You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.09.10 | ২৪ ভাদ্র ১৩৭৮ শুক্রবার ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ | একাত্তরের দশ মাস - রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী - সংগ্রামের নোটবুক

২৪ ভাদ্র ১৩৭৮ শুক্রবার ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১

-রাষ্ট্রদ্রোহিতা, অস্ত্রাগার লুন্ঠোন, অনুমোদিত অস্ত্র বিতরণ, রাষ্ট্রবিরোধীদের ট্রেনিং প্রদান প্রভৃতি আভিযোগে আওয়ামী লীগের ১৪৫ জন এমপিকে সামরিক আদালতে হাজির হবার নির্দেশ জারী করা হয়। তাঁরা হচ্ছে ময়মনসিংহের সর্ব জনাব আশারাফ হোসেন, রাশেদ মোশাররফ, আব্দুল হাই, নিজামুদ্দিন আহমদ, ডাঃ নাদিরুজ্জামান, আব্দুল হালিম, কুদরতুল্লাহ মণ্ডল, শামসুল হক, হাতেম আলী মিয়া, আমান আলী মিয়া, খন্দকার আব্দুল মালে ওরফে শহীদুল্লাহ, আবুল মনসুর আহমদ্ম মোস্তফা এম এ মতিন, আব্দুল হাশেম, আব্দুল মজিদ (তারামিয়া), আব্দুল খালেক, এ কে এম শামসুল হক, এম এ কুদ্দুস, ঢাকার হচ্ছেন সর্ব জনয়াব শামসুল হক মিয়া, আবু মোঃ সুবিদ আলী, হামিদুর রহমান, মোঃ সিরাজুল ইসলাম গাজী গোলাম মোস্তফা, ডাঃ মোশাররফ হোসেন, হেদায়েতুল ইসলাম, আব্দুল হাকিম মাষ্টার, মোহাম্মদ আনোয়ার জঙ্গ, মোঃ ময়েজ উদ্দিন, গাজী ফজলুর রহমান, রাজিউদ্দিন আহমদ, মোসলেমউদ্দিন ভূঁইয়া, ডাঃ সাদত আলী সিকদার, সাজিদ আলী মিয়া ও আফজাল হোসেন মোঃ হাশেম, আব্দুল মোহায়মেন, খন্দকার মাজহারুল হক, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, জামাল উদ্দিন চৌধুরী। সিলেটের হচ্ছে সর্ব জনাব মাসুদ আহমেদ চৌধুরী, আব্দুল হাকিম চৌধুরী,  সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, আজিজুর রহমান, এনামুল হক, ডাঃ আবুল হাশেম, গোপাল কৃষ্ণ, মহারত্ন, আব্দুর রইস।

কুমিল্লার হচ্ছেন সর্ব জনাব সৈয়দ সেরাজুল ইসলাম, লুৎফুল হাই, সৈয়দ সেরাজুল ইসলাম বারী, আহমদ আলী, মৌলবী গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, আব্দুর রশীদ, এ আজিজ খান, আমীর হোসেন, মীর হোসেন চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল, জালাল আহমদ, সিকান্দার আলী, আব্দুস সাত্তার, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (অবঃ) এ বি সিদ্দিক সরকার, সেরাজুল ইসলাম পাটওয়ারী, মোঃ রাজা মিয়া। টাঙ্গাইলের হচ্ছে সর্ব জনাম শেখ নাজমুল ইসলাম, বদিউজ্জামান খান, এম এ বাসেত সিদ্দিকী, এ লতিফ সিদ্দিকী, ইনসান আলী মোক্তার, সেতাব আলী খান, ফজলুর রহমান খান, শামসুদ্দিন আহমদ। সিলেটের হচ্ছে সর্ব জনাম শমসের মিয়া চৌধুরী, আব্দুস জহুর, আব্দুল লতিফ, তাইমুস আলী, নওয়াব আলী, সারওয়ার খান, তাওয়াবুর রহীম, আলতাফুর রহমান চৌধুরী।

