন
পিতা-মি. রাজেন্দ্রনারায়ণসেন
গ্রাম – সারোয়াতলা,পি. এস.-বেয়ালখালী,চট্টগ্রাম।
১৪. পি.জে.ও. -২০৬৮, সাব. আব্দুররাজ্জাক
পিতা- মি. সিতুসরকার
(১) গ্রামএবংপো. অ. দক্ষিণবারোসারচির,পি. এস.- মোতলিবগঞ্জ,তেহ্. চাঁদপুর, জেলাকুমিল্লা
(২)এ./ পি. ছোটাগোবিন্দপুর, পি. এস- কোতোয়ালি, জেলা-যশোর।
১৫. প্রাক্তন – হাব./সি.এল. কে. মুজিবুররহমাম, ই. পি. আর. টি.সি
পিতা- মি. আব্দুররহমান
গ্রামএবংপো. অ.- গোপালপুর, পি. এস. নবিনগঞ্জজেলা-কুমিল্লা।
১৬.প্রাক্তন – এফ/এস. জি.টি।মোহাম্মাদআব্দুররাজ্জাক
পিতা-মুন্সিআসকারআলী
গ্রাম-বান্দারামপুর, পো.অ.- দাউদকান্দি, পি.এস.- দাউদকান্দিজেলা- কুমিল্লা
১৭. পাক/৭২৩২৪, এস. জি. টি. জহুরুলহক
পিতা-মি. কাজীমুজিবুলহক
গ্রাম-সোনাপুর,পোঅ-সোনাপুর, পিএসকোতোয়ালি, নোয়াখালী।
১৮. প্রাক্তন – এ. বি. মোহাম্মদখুরশিদ
পিতা-মি. আব্দুলজব্বার।
গ্রাম-সাবেরকুঠির, পোঅ-ফরিদপুর, পি. এস.- কোতোয়ালি, ফরিদপুর।
১৯. মি. খানএমশামসুররহমানসি. এস. পি
পিতা- ইমতেয়াজউদ্দিনখান
গ্রামএবংপো. অ-লামুবাড়ী,পি. এস-মানিকগঞ্জ, তেহ্মানিকগঞ্জ, ঢাকা।
২০. পি. জে. ও. -৭৬৮, আর. আই. এস. – এ. কে. এম. শামসুলহকএ. সি.
পিতা-আব্দুলসামাদa
গ্রাম – পুতালপো.অ.- লামুবাড়ী, পি. এস. মানিকগঞ্জ, ঢাকা।
২১. ৩০৩১০১৮হাব. আজিজুলহকএস. এস. জি.
পিতা- মি. সিরাজুলহক
গ্রাম-কাচিয়া, পো. অ. এবংপি. এস-বারানাদি, বরিশাল।
২২. পাক/৭৩০৪০, এস. এ. সি.মাহফুজুলবারি
পিতা-মাওলানাএ. কে. মোরনাজ্জাদ
গ্রাম-চারলক্ষী,পো. অ.- রামঘাটিহাট, পি. এস. রামাঘাটি, নোয়াখালী।
২৩. পাক/৭০৪১৫, এস. জি. টি. শামসুলহক
পিতা – হাজীসাদিকআলী
গ্রাম-ফেনী, নোয়াখালী।
২৪. পি. এস. এস.-১০০৫২০, মেজরশামসুলআলম,এ. এম. সি.
পিতা- মি. শামসুজ্জোহা
১৬নং, খাজেদেওয়ান, ২য়লেইন, ঢাকা।।
২৫. পি. এসএস- ৬১০০, ক্যাপ্টেনমোহাম্মদআব্দুলমোতালিব।
পিতা- মি. হাফিজুদ্দিন
গ্রাম – দারুণবাইরাতী, পি. এস. পার্বাঢালা,পি.ও.-শামগঞ্জ, তেহশীলনেত্রকোনা, মযমনসিংহ।
২৬. পি. টি. সি. -৫৭২৭, ক্যাপ্টেনএম. সৌকতআলীমিয়ান
পিতা-মুন্সীমুবারাকআলী
গ্রাম-চাকধাপো. অ.-লন্জিং, পি. এস-নারিয়া, ফরিদপুর
২৭. পি. এ.-৬৫৬১,ক্যাপ্টেনখন্দকারনাজমুনহুদা,এ. এস. সি.
পিতা-মৃতমি. খন্দকারমুয়াজ্জামানহোসাইন
গ্রাম-বরিশালপশ্চিমবগুড়ারেড, বরিশাল।।
২৮. ক্যাপ্টেনএ. এন. এম. নুরুজ্জামানই.বি.আর.
পিতা -মৌলভীআবুআহমেদ
গ্রামএবংপো. অসাঈদাবাদপি.এস. রায়পুরা, ঢাকা।
২৯. পাক/৭০৭০৪. এসজিটি. আব্দুলজলিল
পিতা-মৌলভীআব্দুলকাদির
গ্রাম-সার্রাবাদ (হাজীবাড়ী). পো. অ. নারায়নপুর. ঢাকা।
৩০. মি. মোহাম্মদমাহবুবউদ্দিনচৌধুরী
পিতা-আলহ্বাজমৌলভীআজিজুদ্দিনমোহাম্মদচৌধুরী
গ্রাম-পিআইমপি.ও.চাইতান, সিলেট।
৩১. পি.নং৯৫৮.১/এল. টি. এম. এম. এম. রহমান
পিতা-মি. মোল্লামোহাম্মদসুলাঈমান
গ্রাম- এবংপি. ও-মাকরাইলপি. এস. লোহাগড়া, যশোর।
৩২. প্রাক্তনসাব. এ. কে. এম. ফজলুলইসলাম
পিতা-মৌলভীদালিলুদ্দিনআহমেদ
গ্রাম -শেরপুরপি. এস. বান্দারিয়া,বরিশাল
৩৩. মি. মোহাম্মদআলীরেজা
পিতা-মৌলভীজহুরআলীআহমেদ
গ্রাম-লাহিনী
পো.অ- কুষ্টিয়া, পি.এস. কতোয়ালী, কুষ্টিয়া।
৩৪. পি. এস. এস.-২০০৪৭১. ক্যাপ্টেনখুরশিদউদ্দিনআহমেদ. এ. এম. সি.
