You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.08.31 | ১৪ ভাদ্র, ১৩৭৮ মঙ্গলবার, ৩১ আগষ্ট ১৯৭০ | একাত্তরের দশ মাস - রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী - সংগ্রামের নোটবুক

১৪ ভাদ্র, ১৩৭৮ মঙ্গলবার, ৩১ আগষ্ট ১৯৭০

President Yahya Khan appointed Dr. Abdul Motaleb Malik as Governor of East Pakistan on Aug, 31 Vice Lieut. General Tikka  Khan. Who had held the post since March প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ডাঃ মালিককে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর নিযুক্ত করেন। এর আগে তিনি কাজ করছিলেন ইয়াহিয়ার বিশেষ উপদেষ্টা হিসাবে। তবে সরকারিভাবে বলা হয়, বেসামরিক গভর্ণর নিয়োগ করা হলেও সেনাবাহিনী কাজ করবে আগের মতোই এ প্রসঙ্গে কি সি এ লিখছেঃ “Lieut, General Amir Abdullah Khan Niazi was appointed Martial Law Administrator for East Pakistan at the same time. An official spokesman stated that Dr. Malik would exercise complete authority, and that the armed forced would act only in support of the civil administration.

The daily Telegraph correspondent commented on Sept.3: “The Immediate reason [for Dr. Malik’s appointment] is that virtually no candidates could be found to contest the 79 by elections for the National Assembly… while General Tikka Khan remained in power… Members of The Moslem League and other legal parties have been afraid to come forward because of the growing deterioration the internal security of the country and threats from Bangladesh guerrillas that prospective candidates would be harassed. But an even more important reason for the change was that the Bengali civil administration barely exists in vast areas of the countryside. Officials have either run away or have seemed unable to reach any form of collaboration with the military authorities. The Army, with several notable exceptions, lacked experience and appeared incapable of getting the economy of the country moving again..”

Dr. Malik Appointed 10 civilian Minisers on Sept. 18 and three more on Oct.8. The council of Ministers included two former members of theAwamil League, representatives of the Pakistan democratic Party, the Jamaati-Islami and the various factions of the Moslem League, and a Buddhist.”

এদিন ৯০ নং সামরিক আদেশ জারি করা হয়। এ সময় মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন অধ্যাপকের পাকিস্তান সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর কারণ, ভারতে গিয়ে উদ্ধাস্তু শিবিরগুলো পরিদর্শন করে তারা প্রতিবাদ করেছিলেন পাকিস্তানী বর্বতার। আজ আমেরিকায় নিযুক্ত পাকিস্তানী রাষ্ট্রদূত আগাহিলালী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ এডওয়ার্ড কেনেডি পাকিস্তানবিরোধী বক্তব্য দিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে পাকিস্তানের জনমনে। তাই জনমতের প্রতি দৃষ্টি রেখেই বাতিল করা হয়েছে এদের সফর।

-দৈনিক সংগ্রামে আজ দক্ষিণ ভারতের বাঙ্গালোর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘নাশিমন’ পত্রিকায় মুদ্রিত পাকিস্তান সম্পর্কে একটি পর্যালোচনা ছাপায়। এতে দেশের সামগ্রিক অবস্থার জন্যে এককভাবে শেখ মুজিবকেই দায়ী করা হয়।

-২০ আগষ্ট পাকিস্তান থেকে বিমান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্যে আসার সময় শহীদ হন ফ্লাইট লেফটেন্যন্ট মতিউর রহমান। আজ তাঁকে হানাদাররা আখ্যায়িত করে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ফ্লাইট লেফটন্যান্ট মতিউর রহমানকে বীরশ্রেষ্ট সম্মানে ভূষিত করেন।

গোলাম আযম করাচীতে সংবাদ সম্মেলনে ন্যাপ (ভাসানী), আতাউর রহমান খানের ন্যাশনাল লীগ, ন্যাপ (ওয়ালী) সহ অন্যান্য “বিচ্ছন্নতাবাদী” দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণার এবং জাতীয় পরিষদ বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খাঁনের ঘোষণার উদ্ধৃতি দিয়ে এদিন সরকারী সূত্রে বলা হয়, কতিপয় দুস্কৃতকারী ও বিপথগামীর কারণে এতো পরিশ্রম অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলকে নষ্ট হয়ে দেয়া যায় না।

-কালিগঞ্জ থানা শাখা ও কল্যাণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট মওলানা আবদুল মুবিন ও সেক্রেটারী রফিউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে পরিচালিত রাজাকাররা আজ আটক করে ৩৪ জন মুক্তিযোদ্ধাকে। থানা কমান্ডার এবাদৎ হোসেনের নেতৃত্ব দুলাল, মুন্দিরা বাবারসহ আরো কয়েকটি গ্রামে হামলা করে। হায়াতপুর ক্যাম্পের রাজকাররা মুক্তিযোদ্ধদের একটি দলের সঙ্গে দীর্ঘ ২ ঘন্টা গুলিবিনময় করে হতাহত করে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে।

-মহান ভাষা আন্দোলনের অমর সংগীতকার আলতাফ মাহমুদের ওপর পাকসেনার নির্যাতনের বীভৎসকাহিনী উল্লেখ করে আবু জাফর শামসুদ্দিন লিখেছেন, অপরাধ তাঁর আঙ্গিনায় বিস্ফোরক দ্রব্যাদি বোঝাই ট্রাঙ্ক পাওয়া গেছে। আলতাফ মাহমুদকে নাকি ‘উনধা’ অর্থ্যাৎ ঠ্যাং বেঁধে মুখ নিচের দিক করে ঝুলিয়ে রেখেছে, তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে-বাঁচার কথা নয়। উল্লেখ্য, ঐ নির্যাতনে ‘আমার ভাইয়ের রক্ত রাঙ্গানো একুশে ফ্রেরুয়ারী’র সুরকার আলতাফ মাহমুদ শহীদ হন। (আত্মস্মৃতি, পৃঃ ২৯৬)

-এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট মিঃ নিক্সনের চীনের প্রতি বিরূপ নীতি পরিবর্তন ও সুসম্পর্ক গড়ে তোলার প্রয়াশে পেক্ষাপট পাকপ্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের প্রতি গভীর সহানুভূতিশীল নীতির পেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে ‘দি আন্ডারসন পেপারস’ এ মিঃ এ্যান্ডারসন লিখলেনঃ “ Nixon decided the Chinese- American hostility had been a ghastly mistake, and he set out to restore good relations with peeking.

This worthy quest led him into a close relationship with Pakistan’s military dictator, Agha Mohammad Yahya khan, who helped to open the doors in Peeking.. His decisions to aid Pakistan were a national tragedy, an abrogation of America’s historic commitment to champion democracy throughout the world. The anti India policy moreover was premeditated. As early as August 1971… Nixon told his foreign policy planners that he intended to back Yahya in his conflict with India. (pp. 263)                                                                                                    

আমরা  শুনেছি ঐ মাভৈঃ মাভৈঃ

Reference:

একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী