You dont have javascript enabled! Please enable it! ডা. আব্দুল মান্নান মোল্লা | মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক - সংগ্রামের নোটবুক

জীবনচিত্র      নামঃ ডা. আব্দুল মান্নান মোল্লা

Dr. Abdul Mannan Molla

ডাকনামঃ মান্নান

পিতার নামঃ আব্দুল গনি মোল্লা

পিতার পেশাঃ কৃষিজীবী

মাতার নামঃ রোয়েচা বেগম

ভাইবোনের সংখ্যাঃ পাঁচ ভাই ও দুই বোন, নিজক্রম-ষষ্ঠ

ধর্মঃ ইসলাম স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম/ইউনিয়ন/ডাকঘর-সুকতাইল

উপজেলা/জেলা-গোপালগঞ্জ

শহীদ ডা. আব্দুল মান্নান মোল্লা

 

নিহত/নিখোঁজ হওয়ার সময় ঠিকানাঃ ঐ

জন্মঃ ১৯৪২, সুকতাইল, গোপালগঞ্জ

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

ম্যাট্রিকঃ গোপীনাথপুর হাই স্কুল, গোপালগঞ্জ

এলএমএফ

শখঃ সংস্কৃতি চর্চা

চাকরির বর্ণনাঃ প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার

ছাত্রাবস্থায় রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাঃ ছাত্রলীগ (আওয়ামী লীগপন্থি)

পেশাগত জীবনে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাঃ আওয়ামী লীগ, ইউপি সভাপতি

হত্যাকারীর পরিচয়ঃ

নামঃ আব্দুর রব মোল্লা

সংগঠনঃ স্থানীয় মুসলিম লীগ নেতা ও শান্তি কমিটির সেক্রেটারি

নিহত/নিখোঁজ হওয়ার তারিখঃ ৮ জুন, ১৯৭১

মরদেহঃ

প্রাপ্তি স্থানঃ জয়বাংলা পুকুর বধ্যভূমি, গোপালগঞ্জ

কবরস্থানঃ ঐ

স্মৃতিফলক/স্মৃতিসৌধঃ নেই

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হিসেবে সাহায্য/দান/পুরস্কারঃ বিভিন্ন সরকার প্রধানের অভিনন্দনপত্র; রাষ্ট্ৰীয় সম্মানী ভাতা

স্ত্রীর নামঃ হাছিনা বেগম

বিয়েঃ ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দ

সন্তান-সন্ততিঃ চারজন; এক পুত্র ও তিন কন্যা

ডলি বেগমঃ নবম শ্রেণী, গৃহিণী

মো. ফারুক আহমেদ (জাহিদ)- বিএ, গোপালগঞ্জ পৌরসভায় কর্মরত

জলি বেগমঃ অষ্টম শ্রেণী, গৃহিণী

পলিঃ অষ্টম শ্রেণী, গৃহিণী

  

তথ্য প্রদানকারী

হাসিনা বেগম

শহীদ চিকিৎসকের স্ত্রী

সুকতাইল, গোপালাজঞ্জ

 

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ   ১০৭

 

আমার স্বামী

শহীদ ডা. আব্দুল মান্নান মোল্লা

হাসিনা বেগম

শহীদ ডা. আব্দুল মান্নান মোল্লা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। তিনি আওয়ামী লীগের একজন নেতা হিসেবেও স্থানীয়ভাবে সুপরিচিত ছিলেন। ২৬ মার্চ ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। তাছাড়া ডাক্তার হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ব্যাপারে তাঁর একটি বিশেষ ভূমিকা ছিল।

ডা. আব্দুল মান্নানের এসব কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে তাঁর আপন চাচাত ভাই আব্দুর রব মোল্লা (মুসলিম লীগের নেতা ও শান্তি কমিটির সেক্রেটারি) মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে গোপালগঞ্জে পাকবাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং মান্নানকে পাকবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। শান্তি কমিটির সেক্রেটারি নিজের মুখে তাঁকে আওয়ামী লীগের একজন বিশিষ্ট নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের একান্ত সাহায্যকারী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। ডা. আব্দুল মান্নানের ওপর পাকবাহিনী নির্মমভাবে নির্যাতন চালায়, অবশেষে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।

ডা. আব্দুল মান্নানের লাশটি পর্যন্ত ফেরত দেয়া হয়নি।

  

প্রাসঙ্গিক উল্লেখযোগ্য তথ্যসূত্রঃ

 

ক. মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস; সম্পাদনাঃ আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনঃ প্রকাশনীঃ সাহিত্য প্রকাশ; প্রথম খণ্ড, পৃ. ৫২৷

খ. যাদের রক্তে মুক্ত এদেশ; সম্পাদনাঃ আসাদ চৌধুরী ও এনামুল কবির; প্রকাশনাঃ একাডেমিক পাবলিশার্স; প্রকাশকালঃ ২৬ মার্চ ১৯৯১; পৃ. ৪৮ ৷

গ. মুক্তিযুদ্ধে কোষ সম্পাদনঃ মুনতাসীর মামুন; প্রকাশনাঃ সময় প্রকাশন; প্রথম খণ্ড; প্রকাশকাল ৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৫; পৃ. ১৪০ ।

 

১০৮ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ

Reference:  মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ – বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