পিতা-মৌলভীআব্দুলরহমান
গ্রামএবংপো. অ.-বানসাই, পি. এস.-গাফ্ফারগঞ্জ,ময়মনসিংহ
৩৫. পি. নং-৯৪৪.১/ এল. টি.আব্দুররউফ
পিতা-আলহ্বাজআব্দুললতিফ
পাকিস্তানহাউজ. পি. ও. এবংপি. এস.-ভৈরব,ময়মনসিংহ
” প্রত্যক্ষদর্শীদেরনামেরতালিকা।”
১.এলটি. মোজাম্মেলহোসাইন
পিতা- মৌলভীমিনহাজউদ্দিন
গ্রাম-ফুলকলি, পশ্চিমপাকিস্তান – কতোয়ালী,ময়মনসিংহ।
মি. কামালউদ্দিনআহমেদ
পিতা-মৃতলাইমিয়ান।
২৯/৩. কোয়াটারসারকুলাররোড,মগবাজারঢাকাএবংগ্রামরুহটিয়া, পি. এস. ফেনীনোয়াখালী।
৩. প্রাক্তনকর্পোরালআমিরহোসাইনমিয়ান
পিতা- মোহাম্মদফাজিলমোল্লাহ্
রুপবাবুরচর, দারিকান্দি, পো. অ-জানজিরাপি. এস. জানজিরা, ফরিদপুর।
৪. মি. কে. জি. আহমেদ
পিতা- মৃতমৌলভীআব্দুলকারিন
১৩৯. আর. কে. মিশনরোডঢাকাএবংগ্রামচিরোয়া. পি. এস. চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা।
৫. ওয়ারেন্টঅফিসারমোশাররফহোসেইনশেখ
পিতা-শেখজালালউদ্দিনআহমেদ
গ্রাম -পূর্বনিজরা, পি. ও. বউটিলা,ফরিদপুর।
৬. পাক/৫৪২৭২. এস.জি. টি.সারাসউদ্দিনআহমেদ
পিতা- মি. মোহাম্মদআফতাবউদ্দিন
গ্রাম -নিজকল্প. পি. ও. এবংপি. এস- ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ।
৭. ডঃসাঈদ-উর-রহমান
পিতা – মৌলভীআবুলখায়েরচৌধুরী
১২. রাফীউদ্দিনসীদ্দিকবাইলেইন, এনায়েতবাজার, পি. এস. কতোয়ালী,চট্টগ্রাম।
৮. এল. টি. কমান্ডারশাহিদুলহক
পিতা-ডঃখুরশিদআলম
রোডনং২৫, ধানমন্ডিআবাসিকএলাকা, ঢাকাএবংগ্রামবিটঘর, পি. এস
নবিনগর, কুমিল্লা
৯. নায়েব -সাব. এম. আশরাফআলীখান
পিতা-মি. আমজাদআলীখান
গ্রাম-কাউনিয়া,পি.এস- কতোয়ালী,বরিশাল।
১০. এ. বি. এম. ইউসুফ
পিতা-মুন্সিমোহাম্মদআলী
গ্রাম – মিঠাখালী,পি. এস. মাঠবাড়ীয়া, বরিশাল।
১১. মি. মোহাম্মদমোহসিন
পিতা-মৌলভীতাসিমুদ্দিনআহমেদ
৪৫৮নংরোডনং-১৯ধানমন্ডি,আবাসিকএলাকাঢাকাএবংগ্রামপাঞ্চরোখী,ওি. এস. সাতক্ষীরা, খুলনা।
১২. এফ./এল.টিমির্জামোহাম্মদরামিজ
পিতা-মি. এম. এম. সিরাজ
৬০, পাচঁলাইশ, চট্টগ্রামএবংগ্রাম-ধানো, পি. এস. রুপগঞ্জ,ঢাকা।
১৩. পি. এ. -৬৬৩২ক্যাপ্টেনএম. আব্দুলভূইয়ান
পিতা- আলহ্বাজনুজমুদ্দিনভূইয়ান
গ্রাম – পরমাতলা,পি. ও.-বৃন্দারামপুর, পি. এস.-মুরাদনগর, কুমিল্লা।
১৪. কর্পোরালজামালউদ্দিনআহমেদ
পিতা-মি. বশিরুদ্দিন
গ্রাম-বারামপুর, পি. এস.- সুজানগর,পাবনা।
১৫.পাক/৭২৭৯৫. কর্পোরালসিরাজুলইসলাম
পিতা- মুন্সীআমিনুদ্দিন
গ্রাম-শিলাই, পি. ও-শিলাই,বুড়িচং,কুমিল্লা।
১৬. মি. আবুশামস্লুতফুলহুদা
পিতা- মি. মোহাম্মদশামসুলহুদা
গ্রাম -হতোরিয়া,পি. ও.- হতোরিয়া,পি. এস.- গোসাইরহাট, ফরিদপুর।
১৭. প্রাক্তনসাবজালালউদ্দিনআহমেদ
পিতা-মি. আব্দুলমুলালিবসিকদার
গ্রাম-আলাইপুর,খুলনা।
১৮. মি. মোহাম্মদগোলামআহমেদ
পিতা- মৌলভীআব্দুলজব্বার
গ্রাম-জাফরবাদ,পি. এস. এবংপি. ও. মাদারীপুর, ফরিদপুর।
১৯. কর্পোরালহাই. এ. কে. এম. এ.
পিতা-মি. আনোয়াওল্লাহ্ভূইয়ান
গ্রামএবংপি. ও. পাথরগঞ্জ, নোয়াখালী।
২০. মি. আনোয়ারহোসেইন
পিতা- ডঃরহিমবক্স
গ্রাম-পরপাঞ্চিল, পি. ও.-ভাটপায়রিপি. এস.-শেরাগঞ্জ, পাবনা
২১. এস. জি. টি. আব্দুলহালিম
পিতা- মি. মুন্সীআব্দুলআজিয়া
৩৭,আরামবাগ, মতিঝিল,রমনা,ঢাকাএবংগ্রাম -শহিলপুর, পি. ও. – লিয়তগঞ্জ,কুমিল্লা।
২২. ওয়ারেন্টঅফিসারজাকেরআহমেদ
পিতা- মি. আব্দুলমজিদমিয়া
নোয়াখালীউপজেলা,,বর্তমানঠিকানা- জুনিয়রইঞ্জিনিয়ার, ডিপার্টমেন্টঅবপ্ল্যান্টপ্রটেকশন, গভরমেন্টঅবপাকিস্তান, ঢাকা, এয়ারপোর্টঢাকা।
২৩. এস. কিউ. এন. লিডার (রিটায়ার্ড) মেয়াজ্জামহোসেনচৌধুরী
পিতা-মৌলবীমুজাফ্ফারহোসেনচৌধুরী
১১৭. তেজকুনিপাড়া, পি. এস. তেজগাঁওন, ঢাকা।
২৪. উইংকমান্ডারমি. আশফাকমিয়ান
পিতা- মি. মিয়ানআব্দুলমাজিদ
স্কেটারামবিল্ডিং, বিপরীতব্লকনং-১৩, সারগদা(পশ্চিমপাকিস্তান), বর্তমানঠিকানা-ও. সি. মেইন্টেনেন্সউইং. এইচ্. কিউ. পূর্বপাকিস্তানপি. এ. এফ. ঢাকা।