পাবনার হচ্ছে সর্ব জনাব মোজাম্মেল হক, আব্দুর রব(বগা মিয়া) যশোরের হচ্ছেন সর্ব জনাব কাজী খাদেমউল ইসলাম, এ বি এম গোলাম মজিদ, জে কে এম এ আজিজ, তবিবর রহমান সর্দার, আবুল ইসলাম, এডভোকেট নুরুল ইসলাম, শাহ হাদিউজ্জামান, এম মোশররফ হোসেন, আসাদুজ্জামান মোক্তার, সৈয়দ আতর আলী, শহীদ আলী খান, এস এম মতিয়ার রহমান। ফরিদপুরের হচ্ছে সর্ব জনাব কাজী হেদায়েত হোসেন, গৌরচন্দ্র বালা, ডাঃ আফতাব উদ্দিন মোল্লা, ইমাম উদ্দিন আহমদ, আমিনুদ্দিন আহমদ, এডভোকেট কাজী আব্দুর রশীদ, আখতার উদ্দিন মিয়া, সতীশ চন্দ্র হালদার, ইলিয়াস আহমদ চৌধুরী, আস্মত আলী খান, (মোক্তার) মতিয়ার রহমান, আলী আহমদ খান, আব্দুর রাজ্জাক, ফনঈ ভূষণ মজুমদার। বরিশালের হচ্ছে সর্ব জনাব এ কে এম ইসমাইল মিয়া, আমীর হাসান আমীর, ফজলুল হক, সওগাতুল আলম, মহিউদ্দিন আহমদ, আব্দুল করিম সরদার, ক্ষীতিশ চন্দ্র মণ্ডল, খুলনার হচ্ছে সর্ব জনাব শেখ আলী আহমেদ, আব্দুর রহমান শেখ, কুবের চন্দ্র বিশ্বাস, এনায়েত আলী, এফ এম আলাউদ্দিন। পটুয়াখালীর হচ্ছে সর্ব জনাব সৈয়দ আব্দুল হাশেম, আব্দুল আজীজ খন্দকার, আব্দুল বারেক, কুষ্টিয়ার হচ্ছে সর্ব জনাব গোলাম কিবরিয়া, নূরল হক, ডাঃ আসহাবুল হক, ইন্নাস আলী, জহুরুল হক, আব্দুর রউফ চৌধুরী, আহাসান উল্লাহ। নোয়াখালী হচ্ছে সর্ব জনাব আবু নাসের চৌধুরী, মাষ্টার রফিকুল্লাহ মিয়া, নূরুল আহমদ চৌধুরী ওরফে কালু চৌধুরী, বিসমিল্লাহ মিয়া, শহিদুল্লাহ ইসকান্দার, সিরাজুল ইসলাম। চট্টগ্রামের হচ্ছেন সর্ব জনাব মোশারফ হোসেন, মীর্জা আবু মনসুর, আব্দুল ওয়াহাব, জহুর আহমদ চৌধুরী, ডাঃ এম এ মান্নান, ডাঃ বি এম ফয়জুর রহমান, মোহাম্মদ উল্লাহ, মৌলভী খয়েরউদ্দিন এডভোকেট, এবি এম তালেব আলী।

-ঢাকার বাসাবো কদমতলীর ফাড়িতে পুলিশ ও রাজাকারের ওপর মুক্তিবাহিনী গেরিলারা রেইড অপারেশন করে অমানবিক অত্যাচার জড়িত ১৩ জন পুলিশ ও পদলেহী রাজাকারদের হত্যা করে।

-বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য উপদেষ্টা কমিটিগঠন সম্বন্ধে Keeping’s contemporary Archives (পৃঃ ২৪৯৮৯) লিখেছেন, “ A consultative committee consisting of four representatives of the Awami League and one

Representative each of the two factions f the National Awami party, The communist Party of Bangladesh and the Bangladesh National congress was formed in Calcutta on Sept.8 ‘direct the freedom struggle’ The National Awami Party was represented by Maulana Abdul Hamid Khan Bhashani and professor Muzaffar Ahmed, the respective leaders of its pro-Chinese and pro-soviet factions.’

-বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলী সমিতি (বাংলাদেশ লিবারেহসন কাউন্সিল অব ইন্টালীজেন্সীয়ায় অঙ্গ সংগঠন) ইষ্টার্ন ইণ্ডিয়া মোশান পিকচার্স এসোসিয়েশনের আর্থিক সহায়তায় স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হানের “ষ্টপ জেনোসাইড” এর প্রাইভেট শো দেখানো হয়। প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন পত্র পেশ করে চলচ্চিত্র পরিবেশক জনাব ফজলুল হক। (৩ খঃ পৃঃ ১২৮)

Reference:

একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী