জীবনচিত্র নামঃ ডা. আবু বিজরিস মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর
Dr. Abu Bizris Mohammad Humayun Kabir
ডাকনামঃ বুলু
পিতার নামঃ নূরুল হক সরকার
পিতার পেশাঃ ব্যবসায় ও কৃষি
মাতার নামঃ বিলকিস বেগম
ভাইবোনের সংখ্যাঃ তিন ভাই ও চার বোন, নিজক্ৰম-প্রথম
ধর্মঃ ইসলাম
স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম-চুরভাগা, ডাকঘর/উপজেলা-সখিপুর,
জেলা-শরীয়তপুর
আমার ভাই
শহীদ ডা. আ. বি. ম. হুমায়ুন কবীর
শেলী আকবর
আমার বড় ভাই ডা. হুমায়ুন কবীর। ১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর হাতিরপুল থেকে তাঁকে কুখ্যাত আল বদর, আল শামস বাহিনীর লোকেরা ধরে নিয়ে যায়। পরদিন তাঁর ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ নটরডেম কলেজের কাছে ডোবার মধ্যে পাওয়া যায়। ডা. কবীরের মৃতদেহে নিষ্ঠুর অত্যাচারের যেসব চিহ্ন ছিল তা মনে পড়লে এখনও শিউরে উঠি, চোখে জল আসে।
তাঁর ডাকনাম ছিল বুলু । আমাদের সাত ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়, আমাদের সবার আদরের মিয়া ভাই, মা-বাবার স্নেহের বুলু ছিল সংসারের ভবিষ্যৎ।
মিয়াভাই মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি প্রথম বিভাগে মতলব স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং নটরডেম কলেজ থেকে আই এস সি পাস করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। স্কুলজীবনে তিনি একজন ভালো স্কাউট ছিলেন এবং ১৯৬০ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের জাতীয় স্কাউট জাম্বুরিতে যোগদানের জন্য লাহোর যান। অবসর সময়ে তিনি গিটার ও তবলা বাজাতেন। নাটকও করতেন, বাবার কাছে থেকেই শিকারের শখ পেয়েছিলেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা তাকে খুব স্নেহ করতেন, তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আশা পোষণ করতেন। আমাদের মিয়াভাই ছিলেন একজন চৌকস তরুণ, সব জায়গায়ই তার স্বতন্ত্ৰ উপস্থিতি টের পাওয়া যেত।
মেডিকেল কলেজে এসেই মিয়া ভাই রাজনীতির সংস্পর্শে আসেন। ফাইনাল ইয়ারে পড়ার সময় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। মিয়াভাই মওলানা ভাসানীর খুব ভক্ত ছিলেন। আজকাল যাকে বাম রাজনীতি বলে তিনি তাতেই বিশ্বাসী ছিলেন। ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের সময় তিনি বিভিন্ন সভা-শোভাযাত্রায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ছাত্রসমাজে বেশ পরিচিতি লাভ করেন। আর এই পরিচিতিই হয়তো তাঁকে পাক হানাদার বাহিনীর দোসরদের কাছে চিহ্নিত শত্রুতে পরিণত করে।
মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র থাকতেই মিয়াভাই আমাদের পাশের
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ ৮৭
শহীদ ডা. আবু বিজরিস মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর
গ্রামে ডাক্তার বলে পরিচিত ছিলেন। ছুটিতে বাড়িতে গেলে দূরদূরান্ত থেকে গরিব গ্রামবাসী, বিভিন্ন অসুখের চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য আসত, খবর দিয়ে নিয়ে যেত। কোনো সময়েই তিনি বাড়ি গিয়ে নিরিবিলি ছুটি কাটাতে পারতেন না। তিনি শহর থেকে নিজে স্কলারশিপের টাকায় এবং পরিচিত ডাক্তার ও মেডিকেল এজেন্টদের কাছ থেকে নানা ধরনের ওষুধপত্র নিয়ে যেতেন। গ্রামের গরিব মানুষের চিকিৎসার কাজ করতে করতেই তিনি বাম রাজনীতিতে বিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। অনেক রোগীকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিতেন। বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতেন। বহু গরিব আত্মীয়-স্বজনও তাঁর কাছ থেকে অনুরূপ সহায়তা পেয়েছে। আমরা যেমন আমাদের মিয়াভাইকে ভুলতে পারিনি, গ্রামের লোকজনের স্মৃতিতেও বুলু ডাক্তার আজও অম্লান।
ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও ভাসানী ন্যাপ যখন সত্তরের নির্বাচন বয়কট করে তখন মিয়াভাই হতাশ হন। রাজনীতিতে তিনি কখনও নির্লিপ্ত ছিলেন না। নির্বাচন-পরবর্তী অসহযোগ আন্দোলনের সময় তিনি আবার উৎসাহিত হয়ে ওঠেন।
তিনি বিশ্বাস করতেন যে, পাকিস্তানিরা বাঙালিদের স্বাধিকারের দাবি মেনে নেবে না। বাংলাদেশের পূর্ণ স্বাধীনতাই একমাত্র মুক্তির পথ। এসব কথা তিনি জোর দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াতেন।
আমার স্বামী ড. আলী আকবর ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ছিলেন। আমাদের বাসা ছিল হাতিরপুলের কাছে হাকিম হাউসে। মিয়াভাই প্রায়ই আমাদের বাসায় আসতেন। কোনো কোনো দিন বাজার থেকে মাছ, তরিতরকারি নিয়ে এসে রাঁধতে বলতেন। ভালো খাবারের প্রতি তাঁর খুব দুর্বলতা ছিল।
পঁচিশে মার্চের কালরাতে মিয়াভাই মেডিকেল কলেজের হোস্টেলেই ছিলেন। কারফিউর মধ্যেই কী করে যেন ২৬ তারিখ বিকেলেই আমাদের ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের বাসায় পালিয়ে আসেন। তাঁর কাছেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাকবাহিনীর আক্রমণের ব্যাপকতা সম্পর্কে কিছুটা আভাস পাই| সাময়িকভাবে কারফিউ তুলে নিলে আমার স্বামী ও মিয়াভাই ঢাকায় আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন। ঢাকায় আর্মি অ্যাকশনের খবর দেশে পৌঁছে গিয়েছিল। দেশ থেকে বাবা দুটি নৌকা নিয়ে পোস্তাগোলায় আমাদের নিতে আসেন। আমার স্বামী ও মিয়াভাই আমাদের গাড়ি করে আতঙ্কিত আত্মীয়-স্বজনকে নৌকায় তুলে দেন। নৌকা দুটিতে শুধু মহিলা ও শিশুদের জায়গা হয়। পুরুষরা নদী পার হয়ে মুন্সীগঞ্জ হয়ে হেঁটে দেশের পথে যাত্রা করে। আমার প্রথম সন্তান তখন সাত মাসের গর্ভে। আমাদের নৌকা থামিয়ে তল্লাশির অজুহাতে বাবার হাত থেকে ঘড়ি এবং নৌকা থেকে ট্রানজিস্টারটা ছিনিয়ে নেয় নদীর ধারে পাহারারত কয়েকজন পাক মিলিটারি।
দেশে গিয়ে, বন্ধু-বান্ধব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মিয়াভাই মনমরা হয়ে থাকতেন। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা আমরা জেনে গেছি। কিন্তু গ্রামের বাড়ি থেকে দেশের অবস্থা কিছু জানার উপায় ছিল না। তবে বিভিন্ন শহর থেকে জনস্রোত আমাদের গ্রাম হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালানোর দুঃখ-দুর্দশা প্রতিদিন আমরা দেখেছি। কোনো কোনো পরিবারকে আমরা সহায়তাও করেছি।
আমি ও মিয়াভাই ছিলাম পিঠাপিঠি ভাইবোন। আমাদের দু’জনের সম্পর্ক ছিল গভীর স্নেহের। আমার সন্তান হবে বলে কয়েক মাস তিনি দেশের বাড়িতেই ছিলেন। আমার প্রথম সন্তান হওয়ার পর মিয়াভাইয়ের কী আনন্দ! ঐ দুর্দিনেও বাজারে গিয়ে সোনার চেইন নিয়ে এলেন। বড় মামা হয়ে ‘ভাগনির মুখ’ দেখবেন বলে। আমার মেয়ে দু’মাস হতেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। আমার স্বামী চিকিৎসার জন্য আমাকেসহ ঢাকায় নিয়ে আসেন। মেয়ের চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে থাকা অবস্থায় বিহারিদের মুখে বাঙালিদের যা ইচ্ছে তাই বলে গালাগালি শুনেও কথা বলার সাহস আমাদের ছিল না। ঐ হাসপাতালেই আমার প্রথম সন্তান মারা যায়। ইতোমধ্যে মিয়াভাই ডামুড্যা বাজারে গিয়ে এক ফর্মেসিতে ডাক্তারি শুরু করেন। সেখানেই তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সংস্পর্শে আসেন। ডামুড্যা বাজারে সাধারণ মানুষের সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাও করতেন। কিন্তু এ কথা তিনি প্রকাশ করতেন না। মিয়াভাই নানা কারণে দেশ ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশগ্ৰহণ করতে পারেননি। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার মাত্র সাত মাস আগে আমার এক ইঞ্জিনিয়ার কাকা দুর্ঘটনায় আশুগঞ্জে মারা যান। সাতজন নাবালক শিশুসহ বিধবা কাকি আমাদের বাড়িতেই ছিলেন। অর্থনৈতিক ও মানসিক দিক দিয়ে আমাদের সংসার তখন অনেকাংশে বিপর্যস্ত। শোকে জর্জরিত বাবা মিয়াভাইকে মুক্তিযুদ্ধে না যাওয়ার জন্য দিব্যি দিয়েছিলেন। আমার ফুফা বিহারিদের হাতে নিহত হওয়ার পর বাবার ভয় আরো বেড়ে গিয়েছিল।
৮৮ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ
মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ না করলেও মিয়াভাই মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতেন। তাদের চিকিৎসার জন্য তিনি প্রায়ই ঢাকায় এসে আমাদের বাসায় উঠতেন। তাঁকে যাতে সন্দেহ না করে সেজন্য মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায় মেডিকেল কলেজের শেষ পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে তাঁকে যে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে তাও বুঝতে পেরেছিলেন। সে জন্য ঢাকায় এসে বেশিদিন থাকতেন না। তাঁর ভয়ের কথা তিনি আমাদের কয়েকবার বলেছেনও। আমাদের নিষেধ সত্ত্বেও কয়েকবার তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। সতর্কতা হিসেবে গোঁফ রেখে চুল অন্যভাবে আঁচড়ে কিছুটা ছদ্মবেশে থাকতেন।
শেষবার মিয়াভাই ঢাকায় এলেন নভেম্বর মাসে। মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রম ঢাকায় তখন ব্যাপক। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরার জন্য আল বদর, আল শামস বাহিনী চেষ্টা চালাচ্ছে। সেদিন হাতিরপুল এলাকায় সকাল থেকে কারফিউ ছিল। ঐ এলাকা আল বদর বাহিনী ঘেরাও করে রেখেছিল।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ ৮৯
শহীদ ডা. আবু বিজরিস মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর
মিয়াভাই আমাদের বাসা থেকে পালাবার জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। কিন্তু কোনো উপায় ছিল না। প্রতিদিনের মতো সেদিন ভোরেও মিয়াভাই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শুনলেন। আমাদের পাশে নিচের তলায় থাকতেন মেডিকেল কলেজের অ্যাসিসট্যান্ট সার্জন ডা. আজহারুল হক। তিনিও গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করতেন। ডা. আজহার ভাইকে মেডিকেল কলেজে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আসার কথা শুনে মিয়াভাই তার সাথেই বেরিয়ে যাওয়ার কথা বললেন। আমাদের সবার নিষেধ সত্ত্বেও তিনি ডা. আজহার ভাইয়ের সাথেই বেরিয়ে গেলেন। আমার ছোট বোন মোমরাজ মিয়াভাইয়ের পেছন পেছন সিঁড়ি পর্যন্ত গিয়ে তাঁকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। কারফিউ তুলে নেয়ার পরে আমাদের এক বন্ধু এসে জানালেন যে, হাতিরপুল এলাকা থেকে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে গেছে আল বদররা। এই কথা শুনে আমার স্বামী বের হয়ে গেলেন এবং জানতে পারলেন যে, আলবদর বাহিনী আশপাশের বাসায় মিয়াভাইদের নাম ধরে জানতে চেয়েছিলেন, তিনি কোন বাসায় থাকেন। একজন দোকানদার জানালো যে, আলবদর বাহিনীর লোকজন বলেছে যে যাকে ধরার জন্য কারফিউ দেয়া তাকে পাওয়া গেছে। আমার স্বামী মেডিকেল কলেজে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন যে, মিয়াভাই ও ডা. আজহার ভাই মেডিকেল কলেজে নেই। আমাদের দু’বাসা থেকেই সারাদিন এ দু’জনের খোঁজ নেয়ার চেষ্টা চলতে থাকে। পরদিনও খোঁজ চলছিল। দুপুরে খোঁজ পাওয়া গেল যে এ দু’জনের লাশ নটরডেম কলেজের কাছে ডোবা থেকে উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজের মর্গে নিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা গিয়ে তাদের মৃতদেহ শনাক্ত করলাম। সন্ধ্যার মধ্যেই তাড়াহুড়ো করে জানাজা দিয়ে আজিমপুর গোরস্তানে তাদের দাফন শেষ করা হয়।
মিয়াভাইয়ের মতো লক্ষ শহীদের আত্মা কি শাস্তি পেয়েছে? ঠাণ্ডা মাথায় মিয়াভাইয়ের মতো আরো হাজারো মানুষকে যারা অত্যাচার করে হত্যা করেছে তাদের কারো বিচার কখনো হয়নি।
মিয়াভাই বিশ্বাস করতেন দেশ একদিন স্বাধীন হবে, দেশের মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকবে। দেশ স্বাধীন হয়েছে সত্য, কিন্তু তাঁদের স্বপ্ন সফল হয়নি। আজ আটত্রিশ বছর পরও স্বাধীনতার সুফল মানুষ ভোগ করতে পারছে না।
(*প্রকৌশলী ইফতেখার কাজল সম্পাদিত মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক স্মৃতিকথা থেকে সঙ্কলিত)
প্রাসঙ্গিক উল্লেখযোগ্য তথ্যসূত্রঃ
ক. মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী তালিকা; তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার; প্রকাশকালঃ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২।
খ. মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক তালিকা; বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যালয় বিএমএ ভবনে(তোপখানা রোড, ঢাকা) শোভিত স্মৃতিফলকে উৎকীর্ণ। (পরিশিষ্ট দ্রষ্টব্য)
গ. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেঃ দলিলপত্র; সম্পাদনাঃ হাসান হাফিজুর রহমান; প্রকাশনাঃ তথ্য মন্ত্রণালয়, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার; প্রকাশকালঃ আষাঢ় ১৩৯১; জুন ১৯৮৪; ৮ম খণ্ড; পৃ. ৭০৭ ।
ঘ. শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মারক ডাকটিকিট; প্রকাশনাঃ বাংলাদেশ ডাক বিভাগ; ষষ্ঠ পর্যায়; ১৯৯৭। (পরিশিষ্ট দ্রষ্টব্য)
ঙ. স্মৃতি ১৯৭১; সম্পাদনাঃ রশীদ হায়দার; প্রকাশনাঃ বাংলা একাডেমী; ২য় খণ্ড, ২য় পুনর্মুদ্রণ, প্রকাশকালঃ শ্রাবন ১৪০৯, আগস্ট ২০০২; পৃ. ১৭৯।
চ. *মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক স্মৃতিকথা; সম্পাদনাঃ প্রকৌশলী ইফতিখার কাজল; প্রকাশনাঃ রক্তঋণ; প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২; পৃ. ৪৮ ।
ছ. মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সেগুনবাগিচা, ঢাকায় সংরক্ষিত শহীদ চিকিৎসকের স্মারক সামগ্ৰী।
জ. শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মারকগ্রন্থ; প্রকাশনাঃ বাংলা একাডেমী; ১ম পুনর্মুদ্রণ, প্রকাশকালঃ পৌষ ১৪০০, জানুয়ারী ১৯৯৪; পৃ. ৮৪।
ঝ. শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ; সম্পাদনাঃ রশীদ হায়দার; প্রকাশনাঃ বাংলা একাডেমী; প্রকাশকালঃ আগ্রহায়ণ ১৩৯২, ১৪ ডিসেম্বর ১৯৮৫; পৃ. ২২ ।
ঞ. দৈনিক সংবাদ বিশেষ সংগ্রাহক সংখ্যা-৩, যেসব হত্যার বিচার হয়নি; পরিকল্পনায়ঃ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। প্রকাশকালঃ সোমবার ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৮; পৃ. ৯, ৪৩।
ট. একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়; সম্পাদনাঃ ড. আহমদ শরীফ, কাজী নূর-উজ্জামান এবং শাহারিয়ার কবির; প্রকাশনাঃ মুক্তিযুদ্ধ, চেতনা বিকাশ কেন্দ্র; ৪র্থ সংস্করণ প্রকাশকালঃ ফাল্গুন ১৩৯৫, ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯; পৃ. ৭৮।
৯০ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ
Reference: মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ – বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