২৫. মি. আব্দুলহোসেইন
পিতা-মি. জামসেদমিস্ত্রি
কামারগাওন,পি. এস. শ্রীনগর,ঢাকা।
২৬. মি.আলীআহমেদ
পিতা- মি. মোহাম্মদইয়াসিনমিয়ান
গ্রাম-মধুপুর,পি. এস. – রামগন্জ, নোয়াখালী।
২৭. মি. ইফতেখারআহমেদ
পিতা-মি. সাঈদআহমেদম্যানেজার. মটোরকর্পোরেশন, পাকিস্তানলিঃ, লাবলেইন, চট্টগ্রাম।
২৮. চৌকিদাররেহমতআলী
পিতা- মৃতনাজিমুদ্দিনআকন্দ
সি. এস. ও. রেজিওনালঅফিস, ২৮. নয়াপল্টন, ঢাকাএবংগ্রাম-গোলমারি, পি. এস. দাউদকান্দি,কুমিল্লা।
২৯. এ. এস. আব্দুললতিফ
পিতা-********
রমনা,পি. এস. ঢাকা
৩০. মি. আশরাফুদ্দিনআহমেদ
সার্বেঅফিস, সি.এ.ও. রেজিওনাল২৮, নয়াপল্টন,ঢাকা।
৩১. মি. এম. এ. করিমভূমিসহঃসমন্বয়সাধনকারী,
সার্বেঅফিসারসি. এস. ও. রেজিওনালঅফিস, ২৮নয়াপল্টন, ঢাকা।
৩২. মি. এম. এ. মান্নাফদে,সাপডিটিঅবপুলিশ
স্পেশালব্রাঞ্চঢাকা।
৩৩. মোহাম্মদআফজালভাষান,একাউন্টেন্ট
ন্যাশনালব্যাংকঅবপাকিস্তান, লোকালঅফিস, জিন্নাহএ্যাভিনিউ,ঢাকা।
৩৪. মোহাম্মদআজহারুলইসলাম,একাউন্টেন্ট
ন্যাশনালব্যাংকঅবপাকিস্তান, লোকালঅফিস,জিন্নাহ্এভিনিউ,ঢাকা।
৩৫.এ. হাশিমএস-এল
পুলিশস্টেশনকোতোয়ালি, ঢাকা।
৩৬. মোনতাজউদ্দিনশিকদার
এসিস্টেন্টম্যানেজার, ঢাকাহোটেল, ঢাকা।
৩৭. মোহাম্মদজাহির
পিতা-এল. শাহাবউদ্দিন
৭৯/১. লুৎফুরলেইন,পি. এস. কোতোয়ালি, ঢাকা।
৩৮. এস. এল. মুজিবুররহমান
রমনা,পি. এস. ঢাকা।
৩৯. ওমানফাতেহ্খান
পিতা-এল. এ. রহুমখান
ম্যানেজার, হোটেলআরজু,ঢাকা।
৪০. আনোয়ারুলইসলাম
পিতা-এল. টি. মোহাম্মদফারুক
১০৯. নাওয়াবপুররোড,ঢাকা।
৪১.মোহাম্মদহাসমতআলীএ. এস. এল
তেজগাওন,পি. এস. ঢাকা।
৪২. মোহাম্মদআব্দুলবশর
পিতা-মোহাম্মদবিক্লায়েত
সি.ও. আনোয়ারুদ্দিনখান, ম্যানেজার, আই. ডি. বি. পি. মতিঝিল, ঢাকা
৪৩. মি. আফতাবহোসেইনমুন্সী
পিতা-এল. জাহিরুদ্দিন
২২৫ধানমন্ডিআবাসিকএলাকা,ঢাকা।
৪৪. এস- আইরগুনন্দনশাহা
রমনাপি. এস. ঢাকা।
৪৫. আব্দুসসালাম
পিতা-আব্দুলগফুর
বারদামপুরা,পি. এস.-নাওয়াবগঞ্জ,ঢাকা।
এ./পি. ১০৬. নাখালপাড়া. পি.এস. রমনা, ঢাকা।
৪৬. মি. মোস্তাকআহমেদ
পিতা- মোহাম্মাদহানিফ
২৯/১-ক,নিউসার্কুলাররোড,রমনাঢাকা।
৪৭. সেলামাতউল্লাহ্মিয়া
পিতা-মোহাম্মাদদিনাওয়াতউল্লাহ্ভূইয়ান
৪৮৮,নয়াতলা,ঢাকা।
৪৮. মোহাম্মদওয়ালিওল্লাহ্
পিতা-এল. হাসানআলী
৩৩৫. নয়াতলাঢাকা।
৪৯. এস.-আই. কে. এস.ইসলাম
পিতা – আব্দুলকরিম
লালবাগপি. এস. ঢাকা।
৫০. আব্দুলরশিদ
পিতা- মফিজউদ্দিনআহমেদ
১- সেকেন্ড, মিরপুরব্লক. পি. এস. তেজগাওন,ঢাকা।
৫১. মোহাম্মদনুরুলইসলাম
পিতা- এম. এম. সায়েদ
গ্রিনভিউপেট্রোলপাম্প, সেন্ত্রালপুর,পি. এস.- চান্দিনা, কুমিল্লা।
৫২. আলীআশরাফমালিক
পিতা- আব্দুলআব্দুররহমানমিয়ান
হোটেলগ্রিনঢাকা।
৫৩. মোহাম্মদনজরুলইসলাম
টেলিফোনঅপারেটরঅবহোটেলগ্রীন, ঢাকা।
৫৪. এস-আই. জালালউদ্দীন
রমনাপি. এস. ঢাকা।
৫৫. মি. বিশ্বেসরশিকদার
পিতা-মৃতনিকুঞ্জবিহারীশিকদার
কাদুরখিল. পি. এস. বেয়ালখালী, চট্টগ্রাম, এ. /পিএকট্
৫৬. মি. বি. পি. দেব
পিতা- খিতিশচৌধুরী
আকিলপুর,পি. এস. সোনাগাজী,নোয়াখালী।
৫৭.এস.-আই.. মনিরুদ্দিনআহমেদ
কোতোয়ালিপি. এস. চট্টগ্রাম।
৫৮.হাজীআহমেদুররেহমানচৌধুরী
পিতা-মৃতহাজীআব্দুররেহমানচৌধুরী
৩নং, রেকাজুদ্দিনরোড,চট্টগ্রাম।
৫৯.মোহাম্মদসালেহ্আহমেদ
পিতা-মৃতআহমেদহোসাইনমওয়া
আগ্রাবাদডি. এম. পি. এস. এ/পি. ম্যানেজারহোটেলমিশকা, চট্টগ্রাম।
৬০.এ. এস.-আই. এ. হোসাইন
পিতা- মৃতহোসাইনজানচৌধুরী
রমনাপি. এস. ঢাকা।
৬১. মি. গোলামমোস্তাফাচৌধুরী
পিতা- মৃতরাশেদমিয়া
বুলাইলোজ, পাবনাএ. /পি. হোটেলকাসিরিনা,ঢাকা।
৬২. মি. বাবুমিয়া
পিতা-আলহ্বাজমোশারাফহোসাইন
৫২, কাকরাইল, ঢাকা।
৬৩.মোকারমহোসাইন
চিফএকাউন্টেন্ট -জেনারেলঅবব্যাংকিং, এন. বি. পি. জিন্নাহ্এভিনিউ, ঢাকা।
৬৪. জিল্লুররহমানএ. সিসি. টি.
ইনচার্জঅবসেভিংব্রাঞ্চ,এন. বি. পি. জিন্নাহএভিনিউ, ঢাকা।
৬৫.ইউসুফআহমেদই. পি. সি. এস.
সহকারীকমিশনার, রিলিফএন্ডরেহাবিলিটেশন, ঢাকা।
৬৬. এ.বি. বদরুদ্দিন
পিতা -মৃতএ. হাসরাত
২৫/ই. স্টাফকোয়াটারস, নিউকলোনী,আইয়ুবগেইট, ঢাকা।
৬৭.আমজিদআলী
পিতা-ওয়াজেদআলী
৩৫. আজিমপুরপি. এস. লাইবাগ, ঢাকা।
৬৮. মোহাম্মদলোকমান
পিতা- কালাখান
৪. গ্রীনরোড, লাইবাগ,ঢাকা
৬৯. মি. গোলামমেহদিচৌধুরী
ডি. এস. পি. এইচ. ও., বাকেরগঞ্জ।
৭০. মি. এম. এ. মাবুদ
রেজিওনালএকাউন্টসঅফিসার, আই. ডব্লিউ. টি. এ.।
৭১.সায়েদমনতাজদ্দিনআহমেদ
এডমিনিস্ট্রেটিভঅফিসার, ই. পি., এল. ডব্লিউ. টি. এ.।
৭২. মি. নুরুলইসলাম
পিতা- মৃতআব্দুররেহমান
এল. ডব্লিউ. টি. এ., বরিশাল।
৭৩. মাকফারুদ্দিনআহমেদ
পিতা- মি. সুলতানমিয়া
গাগুরিয়া, পি. এস. মেহেদিগঞ্জ, বরিশাল।
৭৪. মি. এ. লতিফ
শেখপুর, পি. এস. বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী।
৭৫. মি. এম. ইউ. আহমেদ
পিতা-মোতাহেরআলীখান
৯৯. পিলখানারোড,২য়তলা,চীনাবিল্ডিং, ঢাকা।
৭৬. মি. হাবিবুররহমান
সিঙ্গারকাটরি,পি. এস. কোতোয়ালী, বরিশাল।
৭৭. মোহাম্মদআব্দুলবাশান
একাউন্টেন্ট, এন. বি. পি., জিন্নাহ্এভিনিউ,ঢাকা।
৭৮. মোহাম্মদইউসুফইউনুস
একাউন্টেন্টএন. বি. পি. জিন্নাহএভিনিউ, ঢাকা।
৭৯. জিয়াউররহমান
একাউন্টেন্ট, এন. বি. পি. (লোকালঅফিস, জিন্নাহ্এভিনিউ,ঢাকা।
৮০. এস. আই. আলতাফ. হোসাইন
ফেনীপি. এস., নোয়াখালী।
৮১. মি. তাজুলইসলাম
টেলিগ্রাপিস্টঅবফেনীটেলিগ্রাফঅফিস।
৮২. মি. এ. কে. এম. সাহাবুদ্দিন
পিতা- আলহ্বাজফজলুলকরিম
আজিজফাজিলপুর, পি. এস. ফেনী
৮৩. মোহাম্মদনুরআহমেদ
পিতা-বাদশামিয়া
চাকহাকদি, পি. এস. ফেনী, নেয়াখালী।
৮৪. নজিরআহমেদ
পিতা-ইবাদুল্লাহ
কাজিপুর, পি. এস. ফেনী, নোয়াখালী।
৮৫. আব্দুলওয়াহাবচৌকিদার
ফেনীরেস্টহাউস।
৮৬. মোকতারআহমেদ, সহকারীএকাউন্টেন্ট
পিতা-আব্দুলখালিক
মোটরকর্পোরেশনপাকিস্তানলিঃ, চট্টগ্রামশাখা।
৮৭. নুরুদ্দিন
পিতা-মৃতআব্দুললতিফ
অফিসার, হাবিবব্যাংক, চট্টগ্রাম, লালদিঘী।
৮৮. মোমতাজউদ্দিন
পিতা – মোহাম্মদফৌজদারখান
অফিসার, হাবিবব্যাংক,চট্টগ্রাম, লালদীঘি।
৮৯. খোকনবড়ুয়া
পিতা-হৃদয়রয়বড়ুয়া
বয়অবহোটেলমিশকা, চট্টগ্রাম।
৯০. মি. এস. রশিদআলীরিজবী
সেল্সসুপারভাইজার, পি. আই. এ. চট্টগ্রাম।
৯১. ফরিদআহমেদ
পিতা-মৃতসিদ্দিকআহমেদ
কন্ট্রাক্টর।
৯২. সিদ্দিকআহমেদশামসুলআলম
পিতা- মৃতসিদ্দিকআহমেদ
চাদঁগাও, পি. এস. পাচঁলাইশ,চট্টগ্রাম।
৯৩. মোহাম্মদসুলাঈমান
পিতা- মুরাদ
ম্যানেজমেন্টম্যানেজার, হোটেলশাহাজাহান,চট্টগ্রাম।
৯৪. মি. শমেশ্বরনাহা
পিতা- মৃতঈশ্বরচন্দ্রনাহা
রিশিপশনিস্ট, হোটেলশাহাজাহান,চট্টগ্রাম।
৯৫. মি. এম. রাজবি. এস. এ. এস.
একটিংডিস্ট্রিক্টম্যানেজার, পি. আই. এ., চট্টগ্রাম।
৯৬. মি. এম. রাজবি. এস. এ. এস
একটিংডিস্ট্রিক্টম্যানেজার, পি. আই. এ. চট্টগ্রাম।
৯৭. মি. রোশানুদ্দিন
সহকারীডিস্ট্রিক্টম্যানেজার, পি. আই. এ.
৯৮. মোকলেসুররহমান
পিতা- হাজীআব্বাসআলী
জয়দেবপুর, পি. এস. লক্ষন, কুমিল্লা, এ. পি.১৩/খ, অভয়দাশলেইন, ঢাকা।
৯৯. মোহাম্মদওয়ালীআহমেদ
পিতা – আহমেদআজিজ
নেরাহরিপুর,পি. এস. লক্ষণ,কুমিল্লা।
১০০. মি. এ. কে. এম.মোশলেহ্উদ্দিনএস. আই.
এস. পি. এল. শাখা(স্পেশিয়ালটিম),ঢাকা।
১০১. মি. এম. এ. কুইয়ান
অফিসারন্যাশনালএন্ডগ্রীনলাইসব্যাংক,মতিঝিল, ঢাকা।
১০২. এ. তাহিদ.
ন্যাশনালএন্ডগ্রীডলাইসব্যাংক, ঢাকা।
১০৩.মি. হাবিবুইরেহমানখান
জুনিয়ারঅফিসার, এন. বি. পি. জিন্নাহ্এভিনিউ, ঢাকা।
১০৪. এস-আইরিয়াজুলকরিম
এস. পি. এল. ব্রাঞ্চ(স্পেশালটিম), ঢাকা।
১০৫. জেট. বি. এম. বক্স
এক্সিকিউটিভএসিস্টেন্ট,আই. ডব্লিউ. টি. এ.।
১০৬. এ. এ. খানআফ্রিদী
ইন্জিনিয়ারসাপডিটি., ঢাকা।
১০৭. এস-আইওয়াজেদআলী
লালবাগ, পি. এস. ঢাকা।
১০৮. খায়রুলহুদা
পিতা-মি. এন. হুদাএ
১১৩/এ. আর. এ. ধানমন্ডি, রোডনং-৫, ঢাকা।
১০৯. ডঃকে. এ. খালেক
প্রফেসর, মেডিকেলকলেজ
১১০. এ. কে. ওয়াজেদুলহক
পিতা- সাদ্দতআলীখান
১৩. চিরেনস্কয়াী, ঢাকা।
১১১. কুদরতউল্লাহ্ভূইয়ান
১৩, গ্রীনস্কয়ার, ঢাকা।
১১২. আব্দুলজব্বারহাওলাদার
পিতা- হাজীসাবারুদ্দিনহাওলাদার।
মাদারীপুরপি. এস. মাদারীপুর, ফরিদপুর।
১১৩. আনেয়ারহোসাইন
ম্যানেজার, এন. বি. পি. মাদারীপুর, পি. এস. মাদারীপুর, ফরিদপুর।
১১৪. মোহাম্মদশফিউদ্দীনমিয়া
সাবএকাউন্টেন্ট, এন. বি. পি. মাদারীপুর, ফরিদপুর।
১১৫. এস. আই. মোকাব্বারআলী
পি. এস. ডাবলমোরিং,চট্টগ্রাম।
১১৬. এস. এম. এ. তাহির
ম্যানেজার, ইর্স্টানমার্চেন্টাইলব্যাংক, চট্টগ্রাম (আগ্রাবাদশাখা)।
১১৭. আজহারুলহক
একাউন্টেন্ট, ইর্স্টানমার্চেন্টাইলব্যাংকচট্টগ্রাম, আগ্রাবাদশাখা।
১১৮. এ. বি. এম. আব্দুলখালেক
পিতা- আলহাজ্বআব্দুলজব্বারপন্ডিত
চাতারপিয়ের,পি. এস-হাজীগঞ্জ,কুমিল্লাএবংসিনিয়রএকাউন্টসঅফিসারঅবডেপুটিকম্পট্রোলারপি. এন্ডটি. এন্ডটেলিগ্রামঅবইস্টপাকিস্তান।
১১৯. বি. কে. এস. রিসাতআলী
পিতা-এস. আলিয়াবক্স
এসিস্টেন্টএকাউন্টেন্টপিএন্ডটিডিপার্টমেন্ট।
১২০. মি. জহুরইলাহীবেগ
ইন্সপেক্টরসিকিউরিটিস্পেশালব্রাঞ্চ, লাহোর।
১২১. আব্দুররশির
পিতা- মোহাম্মদইমামুদ্দিন
সিনিয়রক্লার্ক, এম. টি. সেকশনপি. আই. এ, ঢাকা
১২২. আব্দুলমান্নান
পিতা- কালাখান
টেকনিক্যালক্লার্ক, এম. টি. সেকশন, পি. আই. এ., ঢাকা।
১২৩. মি. আব্দুলমান্নান
এস. ডি. ই. বীথিকান্দি, সাব-ডিবিশনঅবকন্সট্রাকশনডিবিশননং-৩,আর. এন্ডএইচ. কাজপুর,পি. এস. বায়েদ্দেরবাজার,ঢাকা।
১২৪. মি. সিদ্দিকুররহমান
এস. এ. ই. বিথীকানসাব -ডিবিশন, কাজপুর, পি. এস.-বায়েদ্দেরবাজার,ঢাকা।
১২৫.মি. মোহাম্মদআবুলহোসাইন
পিতা-মি. পাসিয়াআলী
উজানচর,পি. এস. গলুন্দা,ফরিদপুর।
১২৬. মুশিরুলইসলাম
পিতা-হাজীমোহাম্মদমেহের
উজানচরপি. এস. গলুন্দা,ফরিদপুর।
১২৭.
পিতা- মফিজউদ্দিনআহমেদ
গ্রামএবংপি. এস.-শিবালয়া,ঢাকা।
১২৮. টি. ইডিআহমেদ
পিতা-মাজিরুদ্দিনআহমেদ
গ্রাম-নিহাতপুর,পি. এস. ঢাকা।
১২৯. মি. জামালুদ্দিন
এ. ডি. সি. রেজিওনালসি. এস.৩, ২৮. নয়াপল্টন, ঢাকা।
১৩০. এইচ. এম. ইউরি
ডি.ওয়াই. এস. পি., এইচ. ও., খুলনা।
১৩১. এসকে
পিতা- মৃতএস. কে. আজিজুদ্দিন
১নং,রায়পুরারোড, খুলনা।
১৩২. হাফিজুদ্দিনমিয়া
পিতা-তেহেরুদ্দিন
গ্রাম – খানাপি. আজানয্,ঢাকা
১৩৩. এ. সি. কে.
পিতা-আব্দুলহাকিম
৩৭. সদরঘাটরোড, চট্টগ্রাম।
১৩৪. লালদাশ
পিতা – শ্যামচরণদাশ
প্রবর্তকসংঘহাইস্কুল, পাচঁলাইশ, চট্টগ্রাম।
১৩৫. মি. নুরুলইসলাম
পিতা- মি. মফিজুদ্দিনআহমেদ
গ্রাম- রংপুর, পি. এস. চানদিয়ান, কুমিল্লা।
১৩৬. এ. কে. রয়
পিতা- জামানিমহানরয়
ক্লার্কগ্রীণভিউ, ফিলিংএন্ডসার্বিংপাম্প, লালবাগ, ঢাকা।
১৩৭.মি. রেজারব্বানী
পিতা -মি. হোসেনুদ্দিন
১৮, ল্যাবরেটরিরোড,লালবাগ,ঢাকা।
১৩৮. ডঃএস. এম. আনোয়ারুলইসলাম
পিতা- এস. এম. সায়েদুল
১৩৩, ইলিপেন্টরোড,ঢাকা।
১৩৯. পাক/৪০৩৭৮ইকবালওসমানি
প্রোবস্টনং২, প্রোবস্টএন্ডসিকিউরিটিকোরাঙ্গিক্রেক,করাচি।
১৪০. মোকিমইউ. কিরমানিফিল্ট. এল.টি.
ওর্ডারলিঅফিসার, পাকিস্তানএয়ারফোর্সস্টেশন,করাঙ্গি,ক্রেক,করাচি।
১৪১. মি. জাহিদবশিরআনশন. বি. ডি. মেম্বার
ইউনিটনং. ৪০৬,১৯/৫ক্লিপটনকোয়াটারস,করাচি-৫।
১৪২. মি. মোহাম্মদজাবিরসিদ্দিক
পিতা -ওয়াজিরহোসাইন
৫/১৬,তাজমহলরোড,সি. ব্লক,মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
১৪৩. কাজীমেসবাহ্উদ্দীন
ডি. ওয়াই. চিফম্যানেজার,ইস্টার্নব্যাংকিংকর্পোরেশন, মতিঝিলবানিজ্যিকএলাকা,ঢাকা।
১৪৪. দুলালখান
পিতা-সারোয়ারখান
ইলেকট্রিকসপ্অববাবুপুরা,ঢাকা।
১৪৫. আব্দুসসোবহান
পিতা-হিম্মাতআলী
৩৭/১২. এফ. ব্লক, মোহাম্মাদপুরকলোণী,ঢাকা
১৪৬. মি. আলীরেজাখান
পিতা- মনিরুদ্দিনখান
গ্রাম- নয়াসরি, পি. এস. নিকলি, ময়মনসিংহ
এ. পি. স্টাফফটোগ্রাফার, ই. পিডব্লিউএপিডিএ.।
১৪৭. নাজিরুদ্দিন
পিতা- ইরনরাতআলী
১৯৩. মতিঝিল, পি. এস. রমনা, ঢাকা।
১৪৮. মুকুলচন্দদত্ত
পিতা-কাহিন্দ্রপ্রসাদদত্ত
আমলাপাড়াপি. এস. জামালগঞ্জ,ময়মনসিংহ
এ/পি,প্রপ. আর্টিস্টএন্ডফটোগ্রাফী,১৯৩মতিঝিলরোড, ঢাকা।
১৪৯. মি. জয়নুলআবেদিন
পিতা- মুন্সিসাবেরউদ্দিন
১০, আগামাছিলেইন,ঢাকা।
১৫০. মোহাম্মদনুরুলইসলাম
পিতা-মফিজুদ্দিনআহমেদ
গ্রাম-রানীপুর, পি. এস. চাদঁপুর, কুমিল্লা
এ/পি. গ্রীণভিউপেট্রোলপাম্প, লালবাগ, ঢাকা।
১৫১. মোহাম্মদহানিফ
পিতা -রহিমবক্সমুন্সী
গ্রামনয়ানন্দ, পি. এস. টঙ্গীবাড়ী,ঢাকা
এ. /পি. এসিস্ট. এম. বি. ডেপট. ডি. ওয়াই
কমিশনারস্অফিস,ঢাকা।
১৫২. মি. এম. সিদ্দিকখান
পিতা- কে. বি. মাজরওলিমোহাম্মদখান
এস. জি. টি. এম. বি. সেকশন,ঢাকা।
১৫৩. এস. -আই. মনিরুদ্দিনআহমেদ
পি. এস. কতোয়ালী,চট্টগ্রাম।
১৫৪. মোহাম্মদশফিকুররহমান
পিতা- কাদেরবক্স
গ্রাম-বারানতাই, এ. /পি. এসিস্টেন্টএম. বি. ডিপার্টমেন্টকালেক্টর, চট্টগ্রাম
১১৫. মি. আব্দুলকুদ্দস
পিতা- হাজীগুরামিয়া
গ্রাম- কোরালদাঙ্গা, পি. এস. বোয়ালখালী,চট্টগ্রাম
এ/পি. এসিস্ট-এম. বি. ডেপট্কালেক্টর, চট্টগ্রাম।
১৫৬. এ. এস-আই. মামরুলহক
পি. এস. কোতোয়ালি, চট্টগ্রাম।
১৫৭. মি. এস. এম. হায়দার
পিতা-মি. হুসাইন
ম্যানেজারএম/এস. হাবিবব্যাংক, লালদীঘি, চট্টগ্রাম।
১৫৮. মি. আতাহারিশ
পিতা- মি. ঈসমাঈলইলারিশ
কাতালগঞ্জআবাসিকএলাকা,চট্টগ্রাম
এ. /পি. সিনিয়রডি. ওয়াই. কন্ট্রোলারঅবব্রাঞ্চেসঅবহাবিবব্যাংক।
১৫৯. মোহাম্মদইউসুফ
পিতা- নুরআহমেদ
গ্রাম – গোসাইলধামপু,পি. এস. ডাবলমুরিং, চট্টগ্রাম।
১৬০. মোহাম্মদওয়াীউল্লাহ
পিতা- হাচানআলী
৫৪৩. নয়নতলা,পি. এস. তেজগাওন, ঢাকা।
১৬১. রহুলআমিন
পিতা -আব্দুসসালাম
ম্যানেজারদিনোফাহোটেল, ফেনী, নোয়াখালী।
১৬২. মি. মোহাম্মদসিদ্দিক
পিতা-গোলামমোহাম্মদসিদ্দিক
১৬/১০রানকিনস্ট্রিট, পি. এস. সুতাপুর,ঢাকা
২/২১, ব্লকডি. তাজমহলরোড,ঢাকা।
১৬৩. মি. রেজারব্বানী
পিতা-মি. হোসাইনুদ্দিন
৮১. ল্যাবরেটরিরোড,পি. এস. লালবাগ, ঢাকা।
১৬৪. দালিলুদ্দিনআহমেদ
পিতা – গগনআলীমাতবর
গ্রাম-আই. ১১এ. পি. এস. গোরনদী,বাকেরগঞ্জ।
১৬৫.ইউ. কল. শেরআলীবাজ
আই. এস. আই. ডাইরেক্টরেটক্যাম্প, ঢাকা।
১৬৬.মি. এম. এম. সায়েদ
পিতা-এ. ওয়াহেদ
ম্যানেজারহোটেলগ্রীন,ঢাকা
১৬৭. মাখনলালঘোষ
পিতা-অভিমন্নয়ঘোষ
ক্যাশিয়ার, হোটেলআরজু, ঢাকা।
১৬৮. মি. সহরোওয়ার্দী
ইন্সপেক্টরঅবপুলিশ, এস. বি. ই. পি., ঢাকা।
১৬৯.সুকুময়বিশ্বাস
পিতা-দ্বারকানাথবিশ্বাস
মুহিরা,পি. এস. পটিয়া,চট্টগ্রাম
এ. /পি. ৪১, রামজয়মহাজনলেইন, কতোয়ালী, চট্টগ্রাম।
১৭০. বানতামসি. এইচ. দত্ত
পিতা-মৃতপরেশচন্দ্রদানা
হবিলাসদ্বীপ,পি. এস. পটিয়া,চট্টগ্রাম।
১৭১. মি. স্লুতজাহানুদ্দিনআহমেদ
সেকশনঅফিসার, সি. ডি. এ. চট্টগ্রাম।
১৭২. মি. মনোরঞ্জনতালুকদার
চিফইন্জিনিয়ার,সি. ডি. এ., চট্টগ্রাম।
১৭৩. আব্দুলকাদের
পিতা – মোহাম্মাদইসহাক
৬৭. বটতলীরোড,পি. এস. কতোয়ালী, চট্টগ্রাম।
১৭৪. আলমখান
পিতা-লালখান
রিয়াজউদ্দিনরোড. জে. এল/এল. সিঙ্গারমেশিনরিপেয়ারিংশিপ ,চট্টগ্রাম।
১৭৫. মাইকেলধর
পিতা – ডি. সি. ধর
৩. মোহিমদাশরোড, কোতোয়ালি, চট্টগ্রাম।
১৭৬. শাম্বুদাশ
পিতা- হরিপ্রসন্নদাশ
৩.মোহিমদাশরোডকতোয়ালী,চট্টগ্রাম।
১৭৭.মি. আব্দুলফাতিরসিদ্দিক
এসিস্টেন্টএকাউন্টঅফিসার, টেলিফোন, রেভিনিউ, ঢাকা
১৭৮. মি. মোহাম্মদআমিনুদ্দিন
সুপারভাইজর, টেলিফোনরেভিনিউ,ঢাকা।
১৭৯. মি. জি. এম. কাদরী
এ. ডি. সি.,ঢাকা।
১৮০. মি. এজাজমোহাম্মদখান
এডিশনালডিসট্রিক্টমেজিস্ট্রট,রাওয়ালপিন্ডি, পশ্চিমপাকিস্তান।
১৮১. মি. এ. কিউ. চৌধূরী
মেজিস্ট্রেট (১মশ্রেনী) ঢাকা।
১৮২. আফসান্সক্লিনআহমেদ
মেজিস্ট্রেট১মশ্রেনীঢাকা।
১৮৩.মি. আব্দুলমাজিদকোরাইশি
হ্যান্ডরাইটিংএক্সপার্ট, এ. ডি. ইন্টেলিজেন্সব্যুরো,রাওয়ালপিন্ডি,ওয়েস্টপাকিস্তান।
১৮৪.মি. আব্দুলকাদের
ইন্সপেক্টরঅবপুলিশ,এস-বি, ই. পি. (এইচ. ডব্লিউএক্সপার্ট), ঢাকা।
১৮৫. এল. টি. কমান্ডারএ. বি. সায়েদ
নেভাল,হেডকোয়াটার, করাচি।
১৮৬. মি. এইচ. আর. মালিকসি. এস. পি.
সেক্রেটারিআর. ডব্লিউ. এন্ডআর. টি. ডিপার্টমেন্ট, গভরমেন্টঅবইস্টপাকিস্তান, ঢাকা
১৮৭. মি. ফজলুররহমান
ইন্সপেক্টরঅবপুলিশ, সি. আই. এ.(এস. বি. করাচি)
১৮৮. মি. এস. এম. মোক্তারআহমেদ
ইন্সপেক্টরঅবপুলিশএস. এইচ. ও., আর্টিলারিমিডিয়ম, পি. এস. করাচি
১৮৯. মোহাম্মদজানসিদ্দিকি
স্টেটঅফিসার, করাচি।
১৯০. মি. আবরারআহমেদডিওয়াই. এস. পি. স্পেশালব্রাঞ্চ,লাহোর।
১৯১. মি. এখালেক(২) পি. পি. পি. এম., পি. এস. পি.
স্পেশালসাপডিটি. অবপুলিশ, স্পেশাকটিম,ঢাকা
পৃষ্ঠা৩৫৬।
১৯২. মি. এ. মাজিদ. কিউ. পি. এম., পি. পি. এম.
স্পেশালসাপডিটি. অবপুলিশ,এস. বি., ঢাকা
১৯৩. মি. এ. কে. এম. আবসানুল্লাহ্
ডি. ওয়াই. সাপডিটি. অবপুলিশ, স্পেশালব্রাঞ্চ, এস. টি.,ঢাকা
১৯৪. মি. আব্দুসসামাদতালুকদার, পি. এম. জে.
ইন্সপেক্টরঅবপুলিশ, এস. বি. স্পেশালটিম, ঢাকা
১৯৫.মি. জিয়াউলহকখানলদি
ইন্সপেক্টরঅবপুলিশ, এস. বি. স্পেশালটিম,ঢাকা
১৯৬. মি. সিরাজুলইসলাম
ইন্সপেক্টরঅবপুলিশএস. বি., স্পেশালটিম,ঢাকা
১৯৭. মি. মোহাম্মদইসরাঈল
ইন্সপেক্টরঅবপুলিশ, এস. বি., স্পেশালটিম, ঢাকা
১৯৮. মোহাম্মদআব্দুসসাত্তারচৌধূরী
ইন্সপেক্টরঅবপুলিশএস. বি.,স্পেশালটিম,ঢাকা
১৯৯. এল. টি. কমান্ডারসায়েদফজলরাব
এস. ও. এন. এ. নেভালহেডকোয়াটার,করাচি
২০০. ওয়াইচারএফ. সি. মোহাম্মদঈসমাইল
সি/ও, সাপডিটিঅবপুলিশ, স্পেশালব্রাঞ্চ,করাচি
দলিলপত্রের তালিকা
(রেফারেন্স অনুচ্ছেদ ৫ ও পরিশিষ্ট)
ক্রমিক নং | বর্ননা | কোর্টে উপস্থাপন | মন্তব্য |
০১ | ঢাকার সুলতান কর্তৃক ১৩ আগস্ট ১৯৬৫ তারিখে করাচীর মিয়া সাহেবের (মুহাম্মদ আমির হোসেন মিয়া) পাঠানো চিঠি | — | — |
০২ | ঢাকার সুলতান কর্তৃক করাচীর মিয়া সাবের কাছে পাঠানো তারিখবিহীন চিঠি | — | — |
০৩ | চট্টগ্রামের এম. রহমান কর্তৃক ২৯শে নভেম্বর ১৯৬৫ তারিখে করাচির হোসেন সাহেবের কাছে পাঠানো চিঠি | — | — |
০৪ | চট্টগ্রামের “এম” কর্তৃক সাক্ষরিত করাচীর হোসেন সাহেবের কাছে পাঠানো চিঠি (তারিখের অংশ ছিড়ে ফেলা) | — | — |
০৫ | করাচীর “আলো” কর্তৃক ঢাকার “উল্কার” নিকট ৯ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬ তারিখে পাঠানো চিঠি | — | — |
০৬ | করাচীর আলো (লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোয়াজ্জেম) কর্তৃক ২৫শে ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬ তারিখে প্রেরিত ঢাকার উল্কার (আমীর হোসেন) নিকট প্রেরিত চিঠি | — | — |
০৭ | করাচীর থেকে আলো কর্তৃক ঢাকার আমির হোসেনের ঠিকানায় পাঠানো ১৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬ তারিখে পাঠানো টেলিগ্রামের একটি অনুলিপি | — | — |
০৮ | করাচীর “আলো” কর্তৃক ঢাকার মিয়া সাহবের নিকট ৪ মার্চ ১৯৬৬ তারিখে প্রেরিত চিঠি | — | — |
০৯ | করাচীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোয়াজ্জেম কর্তৃক ঢাকার আমির হোসেনের নিকট ১৯ মার্চ ১৯৬৬ তারিখে প্রেরিত চিঠি | — | — |
১০ | করাচীর মোয়াজ্জেম কর্তৃক ঢাকার আমির হোসেনের কাছে ১লা এপ্রিল ১৯৬৬ তারিখে প্রেরিত চিঠি | — | — |
১১ | করাচীর মোয়াজ্জেম কর্তৃক ঢাকার আমির হোসেনের কাছে ৬ই এপ্রিল ১৯৬৬ তারিখে প্রেরিত চিঠি | — | — |
১২ | করাচী থেকে মোয়াজ্জেম কর্তৃক আমির হোসেনের নিকট ৬ এপ্রিল ১৯৬৬ তারিখে প্রেরিত টেলিগ্রামের অনুলিপি | — | — |
১৩ | করাচীর মোয়াজ্জেম কর্তৃক ঢাকার আমির হোসেনের কাছে ৬ই এপ্রিল ১৯৬৬ তারিখে প্রেরিত চিঠি | — | — |
ক্রমিক নং | বর্ননা | কোর্টে উপস্থাপন | মন্তব্য |
১৪ | “Bangladesh”, “Betar Bani” ইত্যাদি সম্বলিত তারিখবিহীন এক টুকরো কাগজ | — | — |
১৫ | “Bengal Air Force”, “Bangla Sarkar” ইত্যাদি সম্বলিত এক টুকরো কাগজ | — | — |
১৬ | অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইত্যাদির বর্ণনা সম্বলিত ৪ পাতা কাগজ | — | — |
১৭ | ভাঁজ করে তুলে রাখা পূর্ব পাকিস্তানের একটি প্রাদেশিক মানচিত্র | — | — |
১৮ | এম. রহমান কর্তৃক আমির হোসেনের কাছে তারিখবিহীন চিঠি | — | — |
১৯ | শপথ ও এতদসংক্রান্ত কিছু নোট (ডায়েরীর পাতায় লেখা) | — | — |
২০ | ছদ্মনাম সংক্রান্ত কিছু নোট | — | — |
২১ | আলী রাজা কর্তৃক লিখিত Burmah Eastern Diary for 1967 | — | — |
২২ | পেশোয়ারের Jan’s Hotel-এর ৪ নভেম্বর ১৯৬৭ তারিখের ৪ নম্বর বিল | — | — |
২৩ | পি. এ. এফ. কর্তৃক ইস্যুকৃত এ. বি. এম. এ. সামাদের ছাড়পত্র | — | — |
২৪ | এ. বি. এম. এ. সামাদের সার্ভিস ও পে বুক | — | — |
২৫ | এ. বি. এম. এ. সামাদের Rupali Diary of 1967 | — | — |
২৬ | এম. এম. রামীজের কর্তৃক ২৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৬২ তারিখের আবেদনপত্র | — | — |
২৭ | ডি. সি., ত্রাণ ও পুনর্বাসন, ঢাকা অফিসের ইস্যু রেজিস্টার(২৫ জুন ১৯৬২) | — | — |
২৮ | ১৮ই নভেম্বর ১৯৬৫ তারিখের দৈনিক ইত্তেফাকের পেপার কাটিং | — | — |
২৯ | ঢাকা হোটেল রেজিস্টার(২রা ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬) | — | — |
৩০ | আমির হোসেনের এর যোগদান প্রতিবেদন | — | — |
ক্রমিক নং | বর্ননা | কোর্টে উপস্থাপন | মন্তব্য |
৩১ | হোটেল মিকশা, চট্টগ্রামের হোটেল রেজিস্টার(৫ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৬) | — | — |
৩২ | হোটেল গ্রীনের হোটেল রেজিস্টার(১৫ ই মার্চ ১৯৬৬ ও ২৪শে এপ্রিল ১৯৬৬) | — | — |
৩৩ | হোটেল শাহজাহান এর বিল বই (২৫শে মার্চ ১৯৬৬ ও ২৭শে মার্চ ১৯৬৬) | — | — |
৩৪ | আমির হোসেন কর্তৃক ৩১শে মার্চ ১৯৬৬ তারিখের ৫০০০ রূপীর ড্রাফট আবেদনপত্র | — | — |
৩৫ | ড্রাফট ইস্যু রেজিস্টার(৩১শে মার্চ ১৯৬৬) | — | — |
৩৬ | ৫০০০ রূপীর ড্রাফট (৩১শে মার্চ ১৯৬৬) | — | — |
৩৭ | গ্রীন ভিউ ফিলিং এন্ড সার্ভিসিং পেট্রোল পাম্প-এর বিক্রয় রেজিস্টার(১লা এপ্রিল ১৯৬৬) | — | — |
৩৮ | গ্রীন ভিউ পেট্রোল পাম্প স্টাফ রেজিস্টার(১লা এপ্রিল ১৯৬৬) | — | — |
৩৯ | নওয়াব আলী ড্রাইভারের ৩০ এপ্রিল ১৯৬৬ তারিখের চারিত্রিক সনদপত্র | — | — |
৪০ | একটি বাড়ী ভাড়া করার জন্য ২রা মে ১৯৬৬ তারিখের ভাড়ার চুক্তিপত্র | — | — |
৪১ | ১৯শে আগস্ট ১৯৬৬ তারিখের লেজার বই | — | — |
৪২ | সেভিংস হিসাবে ৪০০০ রূপী জমাদানের ১৯শে আগস্ট ১৯৬৬ তারিখের স্লীপ | — | — |
৪৩ | হাবীব ব্যাংকের ২৪শে আগস্ট ১৯৬৬ তারিখের ১১০০০ রূপীর চেক | — | — |
৪৪ | ৫০০০ রূপী পরিশোধের প্রভিশনাল রিসিপ্ট, ২৪শে আগস্ট ১৯৬৬ তারিখের | — | — |
৪৫ | সেইন্ট মুজিবুর রেহমানের ৩১শে আগস্ট ১৯৬৬ তারিখের সেবিংস হিসাব | — | — |
৪৬ | ১১০০০ রূপী পরিশোধের প্রভিশনাল রিসিপ্ট, ২রা সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ তারিখের | — | — |
৪৭ | প্রভিশনাল রিসিপ্ট বই ও হাবীব ব্যাংকের ২৪শে আগস্ট ১৯৬৬ তারিখের চেক বাতিলকরন | — | — |
ক্রমিক নং | বর্ননা | কোর্টে উপস্থাপন | মন্তব্য |
৪৮ | ১০ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ তারিখে সেইন্ট মুজিবুর রহমান কর্তৃক ৪৫০০ রূপী উত্তোলনের চেক | — | — |
৪৯ | চটগ্রামের মোটরযান রেজিস্টারের ১০ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ তারিখের সার্টিফাইড অনুলিপি | — | — |
৫০ | ২০শে সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ তারিখে সেইন্ট মুজিবুর রহমান কর্তৃক ৪৫০ রূপী উত্তোলনের চেক | ||
৫১ | জীপ ৯১৯৯ এর ব্লু বুক | — | — |
৫২ | গ্রীন ভিউ পেট্রোল পাম্পের বিল রেজিস্টার | — | — |
৫৩ | ফেরীতে বিভিন্ন তারিখের কার্গো ইনভয়েস বুক | — | — |
৫৪ | ফেরীতে বিভিন্ন তারিখের কার্গো ইনভয়েস বুক | — | — |
৫৫ | ঢাকা-দাউদকান্দি ফেরীঘাটের লগবুক | — | — |
৫৬ | মাদারীপুর পোস্ট অফিসের রিসিপ্ট রেজিস্টার | — | — |
৫৭ | লেফটেন্যান্ট মোয়াজ্জেম হোসেনের বিভিন্ন তারিখের ১২টি যাতায়াত ভাতার বিল | — | — |
৫৮ | কে এম এস রহমান, সি এস পি এর একটি চিঠির নেগেটিভ ফটোস্ট্যাট | — | — |
৫৯ | ৫০০০ রূপী জমাদানের স্লিপ, ৮ অক্টোবর ১৯৬৬ সালের | — | — |
৬০ | হিলম্যান কার নং ৯৫৯১ এর ব্লু বুক, ১৭ জানুয়ারী ১৯৬৭ সালের | — | — |
৬১ | জনাব এম এম রামীজের ব্যাক্তিগত ফাইল, ২৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৭ তারিখের | — | — |
৬২ | লেফট্যান্যান্ট মোয়াজ্জেম এর আই ডব্লিউ টি এ ঢাকায় ১লা মার্চ ১৯৬৬ তারিখের যোগদান পত্রের মূলকপি | — | — |
৬৩ | কোন এক সময়ে ফ্রান্সগামী আর্ট ও ফটোগ্রাফীর বই (নেগেটিভ), ২৭শে মার্চ ১৯৬৭ তারিখের | — | — |
ক্রমিক নং | বর্ননা | কোর্টে উপস্থাপন | মন্তব্য |
৬৪ | এম. আর. রাব্বানী কর্তৃক আলি রেজার জন্য ইস্যুকৃত বাড়ী ভাড়ার বিল—মার্চ ১৯৬৭ থেকে আগস্ট ১৯৬৭ | — | — |
৬৫ | সেইন্ট মুজিবুর রহমানের জন্য ইস্যুকৃত ৩ এপ্রিল ১৯৬৭ তারিখের ডিজার্টার রুল | — | — |
৬৬ | কুদরাতুলকি এবং এম. রহমানের মধ্যে সাক্ষরিত ৪ এপ্রিল ১৯৬৭ তারিখের বাড়ী ভাড়ার চুক্তিপত্র | — | — |
৬৭ | ক্যাশমেমো বই, ১৪ই এপ্রিল ১৯৬৭ তারিখের | — | — |
৬৮ | পি. আই. এ. বিল, ২১শে এপ্রিল ১৯৬৭ তারিখের | — | — |
৬৯ | মুজিবুর রহমান কর্তৃক ৪ঠা মে ১৯৬৭ তারিখ সেভিংস হিসাব খোলার ফর্ম, হিসাব নং ১০৯৯৯ (৫১) | — | — |
৭০ | রিসালদার এ কে এম শামসুল হক এর ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশন প্রত্যয়ন পত্র, ৪ঠা মে ১৯৬৭ তারিখের | — | — |
৭১ | হোটেল ডেনোফা এর ১১ই জুলাই ১৯৬৭ তারিখের হোটেল রেজিস্টার | — | — |
৭২ | শোভাপুর ব্রিজ –এর টোল সংগ্রহের বই | — | — |
৭৩ | সহকারী কমিশনার, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্তৃক ১৯শে জুলাই ১৯৬৭ তারিখে ইস্যুকৃত কারন দর্শানো নোটিশ | — | — |
৭৪ | হিসাব খোলার ফর্ম, কারেন্ট একাউন্ট নং ৩২৫১, তারিখ ২৪ জুলাই ১৯৬৭ | — | — |
৭৫ | মানিক চৌধুরীর নামে ইস্যুকৃত বাড়ী ভাড়ার রশিদ, আগস্ট ১৯৬৭ থেকে ডীসেম্বর ১৯৬৭ | — | — |
৭৬ | কুর্শিদা বেগম ও আলি রেজার মধ্যে লীজের চুক্তিপত্র, ১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭ তারিখের | — | — |
৭৭ | সেইন্ট মুজিবুর রহমান কর্তৃক উত্তোলিত ৫০০ রূপীর বিয়ারার চেক | — | — |
৭৮ | মুজিবুর রহমানের নামে ইস্যুকৃত ৫০০ রূপীর চেকের কাউন্টারফয়েল | — | — |
ক্রমিক নং | বর্ননা | কোর্টে উপস্থাপন | মন্তব্য |
৭৯ | জান’স হোটেল, পেশোয়ার-এর ৪ নভেম্বর ১৯৬৭ তারিখের ভিজিটর রেজিস্টার | — | — |
৮০ | পি. আই. এ. এর যে ফ্লাইটে আলি রেজা নাম রয়েছে সেটর প্যাসেঞ্জার মেনিফেস্ট এর মুলকপি, তারিখ ৮ই নভেম্বর ১৯৬৭ | — | — |
৮১ | সি. এস. ও., ঢাকা এর নোটের পাতা যেখানে আমির হোসেনের উল্লেখ রয়েছে, তারিখ ১৭ নভেম্বর ১৯৬৭ | — | — |
৮২ | এম. রহমান কর্তৃক ৪৫ রূপি উত্তোলনের ১৮ নভেম্বর ১৯৬৭ এর চেক | — | — |
জিনিসপত্রের তালিকা
(রেফারেন্স অনুচ্ছেদ ৫ ও পরিশিষ্ট)
ক্রমিক নং | বর্ননা | কোর্টে উপস্থাপন | মন্তব্য |
১ | মস্কোভিচকার যার নম্বর ইবিছি ৭৯৭৬, পি. আই. এ. কার নং ২৬৬৮, পুর্ববর্তী নং কেএই ৩১৯৪ | — | — |
২ | একটি জিপ যার নং৯১৩৯ | — | — |
৩ | একটিফিয়েট কার ১১০/ডি (মডেল) যারনং ইবি এ ৯১০০ | — | — |
৪ | ফিল ম্যান ইম্প কার, নং ৯৫৯১ | — | — |
৫ | একটি টেলিফোন সেট যার নম্বর 6829/6 | — | — |
৬ | একটি হ্যান্ড গ্রেনেড | — | — |
৭ | একটি নীল কালারের রেক্সিনের হাতব্যাগ | — | — |
৮ | ছোট তালা | — | — |
৯ | উপর্যুক্ত তালার একটি চাবি | — | — |
১০ | একটি পলিথিন ব্যাগ | — | — |
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
সার্জেট জহরুল হকের বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জশীট | সরকারী | ১৯শে জুন,
১৯৬৮ |